অতঃপর মহান আল্লাহ বলেছেন,
﴿ وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦ مَآ أُرِيدُ مِنۡهُم مِّن رِّزۡقٖ وَمَآ أُرِيدُ أَن يُطۡعِمُونِ ٥٧ ﴾ [الذاريات: ٥٦، ٥٧]
“আমি সৃষ্টি করেছি জ্বিন ও মানুষকে কেবল এ জন্য যে, তারা আমারই ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে। (সূরা আয-যারিয়াত: ৫৬-৫৭)
এটি স্পষ্ট ঘোষণা যে, জ্বিন-ইনসান ইবাদতের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং তাদের উচিত, সেই কর্মের প্রতি যত্ন নেওয়া, যার জন্য তারা সৃষ্ট হয়েছে এবং বিষয়-বিতৃষ্ণার সাথে ভোগ-বিলাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া। যেহেতু পার্থিব জীবন হল ক্ষণস্থায়ী, চিরস্থায়ী নয়। তা হল পারের নাও মাত্র, আনন্দের বসত-বাড়ী নয়। অস্থায়ী পানি পানের ঘাট, চিরস্থায়ী বাসস্থান নয়। এই জন্য তার সচেতন বাসিন্দা তারাই, যারা আল্লাহর ইবাদত-গুযার এবং সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষ তারাই, যারা তার প্রতি আসক্তিহীন। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ إِنَّمَا مَثَلُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا كَمَآءٍ أَنزَلۡنَٰهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ فَٱخۡتَلَطَ بِهِۦ نَبَاتُ ٱلۡأَرۡضِ مِمَّا يَأۡكُلُ ٱلنَّاسُ وَٱلۡأَنۡعَٰمُ حَتَّىٰٓ إِذَآ أَخَذَتِ ٱلۡأَرۡضُ زُخۡرُفَهَا وَٱزَّيَّنَتۡ وَظَنَّ أَهۡلُهَآ أَنَّهُمۡ قَٰدِرُونَ عَلَيۡهَآ أَتَىٰهَآ أَمۡرُنَا لَيۡلًا أَوۡ نَهَارٗا فَجَعَلۡنَٰهَا حَصِيدٗا كَأَن لَّمۡ تَغۡنَ بِٱلۡأَمۡسِۚ كَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلۡأٓيَٰتِ لِقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٢٤ ﴾ [يونس: ٢٤]
“দুনিয়ার জীবনের দৃষ্টান্ত তো এরূপঃ যেমন আমরা আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি যা দ্বারা ভূমিজ উদ্ভিদ ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে উদ্গত হয়, যা থেকে মানুষ ও জীব-জন্তু খেয়ে থাকে। তারপর যখন ভূমি তার শোভা ধারণ করে ও নয়নাভিরাম হয় এবং তার অধিকারিগণ মনে করে সেটা তাদের