/630 وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: لَمْ يَكُن رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) فَاحِشاً وَلاَ مُتَفَحِّشاً، وَكَانَ يَقُولُ: « إنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أحْسَنَكُمْ أخْلاَقاً ». متفقٌ عَلَيْهِ
৫/৬৩০। আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনে ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (প্রকৃতিগতভাবে কথা ও কাজে) অশ্লীল ছিলেন না এবং (ইচ্ছাকৃতভাবেও) অশ্লীল ছিলেন না। আর তিনি বলতেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম, যে তোমাদের মধ্যে সুন্দরতম চরিত্রের অধিকারী।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
6/631 وَعَن أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «مَا مِنْ شَيْءٍ أثْقَلُ فِي مِيزَانِ العَبدِ المُؤْمِنِ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ حُسْنِ الخُلُقِ، وَإنَّ الله يُبْغِضُ الفَاحِشَ البَذِيَّ». رواه الترمذي، وقال:«حديث حسن صحيح»
৬/৬৩১। আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘কিয়ামতের দিন (নেকী) ওজন করার দাঁড়ি-পাল্লায় সচ্চরিত্রতার চেয়ে কোনো বস্তুই অধিক ভারী হবে না। আর আল্লাহ তা‘আলা অশ্লীল ও চোয়াড়কে অপছন্দ করেন।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [2]
7/632 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) عَنْ أكثرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الْجَنَّةَ ؟ قَالَ:«تَقْوَى اللهِ وَحُسنُ الخُلُقِ »، وَسُئِلَ عَنْ أكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ النَّارَ، فَقَالَ: « الفَمُ وَالفَرْجُ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
৭/৬৩২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, ‘কোন্ আমল মানুষকে বেশি জান্নাতে নিয়ে যাবে?’ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহভীতি ও সচ্চরিত্র।’’ আর তাঁকে (এটাও) জিজ্ঞাসা করা হল যে, ‘কোন্ আমল মানুষকে বেশি জাহান্নামে নিয়ে যাবে?’ তিনি বললেন, ‘‘মুখ ও যৌনাঙ্গ (অর্থাৎ উভয় দ্বারা সংঘটিত পাপ)।’’ (তিরমিযী হাসান সহীহ সূত্রে) [3]
8/633 وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «أكْمَلُ المُؤمِنِينَ إِيمَاناً أحسَنُهُمْ خُلُقاً، وَخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
৮/৬৩৩। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মু’মিনদের মধ্যে সে ব্যক্তি পূর্ণ মু’মিন, যে তাদের মধ্যে চরিত্রের দিক দিয়ে সুন্দরতম। আর তোমাদের উত্তম ব্যক্তি তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের নিকট উত্তম।’’ (তিরমিযী হাসান সহীহ সূত্রে) [4]
9/634 وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَت: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، يَقُولُ: «إنَّ المُؤْمِنَ لَيُدْرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِه دَرَجَةَ الصَّائِمِ القَائِمِ». رواه أَبُو داود
৯/৬৩৪। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘অবশ্যই মু’মিন তার সদাচারিতার কারণে দিনে (নফল) রোযাদার এবং রাতে (নফল) ইবাদতকারীর মর্যাদা পেয়ে থাকে।’’ (আবু দাউদ) [5]
9/635 وَعَن أَبِي أُمَامَةَ البَاهِليِّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « أنَا زَعِيمٌ بِبَيتٍ في رَبَضِ الجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ المِرَاءَ وَإنْ كَانَ مُحِقّاً، وَبِبَيْتٍ في وَسَطِ الجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الكَذِبَ وَإنْ كَانَ مَازِحاً، وَبِبَيْتٍ في أعلَى الجَنَّةِ لِمَنْ حَسُنَ خُلُقُهُ » . حديث صحيح، رواه أَبُو داود بإسناد صحيح .
