ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ
লিখেছেনঃ সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী
অনুবাদঃ মুহাম্মদ আবদুর রহীম
ইসলাম ও জাতীয়তা
জাতির সংজ্ঞাঃ
বর্বরতার সূচীভেদ্য অন্ধকারের মধ্যে থেকে সভ্যতার আলোকোজ্জ্বল পথের দিকে মানুষের প্রথম পদক্ষেপেই ‘বহু’র মধ্যে ঐক্যের ভাবধারা সৃষ্টি হয় এবং একই উদ্দেশ্য ও কল্যাণ ব্যবস্থার জন্য অসংখ্য মানুষের মিলিত হয়ে পারস্পারিক সহানুভূতি ও সহযোগিতার সাথে জীবন যাপন করা একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়ে।
সভ্যতার অগ্রগতি ও ক্রমবিকাশের সাথে সাথে এ সামগ্রিক ঐক্যের পরিধি অধিকতর প্রশস্ত ও সম্প্রসারিত হয়ে যায়। উত্তর কালে এমন একটা সময়ও আসে, যখন এক বিরাট সংখ্যক মানুষ তার অর্ন্তভূক্ত হয়ে পড়ে। বহুসংখ্যক মানুষের এ সমষ্টিকেই রাজনৈতিক পরিভাষায় বলা হয় ‘জাতি’। ‘জাতি’ এবং ‘জাতীয়তা’ শব্দ দুটো তাদের পারিভাষিক অর্থের দিক দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন আবিষ্কৃত হলেও মূলত যে অর্থে তা ব্যবহৃত হয়, তা মূল সভ্যতার মতোই প্রাচীন। মানব সমষ্টির যে রূপকে বর্তমানে ‘জাতি’ বা ‘জাতীয়তা’ নাম দেয়া হয়েছে আজিকার ফরাসী, ইংল্যাণ্ড, ইটালি প্রভৃতি জাতীয় দেশগুলোর ন্যায় প্রাচীন মিশর, রোম এবং গ্রীসেও তার অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিলো।
জাতীয়তার অপরিহার্য উপকরণ
জাতীয়তা প্রথমত এক নিষ্পাপ ও নিষ্কলংক ভাবধারা থেকে উদ্ভূত হয়, তাতে সন্দেহ নেই। এক সমষ্টির মানুষ নিজেদের মিলিত স্বার্থ ও কল্যাণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সম্মিলিতভাবে কাজ করবে এবং সামাজিক ও সামগ্রিক প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্যে এক জাতি হয়ে জীবন যাপন করবে-জাতি গঠনের মূলে এটাই হয় প্রথম উদ্দেশ্য। কিন্তু একটি জাতি গঠিত হওয়ার পর জাতীয় বিদ্বেষ ভাবের প্রচণ্ড প্রভাব তার উপর অনিবার্য রূপেই আবর্তিত হয়ে থাকে। এমনকি, এ জাতীয়তা ক্রমশ যতোই কঠিন ও সুদৃঢ় হয়ে উঠে, জাতীয়তার বিদ্বেষ ভাব এবং পার্থক্যবোধও ততোই প্রচণ্ড হয়ে উঠে। একটি জাতি যখন নিজের স্বার্থ লাভের এবং নিজেদের কল্যাণ ব্যবস্থা সংরক্ষণের জন্যে নিজেদেরকে পরস্পর ঐক্যসূত্রে গ্রথিত করে নেয়-অন্য কথায় নিজেদের চতুঃসীমায় জাতীয়তার দুর্ভেদ্য প্রাচীর স্থাপিত করে তখন উক্ত প্রাচীরের আভ্যন্তরীণ ও বহিরস্থ লোকদের পরস্পরের মধ্যে ‘আপন’ ও ‘পর’ বলে অবশ্যম্ভাবীরূপে পার্থক্য করবেই। প্রত্যেক ব্যাপারেই নিজেদেরকে অপরের উপর প্রাধান্য ও গুরুক্ত দিবেই। অপরের মুকাবিলায় নিজের প্রতিরক্ষা করবেই। উল্লিখিত ‘আপন’ ও ‘পরের’ পারস্পারিক স্বার্থে যদি কখনো সংঘাতের সৃষ্টি হয়,তখন এই জাতীয়তা নিজের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্যে প্রাণপন চেষ্টা করবে-অন্যের স্বার্থ বলি দিতেও তা বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হবে না। এসব কারণেই সেসবের মধ্যে যুদ্ধ হবে-সন্ধি হবে, কিন্তু এ শান্তি ও সংগ্রাম-উভয় অবস্থায়ই উভয়ের মধ্যে পর্বত সমান পার্থক্যসূচক প্রাচীর মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে। পরিভাষায় এ ভাবটিকেই বলা হয় জাতীয়তার অন্ধত্ব। জাতীয়তার এটা অবিচ্ছেদ্য বিশেষত্ব-সর্বাবস্থায় এটা জাতীয়তার সাথে অনিবার্য রূপে যুক্ত হয়ে থাকবেই, তাকে বিন্দুমাত্রও সংশয় নেই।
