গঠনতন্ত্র
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
বইটির অডিও শুনুন
প্রকাশনা বিভাগ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
৫০৫ এলিফ্যান্ট রোড, বড় মগবাজার ঢাকা-১২১৭
প্রকাশক: মিয়া গোলাম পরওয়ার
সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
প্রথম প্রকাশ: মে ১৯৮০
২২তম সংশোধনী: সেপ্টেম্বর ২০১৯
৮০তম মুদ্রণ: জানুয়ারি ২০২০
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
গঠনতন্ত্র
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
ভূমিকা
যেহেতু মহান আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত কোন ইলাহ নাই এবং নিখিল বিশ্বের সর্বত্র আল্লাহ তা’য়ালার প্রবর্তিত প্রাকৃতিক আইনসমূহ একমাত্র তাহারই বিচক্ষণতা ও শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষ্য দান করিতেছে;
যেহেতু আল্লাহ তা’য়ালা মানুষকে তাঁহার প্রতিনিধিত্বের জন্য পৃথিবীতে প্রেরণ করিয়াছেন এবং সত্যের অনুসরণ করাকেই মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করিয়া দিয়াছেন;
যেহেতু আল্লাহ তা’য়ালা সত্যের নির্দেশনাসহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করিয়াছেন;
যেহেতু বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তা’য়ালার সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং আল্লাহ তা’য়ালার প্রেরিত আল-কুরআন ও বিশ্বনবীর সুন্নাহই হইতেছে বিশ্ব মানবতার অনুসরণীয় আদর্শ;
যেহেতু ইহকালই মানব জীবনের শেষ নয় বরং মৃত্যুর পরও রহিয়াছে মানুষের জন্য এক অনন্ত জীবন যেখানে মানুষকে তাহার পার্থিব জীবনের ভাল ও মন্দ কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হইবে এবং বিচারের পর জান্নাত অথবা জাহান্নাম রূপে ইহার যথাযথ ফলাফল ভোগ করিতে হইবে;
যেহেতু আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করিয়া জাহান্নামের আযাব হইতে নাজাত এবং জান্নাতের অনন্ত সুখ ও অনাবিল শাড়ি লাভের মধ্যেই মানব জীবনের প্রকৃত সাফল্য নিহিত;
যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের মধ্য দিয়া বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করিয়াছে;
সেহেতু এই সকল মৌলিক বিশ্বাস ও চেতনার ভিত্তিতে শোষণমুক্ত ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের মহান উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই গঠনতন্ত্র প্রণীত ও প্রবর্তিত হইল ৷
প্রথম অধ্যায়
নাম, ঈমান ও আক্বীদা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, স্থায়ী কর্মনীতি, দাওয়াত এবং স্থায়ী কর্মসূচি
নাম ও কেন্দ্রীয় দফতর
ধারা-১
এই সংগঠনের নাম হইবে “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী”। ইহার কেন্দ্রীয় দফতর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হইবে।
ঈমান ও আক্বীদা
ধারা-২
কুরআন এবং সহীহ হাদীসে নির্দেশিত ঈমান ও আক্বীদাই জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীগণ পোষণ করিয়া থাকেন। যাহার মূল কথা হইলো-
“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তা’য়ালার রাসূল।
ব্যাখ্যাঃ (ক) এই ঈমান ও আক্বীদার প্রথমাংশ অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালার একমাত্র ইলাহ হওয়া এবং আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত অন্য কাহারও ইলাহ না হওয়ার অর্থ এই যে, আকাশমণ্ড ও পৃথিবীর মধ্যে যাহা কিছু আছে সেই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, প্রতিপালক, মা’বুদ এবং প্রাকৃতিক ও বিধিগত সার্বভৌম সত্তা হইতেছেন একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালা। এই সবের কোন এক দিক দিয়াও কেহই তাঁহার সহিত শরীক নাই।
এই মৌলিক সত্য কথাটি জানিয়া ও মানিয়া লইলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনিবার্যরূপে গ্রহণ করিতে হয় :
১। মানুষ আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত আর কাহাকেও নিজের পৃষ্ঠপোষক, কাৰ্য সম্পাদনকারী, প্রয়োজন পূরণকারী, বিপদ দূরকারী, ফরিয়াদ শ্রবণ ও গ্রহণকারী এবং সাহায্যদাতা ও রক্ষাকর্তা মনে করিবে না। কেননা তিনি ব্যতীত আর কাহারও নিকট কোন ক্ষমতা নাই ৷
২। আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত আর কাহাকেও কল্যাণকারী মনে করিবে না, কাহারও সম্পর্কে অন্তরে ভীতি অনুভব করিবে না, কাহারও উপর নির্ভর করিবে না, কাহারও প্রতি কোন আশা পোষণ করিবে না এবং এই কথা বিশ্বাস করিবে না যে, আল্লাহ তা’য়ালার অনুমোদন ব্যতীত কাহারও উপর কোন বিপদ-মুসীবত আপতিত হইতে পারে। কেননা সকল প্রকার ক্ষমতা ও ইখতিয়ার একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালারই।
৩। আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত আর কাহারও নিকট দোয়া বা প্রার্থনা করিবে না, কাহারও নিকট আশ্রয় খুঁজিবে না, কাহাকেও সাহায্যের জন্য ডাকিবে না এবং আল্লাহ তা’য়ালার ব্যবস্থাপনায় কাহাকেও এতখানি প্রভাবশালী বা শক্তিমান মনে করিবে না যে, তাহার সুপারিশে আল্লাহ তা’য়ালা ফায়সালা পরিবর্তন করিতে বাধ্য। কেননা তাঁহার রাজ্যে সকলেই ক্ষমতাহীন প্ৰজা মাত্র।
৪। আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত আর কাহারও সম্মুখে মাথা নত করিবে না এবং কাহারও উদ্দেশ্যে মানত মানিবে না। কেননা এক আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত ইবাদাত (দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা) পাইবার অধিকারী আর কেহই নাই ৷
৫। আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত অপর কাহাকেও বাদশাহ, রাজাধিরাজ ও সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানিয়া লইবে না, কাহাকেও নিজস্বভাবে আদেশ ও নিষেধ করিবার অধিকারী মনে করিবে না, কেননা স্বীয় সমগ্ৰ রাজ্যের নিরঙ্কুশ মালিকানা ও সৃষ্টিলোকের সার্বভৌমত্বের অধিকার আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত অপর কাহারও নাই ৷
উপরোক্ত ঈমান ও আক্বীদা অনুযায়ী নিম্নলিখিত বিষয়গুলিও মানিয়া লওয়া আবশ্যক:
১। মানুষ স্বীয় স্বাধীন ইচ্ছা ও আযাদী কুরবানী করিবে, নফসের ইচ্ছা- বাসনার দাসত্ব পরিত্যাগ করিবে এবং যে আল্লাহ তা’য়ালাকে ইলাহ মানিয়া লইয়াছে একনিষ্ঠভাবে একমাত্র তাঁহারই বান্দাহ ও দাস হইয়া জীবন যাপন করিবে।
২। নিজেকে কোন কিছুরই স্বাধীন ইচ্ছাসম্পন্ন মালিক মনে করিবে না বরং স্বীয় জীবন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, মানসিক ও দৈহিক শক্তি তথা সবকিছুকে আল্লাহ তা’য়ালার মালিকানাধীন ও তাঁহার নিকট হইতে প্রাপ্ত আমানত মনে করিবে।
৩। নিজেকে আল্লাহ তা’য়ালার নিকট দায়ী ও জবাবদিহি করিতে বাধ্য মনে করিবে, শক্তি-সামর্থ্যের ব্যবহার এবং স্বীয় আচরণ ও ক্ষমতা প্রয়োগে সব সময় সত্যের প্রতি লক্ষ্য রাখিবে যে, পরকালে আল্লাহ তা’য়ালার সম্মুখে এই সব বিষয়ের হিসাব অবশ্যই দিতে হইবে।
8। আল্লাহ তা’য়ালার যাহা পছন্দ তাহাকেই নিজের পছন্দ এবং যাহা তাঁহার অপছন্দ তাহাকেই নিজের অপছন্দ রূপে গ্রহণ করিবে।
৫৷ আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি ও তাঁহার নৈকট্য লাভকেই নিজের যাবতীয় চেষ্টা সাধনার চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং নিজের সমগ্র তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে গ্রহণ করিবে।
৬। স্বীয় নৈতিক চরিত্র, আচার-ব্যবহার এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, এক কথায় জীবনের সর্ববিষয়ে কেবল আল্লাহ তা’য়ালার বিধানকেই একমাত্র হিদায়াত হিসাবে মানিয়া লইবে এবং আল্লাহ তা’য়ালার দেওয়া শরীয়াতের বিপরীত যাবতীয় নিয়মনীতি ও পন্থা-পদ্ধতিকে প্রত্যাখ্যান করিবে।
ব্যাখ্যা: (খ) এই ঈমান ও আক্বীদার দ্বিতীয় অংশ- হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তা’য়ালার রাসূল হওয়ার অর্থ এই যে, বিশ্বের একমাত্র বাদশাহ আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ হইতে বিশ্বের সকল মানুষের প্রতি সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাধ্যমে একমাত্র নির্ভুল হিদায়াত ও আইন-বিধান প্রেরিত হইয়াছে এবং এই হিদায়াত ও আইন- বিধান অনুযায়ী কাজ করিয়া পূর্ণাঙ্গ বাস্তব নমুনা কায়েম করিবার জন্যই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিযুক্ত করা হইয়াছে।
যাহারা এই পরম সত্য ও প্রকৃত বিষয়কে জানিয়া ও মানিয়া লইবেন তাহাদের কর্তব্য হইবে :
১। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট হইতে যেই হিদায়াত ও আইন-বিধান প্রামাণ্য সূত্রে পাওয়া যাইবে তাহা দ্বিধাহীন ও অকুণ্ঠচিত্তে গ্রহণ করা।
২। কোন কাজে উদ্যোগী হওয়া বা কোন নিয়ম পদ্ধতি অনুসরণ হইতে বিরত থাকিবার জন্য আল্লাহ তা’য়ালার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর নিকট হইতে প্রাপ্ত আদেশ ও নিষেধকেই যথেষ্ট মনে করা।
৩। আল্লাহ তা’য়ালার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যতীত অপর কাহারও স্বয়ংসম্পূর্ণ নেতৃত্ব মানিয়া না লওয়া, কেননা অন্য কাহারও আনুগত্য হইতে হইবে আল্লাহ তা’য়ালার কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাতের অধীন।
৪। জীবনের সকল ব্যাপারেই আল্লাহ তা’য়ালার কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাতকে অকাট্য, প্রামাণ্য, বিশ্বস্তসূত্র ও নির্ভুল জ্ঞানের একমাত্র উৎসরূপে গণ্য করা। যেইসব ধারণা, খেয়াল, বিশ্বাস কিংবা নিয়মনীতি ও পন্থা কুরআন ও সুন্নাহর বিপরীত তাহা পরিত্যাগ করা এবং কোন সমস্যার সমাধান প্রয়োজন হইলে তাহার জন্য হিদায়াত লাভের উদ্দেশ্যে এই উৎসের দিকেই ধাবিত হওয়া।
৫। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক, বংশীয় ও জাতিগত, দলীয় ও সম্প্রদায়গত, আঞ্চলিক ও ভাষাগত তথা সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ ও বিভেদ হইতে মন-মগজকে মুক্ত ও পবিত্র করিয়া লওয়া এবং কাহারও ভালবাসা বা অন্ধ ভক্তিতে এমনভাবে বন্দী না হওয়া যাহার দরুন উহা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপস্থাপিত সত্যের প্রতি ভালবাসা ও ভক্তির উপর জয়ী কিংবা তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া দাঁড়াইতে পারে।
৬। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবন চরিতকে কুরআনের বাস্তব ব্যাখ্যা এবং উহাকে সকল ব্যাপারে সত্যের একমাত্র মাপকাঠি হিসাবে মানিয়া লওয়া। আল্লাহ তা’য়ালার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যতীত আর কাহাকেও ভুলের ঊর্ধ্বে মনে না করা, কাহারও অন্ধ গোলামীতে নিমজ্জিত না হওয়া বরং প্রত্যেককেই আল্লাহ তা’য়ালার দেওয়া এই মাপকাঠিতে যাচাই ও পরখ করিয়া যাহার যেই মর্যাদা হইবে তাহাকে সেই মর্যাদা দেওয়া।
৭। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নবুওয়াতের পরে কোন ব্যক্তির এমন কোন মর্যাদা মানিয়া না লওয়া যাহার আনুগত্য করা বা না করার ভিত্তিতে ঈমান ও কুফর সম্পর্কে ফায়সালা হইতে পারে।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
ধারা-৩
বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং মহান আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।
স্থায়ী কর্মনীতি
ধারা-৪
জামায়াতের স্থায়ী কর্মনীতি নিম্নরূপ হইবেঃ
১। কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা কোন কর্মপন্থা গ্রহণের সময় জামায়াত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধুমাত্র আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশ ও বিধানের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করিবে।
২। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন কোন উপায় ও পন্থা অবলম্বন করিবে না যাহা সততা ও বিশ্বাসপরায়ণতার পরিপন্থী কিংবা যাহার ফলে দুনিয়ায় ফিতনা ও ফ্যাসাদ (বিপর্যয়) সৃষ্টি হয়।
৩। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উহার বাঞ্ছিত সংশোধন ও সংস্কার কার্যকর করিবার জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করিবে।
অর্থাৎ ইসলামের দাওয়াত সম্প্রসারণ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের মানবিক, নৈতিক চরিত্রের সংশোধন এবং বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করিবার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অনুকূলে জনমত গঠন করিবে।
দাওয়াত
ধারা-৫
জামায়াতের দাওয়াত নিম্নরূপ হইবে:
১। সাধারণভাবে সকল মানুষ ও বিশেষভাবে মুসলিমদের প্রতি জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়ালার দাসত্ব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আনুগত্য করিবার আহ্বান।
২। ইসলাম গ্রহণকারী ও ঈমানের দাবিদার সকল মানুষের প্রতি বাস্তব জীবনে কথা ও কাজের গরমিল পরিহার করিয়া খাঁটি ও পূর্ণ মুসলিম হওয়ার আহ্বান ৷
৩। সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম করিয়া সমাজ হইতে সকল প্রকার জুলুম, শোষণ, দুর্নীতি ও অবিচারের অবসান ঘটানোর আহবান।
স্থায়ী কর্মসূচি
ধারা-৬
জামায়াতের স্থায়ী কর্মসূচি নিম্নরূপ হইবে :
১। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের নিকট ইসলামের প্রকৃত রূপ বিশ্লেষণ করিয়া চিন্তার বিশুদ্ধিকরণ ও বিকাশ সাধনের মাধ্যমে জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের অনুসরণ ও ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনুভূতি জাগ্রত করা।
২। ইসলামকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করিবার সংগ্রামে আগ্রহী সৎ ব্যক্তিদিগকে সংগঠিত করা এবং তাহাদিগকে ইসলাম কায়েম করিবার যোগ্যতাসম্পন্ন হিসাবে গড়িয়া তুলিবার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ দান করা ৷
৩। ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক সংশোধন, নৈতিক পুনর্গঠন ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন এবং দুঃস্থ মানবতার সেবা করা।
8। নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পরিবর্তন এবং সমাজের সর্বস্তরে আল্লাহভীরু, চরিত্রবান, সৎ ও যোগ্য লোকের নেতৃত্ব কায়েমের চেষ্টা করা ৷
দ্বিতীয় অধ্যায়
সদস্য (রুকন) হওয়ার শর্তাবলী, সদস্য (রুকন) হওয়ার নিয়ম, সদস্যের (রুকনের) দায়িত্ব ও কর্তব্য
সদস্য (রুকন) হওয়ার শর্তাবলী
ধারা-৭
বাংলাদেশের যে কোন সুস্থ বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন ও প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারী এই জামায়াতের সদস্য (রুকন) হইতে পারিবেন যদি তিনি-
১। ব্যক্তিগত জীবনে ফরজ ও ওয়াজিবসমূহ আদায় করেন এবং কবীরা গুনাহ হইতে বিরত থাকেন ৷
২। উপার্জনের এমন কোন পন্থা অবলম্বন না করেন যাহা আল্লাহ তা’য়ালার নাফরমানির পর্যায়ে পড়ে।
৩। হারাম পথে অর্জিত কিংবা হকদারের হক নষ্ট করা কোন সম্পদ বা সম্পত্তি তাহার দখলে থাকিলে তাহা পরিত্যাগ করেন বা হকদারের হক ফেরত দেন।
8। মৌলিক মানবীয় যোগ্যতা অর্জনের বিচারে আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছেন।
৫ ৷ এমন কোন পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক না রাখেন যাহার মূলনীতি, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ইসলামের ঈমান ও আক্বীদা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং কর্মনীতির পরিপন্থী।
৬। জামায়াতের সাংগঠনিক দায়িত্বশীলগণের দৃষ্টিতে সদস্য (রুকন) হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হইবেন।
সদস্য (রুকন) হওয়ার নিয়ম
ধারা-৮
