5/92 عَن أَنَسٍ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) أَخَذَ سَيفاً يَومَ أُحُدٍ، فَقَالَ: «مَنْ يَأخُذُ منِّي هَذَا ؟»فَبَسطُوا أيدِيَهُمْ كُلُّ إنسَانٍ مِنْهُمْ يقُولُ : أَنَا أَنَا . قَالَ: «فَمَنْ يَأخُذُهُ بحَقِّه ؟»فَأَحْجَمَ القَومُ، فَقَالَ أَبُو دُجَانَةَ رضي الله عنه: أنا آخُذُهُ بِحَقِّهِ، فَأَخَذَهُ فَفَلقَ بِهِ هَامَ المُشْرِكِينَ . رواه مسلم
৫/৯২। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, উহুদের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানি তরবারি হাতে নিয়ে বললেন, ‘আমার কাছ থেকে এই তরবারি কে নেবে?’ সাহাবীগণ নিজ নিজ হাত বাড়িয়ে দিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রত্যেকেই বলতে লাগলেন, ‘আমি, আমি।’ তিনি বললেন, ‘‘কে এর হক আদায়ের জন্য নেবে?’’ (এ কথা শুনে) সবাই থমকে গেলেন। অতঃপর আবূ দুজানা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘আমি এর হক আদায়ের জন্য নেব।’ তারপর তিনি তা নিয়ে নিলেন এবং তার দ্বারা মুশরিকদের শিরোচ্ছেদ করতে থাকলেন।[1]
6/93 عَنِ الزُّبَيرِ بنِ عَدِيّ، قَالَ : أَتَيْنَا أَنَسَ بنَ مَالِكٍ رضي الله عنه فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَلْقَى مِنَ الحَجَّاجِ . فَقَالَ : «اصْبرُوا ؛ فَإنَّهُ لاَ يَأتِي زَمَانٌ إلاَّ وَالَّذِي بَعدَهُ شَرٌّ مِنهُ حَتَّى تَلقَوا رَبَّكُمْ»سَمِعتُهُ مِنْ نَبِيِّكُمْ (صلى الله عليه و سلم) . رواه البخاري
৬/৯৩। যুবাইর ইবনে আদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমরা আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর নিকটে এলাম এবং তাঁর কাছে হাজ্জাজের অত্যাচারের অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, ‘তোমরা ধৈর্য ধারণ কর। কারণ, এখন যে যুগ আসবে তার পরবর্তী যুগ ওর চেয়ে খারাপ হবে, শেষ পর্যন্ত তোমরা তোমাদের প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,) ‘এ কথা আমি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে শুনেছি।’[2]
7/94 عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) قَالَ: «بَادِرُوْا بِالأَعْمَالِ سَبْعاً، هَلْ تَنْتَظُرُوْنَ إلاَّ فَقْراً مُنْسِياً، أَوْ غَنِيٌ مُطْغِياً، أَوْ مَرَضاً مُفْسِداً، أَوْ هَرَماً مُفْنِداً أَوْمَوْتاً مُجْهِزاً أَوِ الدَّجَّالَ فَشَرُّ غَائِبٌ يُنْتَظِرُ، أَوِ السَّاعَةُ فَالسَّاعَةُ أَدْهٰى وأَمَرُّ» رواه الترمذي وقال: حديثٌ حسن .ٰ
৭/৯৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাতটি জিনিসের পূর্বেই তোমরা জলদি সব কর্ম করে ফেল। তোমরা কি অপেক্ষায় থাকবে যে, এমন দারিদ্র এসে যাক ইসলামের আদেশ পালন হতে যা বিস্মৃত রাখে? অথবা এমন ধন-দৌলত হোক যা ইসলাম দ্রোহিতার দিকে ধাবিত করে? অথবা এমন ব্যাধি হোক যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়? অথবা এমন বার্ধক্য আসুক যা জ্ঞান বিনষ্ট করে? অথবা হঠাৎ মরণ এসে যাক, অদৃশ্য দুই দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ ঘটুক অথবা কিয়ামাত এসে যাক? আর কিয়ামাত তো নিতান্তই বিভীষিকাময় ও তিক্ত।[3]