জাতি গঠনের মৌলিক উপাদান
ঐক্য ও সম্মিলনের বহু কারণের মধ্যে বিশেষ একটি জাতীয়তা প্রতিষ্ঠা হয়ে থাকে-সে যে কারণেই হোক না কেন। কিন্তু শর্ত এই যে, তাতে এমন বিরাট সংযোজক শক্তি বর্তমান থাকতে হবে-যা বিভিন্ন মানুষকে একই বাণী, একই চিন্তা ও মতবাদ, একই উদ্দেশ্য ও কর্মের জন্যে একত্রিত ও অনুপ্রাণিত করবে এবং একদিকে জাতির বিভিন্ন ও অসংখ্য অংশকে জাতীয়তার দুচ্ছেদ্য বন্ধনে বেঁধে-পরস্পর ওতপ্রোতভাবে বিজড়িত করে সকলকে এক সুদৃঢ় ও অটল পর্বতের ন্যায় মজবুত করে দিবে। অপরদিকে ব্যক্তির মন মস্তিষ্কের উপর এমন প্রভূত্ব করবে যে, সমগ্র জাতীয় স্বার্থের ব্যাপারে তারা যেন সকলেই একত্রি এবং প্রয়োজন হলে সর্বপ্রকার আত্মদানের জন্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়।
ঐক্য ও সংগঠনের অসংখ্য দিক থাকতে পারে, কিন্তু ঐতিহাসিক যুগের সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত যতো জাতীয়তাই প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তার মধ্যে ইসলামী জাতীয়তা ভিন্ন অন্যান্য সকল জাতীয়তারই ভিত্তি নিম্নলিখিত বিষয়ের কোনো এক প্রকার ঐক্যের উপর স্থাপিত হয়েছে। এবং অন্যান্য আরো বহুবিধ ঐক্য সাহায্যকারী হিসাবে তার সাথে মিলিত হয়েছেঃ
বংশের ঐক্যঃ এর ভিত্তিতে বংশীয় জাতীয়তা গঠিত হয়।
স্বদেশের ঐক্যঃ এর ভিত্তিতে অঞ্চল ভিত্তিক জাতীয়তা গড়ে উঠে।
ভাষার ঐক্যঃ এটা চিন্তা ও মতের ঐক্য বিধানের এক বলিষ্ঠ উপায় হওয়ার কারণে জাতি প্রতিষ্ঠার এর বিরাট প্রভাব রয়েছে।
বর্ণের ঐক্যঃ এটা একই বর্ণ বিশিষ্ট লোকদের মধ্যে আত্মীয়তার অনুভূতি জাগিয়ে দেয় এবং এ অনুভূতিই অধিকতর উন্নতি লাভ করে অন্যান্য বর্ণ বিশিষ্ট লোকদের থেকে স্বাতন্ত্র থাকার জন্যে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।
অর্থনৈতিক স্বার্থসাম্যঃ এটা এক ধরণের অর্থব্যবস্থার সাথে সংশিষ্ট লোকদেরকে অন্য প্রকার অর্থব্যবস্থার ধারক লোকদের সাথে পৃথক করে দেয়। এর ভিত্তিতে একে অপরের প্রতিকূলে স্বীয় অর্থনৈতিক অধিকার ও স্বার্থ লাভের জন্যে সংগ্রাম করে।
শাসন ব্যবস্থার ঐক্যঃ এটা একই রাজ্যের অধিবাসী প্রজাগণকে একই প্রকার শাসন-শৃংখলার সম্পর্ক সূত্রে সংযোজিত করে এবং অন্য রাষ্ট্রের প্রজা সাধারণের প্রতিকূলে দূরত্বের সীমা নির্ধারণ করে।
প্রাচীনতম কাল থেকে শুরু করে বিংশ শতকের এ উজ্জ্বলতম যুগ পর্যন্ত জাতিগঠনের যতো মৌলিক উপাদান সন্ধান করা সম্ভব হয়েছে, তার সবগুলোরই মধ্যে উলিখিত উপাদান নিশ্চিতরূপে পাওয়া যাবে।
