88- بَابُ اِسْتِحْبَابِ طِيْبِ الْكَلَامِ وَطَلَاقَةِ الْوَجْهِ عِنْدَ اللِّقَاءِ
পরিচ্ছেদ – ৮৮: মিষ্টি কথা বলা এবং হাসি মুখে সাক্ষাৎ করার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ۡ وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِلۡمُؤۡمِنِينَ ﴾ [الحجر: ٨٨]
অর্থাৎ “মু’মিনদের জন্য তুমি তোমার বাহুকে অবনমিত রাখ।” (সূরা হিজ্র ৮৮ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَلَوۡ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ ٱلۡقَلۡبِ لَٱنفَضُّواْ مِنۡ حَوۡلِكَۖ ﴾ [ال عمران: ١٥٩]
অর্থাৎ “আল্লাহর দয়ায় তুমি তাদের প্রতি হয়েছিলে কোমল-হৃদয়; যদি তুমি রূঢ় ও কঠোর চিত্ত হতে তাহলে তারা তোমার আশপাশ হতে সরে পড়ত।” (সূরা আলে ইমরান ১৫৯ আয়াত)
1/698 وَعَن عَدِيِّ بنِ حَاتِمٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ ». متفقٌ عَلَيْهِ
১/৬৯৮। আদী ইবনে হাতেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আধখানা খেজুর দান করে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে পার তবুও বাঁচ। যদি কোন ব্যক্তি এটাও না পায়, তাহলে সে যেন ভাল কথা বলে বাঁচে। (বুখারী ও মুসলিম) [1]
2/699 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: « وَالكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ ». متفقٌ عَلَيْهِ
২/৬৯৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ভাল কথা বলাও সাদকাহ। (বুখারী ও মুসলিম, বিস্তারিত হাদীস পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।) [2]
3/700 وَعَن أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «لاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئاً، وَلَوْ أنْ تَلْقَى أخَاكَ بوَجْهٍ طَلْقٍ». رواه مسلم
৩/৭০০। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘তুমি কোন ভাল কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পার।’’ (মুসলিম) (অর্থাৎ মুসলিম ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও একটি ভালো কাজ।) [3]