8/95 عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أن رَسُولَ الله (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ يَومَ خَيبَر: «لأُعْطِيَنَّ هذِهِ الرَّايَةَ رَجُلاً يُحِبُّ اللهَ وَرَسُولَهُ يَفتَحُ اللهُ عَلَى يَدَيهِ» قَالَ عُمَرُ رضي الله عنه: مَا أحبَبْتُ الإِمَارَة إلاَّ يَومَئِذٍ، فَتَسَاوَرتُ لَهَا رَجَاءَ أنْ أُدْعَى لَهَا، فَدَعَا رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم) عَلِيَّ بنَ أبِي طَالِبٍ رضي الله عنه فَأعْطَاهُ إيَّاهَا، وَقَالَ: «امْشِ وَلا تَلتَفِتْ حَتَّى يَفتَحَ اللهُ عَلَيكَ» فَسَارَ عليٌّ شيئاً ثُمَّ وَقَفَ وَلَمْ يَلتَفِتْ فَصَرَخَ : يَا رَسُولَ الله، عَلَى مَاذَا أُقَاتِلُ النّاسَ ؟ قَالَ: «قاتِلْهُمْ حَتَّى يَشْهَدُوا أنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، وَأنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ الله، فَإِذَا فَعَلُوا فقَدْ مَنَعُوا مِنْكَ دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إلاَّ بحَقِّهَا، وحِسَابُهُمْ عَلَى الله». رواه مسلم
৮/৯৫। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের দিন বললেন, ‘‘নিশ্চয় আমি, এই পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দেব যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসে। আল্লাহ তা‘আলা তার হাতে বিজয় দান করবেন।’’ উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘আমি কখনো কর্তৃত্বভার গ্রহণের ইচ্ছা করিনি (কিন্তু সেদিনই আমার বাসনা হল)। সুতরাং আমি এই আশাতে উঠে উঁচু হয়ে দাঁড়াতে থাকলাম; যেন আমাকে এর জন্য ডাকা হয়।’ অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী ইবন আবী তালেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-কে ডাকলেন। তারপর তিনি তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিয়ে বললেন, ‘‘তুমি চলতে শুরু কর এবং কোন দিকে তাকাবে না; যে পর্যন্ত না আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে বিজয় দান করবেন।’’ অতঃপর আলী কিছু দূর গিয়ে থেমে গেলেন এবং কোন দিকে না তাকিয়ে উঁচু আওয়াজে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি কিসের জন্য লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব?’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি সে পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যে পর্যন্ত তারা এ কথার সাক্ষ্য না দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (কেউ সত্য) উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রাসূল। যখন তারা এ কাজ করবে তখন নিঃসন্দেহে তাদের জান ও মালকে তোমার হাত হতে বাঁচিয়ে নেবে। কিন্তু তার অধিকারের সাথে (অর্থাৎ সে যদি কোন মুসলিমকে হত্যা করে, তাহলে প্রতিশোধ স্বরূপ তাকে হত্যা করা বৈধ হবে এবং সে যদি কারোর মাল ছিনিয়ে নেয় অথবা যাকাত না দেয়, তাহলে সে মাল তার কাছ থেকে আদায় করা জরুরী।) আর তাদের হিসাব আল্লাহর দায়িত্বে।’’[4]
[1] মুসলিম ২৪৭০, আহমাদ ১১৮২৬
[2] সহীহুল বুখারী ৭০৬৮, তিরমিযী ২২০৬, আহমাদ ১১৯৩৮, ১২৪০৬, ১২৪২৭
[3] হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান। কিন্তু হাদীসটি হাসান নয় বরং দুর্বল। আমি (আলবানী) বলছিঃ এর সনদে দুর্বলতা রয়েছে আর এ সম্পর্কে আমি ‘‘সিলসিলাহ্ য‘ঈফা’’ গ্রন্থে (নং ১৬৬৬) ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। আমি এর কোন শাহেদ পাচ্ছি না। তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত সনদে মুহরিয ইবনু হারূন নামক এক বর্ণনাকারী রয়েছেন তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। অন্য একটি সূত্রে এ মুহরিয না থাকলেও সেটির মধ্যে নাম উল্লেখ না করা এক অজ্ঞাত ব্যক্তি হতে মা‘মার বর্ণনা করেছেন আর সে অজ্ঞাত ব্যক্তি মাকবূরী হতে বর্ণনা করেছেন। ফলে অন্য সূত্রটিও এ মাজহূল বর্ণনাকারীর কারণে দুর্বল।
[4] মুসলিম ২৪০৫