হজ্জ
হজ্জ একটি ফরয এবাদত
(আরবী*****************************************)
৮২.হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) এক ভাষণে বলেছেন, হে মানবমন্ডলী আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ্জ ফরয করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ্জ আদায় কর। (মুনতাকা)
হজ্জ মানুষকে নিষ্পাপ করে
(আরবী******************************************)
৮৩.রাসূল(সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই ঘরের কাছে উপস্থিত হয়ে যাবতীয় অশ্লীলতা ও লজ্জাহীনতার কথা ও কাজ থেকে বিরত রইল এবং আল্লাহর নাফরমানী থেকে দুরে থাকলো, সে তার মায়ের পেট থেকে জন্ম গ্রহণের সময়ের মত (নিষ্পাপ) হয়ে বাড়ী ফিরে যাবে।
জেহাদের পর হজ্জ সর্বোত্তম এবাদত
(আরবী********************************************)
৮৪. আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুল (সা) এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো, কোন কাজটি সর্বোত্তম? তিনি জবাব দিলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। আবার প্রশ্ন করা হলো এরপর কোন কাজ সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহর দ্বীনের জন্য সর্বাত্ন্যক সংগ্রাম তথা জেহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হলো, এরপর কোন কাজ উৎকৃষ্টতম? তিনি বললেনঃ এমন হজ্জ যার অভ্যন্তরে আল্লাহর কোন রকম নাফরমানী করা হয়নি। (মুনতাকা)
হজ্জ ফরয হলে তা দ্রুত আদায় করা উচিত
(আরবী************************************)
৮৫. রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ্জ করার সিদ্ধান্তে নেয়, তার দ্রুত হজ্জ সম্পন্ন করা কর্তব্য। কেননা সে রোগাক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। তার উট হারিয়ে যেতে পারে। (অর্থাৎ যানবাহন তথা সফরের উপায় উপকরণ হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। পথ বিপদ সংকুল হয়ে যেতে পারে এবং সফরের প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ হয়ে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। ) এবং এমন কোন কাজের প্রয়োজন পড়তে পারে যা হজ্জ করতে যাওয়াকে অসম্ভব করে তুলবে। সুতরাং তোমরা দ্রুত হজ্জ সম্পন্ন কর। (কে জানে কখন কোন বিপদ মুসিবত এসে পড়ে এবং হজ্জ থেকে বঞ্চিত হয়ে যাও। ) (ইবনে মাজা, ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত)
সামর্থবান লোকদের হজ্জ না করার কঠোর পরিণতি
(আরবী**************************************)
৮৬. হাসান (রা) বর্ণনা করেন যে, হযরত ওমর (রা) বলতেনঃ আমি এই সব শহরে (মুসলমানদের দখলীকৃত এলাকায়) কিছু লোক পাঠাতে চাই, যারা তদন্ত করে দেখবে কারা হজ্জ করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্জ করেনি, অতঃপর তাদের ওপর জিযিয়া আরোপ করতে চাই। (অমুসলিম নাগরিকদের জান মালের নিরাপত্তা বাবদ আদায়যোগ্য করকে জিযিয়া বলা হয়। ) কেননা তারা মুসলমান নয়। (মুসলমান হলে তারা অনেক আগেই হজ্জ করতো। মুসলমান অর্থ হলো আল্লাহর কাছে আত্ন্যসমর্পনকারী। তারা যদি আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণকারী হতো তাহলে বিনা ওজরে হজ্জের মত মহান এবাদতে শৈথিল্য দেখাতো না। )
হজ্জের সফর শুরুর সাথে সাথেই হজ্জ শুরু
(আরবী************************************)
৮৭.রাসূল(সা) বলেছেন যে ব্যক্তি হজ্জ ওমরা বা জেহাদ করার লক্ষ্য নিয়ে নিজ গৃহ থেকে বের হয়ে, অতঃপর পথে তার মৃত্যু হয়, আল্লাহ তায়ালা তাকে অবিকল সেই সওয়াব ও পুরস্কার দেবেন। যা হ্জী, গাযী ও ওমরা আদায়কারীদের প্রাপ্য। (মেশকাত, আবু হুরায়রা(রা) থেকে বর্ণিত)