80- بَابُ وُجُوْبِ طَاعَةِ وُلَاةِ الْأُمُوْرِ فِيْ غَيْرِ مَعْصِيَةٍ
وَّتَحْرِيْمِ طَاعَتِهِمْ فِي الْمَعْصِيَةِ
পরিচ্ছেদ – ৮০: বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا ٥٩ ﴾ [النساء: ٥٩]
অর্থাৎ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রসূলের অনুগত হও ও তোমাদের নেতৃবর্গের।” (সূরা নিসা ৫৯ আয়াত)
1/668 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: « عَلَى المَرْءِ الْمُسْلِمِ السَّمْعُ والطَّاعَةُ فِيمَا أحَبَّ وكَرِهَ، إِلاَّ أنْ يُؤْمَرَ بِمَعْصِيةٍ، فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ ». متفقٌ عَلَيْهِ
১/৬৬৮। ইবনে ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুসলিমের জন্য (তার শাসকদের) কথা শোনা ও মানা ফরয, তাকে সে কথা পছন্দ লাগুক অথবা অপছন্দ লাগুক; যতক্ষণ না তাকে পাপকাজের নির্দেশ দেওয়া হয়। অতঃপর যখন তাকে পাপকাজের আদেশ দেওয়া হবে তখন তার কথা শোনাও যাবে না, মানাও যাবে না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
2/669 وَعَنهُ، قَالَ: كُنَّا إِذَا بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) عَلَى السَّمعِ والطَّاعَةِ، يَقُولُ لَنَا: « فِيمَا اسْتَطَعْتُمْ». متفقٌ عَلَيْهِ
২/৬৬৯। উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তাঁর কথা শোনার ও আনুগত্য করার উপর বায়‘আত করছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘যাতে তোমাদের সাধ্য রয়েছে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[2]
3/670 وَعَنهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، يَقُولُ: « مَنْ خَلَعَ يَداً مِنْ طَاعَةٍ لَقِيَ اللهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ حُجَّةَ لَهُ، وَمَنْ مَاتَ وَلَيْسَ في عُنُقِهِ بَيْعَةٌ، مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً ». رواه مسلم
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: « وَمَنْ مَاتَ وَهُوَ مُفَارِقٌ لِلجَمَاعَةِ، فَإنَّهُ يَمُوتُ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً » .
৩/৬৭০। উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রস্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘যে ব্যক্তি (বৈধ কাজে শাসকের) আনুগত্য করা থেকে হাত গুটিয়ে নিল, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে এ অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তার জন্য কোন প্রমাণ থাকবে না। আর যে ব্যক্তি (রাষ্ট্রনেতার হাতে) বায়‘আত না করে মৃত্যুবরণ করল, সে জাহেলিয়াতের মরা মরল।’’
এর অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে, ‘‘যে (রাষ্ট্রীয়) জামাআত ত্যাগ করে মারা গেল, সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করল।’’ (মুসলিম) [3]
4/671 وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « اِسْمَعُوا وأطِيعُوا، وَإنِ استُعْمِلَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشيٌّ، كَأَنَّ رأْسَهُ زَبيبةٌ ». رواه البخاري
৪/৬৭১। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘(শাসকদের) কথা শোনো এবং (তাদের) আনুগত্য কর; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো ক্রীতদাসকে (নেতা) নিযুক্ত করা হয়; যেন তার মাথাটা কিশমিশ। (অর্থাৎ কিশমিশের ন্যায় ক্ষুদ্র ও বিশ্রী তবুও)!’’ (বুখারী) [4]
5/672 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « عَلَيْكَ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ في عُسْرِكَ وَيُسْرِكَ، وَمَنْشَطِكَ وَمَكْرَهِكَ، وَأثَرَةٍ عَلَيْكَ ». رواه مسلم
৫/৬৭২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমার প্রতি দুঃখে-সুখে, হর্ষে-বিষাদে এবং তোমার উপর অন্যদেরকে প্রাধান্য দেওয়ার সময়ে (শাসকের) কথা শোনা ও (তার) আনুগত্য করা ফরয।’’ (মুসলিম) [5]
[1] সহীহুল বুখারী ২৯৫৫, ৭১৪৪, মুসলিম ১৮৩৯, ২৭৩৫, তিরমিযী ১৭০৭, আবূ দাউদ ২৬২৬, ইবনু মাজাহ ২৮৬৪, আহমাদ ৪৬৫৪, ৬২৪২
[2] সহীহুল বুখারী ৭২০২, মুসলিম ১৮৬৭, তিরমিযী ১৫৯৩, নাসায়ী ৪১৮৭, ৪১৮৮, আবূ দাউদ ২৯৪০, আহমাদ ৪৫৫১, ৫২৬০, ৫৫০৬, ৫৭৩৭, ৬২০৭, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৪১
[3] মুসলিম ১৮৫১, আহমাদ ৫৩৬৩, ৫৫২৬, ৫৬৪৩, ৫৬৮৫, ৫৮৬৩, ৬০১২, ৬১৩১, ৬৩৮৭
[4] সহীহুল বুখারী ৬৯৩, ৬৯৬, ৭১৪২, ইবনু মাজাহ ২৮৬০, আহমাদ ১১৭২৬, ১২৩৪১
[5] সহীহুল বুখারী ১৮৩৬, নাসায়ী ৪১৫৫, আহমাদ ৮৭৩০