95- بَابُ اِسْتِحْبَابِ التَّبْشِيْرِ وَالتَّهْنِئَةِ بِالْخَيْرِ
পরিচ্ছেদ – ৯৫: কোন ভাল জিনিসের সুসংবাদ ও তার জন্য মুবারকবাদ জানানো মুস্তাহাব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ فَبَشِّرۡ عِبَادِ ١٧ ٱلَّذِينَ يَسۡتَمِعُونَ ٱلۡقَوۡلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحۡسَنَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ هَدَىٰهُمُ ٱللَّهُۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمۡ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ ١٨ ﴾ [الزمر: ١٧، ١٨]
অর্থাৎ “তাদের জন্য আছে সুসংবাদ। অতএব সুসংবাদ দাও আমার দাসদেরকে; যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে এবং যা উত্তম তার অনুসরণ করে। ওদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ওরাই বুদ্ধিমান।” (সূরা যুমার ১৭-১৮ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ يُبَشِّرُهُمۡ رَبُّهُم بِرَحۡمَةٖ مِّنۡهُ وَرِضۡوَٰنٖ وَجَنَّٰتٖ لَّهُمۡ فِيهَا نَعِيمٞ مُّقِيمٌ ٢١ ﴾ [التوبة: ٢١]
অর্থাৎ “তাদের প্রতিপালক তাদেরকে নিজ দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন; যেখানে তাদের জন্য স্থায়ী সুখ-সমৃদ্ধি রয়েছে।” (সূরা তাওবাহ ২১ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
﴿ وَأَبۡشِرُواْ بِٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِي كُنتُمۡ تُوعَدُونَ ﴾ [فصلت: ٣٠]
অর্থাৎ তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার সুসংবাদ নাও। (হা-মীম সাজদাহ ৩০ আয়াত)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
﴿ فَبَشَّرۡنَٰهُ بِغُلَٰمٍ حَلِيمٖ ١٠١ ﴾ [الصافات: ١٠١]
অর্থাৎ “অতঃপর আমি তাকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।” (সূরা স্বা-ফফাত ১০১ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَلَقَدۡ جَآءَتۡ رُسُلُنَآ إِبۡرَٰهِيمَ بِٱلۡبُشۡرَىٰ ﴾ [هود: ٦٩]
অর্থাৎ “আর আমার প্রেরিত ফিরিশ্তারা ইব্রাহীমের নিকট সুসংবাদ নিয়ে আগমন করল।” (সূরা হূদ ৬৯ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَٱمۡرَأَتُهُۥ قَآئِمَةٞ فَضَحِكَتۡ فَبَشَّرۡنَٰهَا بِإِسۡحَٰقَ وَمِن وَرَآءِ إِسۡحَٰقَ يَعۡقُوبَ ٧١ ﴾ [هود: ٧١]
অর্থাৎ “সে সময় তার স্ত্রী দণ্ডায়মান ছিল, সে হেসে উঠল তখন আমি তাকে (ইব্রাহীমের স্ত্রীকে) সুসংবাদ দিলাম ইসহাকের এবং ইসহাকের পর ইয়াকূবের।” (সূরা হূদ ৭১ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ فَنَادَتۡهُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَهُوَ قَآئِمٞ يُصَلِّي فِي ٱلۡمِحۡرَابِ أَنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكَ بِيَحۡيَىٰ﴾ [ال عمران: ٣٩]
অর্থাৎ “যখন (যাকারিয়া) মিহরাবে নামাযে রত ছিলেন তখন ফেরেশ্তাগণ তাকে সম্বোধন করে বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে ইয়াহয়্যার সুসংবাদ দিচ্ছেন।” (আলে ইমরান ৩৯ আয়াত)
তিনি আরো বলেছেন,
﴿ إِذۡ قَالَتِ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يَٰمَرۡيَمُ إِنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٖ مِّنۡهُ ٱسۡمُهُ ٱلۡمَسِيحُ ﴾ [ال عمران: ٤٥]
অর্থাৎ “(স্মরণ কর) যখন ফেরেশ্তাগণ বললেন, হে মারয়্যাম! নিশ্চয় আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তোমাকে একটি কালেমা (দ্বারা সৃষ্টসন্তানে)র সুসংবাদ দিচ্ছেন; যার নাম হবে মসীহ।” (আলে ইমরান ৪৫ আয়াত)