5/597 وَعَن أَبي سِرْوَعَةَ عُقبَةَ بنِ الحارِثِ رضي الله عنه: أنَّهُ تَزَوَّجَ ابنَةً لأبي إهَابِ بنِ عَزِيزٍ، فَأتَتْهُ امْرَأةٌ، فَقَالَتْ: إنّي قَدْ أرضَعْتُ عُقْبَةَ وَالَّتِي قَدْ تَزَوَّجَ بِهَا . فَقَالَ لَهَا عُقْبَةُ: مَا أعْلَمُ أنَّك أَرضَعْتِنِي وَلاَ أخْبَرْتِني، فَرَكِبَ إِلَى رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) بِالمَدِينَةِ، فَسَأَلَهُ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «كَيْفَ ؟ وَقَد قِيلَ» فَفَارَقَهَا عُقْبَةُ وَنَكَحَتْ زَوْجاً غَيْرَهُ . رواه البخاري
৫/৫৯৭। আবূ সিরওয়াআহ উক্ববাহ ইবনে হারেস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ ইহাব ইবনে ‘আযীযের এক কন্যাকে বিবাহ করলেন। অতঃপর তার নিকট এক মহিলা এসে বলল, ‘আমি উক্ববাহকে এবং তার স্ত্রীকে দুধপান করিয়েছি।’ ‘উক্ববাহ তাকে বললেন, ‘তুমি যে আমাকে দুধ পান করিয়েছ তা তো আমি জানি না, আর তুমি আমাকে তার খবরও দাওনি।’ অতঃপর উক্ববাহ (সওয়ারীর উপর) সওয়ার হয়ে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মদীনায় এলেন এবং এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সব বৃত্তান্ত শুনে) বললেন, ‘‘যখন এ কথা বলা হয়েছে, তখন তুমি কি করে বিবাহ বন্ধন অটুট রাখবে?’’ সুতরাং উক্ববাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাকে ত্যাগ করলেন এবং সে মহিলা অন্য স্বামী গ্রহণ করল। (বুখারী) [1]
6/598 وَعَنِ الحَسَنِ بنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: حَفِظتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
৬/৫৯৮। আলীর পুত্র হাসান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (এ হাদীস) স্মরণ রেখেছি, ‘‘তা বর্জন কর, যা তোমাকে সন্দেহে ফেলে এবং তা গ্রহণ কর, যাতে তোমার সন্দেহ নেই।’’ (তিরমিযী, সহীহ) [2]
7/599 وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ لأبي بَكرٍ الصِّدِّيقِ رضي الله عنه غُلاَمٌ يُخْرِجُ لَهُ الخَرَاجَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَأكُلُ مِنْ خَرَاجِهِ، فَجَاءَ يَوْماً بِشَيءٍ، فَأكَلَ مِنْهُ أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ لَهُ الغُلامُ: تَدْرِي مَا هَذَا ؟ فَقَالَ أَبُو بكر: وَمَا هُوَ ؟ قَالَ: كُنْتُ تَكَهَّنْتُ لإنْسَانٍ في الجَاهِلِيَّةِ وَمَا أُحْسِنُ الكَهَانَةَ، إِلاَّ أنّي خَدَعْتُهُ، فَلَقِيَنِي، فَأعْطَانِي لِذَلِكَ، هَذَا الَّذِي أكَلْتَ مِنْهُ، فَأدْخَلَ أَبُو بَكْرٍ يَدَهُ فَقَاءَ كُلَّ شَيْءٍ فِي بَطْنِهِ . رواه البخاري
৭/৫৯৯। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর একজন ক্রীতদাস ছিল, যে চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে ধার্যকৃত কর আদায় করত। আর আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার সেই আদায়কৃত অর্থ ভক্ষণ করতেন। (অবশ্য প্রত্যহ সে অর্থ হালাল কি না, তা জিজ্ঞাসা করে নিতেন।) একদিনের ঘটনা, ঐ ক্রীতদাস কোন একটা জিনিস এনে তাঁর খিদমতে হাজির করল। আর তিনি (সেদিন ভুলে কিছু জিজ্ঞাসা না করে) তা থেকে কিছু খেয়ে ফেললেন। দাসটি বলল, ‘আপনি কি জানেন, এটা কী জিনিস (যা আপনি ভক্ষণ করলেন)?’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘তা কী?’ দাসটি বলল, ‘আমি জাহেলী যুগে একজন মানুষের ভাগ্য গণনা করেছিলাম। অথচ আমার ভাগ্য গণনা করার মত ভাল জ্ঞান ছিল না। আসলে আমি তাকে ধোঁকা দিয়েছিলাম। সে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাকে (পারিশ্রমিকস্বরূপ) এই জিনিস দিলো, যা আপনি ভক্ষণ করলেন।’ এ কথা শুনে আবূ বাকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নিজের হাত স্বীয় মুখের ভিতরে প্রবেশ করালেন এবং পেটের মধ্যে যা কিছু ছিল বমি করে বের করে দিলেন! (বুখারী) [3]
[1] সহীহুল বুখারী ৮৮, ২০৫২, ২৬৪০, ২৬৫৯, ২৬৬০, ৫১০৫, তিরমিযী ১১৫১, নাসায়ী ৩৩৩০, আবূ দাউদ ৩৬০৩, আবূ দাউদ ১৫৭১৫, ১৮৯৩০, দারেমী ২২৫৫
[2] তিরমিযী ২৫১৮, নাসায়ী ৫৭১১, আবূ দাউদ ২৭৮১৯, দারেমী ২৫৩২
[3] সহীহুল বুখারী ৩৮৪২