7/800 وَعَن أَبي جُرَيٍّ جَابِرِ بنِ سُلَيْمٍ رضي الله عنه، قَالَ: رَأَيْتُ رَجُلاً يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيهِ، لا يَقُولُ شَيْئاً إِلاَّ صَدَرُوا عَنْهُ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا ؟ قَالُوا: رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) . قُلْتُ: عَلَيْكَ السَّلامُ يَا رَسُولَ اللهِ – مَرَّتَينِ – قَالَ: « لاَ تَقُلْ: عَلَيْكَ السَّلامُ، عَلَيْكَ السَّلامُ تَحِيَّةُ المَوْتَى، قُلْ: السَّلامُ عَلَيْكَ ». قَالَ: قُلْتُ: أنْتَ رَسُولُ اللهِ ؟ قَالَ: « أنَا رَسُولُ اللهِ الَّذِي إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ، وَإِذَا أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ أَنْبَتَهَا لَكَ، وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرٍ أَوْ فَلاَةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ، فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ ». قَالَ: قُلْتُ: اِعْهَدْ إِلَيَّ. قَالَ: « لاَ تَسُبَّنَ أحَداً ». قَالَ: فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَهُ حُرّاً، وَلاَ عَبْداً، وَلاَ بَعِيراً، وَلاَ شَاةً، « وَلاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ المَعْرُوفِ شَيْئاً، وَأَنْ تُكَلِّمَ أخَاكَ وَأنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ، إنَّ ذَلِكَ مِنَ المَعْرُوفِ، وَارْفَعْ إزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، فَإنْ أبَيْتَ فَإلَى الكَعْبَينِ، وَإيَّاكَ وَإسْبَالَ الإِزَارِ فَإنَّهَا مِنَ المَخِيلَةِ. وَإنَّ اللهَ لاَ يُحِبُّ المَخِيلَةَ ؛ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلاَ تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ، فَإنَّمَا وَبَالُ ذَلِكَ عَلَيْهِ ». رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح، وقال الترمذي: «حديث حسن صحيح »
৭/৮০০। আবূ জুরাই জাবের ইবনে সুলাইম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম, যাঁর মতানুযায়ী লোকে কাজ করছে, তাঁর কথা তারা মেনে নিচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এ লোকটি কে?’ লোকেরা বলল, ‘ইনি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম।’ আমি তাঁকে ‘আলাইকাস সালাম ইয়া রাসূলাল্লাহ’ দু’বার বললাম। তিনি বললেন, ‘‘আলাইকাস সালাম’ বলো না। ‘আলাইকাস সালাম’ তো মৃতদের জন্য অভিবাদন বাণী। তুমি বলো ‘আসসালামু আলাইকা।’’
জাবের বলেন, আমি বললাম, ‘আপনি আল্লাহর রসূল?’ তিনি বললেন, ‘‘আমি সেই আল্লাহর রসূল, যে আল্লাহকে কোনো বিপদের সময় যদি ডাকো, তাহলে তিনি তোমার বিপদ দূর করে দেবেন। যদি দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে তাঁর কাছে প্রার্থনা কর, তাহলে তিনি তোমার জন্য যমীন থেকে ফসল উৎপাদন করবেন। কোন গাছপালা বিহীন জনশূন্য মরুভূমিতে তোমার বাহন হারিয়ে গেলে তুমি যদি তাঁর নিকট দো‘আ কর, তাহলে তিনি তোমার বাহন তোমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন।’’
জাবের বলেন, আমি বললাম, ‘আপনি আমাকে বিশেষ উপদেশ দান করুন।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি কাউকে কখনো গালি-গালাজ করো না।’’ সুতরাং তারপর থেকে আমি না কোন স্বাধীন-পরাধীন ব্যক্তিকে, না কোন উট আর না কোন ছাগলকে গালি দিয়েছি।
(দ্বিতীয় উপদেশ হচ্ছে এই যে,) ‘‘কোন পুণ্যকর্মকে তুচ্ছ জ্ঞান করো না। নিঃসন্দেহে সহাস্য বদনে কোন মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে তোমার বাক্যালাপ করা নেকীর কাজ। নিজ লুঙ্গি পায়ের অর্ধ রলা পর্যন্ত উঁচু রেখো। তা যদি মানতে না চাও, তাহলে গাঁট পর্যন্ত ঝুলাতে পার। লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরা থেকে দূরে থেকো। কেননা, এতে অহংকার জন্মায়। আর নিশ্চয় আল্লাহ অহংকারকে পছন্দ করেন না। যদি কেউ তোমাকে গালি দেয় অথবা এমন দোষ ধরে তোমাকে লজ্জা দেয়, যা তোমার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানে, তাহলে তুমি তার এমন দোষ ধরে তাকে লজ্জা দিয়ো না, যা তার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানো। যেহেতু তার কুফল তার উপরই বর্তাবে (তোমার উপর নয়)।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]
8/801 وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَمَا رَجُلٌ يُصَلِّى مُسْبِلٌ إِزَارَهُ، قَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « اِذْهَبْ فَتَوَضَّأْ » فَذَهَبَ فَتَوضَّأَ، ثُمَّ جَاءَ، فَقَالَ: «اِذْهَبْ فَتَوَضَّأْ » فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللهِ . مَالَكَ أَمَرْتَهُ أَن يَّتَوَضَّأَ ثُمَّ سَكَتَّ عَنْهُ ؟ قَالَ: «إِنَّهُ كَانَ يُصَلِّى وَهُوَ مُسْبِلٌ إِزَارَهُ، إِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ صَلَاةَ رَجُلٍ مُسْبِلٍ » .
৮/৮০১। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি (টাখনুর নীচে) লুঙ্গি ঝুলিয়ে সালাত পড়ছিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, যাও, পুনরায় ওযূ কর। সে আবার ওযূ করে করে এলো। তিনি আবার বললেনঃ যাও, পুনরায় ওযূ কর। একজন বললো, হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ! কেন আপনি তাকে ওযূ করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তারপর নীরবতা পালন করছেন? তিনি বললেনঃ এ লোক তার লুঙ্গি (টাখনুর নীচে) ঝুলিয়ে দিয়ে সালাত পড়ছিলো। অথচ আল্লাহ এমন ব্যক্তির সালাত কবূল করেন না, যে তার পায়জামা এরকম ঝুলিয়ে দিয়ে সালাত আদায় করে।[2]
[1] আবূ দাউদ ৪০৮৪, তিরমিযী ২৭২১, আহমাদ ১৫৫২৫
[2] এ সহীহ্ আখ্যা দানের ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। সে সম্পর্কে আমি ‘‘তাখরীজুল মিশকাত’’ গ্রন্থে (হাঃ নং ৭৬১) এবং ‘‘য‘ঈফু আবী দাঊদ’’ গ্রন্থে (নং ৯৬) ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। এর সনদের মধ্যে আবূ জা‘ফার নামে এক বর্ণনাকারী রয়েছেন তিনি অপরিচিত, তাকে চেনা যায় না। এ বর্ণনাকারী সম্পর্কে শাইখ আলবানী ‘‘য‘ঈফু আবী দাঊদ-আলউম্ম-’’ গ্রন্থে (নং ৯৬) বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আবূ দাউদ ৪০৮৬, ইবনুল কাত্তানও আবূ জাফারকে মাজহূল বলেছেন।