আজ থেকে দু-তিন হাজার বছর পূর্বে গ্রীক, রোমক, ইসরাঈল ও ইরানী জাতীয়তাও উল্লেখিত মৌলিক উপাদানের ভিত্তিতেই স্থাপিত হয়েছিলো। আর অতি আধুনিককালের জার্মান, ইটালিয়ান, ফরাসী, ইংরেজ ও জাপান ইত্যাদি জাতীয়তাও ঠিক এসব ভিত্তির উপরই প্রতিষ্ঠিত।
বিপর্যের উৎসমূল
দুনিয়ার বিভিন্ন জাতীয়তার ভিত্তি স্বরূপ গৃহীত উল্লিখিত ঐক্যসমূহ অসংখ্য মানব গোষ্ঠীকে সংযোজিত ও সম্মিলিত করেছে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই সাথে এ ভিত্তিসমূহই যে গোটা মনুষ্যজাতির পক্ষে এক কঠিন ও মারাত্মক বিপদের উৎস হয়ে রয়েছে, তাও কেউ অস্বীকার করতে পারে না। এ ভিত্তি সমূহই বিশ্বমানবকে শত-সহস্র ভাগে বিভক্ত করেছে। আর সে বিভাগও এতোখানি নির্মমভাবে করা হয়েছে যে, তার একটি অংশকে ধ্বংসের মুলে ঠেলে দেয়া যেতে পারে, কিন্তু অপর অংশে সামান্য মাত্র পরিবর্তনেরও সূচনা করা সম্ভব হয় না। এক বংশ অন্য বংশে পরিবর্তিত হতে পারে না। এক ভাষাভাষী অন্য ভাষাভাষীরূপে বিবেচিত হতে পারে না। এক বর্ণ অন্য বর্ণে রূপান্তরিত হতে পারে না। এক জাতির অর্থনৈতিক স্বার্থ অন্য জাতির অর্থনৈতিক স্বার্থের সম্পূর্ণ সমান হতে পারে না। এক রাজ্য কখনো অন্য রাজ্য হতে পারে না। ফলকথা এই যে, উল্লিখিত ভিত্তিসমূহের উপর যেসব জাতীয়তা প্রতিষ্ঠা হবে, তার মধ্যে সন্ধি-সমঝোতার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকতে পারে না। জাতীয় বিদ্বেষের কারণে তারা পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিরোধ এবং প্রতিহিংসার এক চিরন্তন সংগ্রামে লিপ্ত হয়ে পড়ে। একে অপরকে পর্যুদস্ত করার জন্যে চেষ্টা করবেই। পরস্পর যুদ্ধ-লড়াই করে চিরদিনের তরে ধ্বংস হয়ে যেতেও প্রস্তুত হবে। অতঃপর এ ভিত্তিসমূহেরই উপর প্রতিষ্ঠিত নতুন জাতীয়তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এভাবে এটা দুনিয়ার বিপর্যয়, অশান্তি ও ধ্বংসকারিতার এক চিরন্তন আগ্নেয়গিরি হয়ে পড়ে। মূলত এটা আল্লাহ তা’য়ালার অভিশাপ, শয়তানের সর্বাপেক্ষা শাণিত হাতিয়ার, এটা দ্বারাই সে তার চিরন্তন দুশমনকে শিকার করে থাকে।
জাহেলী বিদ্বেষ
বস্তুত এরূপ জাতীয়তা স্বভাবতই মানুষের মধ্যে বর্বরতামূলক বিদ্বেষভাব জাগ্রত করে। এটা এক জাতিকে অন্য জাতির বিরোধীতা করার ও তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করার জন্যে প্রলুব্ধ করে। কারণ তা সম্পূর্ণ ভিন্ন জাতি। সত্য, সততা, নিরপেক্ষতা, সুবিচার ও ন্যায়পরায়নতার সাথে এ ধরণের জাতীয়তার কোনোই সম্পর্ক নেই। এক ব্যক্তি শুধু কৃষ্ণাঙ্গ হওয়াই শ্বেতাংগ ব্যক্তির দৃষ্টিতে ঘৃণিত হওয়ার জন্যে যথেষ্ট। এক ব্যক্তি এশিয়ার অধিবাসী বলে ইউরোপ বা আমেরিকাবাসীদের নিকট ঘৃণিত, অত্যাচারিত, নিষ্পেষিত ও অধিকার বঞ্চিত হতে একান্তভাবে বাধ্য। আইনস্টাইনের ন্যায় সুপণ্ডিত ব্যক্তি কেবল ইসরাঈল বংশজাত হওয়ার অপরাধেই জার্মান জাতির নিকট ঘৃণিত। তাশকীদী কৃষ্ণবর্ণ নিগ্রো ছিলো বলেই একজন ইউরোপীয় অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার অপরাধে তার রাজ্য কেড়ে নেয়া হলো।