১০/৬৩৫। আবূ উমামাহ বাহেলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের শেষ সীমায় একটি ঘর দেওয়ার জন্য জামিন হচ্ছি, যে সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও কলহ-বিবাদ বর্জন করে। সেই ব্যক্তির জন্য আমি জান্নাতের মধ্যস্থলে একটি ঘরের জামিন হচ্ছি, যে উপহাসছলেও মিথ্যা বলা বর্জন করে। আর সেই ব্যক্তির জন্য আমি জান্নাতের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় একটি ঘরের জামিন হচ্ছি, যার চরিত্র সুন্দর।’’ (আবূ দাউদ) [6]
10/636 وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ الله (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: « إنَّ مِنْ أحَبِّكُمْ إليَّ، وَأقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِساً يَوْمَ القِيَامَةِ، أحَاسِنَكُم أخْلاَقاً، وَإنَّ أبْغَضَكُمْ إلَيَّ وَأبْعَدَكُمْ مِنِّي يَوْمَ القِيَامَةِ، الثَّرْثَارُونَ وَالمُتَشَدِّقُونَ وَالمُتَفَيْهقُونَ » قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ، قَدْ عَلِمْنَا« الثَّرْثَارُونَ وَالمُتَشَدِّقُونَ »، فمَا المُتَفَيْهقُونَ ؟ قَالَ: « المُتَكَبِّرُونَ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن »
১১/৬৩৬। জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে আমার প্রিয়তম এবং কিয়ামতের দিন অবস্থানে আমার নিকটতম ব্যক্তিদের কিছু সেই লোক হবে যারা তোমাদের মধ্যে চরিত্রে শ্রেষ্ঠতম। আর তোমাদের মধ্যে আমার নিকট ঘৃণ্যতম এবং কিয়ামতের দিন অবস্থানে আমার নিকট থেকে দূরতম হবে তারা; যারা ‘সারসার’ (অনর্থক অত্যধিক আবোল-তাবোল বলে যারা) ও ‘মুতাশাদ্দিক’ (বা আলস্যভরে টেনে টেনে কথা বলে যারা) এবং যারা ‘মুতাফাইহিক’ লোক; সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ‘সারসার’ (অনর্থক কথাবার্তা যারা বলে) এবং মুতাশাদ্দিক (আলস্যভরে বা কায়দা করে টেনে-টেনে কথা বলে) তাদেরকে তো চিনলাম; কিন্তু ‘মুতাফাইহিক’ কারা? রাসূল বললেন, অহংকারীরা।’’ (তিরমিযী, হাসান)[7]
11/637 وَرَوَى التِّرمِذِي عَن عَبدِ اللهِ بنِ المُبَارَكِ رَحِمَهُ اللهُ فِي تَفسِيرِ حُسْنِ الخُلُقِ، قَالَ: «هُوَ طَلاَقَةُ الوَجه، وَبَذْلُ المَعرُوفِ، وَكَفُّ الأذَى ».
ইমাম তিরমিযী আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রাহিমাহুল্লাহ) হতে সচ্চরিত্রতার ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, ‘তা হল, সর্বদা হাসিমুখ থাকা, মানুষের উপকার করা এবং কাউকে কষ্ট না দেওয়া।’
[1] সহীহুল বুখারী ৩৭৫৮, ৩৫৫৯, ৩৭৬০, ৩৮০৬, ৩৮০৮, ৪৯৯৯, ৬০২৯, ৬০৩৫, মুসলিম ২৩২১, ২৪৬৪, তিরমিযী ১৯৭৫, ৩৮১০, আহমাদ ৫৪৬৮, ৬৬৯৬, ২৭৬৭০, ৬৭৭৪, ৬৭৯৮, ৬৯৯৫
[2] তিরমিযী ২০০২, আবূ দাউদ ৪৭৯৯, আহমাদ ২৬৯৭১, ২৬৯৮৪, ২৭০০৫
[3] তিরমিযী ২০০৪, ইবনু মাজাহ ৪২৪৬, আহমাদ ৭৮৪৭, ৮৮৫২, ৯৪০৩
[4] তিরমিযী ১১৬২, আহমাদ ৭৩৫৪, ৯৭৫৬, ১০৪৩৬, দারেমী ২৭৯২
[5] আবূ দাউদ ৪৭৯৮, আহমাদ ২৩৮৩৪, ২৪০৭৪
[6] আবূ দাউদ ৪৮০০
[7] তিরমিযী ২০১৮