1/717 وَعَن أَبي سُلَيمَانَ مَالِكِ بنِ الحُوَيْرِثِ رضي الله عنه، قَالَ: أَتَيْنَا رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ، فَأقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً، وَكَانَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) رَحِيماً رَفِيقاً، فَظَنَّ أنَّا قَدِ اشْتَقْنَا أهْلَنَا، فَسَألَنَا عَمَّنْ تَرَكْنَا مِنْ أهْلِنَا، فَأخْبَرْنَاهُ، فَقَالَ: « ارْجِعُوا إِلَى أهْلِيكُمْ، فَأَقِيمُوا فِيهمْ، وَعَلِّمُوهُم وَمُرُوهُمْ، وَصَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِيْنِ كَذَا، وَصَلُّوا كَذَا فِي حِيْنِ كَذَا، فَإذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أكْبَرُكُمْ ». متفقٌ عَلَيْهِ .
زاد البخاري في رواية لَهُ: «وَصَلُّوا كَمَا رَأيْتُمُونِي أُصَلِّي » .
১/৭১৭। আবূ সুলায়মান মালেক ইবনে হুওয়াইরিস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রায় সমবয়স্ক কতিপয় নব যুবক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বিশ দিন অবস্থান করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত দয়ালু ও স্নেহপরবশ ছিলেন। তাই তিনি ধারণা করলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছি। সেহেতু তিনি আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারে কাকে ছেড়ে এসেছি? সুতরাং আমরা তাঁকে জানালে তিনি বললেন, ‘‘তোমরা তোমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মাঝেই বসবাস কর। তাদেরকে শিক্ষা দান কর এবং তাদেরকে (ভাল কাজের) আদেশ দাও। অমুক নামায অমুক সময়ে পড়। অমুক নামায অমুক সময়ে পড়। সুতরাং যখন নামাযের সময় হবে, তখন তোমাদের মধ্যে কেউ একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
বুখারীর বর্ণনায় এরূপ বাড়তিভাবে আছে যে, ‘‘আমাকে তোমরা যেভাবে নামায পড়তে দেখেছ, ঠিক সেইভাবেই নামায পড়।’’
2/718 وعن عُمَرَ بنِ الخطاب رضي الله عنه قال: اسْتَأْذَنْتُ النبي (صلى الله عليه و سلم) في الْعُمْرَةِ، فَأَذِنَ، وقال: « لا تنْسنَا يَا أخيَّ مِنْ دُعَائِك » فقالَ كَلِمَةً ما يَسُرُّني أَنَّ لِي بهَا الدُّنْيَا . وفي رواية قال: « أَشْرِكْنَا يَا أخَيَّ في دُعَائِكَ » رواه أبو داود، والترمذي وقال: حديث حسن صحيح .
২/৭১৮। উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উমরাহ করার অনুমতি চাইলাম। তিনি অনুমতি দিয়ে বললেনঃ প্রিয় ভাই আমার, তোমার দো‘আর সময় আমাদেরকে যেন ভুলো না। এমন বাক্য তিনি উচ্চারণ করলেন, যার বিনিময়ে সমস্ত পৃথিবীটা আমার হয়ে গেলেও তা আমার কাছে আনন্দদায়ক হিসাবে (গণ্য) নয়। অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ভাইয়া! তুমি আমাদেরকেও তোমার দো‘আয় শরীক রেখো। (আবু দাউদ ও তিরমিযি) দুর্বল।[2]
3/719 وَعَن سَالِمِ بنِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ: أنَّ عَبدَ اللهِ بنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، كَانَ يَقُولُ للرَّجُلِ إِذَا أرَادَ سَفَراً: اُدْنُ مِنِّي حَتَّى أُوَدِّعَكَ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) يُوَدِّعُنَا، فَيَقُولُ: « أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكَ، وَأمَانَتَكَ، وَخَواتِيمَ عَمَلِكَ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
৩/৭১৯। সালেম ইবন আব্দুল্লাহ ইবনে উমার হতে বর্ণিত, সফরকারীকে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলতেন, আমার নিকটবর্তী হও, তোমাকে ঠিক সেইভাবে বিদায় দেব, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিদায় দিতেন। সুতরাং তিনি বলতেন, ‘আস্তাউদি‘উল্লা-হা দীনাকা অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা ‘আমালিক।’ অর্থাৎ তোমার দ্বীন, তোমার সততা এবং তোমার কাজের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম। (তিরমিযী হাসান সহীহ)[3]
[1] সহীহুল বুখারী ৬২৮, ৬৩০, ৬৩১, ৬৫৮, ৬৭৭, ৬৮৫, ৮০২, ৮১৯, ৮২৩, ৮২৪, ২৮৪৮, ৬০০৮, ৭২৪৬, মুসলিম ৬৭৪, তিরমিযী ২০৫, ২৮৭, নাসায়ী ৬৩৪, ৬৩৫, ৬৬৯, ৭৮১, ১০৮৫, ১১৫১, ১১৫২, ১১৫৩, আবূ দাউদ ৫৮৯, ৮৪২, ৮৪৩, ৮৪৪, ইবনু মাজাহ ৯৭৯, আহমাদ ১৫১৭১, ২০০০৬, দারেমী ১২৫৩
[2] এটিকে আবূ দাঊদ (১৪৯৮) ও তিরমিযী (৩৫৬২) ও (ইবনু মাজাহ ২৮৯৪) বর্ণনা করেছেন আর তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন ‘‘মিশকাত’’ নং (২২৪৮) ও ‘‘য‘ঈফ আবী দাঊদ’’ নং (২৬৪)। হাদীসটি দুর্বল হওয়ার কারণ এই যে, বর্ণনাকারী আসেম ইবনু ওবাইদুল্লাহ্ দুর্বল। তাকে ইবনু আদী, ইবনু হাজার আসকালানী প্রমুখ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
[3] তিরমিযী ৩৪৪৩, ৩৪৪২