15/222. وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ الحَارِثِ بنِ رِبعِيٍّ رضي الله عنه، عن رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم) : أَنَّهُ قَامَ فِيهِم، فَذَكَرَ لَهُمْ أنَّ الجِهَادَ في سَبِيلِ الله، وَالإِيمَانَ بالله أفْضَلُ الأعْمَالِ، فَقَامَ رَجُلٌ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ الله، أرَأيْتَ إنْ قُتِلْتُ في سبيلِ الله، تُكَفَّرُ عَنّي خَطَايَايَ ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم): «نَعَمْ، إنْ قُتِلْتَ في سبيلِ اللهِ، وَأنْتَ صَابرٌ مُحْتَسِبٌ، مُقْبِلٌ غَيرُ مُدْبر»ثُمَّ قَالَ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم): «كَيْفَ قُلْتَ ؟» قَالَ : أرَأيْتَ إنْ قُتِلْتُ في سبيلِ الله، أتُكَفَّرُ عَنّي خَطَايَايَ ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم): «نَعمْ، وَأنْتَ صَابرٌ مُحْتَسِبٌ، مُقْبِلٌ غَيرُ مُدْبِرٍ، إلاَّ الدَّيْنَ ؛ فإنَّ جِبريلَ عليه السلام قَالَ لي ذلِكَ». رواه مسلم
১৫/২২২। আবূ ক্বাতাদাহ হারেস ইবনে রিবয়ী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সাহাবীদের) মাঝে দাঁড়ালেন। অতঃপর তাঁদের জন্য বর্ণনা করলেন যে, ‘‘আল্লাহর পথে জিহাদ এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা সর্বোত্তম আমল।’’ এ শুনে একটি লোক দাঁড়িয়ে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলুন, যদি আমাকে আল্লাহর পথে হত্যা করে দেওয়া হয়, তবে কি আমার পাপরাশি মোচন করে দেওয়া হবে?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘‘হ্যাঁ। যদি তুমি আল্লাহর পথে ধৈর্যশীল ও নেকীর কামনাকারী হয়ে (শত্রুর দিকে) অগ্রগামী হয়ে এবং পিছপা না হয়ে খুন হও, তাহলে।’’ পুনরায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি কি যেন বললে?’’ সে বলল, ‘আপনি বলুন, যদি আল্লাহর পথে আমাকে হত্যা করা হয়, তবে কি আমার পাপরাশি মোচন করে দেওয়া হবে?’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘হ্যাঁ। যদি তুমি আল্লাহর পথে ধৈর্যশীল ও নেকীর কামনাকারী হয়ে (শত্রুর দিকে) অগ্রগামী হয়ে এবং পিছপা না হয়ে (খুন হও, তাহলে)। কিন্তু ঋণ (ক্ষমা হবে না)। কেননা জিব্রীল আলাইহিস সালাম আমাকে এ কথা বললেন।’’[1]
16/223. وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أنَّ رَسولَ الله (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «أتدرُونَ مَنِ المُفْلِسُ ؟»قَالُوا : المفْلسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرهَمَ لَهُ ولا مَتَاع، فَقَالَ: «إنَّ المُفْلسَ مِنْ أُمَّتي مَنْ يأتي يَومَ القيامَةِ بصَلاَةٍ وَصِيامٍ وزَكاةٍ، ويأتي وقَدْ شَتَمَ هَذَا، وقَذَفَ هَذَا، وَأَكَلَ مالَ هَذَا، وسَفَكَ دَمَ هَذَا، وَضَرَبَ هَذَا، فيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ، وهَذَا مِنْ حَسناتهِ، فإنْ فَنِيَتْ حَسَناتُه قَبْل أنْ يُقضى مَا عَلَيهِ، أُخِذَ منْ خَطَاياهُم فَطُرِحَتْ عَلَيهِ، ثُمَّ طُرِحَ في النَّارِ». رواه مُسلم
