বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় এবং মুসলিমের বর্ণনায় আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পানির পাত্র চাইলেন। সুতরাং তাঁর জন্য প্রশস্ত একটি অগভীর পেয়ালা আনা হল, যাতে সামান্য পানি ছিল। তারপর তিনি স্বীয় আঙ্গুলগুলি ঐ পানিতে রাখলেন। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘আমি তাঁর আঙ্গুলসমুহের ফাঁক দিয়ে পানির ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হতে দেখছিলাম। অনুমান করে দেখলাম, ওযূকারীদের সংখ্যা প্রায় সত্তর থেকে আশিজনের মাঝামাঝি ছিল।’
2/779 وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ زَيدٍ رضي الله عنه، قَالَ: أتَانَا النَّبِيُّ (صلى الله عليه و سلم) فَأَخْرَجْنَا لَهُ مَاءً في تَوْرٍ مِنْ صُفْر فَتَوَضَّأَ. رواه البخاري
২/৭৭৯। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আমাদের নিকট এলেন। আমরা তাঁকে পিতলের একটি পাত্রে পানি দিলাম, তিনি (তা দিয়ে) ওযূ করলেন।’ (বুখারী)[1]
3/780 وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) دَخَلَ عَلَى رَجُلٍ مِن الأَنْصَارِ، وَمَعَهُ صَاحِبٌ لَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «إنْ كَانَ عِنْدَكَ مَاءٌ بَاتَ هذِهِ اللَّيْلَةَ في شَنَّةٍ وَإلاَّ كَرَعْنَا». رواه البخاري
৩/৭৮০। জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক আনসারীর নিকট গেলেন। আর তাঁর সঙ্গে একজন সাহাবীও ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘যদি তোমার মশকে রাতের বাসী পানি থাকে, তাহলে নিয়ে এসো; নচেৎ সরাসরি পানিতে মুখ লাগিয়ে পান করে নেব।’’ (বুখারী)[2]
4/781 وَعَن حُذَيفَةَ رضي الله عنه، قَالَ: إنَّ النَّبِيَّ (صلى الله عليه و سلم) نَهَانَا عَنِ الحَرِيرِ، وَالدِّيبَاجِ، وَالشُّربِ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالفِضَّةِ، وَقَالَ: «هِيَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا، وَهِيَ لَكُمْ فِي الآخِرَةِ ». متفقٌ عَلَيْهِ
৪/৭৮১। হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে পাতলা ও মোটা রেশমী কাপড় পরতে ও সোনা-রূপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি বলেছেন, ‘‘তা হল তাদের (কাফেরদের) জন্য দুনিয়ায় এবং তোমাদের (মুসলিমদের) জন্য আখেরাতে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[3]
5/782 وَعَن أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) قَالَ: « اَلَّذِيْ يَشْرَبُ فِي آنِيَةِ الفِضَّةِ، إنَّمَا يُجَرْجِرُ في بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ ». متفقٌ عَلَيْهِ .
وفي رواية لمسلم: « إنَّ الَّذِي يَأكُلُ أَوْ يَشْرَبُ في آنِيَةِ الفِضَّةِ وَالذَّهَبِ » .
وفي رواية لَهُ: « مَنْ شَرِبَ في إناءٍ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ، فَإنَّمَا يُجَرْجِرُ في بَطْنِهِ نَارَاً مِنْ جَهَنَّم».
৫/৭৮২। উম্মে সালামাহ্ রাদিয়াল্লাহু‘আনহা হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে, সে আসলে নিজ উদরে জাহান্নামের আগুন ঢক্ঢক্ করে পান করে।’’ (বুখারী)[4]
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যে ব্যক্তি সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করে…।’’
তাঁর অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যে ব্যক্তি সোনা অথবা রূপার পাত্রে পান করে, সে আসলে নিজ উদরে জাহান্নামের আগুন ঢক্ঢক্ করে পান করে।’’
[1] সহীহুল বুখারী ১৭৯, ১৮৫, ১৮৬, ১৯১, ১৯২, ১৯৭, ১৯৯, মুসলিম ২৩৫, তিরমিযী ৩২, নাসায়ী ৯৭, ৯৮, আবূ দাউদ ১১৮, ইবনু মাজাহ ৪৩৪, আহমাদ ১৫৯৯৬, ১৬০০৩, ১৬০১৭, ১৬০২৪, মুওয়াত্তা মালেক ৩২, দারেমী ৬৯৪
[2] সহীহুল বুখারী ৫৬১৩, ৫৬২১, আবূ দাউদ ৩৭২৪, ইবনু মাজাহ ৩৪৩২, আহমাদ ১৪১১০, ১৪২৯০, ১৪২৯৮, ১৪৪১১, দারেমী ২১২৩
[3] সহীহুল বুখারী ৫৪২৬, ৫৬৩২, ৫৬৩৩, ৫৮৩১, ৫৮৩৭, মুসলিম ২০৬৭, তিরমিযী ১৮৭৮, নাসায়ী ৫৩০১, আবূ দাউদ ৩৭২৩, ইবনু মাজাহ ৩৪১৪, ৩৫৯০, আহমাদ ২২৭৫৮, ২২৮০৩, ২২৮৪৮, ২২৮৫৫, ২২৮৬৫, ২২৮৯২, ২২৯২৭, ২২৯৫৪, দারেমী ২১৩০
[4] সহীহুল বুখারী ৫৬৩৪, মুসলিম ২০৬৫, ইবনু মাজাহ ৩৪১৩, আহমাদ ২৬০২৮, ২৬০৪২, ২৬০৫৫, ২৬০৭১, মুওয়াত্তা মালেক ১৭১৭, দারেমী ২১২৯