৭নং ধারা অনুসারে সদস্যপদ (রুকনিয়াত) লাভের যোগ্যতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি সদস্য (রুকন) হইবার অভিপ্রায় জানাইলে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত পন্থা অনুসারে উক্ত ব্যক্তির সদস্যপদ (রুকনিয়াত) মঞ্জুর করা হইবে। সদস্যপদ (রুকনিয়াত) মঞ্জুরীপ্রাপ্ত ব্যক্তি আমীরে জামায়াত বা তাঁহার কোন প্রতিনিধির নিকট সদস্যপদের (রুকনিয়াতের) শপথ গ্রহণ করিবেন এবং শপথ গ্রহণের দিন হইতেই তিনি সদস্য (রুকন) হিসাবে গণ্য হইবেন।
সদস্যের (রুকনের) দায়িত্ব ও কর্তব্য
ধারা-৯
(ক) জামায়াতে শামিল হওয়ার পর প্রত্যেক সদস্য (রুকন) নিজের জীবনে নিম্নরূপ পরিবর্তন আনিতে সর্বদা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাইবেন :
১। দ্বীন সম্পর্কে অন্তত এতটুকু জ্ঞান অর্জন করিতে হইবে যাহাতে তিনি ইসলাম ও জাহিলিয়াত (ইসলামের বিপরীত মতবাদ ও চিন্তাধারা) এর পার্থক্য বুঝিতে পারিবেন এবং আল্লাহ তা’য়ালার নির্ধারিত শরীয়াতের সীমা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হইবেন।
২। নিজের ঈমান ও আক্বীদা, চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও কাজ-কর্মকে কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক গড়িয়া লইবেন। নিজ জীবনের উদ্দেশ্য, মূল্যমান, পছন্দ-অপছন্দ এবং আনুগত্যের কেন্দ্রবিন্দু সবকিছুকে আল্লাহ তা’য়ালার সন্তোষের অনুকূলে আনয়ন করিবেন এবং স্বেচ্ছাচারিতা ও আত্মপূজা পরিহার করিয়া নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তা’য়ালার বিধানের একান্ত অনুসারী ও অধীন বানাইয়া লইবেন।
৩। আল্লাহ তা’য়ালার কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাতের বিপরীত সকল প্রকার জাহিলী নিয়ম-প্রথা ও রসম-রেওয়াজ এবং কুসংস্কার হইতে নিজের জীবনকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র করিবেন এবং ভিতর ও বাহিরকে শরীয়াতের বিধান অনুযায়ী গড়িয়া তুলিতে অধিকতর প্রচেষ্টা চালাইবেন।
৪। আত্মম্ভরিতা ও পার্থিব স্বার্থের ভিত্তিতে যে সব হিংসা-বিদ্বেষ, ঝোঁক- প্রবণতা, ঝগড়া-ঝাটি ও বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হইয়া থাকে এবং দ্বীন ইসলামে যে সব বিষয়ের কোনই গুরুত্ব নাই তাহা হইতে নিজের অন্তর ও জীবনকে পবিত্র রাখিবেন।
৫ ৷ ফাসিক ও আল্লাহ তা’য়ালা বিমুখ লোকদের সহিত দ্বীনের প্রয়োজন ব্যতীত সকল বন্ধুত্ব-ভালবাসা পরিহার করিয়া চলিবেন এবং নেক লোকদের সহিত দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করিবেন।
৬।নিজের সকল কাজ-কর্ম আল্লাহ-ভীতি, আল্লাহ তা’য়ালা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একনিষ্ঠ আনুগত্য, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে সম্পন্ন করিবেন।
৭। নিজ পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও পারিপার্শ্বিক এলাকার লোকদের মধ্যে দ্বীনি ভাবধারা প্রচার ও প্রসার এবং দ্বীনের সাক্ষ্যদানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেন।
৮। আল্লাহ তা’য়ালার দ্বীন কায়েমের উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করিয়া নিজের সকল চেষ্টা-সাধনা নিয়ন্ত্রিত করিবেন এবং জীবন ধারণের প্রকৃত প্রয়োজন ব্যতীত এই উদ্দেশ্যের দিকে পরিচালিত করে না এমন সকল প্রকার তৎপরতা হইতে নিজেকে বিরত রাখিবেন |
৯। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকিবেন।
(খ) জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক সদস্য (রুকন) পরিচিত লোকদের মধ্যে এবং উহার বাহিরে যেখানে তিনি পৌঁছিতে পারেন, আল্লাহ তা’য়ালার বান্দাদের সম্মুখে সাধারণভাবে ইসলামের ঈমান ও আক্বীদা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সবিস্তারে পেশ করিবেন। যাহারা এই ঈমান ও আক্বীদা এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে গ্রহণ করিবেন, তাহাদিগকে আল্লাহ তা’য়ালার দ্বীন কায়েমের উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাইবার জন্য উদ্বুদ্ধ করিবেন। আর যাহারা এই প্রচেষ্টা চালাইবার জন্য প্রস্তুত হইবেন, তাহাদিগকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্য (রুকন) হওয়ার আহ্বান জানাইবেন।
মহিলা সদস্যের (রুকনের) দায়িত্ব ও কর্তব্য
ধারা-১০
জামায়াতে ইসলামীর মহিলা সদস্যগণকে (রুকনগণকে) তাঁহাদের নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের ৯ ধারায় উল্লিখিত সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিতে হইবে। অবশ্য তাঁহাদিগকে নিম্নলিখিত কর্তব্যের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিতে হইবেঃ
১। নিজের স্বামী পিতা-মাতা, ভাই-বোন এবং পরিচিত ও অপরিচিত অন্যান্য মহিলাদের মধ্যে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দাওয়াত পেশ করিবেন।
২। নিজের সন্তান-সন্ততির অন্তরে ঈমানের আলো সৃষ্টি করিতে এবং তাঁহাদিগকে ইসলামের অনুসারী বানাইতে চেষ্টা করিবেন।
৩। তাঁহার স্বামী, সন্তান, পিতা ও ভাই-বোন যদি জামায়াতে শামিল হইয়া থাকেন, আন্তরিকতার সহিত তাঁহাদিগকে সাহসী ও আশাবাদী করিয়া তুলিবেন। জামায়াতের কাজে যথাসম্ভব তাঁহাদিগকে সহযোগিতা করিবেন এবং এই পথে কোন বিপদ আসিয়া পড়িলে ধৈর্য ও দৃঢ়তা অবলম্বন করিবেন।
৪। তাঁহার পিতা-মাতা, স্বামী, শশুর-শাশুড়ী এবং পরিবারের কোন সদস্য যদি ইসলাম পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকেন তবে ধৈর্য সহকারে তাঁহাদের সংশোধনের জন্য চেষ্টা করিবেন।
ধারা-১১
বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং কর্মসূচির সহিত ঐকমত্য পোষণ করিলে তিনি জামায়াতের সহযোগী সদস্য হইতে পারিবেন।
ধারা-১২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচির সহিত একমত পোষণ করিলে বাংলাদেশের যে কোন অমুসলিম নাগরিক ইহার সহযোগী সদস্য/ সদস্য হইতে পারিবেন।
তৃতীয় অধ্যায়
জামায়াতের সাংগঠনিক স্তর
ধারা-১৩
জামায়াতের সাংগঠনিক স্তর নিম্নরূপ:
কেন্দ্রীয় সংগঠন, জেলা/মহানগরী সংগঠন, উপজেলা/থানা সংগঠন, পৌরসভা, ইউনিয়ন সংগঠন ও ওয়ার্ড সংগঠন।
কেন্দ্রীয় সংগঠন
ধারা-১৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর কেন্দ্রীয় সংগঠন নিম্নলিখিত পদও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত হইবে :
১। আমীরে জামায়াত
২। কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলন
৩। জাতীয় কাউন্সিল
8। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা
৫ ৷ কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ এবং
৬। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ।
আমীরে জামায়াত
ধারা-১৫
১। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর একজন আমীর থাকিবেন।
২। সদস্যগণের (রুকনগণের) সরাসরি গোপন ভোটে আমীরে জামায়াত তিন বৎসরের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
৩। আমীরে জামায়াতের নির্বাচনের জন্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণ তিনজনের একটি প্যানেল নির্বাচন করিবেন। তবে আমীর নির্বাচনে প্যানেল বহির্ভূত যে কোন সদস্যকে (রুকনকে) ভোট দেওয়ার অধিকার ভোটারগণের থাকিবে।
8। নির্বাচিত হওয়ার পর আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্য/কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণের কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৫ ৷ সকল মা’রুফ (ভাল) কাজে সদস্যগণ (রুকনগণ) আমীরে জামায়াতের আনুগত্য করিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন।
৬। (ক) আমীরে জামায়াত যদি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তাহা হইলে তিনি কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া নায়েবে আমীরগণের মধ্য হইতে কোন একজনকে উক্ত সময়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত আমীর নিয়োগ করিবেন।
(খ) আমীরে জামায়াতের অক্ষমতাকাল ছয় মাসের বেশী হইলে অথবা আকস্মিকভাবে আমীরে জামায়াতের পদ শূন্য হইলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অনুমোদন সাপেক্ষে নায়েবে আমীরগণের মধ্য হইতে কোন একজনকে ভারপ্রাপ্ত আমীর নিযুক্ত করিবেন। এইরূপ নিযুক্ত আমীর অনূর্ধ্ব ছয় মাসের মধ্যে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নতুন আমীর নির্বাচনের ব্যবস্থা করিবেন।
(গ) বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ যুক্তিযুক্ত মনে করিলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অনুমোদন সাপেক্ষে এইরূপ নির্বাচন যুক্তিসঙ্গত সময়সীমা পর্যন্ত স্থগিত করিয়া ভারপ্রাপ্ত আমীরের কার্যক্রম বর্ধিত করিতে পারিবে, তবে এইরূপ স্থগিতকরণ ও কার্যকাল বর্ধিতকরণ গঠনতন্ত্রের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য আমীরে জামায়াত নির্বাচনের সময়সীমা অতিক্রম করিতে পারিবে না।
(ঘ) কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমীরে জামায়াতের নির্বাচন অনুষ্ঠান যদি কিছুতেই সম্ভব না হয়, তাহা হইলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত আমীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অনুমোদন সাপেক্ষে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
৭। আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করিবেন। কিন্তু দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত নাই এমন কোন বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার পরবর্তী প্রথম অধিবেশনের অনুমোদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্ৰীয় নির্বাহী পরিষদের পরামর্শক্রমে জরুরি ও সাময়িক পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।
আমীরে জামায়াতের দায়িত্ব, কর্তব্য, ক্ষমতা ও অধিকার
ধারা-১৬
১। দায়িত্ব
ক) জামায়াতের সংগঠন ও আন্দোলন চালাইয়া যাওয়ার প্রধান দায়িত্ব আমীরে জামায়াতের উপর অর্পিত থাকিবে। আমীরে জামায়াত কেন্দ্ৰীয় মজলিসে শূরা ও জাতীয় কাউন্সিলের নিকট দায়ী থাকিবেন।
(খ) আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা/কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া জামায়াতের নীতি নির্ধারণ ও সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফায়সালা করিবেন।
২। কর্তব্য
(ক) আমীরে জামায়াত আল্লাহ তা’য়ালা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দান করিবেন।
(খ) জামায়াতের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে জান-মাল দিয়া চেষ্টা করাকেই নিজের প্রধানতম কর্তব্য বলিয়া মনে করিবেন।
(গ) নিজের কাজ ও স্বার্থের উপর জামায়াতের কাজ ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দান করিবেন।
(ঘ) জামায়াতের সদস্যগণের মধ্যে সব সময়েই নিরপেক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফের ভিত্তিতে ফায়সালা করিবেন।
ঙ) জামায়াতের আমানতসমূহের পূর্ণ হিফাজত করিবেন I
চ) নিজে জামায়াতের গঠনতন্ত্র মানিয়া চলিবেন এবং তদনুযায়ী জামায়াতের সংগঠন ও শৃঙ্খলা কায়েম করিবার ও কায়েম রাখিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিবেন।
(ছ) জামায়াতের সকল সিদ্ধান্তের সঠিক বাস্তবায়ন ও তদারকি করিবেন।
৩। ক্ষমতা ও অধিকার
ক) আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলন, জাতীয় কাউন্সিল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের অধিবেশন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অধিবেশন আহবান করিবেন।
(খ) যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হয় এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা কিংবা কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠক আহ্বান করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা কিংবা কেন্দ্ৰীয় কর্মপরিষদের যে সকল সদস্যের সহিত যোগাযোগ করা সম্ভব তাহাদের সহিত পরামর্শ করিয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।
(গ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার পরামর্শক্রমে নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বিভাগীয় সেক্রেটারি নিয়োগ ও অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(ঘ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার আরোপিত বাধ্যবাধকতার অধীন জামায়াতের সম্পদ ও সম্পত্তি ব্যয়-ব্যবহার করিতে পারিবেন।
(ঙ) জামায়াতের সদস্যপদ (রুকনিয়াত) মঞ্জুর ও বাতিল করিতে পারিবেন।
(চ) অধস্তন সংগঠন স্থগিত করিতে কিংবা ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবেন।
(ছ) জামায়াতের বাইতুলমাল হইতে জামায়াতের কাজে অর্থ ব্যয় করিতে পারিবেন।
(জ) প্রয়োজনবোধে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সময়কাল অনূর্ধ্ব তিন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবেন। তবে কোন কারণে যদি এরপরও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নির্বাচন অসম্ভব হইয়া পড়ে তাহা হইলে উক্ত কারণ দূর না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সময় কাল বর্ধিত করিতে পারিবেন।
(ঝ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য নন এমন কোন সদস্যকেও মজলিসের বৈঠকে শরীক করিতে পারিবেন।
ঞ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বৈঠকে মজলিসে শূরার সদস্য নন এমন সদস্যের শরীক হওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করিতে পারিবেন |
(ট) নিজের ক্ষমতা ও অধিকারের কোন অংশ অপর কাহাকেও অর্পণ করিতে পারিবেন।
আমীরে জামায়াতের অব্যাহতি
ধারা-১৭
১। আমীরে জামায়াত যদি সদস্যপদের (রুকনিয়াতের) যোগ্যতা হারাইয়া ফেলেন অথবা কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণের বিবেচনায় অধিকাংশ সদস্যের আস্থা হারাইয়া ফেলেন, তাহা হইলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা নিম্ন উপধারা অনুযায়ী তাঁহাকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
২। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য কর্তৃক আমীরে জামায়াতের নিকট লিখিতভাবে তাঁহার প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ প্রদানের এক মাসের মধ্যে আমীরে জামায়াত কেন্দ্ৰীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করিয়া উক্ত প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পেশ করিবেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার দুই তৃতীয়াংশ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে এবং আমীরে জামায়াত তাহা মানিয়া লইলে আমীর পদ তৎক্ষণাৎ শূন্য হইবে। কিন্তু আমীরে জামায়াত মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত মানিতে না পারিলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য অনধিক এক মাসের মধ্যে তাহা জাতীয় কাউন্সিলে পেশ করিতে হইবে। জাতীয় কাউন্সিলের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য আমীরে জামায়াতের বিপক্ষে ভোট দিলে আমীর পদ তৎক্ষণাৎ শূন্য হইবে এবং বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৫নং ধারার ৬নং উপধারার ‘খ’ অনুচ্ছেদ মোতাবিক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ বৈঠক ডেকে ভারপ্রাপ্ত আমীর নিযুক্তির ব্যবস্থা করিবেন। তবে জাতীয় কাউন্সিলের অধিকাংশ সদস্যের ভোটে আমীরে জামায়াত যদি নিজ পদে বহাল থাকেন তাহা হইলে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণকারী মজলিসে শূরা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং অনধিক তিন মাসের মধ্যে নূতন মজলিসে শূরা নির্বাচন করিতে হইবে। ইহার পূর্ব পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্ৰীয় নির্বাহী পরিষদ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কাজ চালাইয়া যাইবে।
কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলন
ধারা-১৮
১। কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি ফোরাম হিসেবে গণ্য হইবে।
২। আমীরে জামায়াত কিংবা কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিকাংশ সদস্য যখন প্রয়োজন মনে করিবেন সদস্য (রুকন) সম্মেলন আহবান করিতে পারিবেন।
জাতীয় কাউন্সিল
ধারা-১৯
১। জাতীয় কাউন্সিল নামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি ফোরাম থাকিবে।
২। আমীরে জামায়াত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সকল সদস্য (পুরুষ ও মহিলা), জেলা/মহানগরী আমীর, জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সকল সদস্যগণের (পুরুষ ও মহিলা) সমন্বয়ে জাতীয় কাউন্সিল গঠিত হইবে।
৩। আমীরে জামায়াত জাতীয় কাউন্সিলের সভাপতি থাকিবেন।
৪। কোন বিষয়ে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাথে আমীরে জামায়াতের মতানৈক্য হইলে উক্ত বিষয় জাতীয় কাউন্সিলর সম্মেলনে মীমাংসা করা হইবে জাতীয় কাউন্সিলের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা
ধারা-২০
১। নীতি নির্ধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একটি মজলিসে শূরা থাকিবে। এই মজলিসের নাম হইবে ‘কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা’ অথবা ‘মজলিসে শূরা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
২। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কার্যকাল হইবে ০৩ (তিন) বৎসর।
৩। বিদায়ী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ পরবর্তী মজলিসে শূরায় জামায়াত সদস্যগণের (রুকনগণের) প্রতিনিধিত্বের আনুপাতিক হার নির্ধারণ করিবে।
৪। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা নিম্নরূপে গঠিত হইবে :
(ক) সারা দেশের সদস্যগণ (রুকনগণ) বিদায়ী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত জামায়াত সদস্যগণের (রুকনগণের) প্রতিনিধিত্বের আনুপাতিক হার মোতাবেক মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচন করিবেন, কিন্তু কোন সাংগঠনিক জেলা প্রতিনিধিত্ব হইতে বঞ্চিত হইবে না।
(খ) বিদায়ী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত হারে কেন্দ্রীয় ইউনিটের প্রতিনিধিত্ব থাকিবে।
(গ) ৪নং উপধারার ক ও খ অনুযায়ী নির্বাচিত মজলিস সদস্যগণ দ্বিতীয় পর্যায়ে সারা দেশের সদস্যগণের (রুকনগণের) মধ্য হইতে ত্ৰিশ জন মজলিস সদস্য নির্বাচিত করিবেন।
(ঘ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য নন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের এমন সদস্যগণ পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
(ঙ) কেন্দ্রীয় মহিলা মজলিসে শূরার সকল সদস্যগণ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৫। (ক) আমীরে জামায়াত পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সভাপতি হইবেন।
(খ) সেক্রেটারি জেনারেল (যদি মজলিসে শূরার সদস্য না হইয়া থাকেন) পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৬। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
৭।( ক) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর এক মাসের মধ্যেই আমীরে জামায়াত নির্বাচিত মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করিবেন এবং এই অধিবেশনে মজলিসে শূরার প্রত্যেক সদস্য আমীরে জামায়াতের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
(খ) কোন কারণে যদি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে মজলিসে শূরার সদস্যগণ একত্রে অথবা পৃথকভাবে আমীরে জামায়াত অথবা তাঁহার প্রতিনিধির সম্মুখে শপথ গ্রহণ করিবেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন
ধারা-২১
১। আমীরে জামায়াত যে কোন সময় কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করিতে পারিবেন।
২। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন বৎসরে অন্তত ০২ (দুই) টি হইবে।
৩। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার মোট সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে অধিবেশনের কোরাম হইবে।
৪। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরিত রিকুইজিশন নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে আমীরে জামায়াত মজলিসের অধিবেশন আহ্বান করিবেন।
৫৷ রিকুইজিশন নোটিশপ্রাপ্তির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অধিবেশন আহ্বান করা না হইলে নোটিশদাতা সদস্যগণ ১৫ দিনের নোটিশ দিয়া অধিবেশন আহ্বান করিতে পারিবেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কর্তব্য ও ক্ষমতা
ধারা-২২
১। কর্তব্য
সামষ্টিকভাবে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা এবং ব্যক্তিগতভাবে উহার প্রত্যেক সদস্যের কর্তব্য নিম্নরূপ হইবে :
(ক) আল্লাহ তা’য়ালা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সব কিছুর উপরে গুরুত্ব প্রদান করা।
(খ) আমীরে জামায়াত, মজলিসে শূরা এবং উহার প্রত্যেক সদস্য এই গঠনতন্ত্রে বর্ণিত ঈমান ও আক্বীদা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং ইসলামী নীতির অনুসারী আছেন কিনা তাহার প্রতি লক্ষ্য রাখা।
(গ) মজলিসের অধিবেশনসমূহে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া ৷
(ঘ) প্রত্যেক বিষয়ে নিজের ইলম, ঈমান ও বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী স্বীয় প্রকৃত মত স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করা।
(ঙ) জামায়াতের ভিতরে আলাদা জামায়াত বা গ্রুপ সৃষ্টির কাজ হইতে বিরত থাকা। মজলিসে শূরা কিংবা জামায়াতের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তিকে এই ধরনের কাজে লিপ্ত দেখা যায়, তবে তাহাকে উৎসাহিত কিংবা তাহার সম্পর্কে উপেক্ষার নীতি অবলম্বন না করিয়া তাহার সংশোধনের জন্য চেষ্টা করা।
(চ) জামায়াত ও উহার কাজে যেখানে যতখানি দোষ-ত্র“টি অনুভূত হইবে তাহা দূর করিবার জন্য চেষ্টা করা ৷
২। ক্ষমতা
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার ক্ষমতা নিম্নরূপ হইবে :
ক) জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যাদান ও উহার সংশোধন।
(খ) কেন্দ্রীয় বাইতুলমালের হিসাব পরীক্ষার জন্য অডিটর নিয়োগ এবং
তাহার পেশকৃত রিপোর্ট বিবেচনা।
(গ) কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গঠন।
(ঘ) সকল পর্যায়ের নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ।
(ঙ) জামায়াতের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদন ৷
(চ) আমীরে জামায়াত ও তাহার অধীন ও তাহার অধীন কেন্দ্রীয় বিভাগসমূহের সেক্রেটারিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও কাজ-কর্মের পর্যালোচনা।
(ছ) গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে যখন যে পদক্ষেপ প্রয়োজন তাহা গ্রহণ ৷
(জ) কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলন, জাতীয় কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনসমূহের কাজ-কর্মের নিয়ম প্রণালী প্রণয়ন।
(ঝ) জামায়াতের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য উহার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ।
ঞ) মোট সদস্যের দুই তৃতীয়াংশের মতের ভিত্তিতে আমীরে জামায়াতকে অব্যাহতি প্রদান ৷
(ট) স্বীয় ক্ষমতাবলী কিংবা উহার কিয়দাংশ স্বীয় ইচ্ছানুরূপ শর্ত সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ কিংবা সদস্যগণের সমন্বয়ে গঠিত কোন কমিটি বা বোর্ড, আমীর বা সেক্রেটারি জেনারেল বা অপর কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উপর অর্পণ।
ধারা-২৩
কোন সময় গ্রহণযোগ্য কোন কারণ ছাড়া কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনের জন্য নির্দিষ্ট কোরাম সংখ্যক মজলিস সদস্যও যদি কর্তব্য পালনের জন্য অধিবেশনে উপস্থিত হইতে না পারেন, তাহা হইলে সমগ্র দেশের উপজেলা/থানা আমীরগণের সমন্বয়ে গঠিত একটি মজলিস কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার স্থলাভিষিক্ত হইবে এবং উহা নিজেই কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা গঠন করিবার ব্যবস্থা করিবে অথবা গঠনতন্ত্রের মূল ভাবধারাকে বহাল রাখিয়া আমীরে জামায়াতের সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য কোন উপযুক্ত ও বাস্তব উপায় উদ্ভাবন করিবে।
ধারা-২৪
কোন বিষয়ে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সহিত আমীরে জামায়াতের মতানৈক্য হইলে উক্ত বিষয়ে জামায়াতের জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ
ধারা-২৫
১। আমীরে জামায়াতকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নায়েবে আমীর, একজন সেক্রেটারি জেনারেল, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, বিভাগীয় সেক্রেটারি ও অন্যান্য সদস্য সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ গঠিত হইবে।
২। কেন্দ্রীয় মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যগণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হইবেন।
৩। আমীরে জামায়াতের আহবানে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হইবে।
৪। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ নির্বাচিত করিবেন।
৫ ৷ কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের প্রত্যেক সদস্য আমীরে জামায়াতের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন
৬। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরা নির্বাচনে প্রতিনিধিত্বের আনুপাতিক হার নির্ধারণ করিবে। তবে কোন কারণে কর্মপরিষদের বৈঠক আহ্বান করা সম্ভব হইতেছে না এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ এ দায়িত্ব পালন করিবে।
৭। সামষ্টিকভাবে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ এবং ব্যক্তিগতভাবে উহার সদস্যগণ আমীরে জামায়াত ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নিকট দায়ী থাকিবেন।
৮। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বৈঠক হইতেছে না বা বৈঠক আহ্বান করা সম্ভব হইতেছে না, এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সকল ক্ষমতা ও অধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের কোন পদক্ষেপ কিংবা কোন ফায়সালার অংশবিশেষ বা সম্পূর্ণটাই নামঞ্জুর করিবার অধিকার কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার থাকিবে।
৯। উক্ত (৮) উপধারায় বর্ণিত অবস্থায় কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ আমীরে জামায়াতকে অপসারণ করিতে পারিবে না।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ
ধারা-২৬
১। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করিবার জন্য অনধিক একুশ জন সদস্য সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবে।
২। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত করিবে।
৩। আমীরে জামায়াতের আহবানে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হইবে।
৪। সামষ্টিকভাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ এবং ব্যক্তিগতভাবে উহার সদস্যগণ আমীরে জামায়াত ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
৫৷ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের কার্যাবলী অনুমোদনের জন্য কেন্দ্ৰীয় কর্মপরিষদের নিকট পেশ করিতে হইবে।
পার্লামেন্টারী বোর্ড
ধারা-২৭
১। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পার্লামেন্টারী বোর্ড হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবে।
২। উক্ত পার্লামেন্টারী বোর্ড তৃণমূল হইতে প্রাপ্ত প্রস্তাব/প্যানেল বিবেচনা করিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক প্রার্থী চূড়ান্ত করিবে।
নায়েবে আমীর
ধারা-২৮
১। আমীরে জামায়াত মজলিসে শূরার পরামর্শক্রমে উহার সদস্যগণের মধ্য হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নায়েবে আমীর নির্বাচন করিবেন।
২। নায়েবে আমীর নির্বাচিত হইবার পর আমীরে জামায়াতের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৩। নায়েবে আমীরগণ আমীরে জামায়াতকে সকল কাজে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করিবেন এবং আমীরে জামায়াত যাহাকে যে দায়িত্ব অর্পণ করিবেন, তিনি তাহা পালন করিবেন।
৪। আমীরে জামায়াত যদি কোন অধিবেশনে উপস্থিত হইতে অক্ষম হন, তাহা হইলে নায়েবে আমীরগণের মধ্য হইতে যাহাকে তিনি উক্ত অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিবার দায়িত্ব অর্পণ করিবেন, তিনি ঐ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিবেন।
সেক্রেটারি জেনারেল
ধারা-২৯
১। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর একজন সেক্রেটারি জেনারেল থাকিবেন।
২। আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া তাহাকে নির্বাচিত করিবেন।
৩। সেক্রেটারি জেনারেল দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে আমীরে জামায়াতের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৪। আমীরে জামায়াত যতক্ষণ তাহার কাজ-কর্ম সন্তোষজনক বলিয়া বিবেচনা করিবেন, ততক্ষণই তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। কিন্তু তাহার অব্যাহতি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার পরামর্শ সহকারে হইতে হইবে।
৫৷ সেক্রেটারি জেনারেল আমীরে জামায়াতের কার্য সম্পাদনে সর্বতোভাবে সহযোগিতা এবং বিভাগীয় সেক্রেটারিগণের কার্যক্রম তদারকি করিবেন।
৬। সেক্রেটারি জেনারেল আমীরে জামায়াতের অর্পণ করা সকল কর্তব্য পালন এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।
৭। তিনি স্বীয় কাজের জন্য আমীরে জামায়াতের নিকট দায়ী থাকিবেন।
৮। সেক্রেটারি জেনারেল কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরায় গৃহীত সিদ্ধান্তাবলী বান্তবায়ন ও বিভাগীয় সেক্রেটারিগণের কাজের সমন্বয় সাধন করিবেন।
৯। কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলন, জাতীয় কাউন্সিল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ কর্মপরিষদ এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অধিবেশনসমূহের কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্তসমূহ সংরক্ষণ করিবেন। ১০। জামায়াতের যাবতীয় রেকর্ড ও কাগজপত্র সেক্রেটারি জেনারেল সংরক্ষণ করিবেন।
১১। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে আমীরে জামায়াতের পক্ষ হইতে জামায়াতের বার্ষিক রিপোর্ট ও পরবর্তী বৎসরের খসড়া পরিকল্পনা পেশ করিবেন।
১২। আমীরে জামায়াতের অনুমোদনক্রমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ ও অব্যাহতি প্রদান করিবেন।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল
ধারা-৩০
১। আমীরে জামায়াত প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল নিয়োগ করিতে পারিবেন।
২। আমীরে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের কর্তব্য ও ক্ষমতার মধ্য হইতে যতখানি প্রয়োজন মনে করিবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলগণকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
৩। আমীরে জামায়াত যখন সেক্রেটারি জেনারেলের অবর্তমানে কোন একজন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে সেক্রেটারি জেনারেলের স্থলাভিষিক্ত করিবেন, তখন তাঁহার মর্যাদা এই গঠনতন্ত্রে সেক্রেটারি জেনারেলকে যাহা দেওয়া হইয়াছে তাহাই হইবে।
বিভাগীয় সেক্রেটারিবৃন্দ
ধারা-৩১