১ নিগ্রোদেরকে জীবন্ত দগ্ধীভূত করা আমেরিকার সভ্য নাগরিকদের পক্ষে কিছুমাত্র অপরাধের কাজ নয়, কারণ তারা নিগ্রো। জার্মান জাতি এবং ফরাসী জাতি পরস্পর পরস্পরকে ঘৃণা করতে পারে কারণ তারা দুটি স্বতন্ত্র জাতিতে বিভক্ত। এদের একজনের গুণাবলী অন্যের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ দোষ ও ত্রু“টি বলে নিরূপিত হয়। সীমান্তের স্বাধীন আফগানীদের আফগানী হওয়া এবং দামেশকের অধিবাসীদের আরব জাতির অন্তর্ভূক্ত হওয়া এমন একটা অপরাধ যে, কেবল এ কারণেই তাদের মাথার উপর বোমারু বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা এবং সে দেশের জনগণকে পাইকারীহারে হত্যা করা ইংরেজ ও ফরাসীদের পক্ষে একেবারে ন্যায়সংগত। কিন্তু ইউরোপের সুসভ্য (?) অধিবাসীদের উপর এরূপ বোমা নিক্ষেপ করাকে বর্বরতামূলক কাজ বলে তারা মনে করে। মোটকথা, এ ধরণের জাতীয় পার্থক্যই মানুষকে সত্য ও ইনসাফের দিক দিয়ে সম্পূর্ণরূপে অন্ধ করে দেয়। এবং ভবিষ্যতে এ কারণেই নৈতিকতা ও ভদ্রতার চিরন্তন মূলনীতিসমূহও জাতীয়তার ছাঁচে ঢেলে গঠিত হয়। কোথাও জুলুম, কোথাও মিথ্যা এবং কোথাও হীনতা সৌজন্য ও নৈতিক চরিত্রের মূলনীতি বলে নির্ধারিত হয়।
এ ব্যক্তির বংশ এক, অন্য ব্যক্তির বংশ আর এক; এক ব্যক্তি শ্বেতাঙ্গ, অন্য ব্যক্তি কৃষ্ণাঙ্গ; একজন নির্দিষ্ট কোনো পর্বতের পশ্চিম পাড়ে জন্মলাভ করেছে, অন্য ব্যক্তি তার পূর্বদিকে জন্ম গ্রহণ করেছে; এক ব্যক্তি এক ভাষায় কথা বলে, অন্য ব্যক্তি অপর কোনো ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে; এক ব্যক্তি রাষ্ট্রের অধিবাসী, অপর ব্যক্তি অন্য কোনো এক রাষ্ট্রের নাগরিক; কেবল এ কারণেই কি মানুষের মধ্যে পার্থক্য করা হবে? এবং একজন অযোগ্য, পাপী ও অসৎ ব্যক্তিকে কেবল এজন্যই একজন যোগ্য, সৎ ও সত্যানুসন্ধানীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিতে হবে? বাহ্যিক চামড়ার বর্ণ, আত্মার পরিচ্ছন্নতা ও মালিন্যের জন্যে দায়ী হতে পারে কি? নৈতিক চরিত্রের ভাল কিংবা মন্দ হওয়ার সাথে পর্বত বা নদী-সমুদ্রের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে বলে কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি কি স্বীকার করতে পারেন? প্রাচ্যের সত্য পাশ্চাত্য গিয়ে বাতিল ও মিথ্যা হয়ে যেতে পারে-একথা কি কোনো সুস্থ মস্তিষ্ক বিশিষ্ট ব্যক্তি সমর্থন করতে পারে? পূণ্য, সৌজন্য ও মনুষ্যত্বের সার বস্তু ধমণীর শোণিত ধারা, মুখের ভাষা, জন্মস্থান ও বাসস্থানের মাটির মানদণ্ডে পরিমাপ করা যায় বলে কোনো সুস্থ বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তি কি মেনে নিতে পারে? সকল মানুষই যে এ প্রশ্নগুলোর উত্তরে স্বতঃস্ফূর্ত সমবেতভাবে ‘না’ বলবে, তাতে আর বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। কিন্তু বংশ বা গোত্রবাদ, আঞ্চলিকতা এবং তার অন্য সহযোগী উল্লিখিত প্রশ্নাবলীর উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলারই দুঃসাহস করছে।