2/570 وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم):«طَعَامُ الاثْنَيْنِ كَافِي الثَّلاَثَةِ، وَطَعَامُ الثَّلاَثَةِ كَافِي الأربَعَةِ» متفقٌ عَلَيْهِ . وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسلِمٍ عَن جَابِرٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «طَعَامُ الوَاحِدِ يَكْفِي الاثْنَيْنِ، وَطَعَامُ الاثْنَيْنِ يَكْفِي الأَرْبَعَةَ، وَطَعَامُ الأَرْبَعَة يَكْفِي الثَّمَانِية » .
২/৫৭০। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘দু’জনের খাবার তিনজনের জন্য এবং তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘একজনের খাবার দু’জনের জন্য, দু’জনের খাবার চারজনের জন্য এবং চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট।’’
3/571 وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ فِي سَفَرٍ مَعَ النَّبيِّ (صلى الله عليه و سلم) إذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى رَاحِلَةٍ لَهُ، فَجَعَلَ يَصرِفُ بَصَرَهُ يَميناً وَشِمَالاً، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «مَنْ كَانَ مَعَهُ فَضْلُ ظَهْرٍ فَليَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ ظَهرَ لَهُ، وَمَنْ كَانَ لَهُ فَضْلٌ مِنْ زَادٍ، فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ زَادَ لَهُ ». فَذَكَرَ مِنْ أصْنَافِ المالِ مَا ذَكَرَ حَتَّى رَأيْنَا أنَّهُ لاَ حَقَّ لأَحَدٍ مِنَّا فِي فَضْلٍ . رواه مسلم
৩/৫৭১। আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একদা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে ছিলাম। ইতোমধ্যে একটি লোক তার একটি সওয়ারীর উপর চড়ে (আমাদের নিকট) এল এবং ডানে ও বামে তার দৃষ্টি ফিরাতে লাগল। (এ দেখে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘যার নিকট উদ্বৃত্ত সওয়ারী আছে, সে যেন তা ঐ ব্যক্তিকে দেয় যার নিকট কোন সওয়ারী নেই। আর যার নিকট উদ্বৃত্ত পাথেয় (খাদ্য) রয়েছে, সে যেন ঐ ব্যক্তিকে দেয় যার কোন পাথেয় নেই।’’ এভাবে তিনি বিভিন্ন প্রকার মালের কথা উল্লেখ করলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, উদ্বৃত্ত মালে আমাদের কারো অধিকার নেই। (মুসলিম) [2]
4/572 وَعَن سَهلِ بنِ سَعدٍ رضي الله عنه: أنَّ أمْرَأةً جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) بِبُرْدَةٍ مَنْسُوجَةٍ، فَقَالَتْ: نَسَجْتُهَا بِيَدَيَّ لأَكْسُوكَهَا، فَأَخَذَهَا النَّبيُّ (صلى الله عليه و سلم) مُحْتَاجاً إِلَيْهَا، فَخَرَجَ إِلَيْنَا وَإنَّهَا إزَارُهُ، فَقَالَ فُلانٌ: اكْسُنِيهَا مَا أحْسَنَهَا ! فَقَالَ: «نَعَمْ » فَجَلَسَ النَّبيُّ (صلى الله عليه و سلم) في المَجْلِسِ، ثُمَّ رَجَعَ فَطَواهَا، ثُمَّ أرْسَلَ بِهَا إِلَيْهِ: فَقَالَ لَهُ الْقَومُ: مَا أحْسَنْتَ ! لَبِسَهَا النَّبيُّ (صلى الله عليه و سلم) مُحتَاجَاً إِلَيْهَا، ثُمَّ سَألْتَهُ وَعَلِمْتَ أنَّهُ لاَ يَرُدُّ سَائِلاً، فَقَالَ: إنّي وَاللهِ مَا سَألْتُهُ لأَلْبِسَهَا، إنَّمَا سَألْتُهُ لِتَكُونَ كَفَنِي . قَالَ سَهْلٌ: فَكَانَتْ كَفَنَهُ . رواه البخاري
৪/৫৭২। সাহল ইবনে সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একটি (হাতে) বুনা চাদর নিয়ে এল। সে বলল, ‘আপনার পরিধানের জন্য চাদরটি আমি নিজ হাতে বুনেছি।’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা গ্রহণ করলেন এবং তাঁর চাদরের প্রয়োজনও ছিল। তারপর তিনি লুঙ্গীরূপে পরিধান করে আমাদের সামনে আসলেন। তখন অমুক ব্যক্তি বলল, ‘এটি আমাকে পরার জন্য দান করে দিন। এটি কত সুন্দর!’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ, (তাই দেব।)’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসে (কিছুক্ষণ) বসলেন। অতঃপর ফিরে গিয়ে তা ভাঁজ করে ঐ লোকটির কাছে পাঠিয়ে দিলেন। লোকেরা বলল, ‘তুমি কাজটা ভাল করলে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা তাঁর প্রয়োজনে পরেছিলেন, তবুও তুমি চেয়ে বসলে। অথচ তুমি জান যে, তিনি কারো চাওয়া রদ করেন না।’ ঐ ব্যক্তি বলল, ‘আল্লাহর কসম! আমি তা পরার উদ্দেশ্যে চাইনি, আমার চাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য যে, তা আমার কাফন হবে।’ সাহল বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত তা তাঁর কাফনই হয়েছিল।’ (বুখারী) [3]
[1] সহীহুল বুখারী ৫৩৯২, মুসলিম ২০৫৮, তিরমিযী ১৮২০, আহমাদ ৭২৭৮, ৯০২৪, মুওয়াত্তা মালিক ১৭২৬
[2] মুসলিম ১৭২৮, আবূ দাউদ ১৬৬৩, আহমাদ ১০৯০০
[3] সহীহুল বুখারী ১২৭৭, ২০৯৩, ৫৮১০, ৬০৩৬, নাসায়ী ৫৩২১, ইবনু মাজাহ ৩৫৫৫, আহমাদ ২২৩১৮