বিভাগীয় সেক্রেটারিগণ আমীরে জামায়াত কর্তৃক অর্পিত নিজ নিজ বিভাগের কাজ পরিচালনা করিবেন এবং কাজের ব্যাপারে আমীরে জামায়াতকে পূর্ণ ওয়াকিফহাল রাখিবেন।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি
ধারা-৩২
১। আমীরে জামায়াত প্রয়োজনীয় সংখ্যক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি নিয়োগ করিতে পারিবেন।
২। আমীরে জামায়াত কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করাই হইবে কেন্দ্ৰীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারিগণের কর্তব্য।
৩। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি যদি কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য না হইয়া থাকেন তিনি পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য হইবেন।
৪। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি নিযুক্তির পর তিনি আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
জেলা/মহানগরী সংগঠন
ধারা-৩৩
১। আমীরে জামায়াত বিশেষ প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া সাংগঠনিক জেলা/মহানগরীর সীমা নির্ধারণ করিতে পারিবেন।
২। জেলা/মহানগরী আমীর, জেলা/মহানগরী সদস্য সম্মেলন, জেলা / মহানগরী মজলিসে শূরা এবং জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ সমন্বয়ে জেলা/মহানগরী সংগঠন গঠিত হইবে।
৩। জেলা/মহানগরী জামায়াত কেন্দ্ৰীয় জামায়াতের অধীন হইবে এবং উহার সহিত সরাসরি সম্পর্ক রক্ষা করিয়া চলিবে।
জেলা/মহানগরী আমীর
ধারা-৩৪
১। জেলা/মহানগরী আমীর সাংগঠনিক জেলা/মহানগরীর দায়িত্বশীল হইবেন।
২। জেলা/মহানগরী আমীর জেলা/মহানগরীতে আমীরে জামায়াতের প্রতিনিধি হইবেন।
৩। জেলা/মহানগরী আমীর স্বীয় কাজের জন্য আমীরে জামায়াত ও জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার নিকট দায়ী থাকিবেন।
জেলা/মহানগরী আমীরের নির্বাচন ও অব্যাহতি
ধারা-৩৫
১। জেলা/মহানগরী সদস্যগণের (রুকনগণের) ভোটে জেলা/মহানগরী আমীর ০২ (দুই) বছরের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
২। জেলা/মহানগরী আমীর স্বীয় পদের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৩। জেলা/মহানগরী আমীর যদি সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইয়া ফেলেন অথবা সংগঠনের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন অথবা জেলা/মহানগরীর অধিকাংশ সদস্যের আস্থা হারাইয়া ফেলেন, তাহা হইলে আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের পরামর্শক্রমে তাহাকে অব্যাহতি প্রদান করিবেন।
জেলা/মহানগরী আমীরের কর্তব্য
ধারা-৩৬
জেলা/মহানগরী আমীর স্বীয় জেলা/মহানগরীতে সংগঠন পরিচালনা ও নিয়ম- শৃঙ্খলার জন্য দায়িত্বশীল হইবেন এবং তাহার কর্তব্য নিম্নরূপ হইবেঃ
১। জামায়াতের দাওয়াত, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং কর্মসূচিকে স্বীয় জেলা/ মহানগরীতে প্রচার ও তাহা বাস্তবায়িত করিবার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২। কেন্দ্রীয় জামায়াতের নির্দেশসমূহ পালন এবং উহার বাজেটে ধার্য অর্থ যথাসময়ে পরিশোধ করিবার ব্যবস্থা করা।
৩। স্বীয় জেলা/মহানগরীর অবস্থা ও জামায়াতের কাজ-কর্ম সম্পর্কে কেন্দ্ৰীয় জামায়াতকে অবহিত করা।
৪। স্বীয় জেলা/মহানগরীর অধন্তন সংগঠনসমূহ ও বিভিন্ন দায়িত্বশীলকে পরিচালনা করা, তদারকি করা এবং তাঁহাদের নিকট হইতে কাজ বুঝিয়া লওয়া।
৫৷ স্বীয় জেলা/মহানগরীতে জামায়াতের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য-সংশ্লিষ্ট কিংবা উহার উপর প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়াদির যথাসময়ে খবর লওয়া ও সেই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৬। স্বীয় জেলা/মহানগরীর সদস্যগণের (রুকনগণের) তদারকি ও মানোন্নয়নের সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো।
৭। এতদ্ব্যতীত অতিরিক্ত যেইসব কর্তব্য ও দায়িত্ব কেন্দ্ৰীয় জামায়াত হইতে অর্পণ করা হইবে তাহা পালন করা।
জেলা/মহানগরী আমীরের ক্ষমতা
ধারা-৩৭
জেলা/মহানগরী আমীরের ক্ষমতা নিম্নরূপ হইবেঃ
১। জেলা/মহানগরী আমীর জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া আমীরে জামায়াতের সম্মতিক্রমে জেলা/মহানগরী নায়েবে আমীর নিয়োগ করিতে পারিবেন।
২। তিনি জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি, সহকারী সেক্রেটারি এবং বিভাগীয় সেক্রেটারি নিয়োগ ও অব্যাহতি প্রদান করিবেন।
৩। জেলা/মহানগরী দপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ ও অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
৪। জেলা/মহানগরী সদস্য (রুকন) সম্মেলন, মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ অধিবেশন আহ্বান করিবেন।
৫৷ জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরা কর্তৃক গৃহীত বাজেট অনুযায়ী বাইতুলমাল হইতে অর্থ ব্যয় এবং নিজের কর্তব্য পালনের ব্যাপারে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।
৬। এতদ্ব্যতীত আমীরে জামায়াত কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরা
ধারা-৩৮
১। প্রত্যেক জেলা/মহানগরীতে মজলিসে শূরা থাকিবে।
২।জেলা/মহানগরীর বিদায়ী মজিলসে শূরা প্রত্যেক নির্বাচনের পূর্বে পরবর্তী মজলিসে শূরায় জেলা/মহানগরী সদস্যগণের (রুকনগণের) প্রতিনিধিত্বের আনুপাতিক হার নির্ধারণ করিবে।
৩। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরা নিম্নরূপে গঠিত হইবে।
(ক) জেলা/মহানগরী বিদায়ী মজলিসে শূরা কর্তৃক নির্ধারিত জামায়াত সদস্যগণের (রুকনগণের) প্রতিনিধিত্বের আনুপাতিকহার মোতাবিক জেলা/ মহানগরীর সদস্যগণ (রুকনগণ) জেলা/মহানগরী শূরা সদস্য নির্বাচন করিবেন। কিন্তু কোন উপজেলা/থানা প্রতিনিধিত্ব হইতে বঞ্চিত হইবে না।
খ) জেলা/মহানগরী বিদায়ী মজলিসে শূরা কর্তৃক নির্ধারিত হারে জেলা/মহানগরী ইউনিটের প্রতিনিধিত্ব থাকিবে।
(গ) জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্যগণ দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলা/মহানগরীর সদস্যগণের (রুকনগণের) মধ্য হইতে নির্বাচিত শূরা সদস্যগণের এক-পঞ্চমাংশ মজলিস সদস্য নির্বাচিত করিবেন।
ধারা-৩৯
১। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার কার্যকাল হইবে ০২ (দুই) বৎসর।
২। জেলা/মহানগরী আমীর পদাধিকার বলে জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সভাপতি হইবেন।
৩। জেলা/মহানগরী নায়েবে আমীর ও জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি (যদি মজলিসে শূরার সদস্য না হইয়া থাকেন) পদাধিকার বলে জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৪। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সদস্য নন জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদের এমন সদস্যগণ পদাধিকার বলে জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৫। জেলা/মহানগরী আমীর জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে (রুকন) জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরায় মনোনীত করিতে পারিবেন, যাহাদের মোট সংখ্যা জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্যগণের এক-পঞ্চমাংশের অধিক হইবে না।
৬। জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার সদস্যগণ জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৭। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে ০২ (দুই) মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার অধিবেশন
ধারা-৪০
১। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার এক মাসের মধ্যেই জেলা/মহানগরী আমীর নির্বাচিত মজলিসের উদ্বোধনী অধিবেশন আহ্বান করিবেন এবং এই অধিবেশনে মজলিসের প্রত্যেক সদস্য জেলা / মহানগরী আমীরের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
২। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন বৎসরে কমপক্ষে ০৩ (তিন) টি হইবে।
৩। জেলা/মহানগরী মজলিসে শুরার জরুরি অধিবেশন নিম্নলিখিত অবস্থায় যে কোন সময় আহবান করা যাইবেঃ
(ক) জেলা/মহানগরী আমীর ইহার প্রয়োজনবোধ করিলে অথবা
(খ) জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে দাবি জানাইলে অথবা
(গ) আমীরে জামায়াত ইহা অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিলে।
৪। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে অধিবেশনের কোরাম হইবে।
জেলা/মহানগরী আমীর ও জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সম্পর্ক
ধারা-৪১
১। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরা গঠিত হইলে জেলা/মহানগরী আমীর সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
২। দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন এবং মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত নাই এমন কোন বিষয়ে জেলা/মহানগরী আমীর জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার পরবর্তী প্রথম অধিবেশনের অনুমোদন সাপেক্ষে জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া জররুরি ও সাময়িক পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন।
৩। কোন বিষয়ে জেলা/মহানগরী আমীর ও জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলে বিষয়টি জেলা/মহানগরী সদস্য (রুকন) সম্মেলনে পেশ করিতে হইবে। সেখানে কোন মীমাংসা না হইলে উহা আমীরে জামায়াতের নিকট পেশ করিবেন।
জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার কর্তব্য ও ক্ষমতা
ধারা-৪২
১। কর্তব্য
সামষ্টিকভাবে জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরা এবং ব্যক্তিগতভাবে উহার প্রত্যেক সদস্যের কর্তব্য নিম্নরূপ হইবেঃ
(ক) আল্লাহ তা’য়ালা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপরে গুরুত্ব প্রদান করা।
(খ) মজলিসে শূরার অধিবেশনসমূহে নিয়মিত যোগদান করা।
গ) প্রত্যেক বিষয়ে নিজের ইলম, ঈমান ও বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী স্বীয় প্রকৃত মত স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা।
ঘ) জামায়াত ও উহার কাজে যেখানে যতটুকু দোষ-ত্রুটি অনুভূত হইবে তাহা দূর করিবার চেষ্টা করা ৷
২। ক্ষমতা
জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার ক্ষমতা নিম্নরূপ হইবে :
(ক) জেলা/মহানগরী নায়েবে আমীর, জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি ও বিভাগীয় সেক্রেটারিগণের নিয়োগ ও অব্যাহতির ব্যাপারে জেলা/ মহানগরী আমীরকে পরামর্শ দান।
(খ) জেলা/মহানগরী ও অধস্তন সংগঠনসমূহের কাজ তদারক ও নিয়ন্ত্রণ।
(গ) জেলা/মহানগরীর সার্বিক পরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদন।
(ঘ) জেলা/মহানগরী ও অধস্তন অধস্তন সংগঠনগুলির বাইতুলমালের হিসাব পরীক্ষা।
(ঙ) জেলা/মহানগরীর দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ ও পর্যালোচনা।
(চ) জেলা/মহানগরী নির্বাচন কমিশন গঠন।
জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ
ধারা-৪৩
১। কেন্দ্রীয় সংগঠন ও জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য জেলা/মহানগরী নায়েবে আমীর (যদি থাকেন), জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগীয় সেক্রেটারি ও সদস্য সমন্বয়ে জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ গঠিত হইবে।
২। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ নির্বাচন করিবেন।
৩। জেলা/মহানগরী মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যগণ জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য হইবেন।
৪। কর্মপরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর কর্মপরিষদের প্রত্যেক সদস্য জেলা/মহানগরী আমীরের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৫। সামষ্টিকভাবে জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ এবং ব্যক্তিগতভাবে ইহার সদস্যগণ জেলা/মহানগরী আমীর ও জেলা/মহানগরী শূরার নিকট দায়ী থাকিবেন।
৬। যদি কোন কারণে জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করা অসম্ভব হইয়া পড়ে তখন জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার পরিবর্তে জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে।
৭। জেলা/মহানগরী ও অধস্তন সংগঠন সমূহের কাজ তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ।
জেলা/মহানগরী নায়েবে আমীর
ধারা-৪৪
জেলা/মহানগরী আমীর, জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার পরামর্শ ও আমীরে জামায়াতের অনুমোদনক্রমে জেলা/মহানগরী নায়েবে আমীর নিয়োগ করিতে পারিবেন।
জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি
ধারা-৪৫
১। জেলা/মহানগরী আমীর স্বীয় মজলিসে শূরার সাথে পরামর্শ করিয়া জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি নিয়োগ করিবেন।
২। জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি স্বীয় পদের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে জেলা/মহানগরী আমীরের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৩। জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি ততক্ষণ পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন যতক্ষণ পর্যন্ত জেলা/মহানগরী আমীর তাহার কাজ-কর্ম সন্তোষজনক বলিয়া বিবেচনা করিবেন।
৪। জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি স্বীয় জেলা/মহানগরীর যাবতীয় কাজ-কর্মে জেলা/মহানগরী আমীরের সাহায্যকারী ও প্রতিনিধি হইবেন এবং সেই সব কর্তব্য পালন করিবেন যাহা জেলা/মহানগরী আমীর তাহার উপর ন্যস্ত করিবেন।
৫। জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি তাহার কাজের জন্য জেলা/মহানগরী আমীরের নিকট দায়ী থাকিবেন।
উপজেলা/থানা সংগঠন
ধারা-৪৬
১। উপজেলা/থানা সদস্য (রুকন) সম্মেলন, উপজেলা/থানা আমীর, শর্ত পূর্ণ হইলে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা, উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ সমন্বয়ে উপজেলা/থানা সংগঠন গঠিত হইবে।
২। উপজেলা/থানা সংগঠন জেলা/মহানগরীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংগঠনের সহিত সম্পর্ক রক্ষা করিয়া চলিবে।
৩। উপজেলা/থানার সদস্যগণ (রুকনগণ) উপজেলা/থানা সংগঠনের আনুগত্য করিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন।
উপজেলা/থানা আমীর
ধারা-৪৭
১। উপজেলা/থানা আমীর জেলা/মহানগরী আমীরের প্রতিনিধি হইবেন এবং উপজেলা/থানা আমীর স্বীয় কাজের জন্য জেলা/মহানগরী আমীর ও উপজেলা/থানা সদস্য (রুকন) সম্মেলনের নিকট দায়ী থাকিবেন।
২। উপজেলা/থানা আমীর স্বীয় এলাকায় ঊর্ধ্বতন সংগঠন কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ পালন করিবেন।
৩। উপজেলা/থানা আমীর, উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা অথবা সদস্য (রুকন) সম্মেলনের পরামর্শ অনুযায়ী জেলা/মহানগরী আমীরের সম্মতিক্রমে উপজেলা/থানা নায়েবে আমীর নিয়োগ করিতে পারিবেন।
৪। উপজেলা/থানা আমীর, উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা অথবা সদস্য (রুকন) সম্মেলনের পরামর্শ অনুযায়ী উপজিলা/থানা সেক্রেটারি এবং অন্যান্য বিভাগীয় সেক্রেটারি নিয়োগ ও অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
৫। উপজেলা/থানা আমীর, উপজেলা/থানা সদস্য (রুকন) সম্মেলন, উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা ও উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ অধিবেশন আহ্বান করিবেন।