১৬/২২৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?’’ তাঁরা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যার কাছে কোন দিরহাম এবং কোনো আসবাব-পত্র নেই।’ তিনি বললেন, ‘‘আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাযির হবে। (কিন্তু এর সাথে সাথে সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো (অবৈধরূপে) মাল ভক্ষণ করেছে। কারো রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে। অতঃপর এ (অত্যাচারিত)কে তার নেকী দেওয়া হবে, এ (অত্যাচারিত)কে তার নেকী দেওয়া হবে। পরিশেষে যদি তার নেকীরাশি অন্যান্যদের দাবী পূরণ করার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপরাশি নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’[2]
16/224. وَعَن أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ الله عَنهَا : أنَّ رَسُولَ الله (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «إنَّمَا أنا بَشَرٌ، وَإنَّكُمْ تَخْتَصِمُونَ إلَيَّ، وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أنْ يَكُونَ ألْحَنَ بِحُجّتِهِ مِنْ بَعْضٍ، فأَقْضِيَ لَهُ بِنَحْوِ مَا أسْمعُ، فَمَنْ قَضَيتُ لَهُ بِحَقِّ أخِيهِ فَإِنَّما أقطَعُ لَهُ قِطعةً مِنَ النَّارِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
১৭/২২৪। উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি তো একজন মানুষ। আর তোমরা (বিবাদ করে) ফায়সালার জন্য আমার নিকট আসো। হয়তো তোমাদের কেউ কেউ অন্যের তুলনায় অধিক বাকপটু। আর আমি তার কথার ভিত্তিতে তার পক্ষে ফায়সালা করি। সুতরাং আমি যদি কাউকে তার (মুসলিম) ভায়ের হক তার জন্য ফায়সালা করে দিই, তাহলে আসলে আমি তার জন্য আগুনের টুকরা কেটে দিই।’’[3]
18/225. وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم): «لَنْ يَزَالَ المُؤْمِنُ في فُسْحَةٍ مِنْ دِينهِ مَا لَمْ يُصِبْ دَماً حَرَاماً». رواه البخاري
১৮/২২৫। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মু’মিন ব্যক্তি তার দ্বীনের প্রশস্ততায় থাকে; যতক্ষণ না সে অবৈধ রক্তপাতে লিপ্ত হয়।’’[4]
19/226. وَعَن خَولَةَ بِنتِ عَامِرٍ الأنصَارِيَّة، وَهِيَ امرأَةُ حَمْزَةَ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَتْ : سَمِعتُ رَسُولَ الله (صلى الله عليه و سلم)، يقول: «إنَّ رِجَالاً يَتَخَوَّضُونَ فِي مَالِ الله بغَيرِ حَقٍّ، فَلَهُمُ النَّارُ يَومَ القِيَامَةِ». رواه البخاري
১৯/২২৬। হামযাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর স্ত্রী খাওলাহ বিনতে আমের আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘কিছু লোক আল্লাহর মাল নাহক ব্যয়-বণ্টন করবে। সুতরাং তাদের জন্য কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’’[5]
[1] মুসলিম ১৮৮৫, তিরমিযী ১৭১২, নাসায়ী ৩১৫৬, ৩১৫৭, ৩১৫৮, আহমাদ ২২০৩৬, ২২০৭৯, ২২১২০,মুওয়াত্তা মালেক ১০০৩, দারেমী ২৪১২
[2] মুসলিম ২৫৮১, তিরমিযী ২৪১৮, আহমাদ ৭৯৬৯, ৮২০৯, ৮৬২৫
[3] সহীহুল বুখারী ২৪৫৮, ২৬৮০, ৬৯৬৭, ৭১৬৯, ৭১৮১, ৭১৮৫, মুসলিম ১৭১৩, নাসায়ী ৫৪০১, আবূ দাউদ ৩৫৮৩, ইবনু মাজাহ ২৩১৭, আহমাদ ২৫৯৫২, ২৬০৭৮, ২৬০৮৬, ২৬১৭৭
[4] (অর্থাৎ, খুন করলে দ্বীন সংকীর্ণ হয়ে যায় এবং খুনী কুফরীর নিকটবর্তী হয়ে যায়।) সহীহুল বুখারী ৬৮৬২, ৬৮৬৩, আহমাদ ৫৬৪৮
[5] সহীহুল বুখারী ৩১১৮, তিরমিযী ২৩৭০, আহমাদ ২৬৫১৪, ২৬৫৮৩, ২৬৭৭২