85- بَابُ حِفْظِ السِّرِّ
পরিচ্ছেদ – ৮৫: গোপনীয়তা রক্ষা করার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَوۡفُواْ بِٱلۡعَهۡدِۖ إِنَّ ٱلۡعَهۡدَ كَانَ مَسُۡٔولٗا﴾ [الاسراء: ٣٤]
অর্থাৎ “প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।” (সূরা বানী ইস্রাঈল ৩৪ আয়াত)
1/690 وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « إنَّ مِنْ أشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ القِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى الْمَرْأةِ وتُفْضِي إِلَيْهِ، ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا » رواه مسلم
১/৬৯০। আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই ব্যক্তি হবে, যে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে এবং স্ত্রী তার সঙ্গে মিলন করে। অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়।’’ (মুসলিম) [1]
2/691 وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّ عُمَرَ رضي الله عنه حِيْنَ تأيَّمَتْ بِنْتُهُ حَفْصَةُ، قَالَ: لَقِيتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفّانَ رضي الله عنه، فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ حَفْصَةَ، فَقُلْتُ: إنْ شِئْتَ أَنْكَحْتُكَ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ ؟ قَالَ: سأنْظُرُ فِي أمْرِي . فَلَبِثْتُ لَيَالِيَ ثُمَّ لَقِيَنِي، فَقَالَ: قَدْ بَدَا لِي أنْ لاَ أتَزَوَّجَ يَوْمِي هَذَا . فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرٍ رضي الله عنه، فَقُلتُ: إنْ شِئْتَ أنْكَحْتُكَ حَفْصَةَ بنْتَ عُمَرَ، فَصَمتَ أَبُو بَكْرٍ رضي الله عنه، فَلَمْ يَرْجِعْ إلَيَّ شَيْئاً ! فَكُنْتُ عَلَيْهِ أوْجَدَ مِنِّي عَلَى عُثْمَانَ، فَلَبِثَ لَيَالِيَ ثُمَّ خَطَبَهَا النَّبيُّ (صلى الله عليه و سلم)، فَأنْكَحْتُهَا إيَّاهُ. فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ: لَعَلَّكَ وَجَدْتَ عَلَيَّ حِيْنَ عَرَضْتَ عَلَيَّ حَفْصَةَ فَلَمْ أرْجِعْ إِلَيْكَ شَيْئاً؟ فَقُلتُ: نَعَمْ، قَالَ: فَإنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أرْجِعَ إِلَيْكَ فِيمَا عَرَضْتَ عَلَيَّ إِلاَّ أنِّي كُنْتُ عَلِمْتُ أنَّ النبيَّ (صلى الله عليه و سلم) ذَكَرَهَا، فَلَمْ أكُنْ ِلأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ الله (صلى الله عليه و سلم)، وَلَوْ تَرَكَهَا النَّبيُّ (صلى الله عليه و سلم) لَقَبِلْتُهَا . رواه البخاري
২/৬৯১। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত। যখন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর কন্যা হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বিধবা হয়ে গেলেন, তখন তিনি বললেন যে, আমি ‘উসমান ইবনে ‘আফ্ফানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং হাফসাকে বিবাহ করার জন্য দরখাস্ত দিয়ে তাঁকে বললাম, ‘আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বিবাহ আমি উমারের কন্যা হাফসার সাথে দিয়ে দিচ্ছি?’ তিনি বললেন, ‘আমি আমার (এ) ব্যাপারে বিবেচনা করব।’ সুতরাং আমি কয়েকটি রাত্রি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, ‘আমার এখন বিয়ে না করাটাই ভাল মনে করছি।’ (উমার বলেন,) অতঃপর আমি আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর সাথে দেখা করে বললাম, ‘যদি আপনি ইচ্ছা করেন, তাহলে আমি আপনার বিবাহ হাফসার সাথে দিয়ে দিই।’ আবূ বকর চুপ থাকলেন এবং কোন উত্তর দিলেন না। সুতরাং আমি ‘উসমান অপেক্ষা তাঁর প্রতি বেশী দুঃখিত হলাম। তারপর কয়েকটি রাত্রি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাকে বিবাহের পায়গাম দিলেন। ফলে আমি হাফসার বিবাহ তাঁর সাথেই দিয়ে দিলাম। তারপর আবূ বকর আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, ‘আপনি আমাকে হাফসাকে বিবাহ করার দরখাস্ত দিয়েছিলেন এবং আমি কোন উত্তর দিইনি। সেজন্য হয়তো আপনি আমার উপর দুঃখিত হয়েছেন? আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘আমার আপনাকে উত্তর না দেওয়ার কারণ এই ছিল যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে বিবাহ করার ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন। সুতরাং আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন কথা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলাম না। যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে বর্জন করতেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমি তাকে গ্রহণ করতাম।’ (বুখারী) [2]
[1] মুসলিম ১৪৩৭, আবূ দাউদ ৪৮৭০, আহমাদ ১১২৫৮
[2] সহীহুল বুখারী ৪০০৫, ৫১২২, ৫১২৫, ৫১৪৫, নাসায়ী ৩২৪৮, ৩২৫৯, আহমাদ ৭৫, ৪৭৯২