৬। উপজেলা/থানা আমীর দাওয়াত সম্প্রসারণ, কর্মীদের নৈতিক প্ৰশিক্ষণ এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিধানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।
৭। উপজেলা/থানা আমীর সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা অথবা উপজেলা/থানা সদস্য (রুকন) সম্মেলনের পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
উপজেলা/থানা আমীর নির্বাচন ও অব্যাহতি
ধারা-৪৮
১। উপজেলা/থানা সদস্যগণের (রুকনগণের) ভোটে উপজেলা/থানা আমীর ০২ (দুই) বছরের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
২। উপজেলা/থানা আমীর নির্বাচিত হইবার পর এই গঠনতন্ত্রের ৬নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে জেলা/মহানগরী আমীরের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৩। উপজেলা/থানা আমীর যদি সদস্যপদের (রুকনিয়াত) যোগ্যতা হারাইয়া ফেলেন অথবা সংগঠনের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন অথবা উপজেলা/থানার অধিকাংশ সদস্যের (রুকনের) আস্থা হারাইয়া ফেলেন, তাহা হইলে আমীরে জামায়াত তাহাকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা
ধারা-৪৯
১। উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা সেইসব উপজেলা/থানায় গঠন করা যাইবে যেখানে সদস্য (রুকন) সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ (পনের) জন হইবে।
২। উপজেলা/থানা আমীর স্বীয় উপজেলা/থানা সদস্যগণের (রুকনগণের অথবা উপজেলা/থানার বিদায়ী মজলিসে শূরার পরামর্শক্রমে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করিবেন।
৩। উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা উপজেলা/থানা সদস্যগণের (রুকনগণের দ্বারা ০২ (দুই) বৎসরের জন্য নির্বাচিত হইবে।
৪। উপজেলা/থানা আমীর পদাধিকার বলে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সভাপতি এবং উপজেলা/থানা নায়েবে আমীর (যদি থাকেন) ও উপজেলা/থানা সেক্রেটারি (যদি মজলিসে শূরার সদস্য না হন) পদাধিকার বলে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৫। উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ সদস্যগণের কেউ উপজেলা/থানা শূরার সদস্য না হইলে তিনি পদাধিকার বলে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৬। উপজেলা/থানা আমীর উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরায় মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাদের মোট সংখ্যা উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্যগণের এক-পঞ্চমাংশের অধিক হইবে না।
৭। উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরার সদস্যগণ উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৮। উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন বৎসরে কমপক্ষে ০৩ (তিন) টি হইবে।
৯। উপজেলা/থানা আমীর প্রয়োজনবোধ করিলে অথবা উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে দাবি জানাইলে অথবা জেলা/মহানগরী আমীর কিংবা আমীরে জামায়াত নির্দেশ দিলে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার জরুরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হইবে।
১০। উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে অধিবেশনের কোরাম হইবে।
১১। কোন বিষয়ে উপজেলা/থানা আমীর ও উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলে বিষয়টি উপজেলা/থানা সদস্য (রুকন) সম্মেলনে পেশ করিতে হইবে। সেখানে কোনো মীমাংসা না হইলে উহা জেলা/মহানগরী আমীরের নিকট পেশ করিবেন।
১২। উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে ০২ (দুই) মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ
ধারা-৫০
১। ঊর্ধ্বতন সংগঠন এবং উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সিদ্ধান্তাবলী বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা/থানা নায়েবে আমীর (যদি থাকেন), উপজেলা/থানা সেক্রেটারি এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগীয় সেক্রেটারি সমন্বয়ে উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ গঠিত হইবে।
২। উপজেলা/থানা মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যগণ উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ সদস্য হইবেন।
৩। উপজেলা/থানা শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ নির্বাচন করিবেন।
৪। সামষ্টিকভাবে উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ এবং ব্যক্তিগতভাবে ইহার সদস্যগণ উপজেলা/থানা আমীর এবং মজলিসে শূরার নিকট দায়ী থাকিবেন।
৫। যদি কোন কারণে উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করা অসম্ভব হইয়া পড়ে তখন উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার পরিবর্তে উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে।
উপজেলা/থানা সেক্রেটারি
ধারা-৫১
১। উপজেলা/থানা আমীর উপজেলা/থানা মজলিসে শূরা অথবা মজলিসে শূরার অবর্তমানে উপজেলা/থানা সদস্য (রুকন) সম্মেলনের সহিত পরামর্শ করিয়া উপজেলা/থানা সেক্রেটারি নিয়োগ ও অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন
২। উপজেলা/থানা সেক্রেটারি স্বীয় পদের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে উপজেলা/ থানা আমীরের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৩। উপজেলা/থানা সেক্রেটারি ততক্ষণ পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন যতক্ষণ পর্যন্ত উপজেলা/থানা আমীর তাহার কাজ-কর্ম সন্তোষজনক বলিয়া বিবেচনা করিবেন।
পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সংগঠন
ধারা-৫২
১। যে পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ডে অন্তত ০৫ (পাঁচ) জন সদস্য (রুকন) হইবেন সেইখানে পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড শাখা গঠন করা যাইবে।
২। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড এলাকায় বসবাসকারী সদস্যগণ (রুকনগণ) পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড শাখার নিয়ম-শৃঙ্খলা মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন।
৩। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড শাখা সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা সংগঠনের মাধ্যমে জেলা/মহানগরী সংগঠনের সহিত সম্পর্ক রক্ষা করিবে।
৪। কোন স্থানে পাঁচজনের কম সংখ্যক সদস্য (রুকন) থাকিলে তিনি বা তাঁহারা উপজেলা/থানা আমীর বা জেলা/মহানগরী আমীরের সহিত সম্পর্ক রক্ষা করিবেন এবং তাহার নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করিবেন।
পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর
ধারা-৫৩
১। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সদস্যগণের (রুকনগণের) ভোটে পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর ০২ (দুই) বছরের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
২। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড মজলিসে শূরা অথবা সদস্য (রুকন) সম্মেলনের পরামর্শ অনুযায়ী উপজেলা/থানা আমীরের সম্মতিক্রমে পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড নায়েবে আমীর নিয়োগ করিতে পারিবেন।
৩। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর নির্বাচিত হইবার পর এই গঠনতন্ত্রের ৬নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে উপজেলা/থানা আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৪। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর যদি সদস্যপদের (রুকনিয়াতের) যোগ্যতা হারাইয়া ফেলেন অথবা সংগঠনের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন অথবা পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ডের অধিকাংশ সদস্যের (রুকনের) আস্থা হারাইয়া ফেলেন, তাহা হইলে জেলা/মহানগরী আমীর তাহাকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
ধারা-৫৪
পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর নিজ স্থানে উপজেলা/থানা আমীরের প্রতিনিধি হইবেন এবং উপজেলা/থানা আমীর ও পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সদস্য (রুকন) সম্মেলনের নিকট দায়ী থাকিবেন।
পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মজলিসে শূরা
ধারা-৫৫
১। পনের বা তদূর্ধ্ব সংখ্যক সদস্য (রুকন) বিশিষ্ট পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ডে মজলিসে শূরা গঠন করা যাইবে।
২। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সদস্যগণের (রুকনগণের) ভোটে পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড মজলিসে শূরা সদস্যগণ ০২ (দুই) বছরের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
৩। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর সংশ্লিষ্ট এলাকার সদস্যগণের (রুকনগণের) সহিত পরামর্শ করিয়া পৌরসভা/ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড মজলিসে শূরার সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করিবেন।
৪। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কর্মপরিষদের কেউ মজলিসে শূরার সদস্য না হইলে তিনি পদাধিকার বলে সংশ্লিষ্ট মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৫। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার সদস্যগণ পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৬। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে শূরায় মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাদের সংখ্যা পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্যগণের একপঞ্চমাংশের অধিক হইবে না।
৭। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে ০২ (দুই) মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কর্মপরিষদ
ধারা-৫৬
১। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কর্মপরিষদ নির্বাচন করিবেন।
২। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যগণ পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্য হইবেন।
৩। সামষ্টিক ভাবে পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কর্মপরিষদ এবং ব্যক্তিগত ভাবে উহার সদস্যগণ পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর এবং সংশ্লিষ্ট মজলিসে শূরার নিকট দায়ী থাকিবেন।
পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সেক্রেটারি
ধারা-৫৭
পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড আমীর সংশ্লিষ্ট পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড শূরার সাথে পরামর্শ করিয়া পৌরসভা/ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড সেক্রেটারি নিয়োগ করিবেন।
চতুর্থ অধ্যায়
মহিলা বিভাগ
কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ, জেলা/মহানগরী মহিলা বিভাগ
উপজেলা/থানা মহিলা বিভাগ,
পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা বিভাগ
কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ
ধারা-৫৮
১। মহিলা অঙ্গনে সংগঠনের কাজ পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র বিভাগ থাকিবে এবং ইহার নাম হইবে কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
২। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের কাজের উন্নতিকল্পে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবার জন্য একটি মজলিসে শূরা থাকিবে যাহার নাম হইবে কেন্দ্ৰীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
৩। আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/নির্বাহী পরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া কেন্দ্রীয় মহিলা মজলিসে শূরায় প্রতিনিধিত্বের আনুপাতিকহার ও এলাকা নির্ধারণ করিবেন।
৪। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা সদস্যগণের (রুকনগণের) ভোটে কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণ ০৩ (তিন) বছরের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
৫। নির্বাচিত কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণ দ্বিতীয় পর্যায়ে সারা দেশের মহিলা সদস্যগণের (রুকনগণের) মধ্য হইতে ১০ (দশ) জন মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরা সদস্য নির্বাচিত করিবেন।
৬। আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সদস্য মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাদের মোট সংখ্যা নির্বাচিত সদস্যগণের ১৫% এর অধিক হইবে না। ৭। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণ আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৮। আমীরে জামায়াত কর্মপরিষদ/ নির্বাহী পরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণের মধ্য হইতে একজনকে মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি নিযুক্ত করিবেন যাহার পদবী হইবে সেক্রেটারি, মহিলা বিভাগ অথবা মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
৯। সেক্রেটারি কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১০। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন বৎসরে অন্তত একটি হইতে হইবে।
১১। আমীরে জামায়াতের সম্মতিক্রমে সেক্রেটারি কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ, মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করিবেন।
১২। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সদস্য সংখ্যার এক- তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে অধিবেশনের কোরাম হইবে।
১৩। সেক্রেটারি কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ, মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিবেন।
১৪। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও সুপারিশসমূহ আমীরে জামায়াতকে অবহিত করিবেন।
১৫। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
১৬। কেন্দ্ৰীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ কেন্দ্রীয় মহিলা কর্মপরিষদ নির্বাচন করিবেন।
১৭। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় কর্মপরিষদের সদস্যগণ আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১৮। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় কর্মপরিষদ সদস্যদের কেউ কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার সদস্য না হইলে তিনি পদাধিকার বলে শূরার সদস্য হইবেন।
১৯। সেক্রেটারি কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ যখনই প্রয়োজনবোধ করিবেন কেন্দ্ৰীয় মহিলা কর্মপরিষদের বৈঠক আহ্বান করিবেন।
২০। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় কর্মপরিষদ সদস্যগণের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে বৈঠকের কোরাম হইবে।
২১। সেক্রেটারি কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ কেন্দ্রীয় মহিলা কর্মপরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করিবেন।
জেলা/মহানগরী মহিলা বিভাগ
ধারা-৫৯
১। জেলা/মহানগরী মহিলা বিভাগের কাজের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবার জন্য জেলা/মহানগরীতে একটি মহিলা মজলিসে শূরা থাকিবে।
২। জেলা/মহানগরী আমীর জেলা/মহানগরী বিদায়ী মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার আসন সংখ্যা ও এলাকা নির্ধারণ করিবেন।
৩। জেলা/মহানগরীর অন্তর্ভুক্ত মহিলা সদস্যগণের (রুকনগণের ভোটে জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার সদস্যগণ ০২ (দুই) বৎসরের জন্য নির্বাচিত হইবে।
