আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ﴾ [المائدة: ٢]
“তোমরা সৎ ও সংযমশীলতার কাজে পরস্পর সহযোগিতা কর”। (সূরা আল-মায়িদাহ: ২)
তাছাড়া সহীহসূত্রে প্রমাণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ বান্দাহ নিজ ভাইয়ের সাহায্যে থাকে।” (মুসলিম, ২৬৯৯)
“যে ব্যক্তি কল্যাণের প্রতি পথনির্দেশ করে তার জন্য ঐ কল্যাণ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ হয়।” (ইবন হিব্বান)
“যে ব্যক্তি সৎপথের দিক আহ্বান করে (দাওয়াত দেয়) সে ব্যক্তির ঐ পথের অনুসারীদের সমপরিমান সওয়াব লাভ হবে। এতে তাদের সওয়াব থেকে কিছুমাত্র কম হবে না। আর যে ব্যক্তি অসৎ পথের দিকে আহ্বান করে সেই ব্যক্তি ঐ পথের অনুসারীদের সমপরিমাণ গোনাহের ভাগী হবে। এতে তাদের গোনাহ থেকে কিছুমাত্র কম হবে না।” (মুসলিম ২৬৭৪)
আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেছিলেন, “আল্লাহর কসম! তোমার মাধ্যমে আল্লাহ যদি একটি লোককেও হিদায়াত করেন, তাহলে তা তোমার জন্য লাল উটনী (আরবের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ) অপেক্ষা উত্তম।” (বুখারী ৩৭০১, মুসলিম ২৪০৬ নং)
সুতরাং আমি মনস্থ করলাম যে, সহীহ হাদীস সম্বলিত একটি সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ সঞ্চয়ন করি, যাতে এমনসব বিষয়ের সমাবেশ ঘটবে, যা পাঠকের জন্য আখেরাতের পাথেয় হবে, বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিক আদব ও শিষ্টাচারিতা