[1]
2/62 عَنْ أَبِي ذَرٍّ جُنْدُبِ بنِ جُنادَةَ وأبي عَبدِ الرحمانِ مُعاذِ بنِ جَبَلٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا، عَن رَّسُولِ الله (صلى الله عليه و سلم) قَالَ: «اتَّقِ الله حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبعِ السَّيِّئَةَ الحَسَنَةَ تَمْحُهَا، وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ». رواه الترمذي، وَقالَ: «حديث حسن»
২/৬২। আবূ যার্র জুন্দুব ইবন জুনাদাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও মু‘আয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তুমি যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহকে ভয় কর এবং পাপের পরে পুণ্য কর, যা পাপকে মুছে ফেলবে। আর মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর।’’[2]
3/63 عَن ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ : كُنتُ خَلفَ النَّبيّ (صلى الله عليه و سلم) يَوماً، فَقَالَ: «يَا غُلامُ، إنِّي أعلّمُكَ كَلِمَاتٍ : احْفَظِ اللهَ يَحْفَظْكَ، احْفَظِ اللهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ، إِذَا سَألْتَ فَاسأَلِ الله، وإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ باللهِ، وَاعْلَمْ : أنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إلاَّ بِشَيءٍ قَدْ كَتَبهُ اللهُ لَكَ، وَإِن اجتَمَعُوا عَلَى أنْ يَضُرُّوكَ بِشَيءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إلاَّ بِشَيءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللهُ عَلَيْكَ، رُفِعَتِ الأَقْلاَمُ وَجَفَّتِ الصُّحفُ». رواه الترمذي، وَقالَ : «حديث حسن صحيح»
وفي رواية غيرِ الترمذي: «احْفَظِ الله تَجِدْهُ أَمَامَكَ، تَعرَّفْ إِلَى اللهِ في الرَّخَاءِ يَعْرِفكَ في الشِّدَّةِ، وَاعْلَمْ : أنَّ مَا أَخْطَأكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبكَ، وَمَا أصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ، وَاعْلَمْ : أنَّ النَّصْرَ مَعَ الصَّبْرِ، وَأَنَّ الفَرَجَ مَعَ الكَرْبِ، وَأَنَّ مَعَ العُسْرِ يُسْراً».
৩/৬৩। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি একদা (সওয়ারীর উপর) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে (বসে) ছিলাম। তিনি বললেন, ‘‘ওহে কিশোর! আমি তোমাকে কয়েকটি (গুরুত্বপূর্ণ কথা শিক্ষা দেব (তুমি সেগুলো স্মরণ রেখো)। তুমি আল্লাহর (বিধানসমূহের) রক্ষণাবেক্ষণ কর (তাহলে) আল্লাহও তোমার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তুমি আল্লাহর (অধিকারসমূহ) স্মরণ রাখো, তাহলে তুমি তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে। যখন তুমি চাইবে, তখন আল্লাহর কাছেই চাও। আর যখন তুমি প্রার্থনা করবে, তখন একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা কর। আর এ কথা জেনে রাখ যে, যদি সমগ্র উম্মত তোমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই উপকার করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার (তাকদীরে) লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার (তাকদীরে) লিখে রেখেছেন। কলমসমূহ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং খাতাসমূহ (তাকদীরের লিপি) শুকিয়ে গেছে।’’[3]
তিরমিযী ব্যতীত অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ‘‘আল্লাহর (অধিকারসমূহের) খিয়াল রাখ, তাহলে তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে। সুখের সময় আল্লাহকে চেনো, তবে তিনি দুঃখ ও কষ্টের সময় তোমাকে চিনবেন। আর জেনে রাখ যে, তোমার ব্যাপারে যা ভুলে যাওয়া হয়েছে (অর্থাৎ যে সুখ-দুঃখ তোমার তাকদীরে নেই), তা তোমার নিকট পৌঁছবে না। আর যা তোমার নিকট পৌঁছবে, তাতে ভুল হবে না। আর জেনে রাখ যে, বিজয় বা সাহায্য আছে ধৈর্যের সাথে, মুক্তির উপায় আছে কষ্টের সাথে এবং কঠিনের সঙ্গে সহজ জড়িত আছে।’’
4/64 عَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ : إِنَّكُمْ لَتَعمَلُونَ أَعْمَالاً هِيَ أدَقُّ في أعيُنِكُمْ مِنَ الشَّعْرِ، كُنَّا نَعُدُّهَا عَلَى عَهْدِ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم) مِنَ المُوبِقاتِ . رواه البخاري
৪/৬৪। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু (তাঁর যুগের লোকদেরকে সম্বোধন ক’রে) বলেছেন যে, ‘তোমরা বহু এমন (পাপ) কাজ করছ, সেগুলো তোমাদের দৃষ্টিতে চুল থেকেও সূক্ষ্ম (নগণ্য)। কিন্তু আমরা সেগুলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে বিনাশকারী মহাপাপ বলে গণ্য করতাম।’[4]
[1] মুসলিম ৮, তিরমিযী ২৬১০, নাসায়ী ৪৯৯০, আবূ দাউদ ৪৬৯৫, ইবনু মাজাহ ৬৩, আহমাদ ১৮৫, ১৯২, ৩৬৯, ৩৭৬, ৫৮২২
[2] তিরমিযী ১৯৮৭, আহমাদ ২০৮৪৭, ২০৮৯৪, ২১০২৬, দারেমী ২৭৯১
[3] তিরমিযী ২৫১৬ (তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ), আহমাদ ২৬৬৪, ২৭৫৮, ২৮০০
[4] সহীহুল বুখারী ৬৪৯২, আহমাদ ১২১৯৩, ১৩৬২৫