৪। জেলা/মহানগরী আমীর জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া জেলা/মহানগরী মহিলা শূরায় সদস্য মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাদের সংখ্যা জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্যগণের এক-পঞ্চমাংশের অধিক হইবে না।
৫ ৷ জেলা/মহানগরী মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যগণের কেউ জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার সদস্য না হইলে তিনি পদাধিকারবলে জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৬। জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার সদস্যগণ জেলা/মহানগরী আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৭। জেলা/মহানগরী আমীর জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া একজনকে সেক্রেটারি জেলা/মহানগরী মহিলা বিভাগ নির্বাচিত করিবেন।
৮। সেক্রেটারি জেলা/মহানগরী মহিলা বিভাগ জেলা/মহানগরী আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৯। জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন বৎসরে অন্তত একটি হইতে হইবে।
১০। জেলা/মহানগরী আমীরের সম্মতিক্রমে সেক্রেটারি জেলা/মহানগরী মহিলা বিভাগ মহিলা মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করিবেন।
১১। জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে অধিবেশনের কোরাম হইবে।
১২। জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি মহিলা বিভাগ মহিলা মজলিসে শূরার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিবেন।
১৩। জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও সুপারিশসমূহ জেলা/মহানগরী আমীরের নিকট পেশ করিবেন।
১৪। জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে ০২ (দুই) মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
১৫। জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য জেলা/মহানগরী মহিলা মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ জেলা/মহানগরী মহিলা কর্মপরিষদ নির্বাচন করিবেন।
১৬। জেলা/মহানগরী মহিলা কর্মপরিষদের সদস্যগণ জেলা/মহানগরী আমীর বা তাহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১৭। সেক্রেটারি জেলা/মহানগরী মহিলা বিভাগ যখনই প্রয়োজনবোধ করিবেন জেলা/মহানগরী মহিলা কর্মপরিষদের বৈঠক আহবান করিবেন।
১৮। জেলা/ মহানগরী মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যগণের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে বৈঠকের কোরাম হইবে।
১৯। সেক্রেটারি জেলা/মহানগরী মহিলা বিভাগ জেলা/মহানগরী মহিলা কর্মপরিষদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করিবেন।
উপজেলা/থানা মহিলা বিভাগ
ধারা- ৬০
১। মহিলা বিভাগের কাজের উন্নতিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য উপজেলা/থানায় কমপক্ষে ১৫ (পনের) জন মহিলা সদস্য (রুকন) হইলে উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরা গঠন করা যাইবে।
২। উপজেলা/থানা আমীর উপজেলা/থানার সদস্যগণের (রুকনগণের)/ উপজেলা/থানা বিদায়ী মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া মহিলা মজলিসে শূরার আসন সংখ্যা ও এলাকা নির্ধারণ করিবেন।
৩। উপজেলা/থানা সদস্যগণ (রুকনগণ)/উপজেলা/থানা বিদায়ী মজলিসে শূরা কর্তৃক নির্ধারিত হার মোতাবিক উপজেলা/থানার অন্তর্ভুক্ত মহিলা সদস্যগণের (রুকনগণের) ভোটে উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরার সদস্যগণ দুই বৎসরের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
৪। উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ সদস্যগণের কেউ উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সদস্য না হইলে তিনি পদাধিকার বলে উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৫। উপজেলা/থানা আমীর উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া উপজেলা/থানার মহিলা শূরার সদস্য মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাদের সংখ্যা উপজেলা/থানার মহিলা মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্যগণের এক-পঞ্চমাংশের অধিক হইবে না।
৬। উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সদস্যগণ উপজেলা/থানা আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৭। উপজেলা/থানা আমীর উপজেলা/থানা মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া একজনকে সেক্রেটারি, মহিলা বিভাগ নিযুক্ত করিবেন।
৮। সেক্রেটারি উপজেলা/থানা মহিলা বিভাগ উপজেলা/থানা আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৯। উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন বৎসরে অন্তত ০১ (এক) টি হইতে হইবে।
১০। উপজেলা/থানা আমীরের সম্মতিক্রমে সেক্রেটারি মহিলা বিভাগ মহিলা মজলিসে শূরার অধিবেশন আহবান করিবেন।
১১। উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরার সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে অধিবেশনের কোরাম হইবে।
১২। সেক্রেটারি উপজেলা/থানা মহিলা বিভাগ মহিলা মজলিসে শূরার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিবেন।
১৩। সেক্রেটারি উপজেলা/থানা মহিলা বিভাগ মহিলা মজলিসে শূরার গৃহীত সিদ্ধান্ত ও সুপারিশসমূহ উপজেলা/থানা আমীরকে অবহিত করিবেন।
১৪। উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে ০২ (দুই) মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
১৫। উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা/থানা মহিলা মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ উপজেলা/থানা মহিলা কর্মপরিষদ নির্বাচন করিবেন।
১৬। উপজেলা/থানা মহিলা কর্মপরিষদের সদস্যগণ উপজেলা/থানা আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১৭। উপজেলা/থানা আমীরের সম্মতিক্রমে সেক্রেটারি মহিলা বিভাগ যখনই প্রয়োজনবোধ করিবেন উপজেলা/থানা মহিলা কর্মপরিষদের বৈঠক আহ্বান করিবেন।
১৮। উপজেলা/থানা মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যগণের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে বৈঠকের কোরাম হইবে।
১৯। সেক্রেটারি উপজেলা/থানা মহিলা বিভাগ উপজেলা/থানা মহিলা কর্মপরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করিবেন।
পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা বিভাগ
ধারা-৬১
১। মহিলা বিভাগের কাজের উন্নতিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য ১০ (দশ) বা তদূর্ধ্ব সদস্য (রুকন) বিশিষ্ট পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ডে মহিলা মজলিসে শূরা গঠন করা যাইবে।
২। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা সদস্যদের রুকনদের) ভোটে পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরা ০২ (দুই) বছরের জন্য নির্বাচিত হইবে।
৩। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর পৌরসভা/ইউনিয়ন/ ওয়ার্ডের সদস্যগণের (রুকনগণের) সাথে /পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ডের বিদায়ী মজলিসে শূরার সাথে পরামর্শ করিয়া পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার আসন সংখ্যা নির্ধারণ করিবেন।
৪। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ডের মজলিসে শূরার সদস্য নন এমন কর্মপরিষদ সদস্যগণ পদাধিকার বলে সংশ্লিষ্ট শূরার সদস্য হইবেন।
৫। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর মহিলা মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা শূরার সদস্য মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাদের সংখ্যা পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্যগণের এক-পঞ্চমাংশের অধিক হইবে না।
৬। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার সদস্যগণ পৌরসভা/ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৭। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর সংশ্লিষ্ট পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নিয়োগ করিবেন।
৮। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নিযুক্ত হইবার পর এই গঠনতন্ত্রের ৮ নং পরিশিষ্টে বর্ণিত প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৯। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন বৎসরে অন্তত একটি হইতে হইবে। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীরের সম্মতিক্রমে সেক্রেটারি মহিলা বিভাগ এ অধিবেশন আহবান করিবেন।
১০। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে অধিবেশনের কোরাম হইবে।
১১। সেক্রেটারি পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা বিভাগ মহিলা মজলিসে শূরার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিবেন।
১২। সেক্রেটারি পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা বিভাগ মহিলা মজলিসে শূরার গৃহীত সিদ্ধাড় ও সুপারিশসমূহ পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীরকে অবহিত করিবেন।
১৩। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে ০২ (দুই) মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
১৪। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার গৃহীত সিদ্ধাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর মজলিসে শূরার সদস্যগণ পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড মহিলা কর্মপরিষদ নির্বাচন করিবেন।
১৫। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যগণ পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট এ গঠনতন্ত্রের ৮নং পরিশিষ্টে বর্ণিত প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে শপথ গ্রহণ করিবেন।
১৬। সেক্রেটারি পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা বিভাগ যখনই প্রয়োজনবোধ করিবেন পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা কর্মপরিষদের বৈঠক আহ্বান করিবেন। কর্মপরিষদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠকের কোরাম হইবে।
১৭। সেক্রেটারি পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা বিভাগ পৌরসভা/ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড মহিলা কর্মপরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করিবেন।
পঞ্চম অধ্যায়
পদচ্যুতি, বহিষ্কার ও বহিষ্কার পদ্ধতি, অধস্তন সংগঠন স্থগিত করা বা ভাঙ্গিয়া দেওয়া ও জামায়াতে মতবিরোধের সীমা
পদচ্যুতি, বহিষ্কার ও বহিষ্কার পদ্ধতি
ধারা-৬২
১। পদচ্যুতি
নিম্নে উল্লিখিত অবস্থায় মজলিসে শূরার যে কোন সদস্যের (কেন্দ্ৰীয় কিংবা অধন্তন) সদস্যপদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে :
(ক) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর সদস্য (রুকন) না থাকিলে, সদস্যপদ (রুকনিয়াত) মুলতবি হইলে অথবা
(খ) সংশ্লিষ্ট মজলিসের পর পর দুটি অধিবেশনে কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ প্রদর্শন ব্যতিরেকে অনুপস্থিত থাকিলে অথবা
(গ) মজলিসের সদস্যপদ হইতে ইস্তফা দিলে এবং সংশ্লিষ্ট আমীর সেই ইস্তফা মঞ্জুর করিলে অথবা
(ঘ) নির্বাচনী এলাকার সদস্যগণের (রুকনগণের) দুই-তৃতীয়াংশ তাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করিলে অথবা
(ঙ) নির্বাচনী এলাকা হইতে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হইলে অথবা
(চ) জামায়াতের বিঘোষিত নীতির বিপরীত কোন কাজ করিলে অথবা
(ছ) দেশের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ করিলে।
২। বহিষ্কার
আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের পরামর্শক্রমে জামায়াতের যে কোন সদস্যকে (রুকনকে) জামায়াত হইতে বহিষ্কার করিতে পারিবেন যদি-
(ক) কোন সদস্য (রুকন) জামায়াতের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও জামায়াতের নীতিসমূহের পরিপন্থী কাজ করেন অথবা
(খ) এমন কোন কাজ করেন যাহাতে জামায়াতের নৈতিক প্রভাব ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা জামায়াতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় অথবা
(গ) জামায়াতের কাজে কোন প্রকার আগ্রহ না রাখেন এবং বার বার তাকিদ করা সত্ত্বেও নিষ্ক্রিয় থাকেন অথবা
(ঘ) স্বীয় সদস্যপদের (রুকনিয়াতের) শপথ মৌখিক বা কার্যত ভঙ্গ করেন।
(ঙ) সংগঠনের উদ্দেশ্য-লক্ষ্য এবং ইসলামেরর ঈমান ও আক্বীদা পরিপন্থী কোন পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক রাখিলে।
৩। বহিষ্কার পদ্ধতি
(ক) কোন জেলা/মহানগরী আমীর নিজস্বভাবে কিংবা কোন অধস্তন আমীরের রিপোর্ট অনুযায়ী জেলা/মহানগরীর কোন সদস্যকে (রুকনকে) এই ধারার ২নং উপ-ধারায় বর্ণিত কারণে জামায়াত হইতে বহিষ্কার করা অপরিহার্য মনে করিলে তিনি উক্ত বিষয়টি অনতিবিলম্বে জেলা/ মহানগরী মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত সহকারে আমীরে জামায়াতের নিকট পেশ করিবেন।
(খ) বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া গ্রহণ করিবেন।
(গ) অবশ্য জেলা/মহানগরী আমীর উপরিউক্ত যে কোন কারণে কোন ব্যক্তির সদস্যপদ (রুকনিয়াত) জেলা/ মহানগরী মজলিসে শূরা বা জেলা/মহানগরী সদস্য বৈঠকের সহিত পরামর্শ করিয়া অনধিক ০৩ (তিন) মাসের জন্য মুলতবি করিতে পারিবেন এবং ঐ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংশোধিত না হইলে তাহার মুলতবিকাল বৃদ্ধি করিয়া আমীরে জামায়াতের নিকট বহিষ্কারের সুপারিশ প্রেরণ করিবেন।
অধন্তন সংগঠন স্থগিত করা বা ভাঙ্গিয়া দেওয়া
ধারা-৬৩
জামায়াতের প্রয়োজন ও কল্যাণ বিবেচনায় আমীরে জামায়াত কেন্দ্ৰীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া কোন অধস্তন সংগঠনকে স্থগিত করিতে কিংবা ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবেন।
ধারা-৬৪
অধস্তন কোন সংগঠনকে স্থগিত করা, ভাঙ্গিয়া দেওয়া কিংবা কোন সদস্যকে রুকনকে) বহিষ্কার করা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের বিবরণ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরায় পরবর্তী অধিবেশনে পেশ করিবেন।
জামায়াতে মতবিরোধের সীমা
ধারা-৬৫
জামায়াতের কোন সদস্য (রুকন) জামায়াতের গঠনতন্ত্রের আনুগত্য করিয়া চলিবার ওয়াদায় স্থির থাকিলে কিন্তু উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের বাস্তব নিয়ম- পদ্ধতির ব্যাপারে তাহার দৃষ্টিভঙ্গি জামায়াতের বিশেষ কোন সিদ্ধান্ত হইতে ভিন্নরূপ হইলে, তাহাকে জামায়াতের মধ্যে নিম্নলিখিত রীতি-নীতিসমূহ যথাযথরূপে মানিয়া চলিতে হইবে:
১। জামায়াতের সদস্য (রুকন) বৈঠকে তিনি ভিন্নমত প্রকাশের পূর্ণ অধিকারী হইবেন। কিন্তু এই উদ্দেশ্যে প্রেস, পত্রিকা ও সাধারণ সভার প্লাটফর্ম ব্যবহার করিবার কোন অধিকার তাহার থাকিবে না। উপরন্তু এক একজন সদস্যের (রুকনের) সহিত গোপন পরামর্শ করিবার অধিকারও তাহার থাকিবে না।
২। সংখ্যাধিক্যের ফায়সালাকে জামায়াতের ফায়সালা হিসাবে মানিয়া লইতে ও তদানুযায়ী কাজ করিতে তিনি বাধ্য থাকিবেন। অবশ্য নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকিয়া সংশ্লিষ্ট বৈঠকে উহা পরিবর্তনের চেষ্টা করিবার অধিকার তাহার থাকিবে।
৩। কোন সদস্য (রুকন) জামায়াতের গৃহীত কোন সিদ্ধান্তের সহিত তাহার দ্বিমতের কথা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার বাহিরে প্রকাশ করিলে, তিনি জামায়াতের এমন পদে নিযুক্ত থাকিতে পারিবেন না যাহার কর্তব্যই হইতেছে জামায়াতের ঘোষিত নীতি বাড়ায়ন কিংবা উহার ব্যাখ্যাদান করা।
ষষ্ঠ অধ্যায়
বাইতুলমাল
ধারা-৬৬
১। জামায়াতের প্রত্যেক সাংগঠনিক স্তরে বাইতুলমাল থাকিবে। অবশ্য কেন্দ্ৰীয় মজলিসে শূরা/কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কোন সংগঠনের পৃথক বাইতুলমাল কায়েম করা অপ্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলে সেইরূপ নির্দেশ দিতে পারিবে
২। কেন্দ্রীয় বাইতুলমালের শৃঙ্খলা বিধানের যাবতীয় ক্ষমতা আমীরে জামায়াতের থাকিবে।
৩। অধস্তন সংগঠনের বাইতুলমালের শৃঙ্খলা বিধানের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট আমীরের থাকিবে।
বাইতুলমালের আয়ের উৎস
ধারা-৬৭
জামায়াতের বাইতুলমালের আয়ের উৎস নিম্নরূপ হইবে :
১। জামায়াতের সদস্য (রুকন), কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট হইতে প্রাপ্ত-
(ক) মাসিক ইয়ানত (নিয়মিত মাসিক সাহায্য)।
(খ) যাকাত ও উশর; (যাকাত ও উশর হইতে প্রাপ্ত অর্থ জামায়াতের কল্যাণ তহবিলে জমা হইবে এবং শরীয়াত নির্ধারিত পন্থায় ব্যয় হইবে)।
(গ) এককালীন দান।
২। অধস্তন সংগঠন হইতে প্রাপ্ত নির্ধারিত মাসিক আয়।
৩। জামায়াতের নিজস্ব প্রকাশনীর মুনাফা।
বাইতুলমালের অর্থ ব্যয়
ধারা-৬৮
১। প্রত্যেক বাইতুলমাল সংশ্লিষ্ট জামায়াতের আমীরের অধীনে থাকিবে। জামায়াতের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট আমীর স্বীয় বাইতুলমাল হইতে অর্থ ব্যয় করিবার অধিকারী হইবেন। কিন্তু প্রত্যেক আমীর ঊর্ধ্বতন আমীর এবং সংশ্লিষ্ট মজলিসে শূরা কিংবা সদস্যগণের (রুকনগণের) নিকট জবাবদিহি করিতে বাধ্য থাকিবেন।
২। আমীরে জামায়াত বাইতুলমালের আয়-ব্যয় সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নিকট দায়ী থাকিবেন।
৩ কেন্দ্রীয় ও জেলা/মহানগরী জামায়াতের বাইতুলমালের হিসাব প্রতি বৎসর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা কর্তৃক নিযুক্ত অডিটর দ্বারা পরীক্ষা করাইতে হইবে এবং অডিট রিপোর্ট কেন্দ্রীয় শূরায় পেশ করিতে হইবে। জেলা/মহানগরী বাইতুলমালের অডিট রিপোর্ট জেলা/ মহানগরী শূরাতেও পেশ করিবেন।
৪। উপজেলা/থানা ও ইহার অধস্তন বাইতুলমালসমূহ অডিটের জন্য জেলা/মহানগরী আমীরগণ সংশ্লিষ্ট মজলিসে শূরার সহিত পরামর্শ করিয়া অডিটর নিয়োগ করিবেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অডিট করাইয়া রিপোর্ট জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরা এবং স্ব-স্ব মজলিসে শূরাতে পেশ করিবেন।
সপ্তম অধ্যায়
সমালোচনা, জিজ্ঞাসাবাদ ও কার্যবিধি প্রণয়ন
ধারা-৬৯
১। জামায়াতের প্রত্যেক সদস্য (রুকন), কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সংগঠন, জেলা/মহানগরী সদস্য (রুকন) সম্মেলনে জেলা/মহানগরী সংগঠন, উপজেলা/থানা সদস্য (রুকন) সম্মেলনে উপজেলা/থানা সংগঠন এবং পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সদস্য (রুকন) সম্মেলনে পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড শাখা সংগঠনের কার্যাবলী সম্পর্কে সমালোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদ করিবার অধিকারী হইবেন। তবে শর্ত এই যে, তাহাতে শরীয়াত ও নৈতিকতার সীমালঙ্ঘন এবং জামায়াতের পক্ষে ক্ষতিকর কোন পন্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
২। আমীরে জামায়াত কিংবা কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা কিংবা কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ফায়সালা সম্পর্কে কোন সদস্যের (রুকনের) আপত্তি কিংবা জিজ্ঞাসা থাকিলে-
তিনি উহা কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা কিংবা কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের কোন সদস্যের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা কিংবা কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে পেশ করিতে পারিবেন।
৩। কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলনে তিনি নিজে উহা পেশ করিতে পারিবেন। তবে সমালোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদ এবং আপত্তি ও প্রশ্ন উত্থাপন ইত্যাদি সংক্রান্ত কার্যবিধি প্রণয়ন করিবার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার থাকিবে।
ধারা- ৭০
এই গঠনতন্ত্রের লক্ষ্য হাসিল করিবার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যবিধি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অনুমোদন সাপেক্ষে আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া প্রণয়ন করিবেন।
অষ্টম অধ্যায়
নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয় ও শপথ
নির্বাচন কমিশন
ধারা-৭১
১। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা/কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত বিধি মোতাবেক কেন্দ্রীয়/জেলা/মহানগরী পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য মনোনীত একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গঠিত হইবে।
২। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গঠিত হইবে।
৩। উপজেলা/ থানা/ পৌরসভা/ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য জেলা/ মহানগরী মজলিসে শূরা কর্তৃক মনোনীত একজন নির্বাচন পরিচালক ও দুইজন সহকারী নির্বাচন পরিচালক সমন্বয়ে জেলা/মহানগরী নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত হইবে।
৪। জেলা/মহানগরী মজলিসে শূরার প্রত্যেক নির্বাচনের পর জেলা/ মহানগরী নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত হইবে।
নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়
ধারা-৭২
১। জামায়াতের সকল সাংগঠনিক স্তরে যে কোন দায়িত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন কিংবা নিযুক্তিকালে ব্যক্তির দ্বীনি ইলম, আল্লাহ ভীতি, আল্লাহ তা’য়ালার প্রতি আনুগত্য, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি আনুগত্য, দেশপ্রেম, আমানতদারী, অনড় মনোবল, কর্মে দৃঢ়তা, দূরদৃষ্টি, বিশ্লেষণ শক্তি, উদ্ভাবনী শক্তি, প্রশস্ত চিত্ততা, সুন্দর ব্যবহার, মেজাজের ভারসাম্য, সাংগঠনিক প্রজ্ঞা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিধানের যোগ্যতার প্রতি বিশেষ গুররুত্ব দিতে হইবে।
২। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন পদের জন্য আকাঙ্ক্ষিত হওয়া বা ইহার জন্য চেষ্টা করা উক্ত পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত হইবার জন্য অযোগ্যতা বলিয়া বিবেচিত হইবে।
শপথ
ধারা-৭৩
জামায়াতের সদস্যগণ (রুকনগণ) এবং বিভিন্ন দায়িত্বে নির্বাচিত, মনোনীত কিংবা নিযুক্ত ব্যক্তিগণ নিম্ন পদ্ধতিতে শপথ গ্রহণ করিবেন:
১। সদস্যপদ (রুকনিয়াত) লাভের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এই গঠনতন্ত্রের ১নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াত অথবা তাঁহার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করিবেন।
২। আমীরে জামায়াত নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্য/কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণের উপস্থিতিতে এই গঠনতন্ত্রের ২নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৩। কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর নির্বাচিত হইবার পর এই গঠনতন্ত্রের ২নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াতের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৪। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার উদ্বোধনী অধিবেশনে, তাহা সম্ভব না হইলে অন্য যে কোন সময়ে এই গঠনতন্ত্রের ৩নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৫ ৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারগণ এই গঠনতন্ত্রের ৪নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াতের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৬। সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি, জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি, জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য, উপজেলা/থানা সেক্রেটারি ও উপজেলা/ থানা কর্মপরিষদ সদস্য, পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সেক্রেটারি ও পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ এই গঠনতন্ত্রের ৫নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াত, সংশ্লিষ্ট আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৭। জেলা/মহানগরী আমীর নির্বাচিত হইবার পর এই গঠনতন্ত্রের ৬নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৮। জেলা/মহানগরীর অধস্তন সংগঠনের নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিযুক্ত নির্বাচন পরিচালক ও সহকারী নির্বাচন পরিচালকগণ এই গঠনতন্ত্রের ৪নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে জেলা/মহানগরী আমীরের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৯। জেলা/মহানগরী ও অধস্তন সংগঠনের নায়েবে আমীর নির্বাচিত হইবার পর এই গঠনতন্ত্রের ৬নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে সংশ্লিষ্ট আমীরের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১০। উপজেলা/থানা আমীর নির্বাচিত হইবার পর এই গঠনতন্ত্রের ৬নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে জেলা/মহানগরী আমীরের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১১। পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর নির্বাচিত হইবার পর এই গঠনতন্ত্রের ৬নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে উপজেলা/থানা আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১২। অধস্তন সংগঠনের মজলিসে শূরাসমূহের সদস্যগণ সংশ্লিষ্ট মজলিসে শূরার উদ্বোধনী অধিবেশনে তাহা সম্ভব না হইলে অন্য যে কোন সময়ে এই গঠনতন্ত্রের ৭নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে সংশ্লিষ্ট আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১৩। মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি ও মহিলা কর্মপরিষদের সদস্যগণ এই গঠনতন্ত্রের ৮নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াত বা সংশ্লিষ্ট আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১৪। মহিলা মজলিসে শূরার সদস্যগণ এই গঠনতন্ত্রের ৯নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াত বা সংশ্লিষ্ট আমীর বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১৫। জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যগণ এই গঠনতন্ত্রের ১০নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
১৬। অমুসলিম সদস্য/সদস্যাগণ এই গঠনতন্ত্রের ১১নং পরিশিষ্টে প্রদত্ত শপথনামা অনুসারে আমীরে জামায়াত বা তাঁহার প্রতিনিধির নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
নবম অধ্যায়
গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা, সংশোধন ও প্রয়োগ
গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা
ধারা-৭৪
এই গঠনতন্ত্রের কোন ধারা বা উপধারার ব্যাখ্যায় মতবিরোধ দেখা দিলে অথবা অধিকতর স্পষ্ট ব্যাখ্যার প্রয়োজন হইলে বিষয়টি আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে পেশ করিবেন এবং মজলিসে শূরার উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাধিক্যের মতই সংশ্লিষ্ট ধারা বা উপধারার চূড়াড় ব্যাখ্যা বলিয়া গণ্য হইবে।
গঠনতন্ত্রের সংশোধন
ধারা- ৭৫
১। জামায়াতের কোন সদস্য (রুকন) এই গঠনতন্ত্রের কোন সংশোধন, পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিলে তাহা প্রস্তাব আকারে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কোন সদস্যের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরায় পেশ করিতে পারিবেন এবং আমীরে জামায়াত বা কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কোন সদস্যও অনুরূপ প্রস্তাব পেশ করিতে পারিবেন। উল্লেখ্য যে, যে কোন সদস্য (রুকন) গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব সরাসরি কেন্দ্রে পাঠাইতে পারিবেন।
২। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার উপস্থিত সদস্যগণের এক-চতুর্থাংশ সদস্য উক্ত প্রস্তাব আলোচনার জন্য গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করিলে তাহা আলোচ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হইবে।
৩। সংশোধনী প্রস্তাব আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হইলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হইতে পারিবে এবং মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে প্রস্তাবিত সংশোধনী গৃহীত হইবে।
৪। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন ডাকা সম্ভব না হইলে কেন্দ্ৰীয় মজলিসে শূরার সদস্যদের নিকট গঠনতন্ত্রের লিখিত সংশোধনী প্রস্তাব প্রেরণ করা হইবে। উক্ত সংশোধনী প্রস্তাব কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত হইবে।
মহিলা সদস্য সম্পৃক্তকরণ
ধারা-৭৬
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল পর্যায়ের কমিটিতে ২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ৩৩ ভাগ মহিলা সদস্য সম্পৃক্ত করা হইবে।
প্রয়োগ
ধারা-৭৭
১। অদ্য ২৮শে জমাদিউস সানি ১৩৯৯ হিজরী, ২৬শে মে ১৯৭৯, ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩৮৬ সাল, শনিবার সদস্য (রুকন) সম্মেলনে এই গঠনতন্ত্র গৃহীত হইল ৷
২। এই গঠনতন্ত্র ১লা রজব ১৩৯৯ হিজরী, ২৮শে মে ১৯৭৯, ১৩ই জ্যৈষ্ঠ ১৩৮৬ সাল, সোমবার হইতে কার্যকর হইবে।
পরিশিষ্ট
পরিশিষ্ট-১
সদস্যপদের (রুকনিয়াতের) শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি ……………………………………পিতা/স্বামী……………………………………..বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর গঠনতন্ত্রে বর্ণিত ঈমান ও আক্বীদা এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যাখ্যাসহকারে ভালভাবে বুঝিয়া লওয়ার পর আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া পূর্ণ দায়িত্ববোধের সহিত ওয়াদা করিতেছি যে-
১। দুনিয়ায় সামগ্রিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবজাতির কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা’য়ালা প্রদত্ত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত দ্বীন কায়েমের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন সাফল্য অর্জন করাই আমার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং এই লক্ষ্য হাসিলের প্রচেষ্টা চালাইবার জন্য আমি খালিসভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে শামিল হইতেছি।
২। আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র বুঝিয়া লওয়ার পর আরো ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
(ক) এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জামায়াতের নিয়ম-শৃঙ্খলা পূর্ণরূপে মানিয়া চলিব;
(খ) সর্বদাই শরীয়াত নির্ধারিত ফরয-ওয়াজিবসমূহ রীতিমত আদায় করিব এবং কবীরা গুনাহসমূহ হইতে বিরত থাকিব;
(গ) আল্লাহ তা’য়ালার নাফরমানির পর্যায়ে পড়ে উপার্জনের এমন কোন উপায় গ্রহণ করিব না;
(ঘ) এমন কোন পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক রাখিব না, যাহার মূলনীতি এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ইসলামের ঈমান ও আক্বীদা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং কর্মনীতির পরিপন্থী।
অর্থ : বল আমার নামায, আমার সর্বপ্রকার ইবাদাত অনুষ্ঠানসমূহ, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু সব কিছুই সারা জাহানের রব আল্লাহরই জন্য। -সূরা আল-আন’য়াম- ১৬২
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত………………………
তারিখ……………………….
পরিশিষ্ট-২
আমীর/নায়েবে আমীরের শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি …………………………….পিতা……………………………….যাহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর/নায়েবে আমীর নির্বাচিত/নিযুক্ত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
১। আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য জান-প্রাণ দিয়া কাজ করাকে আমার প্রধানতম কর্তব্য মনে করিব।
৩। নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিগত স্বার্থ-সুবিধা অপেক্ষা জামায়াতের স্বার্থ ও উহার দায়িত্বসমূহকে অগ্রাধিকার দান করিব।
৪। জামায়াত সদস্যগণের (রুকনগণের) মধ্যে সর্বদাই নিরপেক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফের ভিত্তিতে ফায়সালা করিব।
৫। জামায়াতের আমানতসমূহের পূর্ণ হিফাজত ও রক্ষণাবেক্ষণ করিব।
৬। নিজে জামায়াতের গঠনতন্ত্র মানিয়া চলিব এবং তদনুযায়ী জামায়াতের সংগঠন ও শৃঙ্খলা কায়েম করিবার ও কায়েম রাখিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিব।
৭। জামায়াতের সকল সিদ্ধান্তের সঠিক বাস্তবায়ন ও তদারক করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত…………………….
তারিখ……………………..
পরিশিষ্ট-৩
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্যের শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি……………………………..,পিতা…………………………………….যাহাকে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচিত/মনোনীত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
১। আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। আমীরে জামায়াত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা এবং উহার প্রত্যেক সদস্য এই গঠনতন্ত্রে বর্ণিত ঈমান ও আক্বীদা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং ইসলামী নীতির অনুসারী আছেন কি না তাহার দিকে লক্ষ্য রাখিব ৷
৩। মজলিসের অধিবেশনসমূহ হইতে শরীয়াত সমর্থিত ওযর ব্যতীত কখনও অনুপস্থিত থাকিব না।
৪। সকল বিষয়ে নিজের ইলম ও বিবেক অনুযায়ী স্বীয় প্রকৃত মত স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করিব এবং এই ব্যাপারে কোন প্রকার দুর্বলতা প্রদর্শন করিব না।
৫। জামায়াতের ভিতরে স্বতন্ত্র গ্রুপ সৃষ্টির কাজ হইতে বিরত থাকিব এবং কাহাকেও অনুরূপ কাজে লিপ্ত দেখিলে উপেক্ষা না করিয়া তাহার সংশোধন করিবার জন্য চেষ্টা করিব।
৬। জামায়াতের সংগঠন ও উহার কাজে যেখানে যে দোষত্রুটি লক্ষ্য করিব, তাহা দূর করিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত……………………
তারিখ…………………….
পরিশিষ্ট-৪
প্রধান নির্বাচন কমিশনার/নির্বাচন কমিশনার/নির্বাচন পরিচালক ও সহকারী নির্বাচন পরিচালকের শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি……………………………….পিতা……………………………….. যাহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয়/……………….জেলা/মহানগরী প্ৰধান নির্বাচন কমিশনার/নির্বাচন কমিশনার/নির্বাচন পরিচালক/সহকারী নির্বাচন পরিচালক নিযুক্ত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে-
১। আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিজের বা অপর কাহারও ব্যক্তিগত স্বার্থ- সুবিধা অপেক্ষা জামায়াতের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দান করিব।
৩। নিরপেক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফ সহকারে অর্পিত দায়িত্ব পালন করিব।
৪। জামায়াতের গঠনতন্ত্রের পূর্ণ অনুসারী ও গঠনতন্ত্র মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিব।
৫৷ জামারাতের যাহা কিছু আমানত আমার নিকট অর্পণ করা হইবে তাহার পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত………………
তারিখ……………….
পরিশিষ্ট-৫
সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি, জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি, জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য, উপজেলা/থানা সেক্রেটারি, উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ সদস্য, পৌরসভা/ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড সেক্রেটারি ও পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্যের শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি………………………..পিতা…………………………..যাহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল/সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল/কেন্দ্ৰীয় কর্মপরিষদ সদস্য/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য/কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি/ .জেলা/মহানগরী সেক্রেটারি/জেলা/ মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য/ উপজেলা/ থানা সেক্রেটারি/উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ সদস্য/পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সেক্রেটারি/ পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্য নির্বাচিত/ মনোনীত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
১। আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। জামায়াতের গঠনতন্ত্রের পূর্ণ অনুসারী ও গঠনতন্ত্র মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিব।
৩। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল/সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল / কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য / কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য/কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি, জেলা/ মহানগরী সেক্রেটারি/ জেলা/ মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য / উপজেলা/ থানা সেক্রেটারি/ উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ সদস্য/পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড সেক্রেটারি/পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্য হিসাবে স্বীয় কর্তব্য ও দায়িত্বসমূহ পূর্ণ নিষ্ঠা ও বিশ্বাসপরায়ণতা সহকারে সম্পন্ন করিব।
৪। জামায়াতের সংগঠন ও উহার কাজে যেখানে যে দোষত্রুটি লক্ষ্য করিব, তাহা দূর করিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত……………………
তারিখ…………………….
পরিশিষ্ট-৬
অধস্তন সংগঠনের আমীর/নায়েবে আমীরের শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি…………………………..,পিতা…………………………….যাহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর………………… জেলা/মহানগরী/উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর/নায়েবে আমীর নির্বাচিত/ নিযুক্ত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
১। আল্লাহ তায়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য জান-প্রাণ দিয়া কাজ করাকে আমার প্রধানতম কর্তব্য মনে করিব।
৩। নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিগত স্বার্থ-সুবিধা অপেক্ষা জামায়াতের স্বার্থ ও উহার দায়িত্বসমূহকে অগ্রাধিকার দান করিব।
৪। জামায়াত সদস্যগণের (রুকনগণের) মধ্যে সর্বদাই নিরপেক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফের ভিত্তিতে ফায়সালা করিব।
৫। জামায়াতের আমানতসমূহের পূর্ণ হিফাজত ও রক্ষণাবেক্ষণ করিব।
৬। নিজে জামায়াতের গঠনতন্ত্র মানিয়া চলিব এবং তদানুযায়ী জামায়াতের সংগঠন ও শৃঙ্খলা কায়েম করিবার ও কায়েম রাখিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিব।
৭। ঊর্ধ্বতন সংগঠন প্রদত্ত দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন এবং সিদ্ধান্তসমূহ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত……………….
তারিখ………………..
পরিশিষ্ট-৭
অধস্তন সংগঠনের মজলিসে শূরা সদস্যের শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি……………………………পিতা……………………….যাহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর………………… জেলা/মহানগরী/উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচিত/ মনোনীত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
১। আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। জেলা/মহানগরী/উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর, মজলিসে শূরা ও উহার প্রত্যেক সদস্য এই গঠনতন্ত্রে বর্ণিত ঈমান ও আক্বীদা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং ইসলামী নীতির অনুসারী আছেন কিনা তাহার দিকে লক্ষ্য রাখিব।
৩। মজলিসের অধিবেশনসমূহ হইতে শরীয়াত সমর্থিত ওযর ব্যতীত কখনও অনুপস্থিত থাকিব না।
৪। সকল বিষয়ে নিজের ইলম ও বিবেক অনুযায়ী স্বীয় প্রকৃত মত স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করিব এবং এই ব্যাপারে কোন প্রকার দুর্বলতা প্রদর্শন করিব না।
৫। জামায়াতের ভিতরে স্বতন্ত্র গ্রুপ সৃষ্টির কাজ হইতে বিরত থাকিব এবং কাহাকেও অনুরূপ কাজে লিপ্ত দেখিলে উপেক্ষা না করিয়া তাহার সংশোধন করিবার জন্য চেষ্টা করিব।
৬। জামায়াতের সংগঠন ও উহার কাজে যেখানে যে দোষত্রুটি লক্ষ্য করিব, তাহা দূর করিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত……………….
তারিখ………………..
পরিশিষ্ট-৮
মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি/ মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যের শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি………………………….স্বামী/পিতা…………………………যাহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয়/…………..জেলা/মহানগরী/ উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড মহিলা কর্মপরিষদের সদস্য নির্বাচিত করা হইয়াছে/মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
১। আল্লাহ তায়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। জামায়াতের গঠনতন্ত্রের পূর্ণ অনুসারী ও গঠনতন্ত্র মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিব।
৩। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয়, জেলা/ মহানগরী উপজেলা/ থানা/ পৌরসভা/ ইউনিয়ন/ ওয়ার্ড মহিলা কর্মপরিষদের সদস্য/মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি হিসাবে স্বীয় কর্তব্য ও দায়িত্বসমূহ পূর্ণ নিষ্ঠা ও বিশ্বাসপরায়ণতা সহকারে সম্পন্ন করিব।
৪। জামায়াতের সংগঠন ও উহার কাজে যেখানে যে দোষত্রুটি লক্ষ্য করিব, তাহা দূর করিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত……………….
তারিখ………………..
পরিশিষ্ট-৯
মহিলা মজলিসে শূরা সদস্যের শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি………………………………,স্বামী/পিতা …………………………যাহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয়/…………………জেলা/মহানগরী/উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে
শূরা সদস্য নির্বাচিত/মনোনীত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
১।আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। আমীরে আমীরে জামায়াত/জেলা/মহানগরী আমীর/ উপজেলা/ থানা আমীর, পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মহিলা মজলিসে শূরা ও উহার সদস্যগণ এই গঠনতন্ত্রে বর্ণিত ঈমান ও আক্বীদা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং ইসলামী নীতির অনুসারী আছেন কিনা তাহার দিকে লক্ষ্য রাখিব।
৩। মহিলা মজলিসে শূরার অধিবেশনসমূহ হইতে শরীয়াত সমর্থিত ওযর ব্যতীত কখনও অনুপস্থিত থাকিব না।
৪। সকল বিষয়ে নিজের ইলম ও বিবেক অনুযায়ী স্বীয় প্রকৃত মত স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করিব এবং এই ব্যাপারে কোন প্রকার দুর্বলতা প্রদর্শন করিব না।
৫ ৷ জামায়াতের সংগঠন ও উহার কাজে যেখানে যে দোষত্রুটি লক্ষ্য করিব, তাহা দূর করিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত……………….
তারিখ………………..
পরিশিষ্ট-১০
জাতীয় কাউন্সিল সদস্য/সদস্যার শপথনামা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমি ………………………….., পিতা……………………………. যাহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য/সদস্যা নির্বাচিত করা হইয়াছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া ওয়াদা করিতেছি যে, আমি-
১। আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁহার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পালন ও আনুগত্যকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিব ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করিব।
২। সকল বিষয়ে নিজের ইলম ও বিবেক অনুযায়ী স্বীয় প্রকৃত মত স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করিব এবং এই ব্যাপারে কোন প্রকার দুর্বলতা প্রদর্শন করিব না।
৩। জামায়াতের ভিতরে স্বতন্ত্র গ্রুপ সৃষ্টির কাজ হইতে বিরত থাকিব এবং কাহাকেও অনুরূপ কাজে লিপ্ত দেখিলে উপেক্ষা না করিয়া তাহার সংশোধন করিবার জন্য চেষ্টা করিব।
৪। জামায়াতের সংগঠন ও উহার কাজে যেখানে যে দোষত্রুটি লক্ষ্য করিব, তাহা দূর করিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিব।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই ওয়াদা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
দস্তখত………………
তারিখ……………….
পরিশিষ্ট-১১
অমুসলিম সদস্য/সদস্যার শপথনামা
আমি…………………………………….., পিতা/স্বামী………………………………….. পূর্ণ দায়িত্ববোধের সহিত শপথ গ্রহণ করিতেছি যে, আমি-
১। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্য/সদস্যা হিসেবে জামায়াতের নিয়ম শৃংখলা ও সিদ্ধান্তসমূহ নিষ্ঠার সাথে মানিয়া চলিব।
২। জামায়াতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নকে গুরুত্ব প্রদান করিব।
৩। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করিবার জন্য একনিষ্ঠভাবে ভূমিকা পালন করিব।
৪। উপার্জনে অবৈধপন্থা অবলম্বন করিব না।
স্বাক্ষর…………………….
তারিখ……………………
গঠনতন্ত্র সংশোধনীর তথ্য
এই গঠনতন্ত্র ১৯৭৯ সনের ২৬শে মে সদস্য (রুকন) সম্মেলনে গৃহীত হয়। পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় শূরার অধিবেশনে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয় এবং সংশোধিত আকারে বিভিন্ন সংস্করণে প্রকাশিত হয়। -প্রকাশক
সংশোধনী
১ম সংশোধনী (১৫-২১ ডিসেম্বর ১৯৮১)। ২য় সংশোধনী (২৮-৩০ নবেম্বর ১৯৮৩)। ৩য় সংশোধনী (২১-২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৪)। ৪র্থ সংশোধনী (৫-৯ ডিসেম্বর ১৯৮৬)। ৫ম সংশোধনী (৮-১০ জুন ১৯৮৮)। ৬ষ্ঠ সংশোধনী (১৮-২২ ডিসেম্বর ১৯৮৮)। ৭ম সংশোধনী (১৯-২২ জুন ১৯৯০)। ৮ম সংশোধনী (২৮-৩১ জুলাই ১৯৯১)। ৯ম সংশোধনী (২৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৩)। ১০ম সংশোধনী (১০-১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৪)। ১১শ সংশোধনী (১৭-১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৮)। ১২শ সংশোধনী (৯-১০ ডিসেম্বর ২০০৪)। ১৩শ সংশোধনী (অক্টোবর ২০০৮)। ১৪শ সংশোধনী (১০-১১ জুলাই ২০০৯)। ১৫শ সংশোধনী (৭ ও ৮ ডিসেম্বর ২০০৯)। ১৬শ সংশোধনী (১৭ জুলাই ২০১০)। ১৭শ সংশোধনী (৫ নবেম্বর ২০১০)। ১৮শ সংশোধনী (অক্টোবর ২০১২)। ১৯শ সংশোধনী (৩০ নবেম্বর ২০১২)। ২০তম সংশোধনী (১৭ অক্টোবর ২০১৬)। ২১ তম সংশোধনী (ডিসেম্বর ২০১৭)। ২২তম সংশোধনী (সেপ্টেম্বর ২০১৯)।