7/67 عَنْ أبِيْ يَعْلٰى شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ رضي الله عنه عَنْ الَّنَّبِيِّ (صلى الله عليه و سلم) قَالَ: «الكَيِّسُ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ، وَعَمِلَ لِما بَعْدَ الْموْتِ، وَالْعَاجِزُ مَنْ أَتْبَعَ نَفْسَهُ هَواهَا، وتمَنّٰى عَلَى اللهِ الْأَمَانِيْ»رواه التِّرْمِذيُّ وقالَ حديثٌ حَسَنٌ
৭/৬৭। শাদ্দাদ ইবন আওস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : সে ব্যক্তি জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন, যে তার নিজের আত্মপর্যালোচনা করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য (নেক) আমল করে। আর ঐ লোক দুর্বল যে স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, আবার আল্লাহর কাছে অবাস্তব আশা পোষণ করে।[1]
8/68 عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم): «مِنْ حُسْنِ إسْلامِ المَرْءِ تَرْكُهُ مَا لا يَعْنِيهِ» حديث حسن رواه الترمذي وغيرُه.
৮/৬৮। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘মানুষের ইসলামের সৌন্দর্য (অর্থাৎ তার উত্তম মুসলিম হওয়ার একটি চিহ্ন) হল অনর্থক (কথা ও কাজ) বর্জন করা।’’[2] (হাসান হাদীস, তিরমিযী প্রমুখ)
9/69 عَنْ عُمَرَ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ (صلى الله عليه و سلم) قَالَ: «لَا يُسْأَلُ الرَّجُلُ فِيْمَ ضَرَبَ اِمْرَأَتَهُ»رواه أبو داود وغيرُه .
৯/৬৯। উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন: “কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে কি জন্য প্রহার করেছে তা নিয়ে (যথাযথ কর্তৃপক্ষ ছাড়া অন্য কারও পক্ষ থেকে) প্রশ্ন করা যাবে না।” (কারণ এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার প্রাইভেসী লঙ্ঘন হয়) আবূ দাউদ ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ এটি বর্ণনা করেছেন। আবূ দাউদ ও ইবনু মাজাহ।[3]
[1] হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান। কিন্তু আসলে হাদীসটি দুর্বল। হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী ছাড়াও ইমাম আহমাদ, হাকিম ও ত্ববারানী বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির কোন সূত্রই দুর্বল বর্ণনাকারী হতে মুক্ত নয়। মুসনাদু আহমাদে বর্ণিত সূত্রে আবূ বাক্র ইবনু আবী মারইয়াম নামক এক বর্ণনাকারী রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন : … তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না …। ইবনু হাজার বলেন : তিনি দুর্বল। তার বাড়িতে চুরি সংঘটিত হওয়ার পর থেকে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। [‘‘সিলসিলা য‘ঈফা’’ গ্রন্থের (২১১০) নম্বর হাদীসে তার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে]। এছাড়া আরো অনেকেই তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর অন্য সূত্রে ইবরাহীম ইবনু আমর ইবনে বাক্র সাকসাকী রয়েছেন যাকে দারাকুতনী মাতরূক আখ্যা দিয়েছেন আর ইবনু হিববান তার সম্পর্কে বলেছেন : তিনি তার পিতার উদ্ধৃতিতে বানোয়াট বহু কিছু বর্ণনা করেছেন। তার পিতাও কিছুই না। [বিস্তারিত দেখুন ‘‘সিলসিলা য‘ঈফা’’ (৫৩১৯)]
[2] তিরমিযী ২৩১৭, ইবনু মাজাহ ৩৯৭৬।
[3] আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসের সনদ দুর্বল। এ সম্পর্কে আমি ‘‘ইরওয়াউল গালীল’’ গ্রন্থে (২০৩৪) বিস্তারিত আলোচনা করেছি। হাদীসটিকে আবূ দাঊদ (২১৪৭), নাসায়ী ‘‘আলকুবরা’’ গ্রন্থে, ইবনু মাজাহ্ (১৯৮৬), বাইহাক্বী ও আহমাদ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু বর্ণনাকারী আব্দুর রহমান মাসলামীর কারণে হাদীসটি দুর্বল। তার সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ তাকে শুধুমাত্র এ হাদীসেই চেনা যায়। তার থেকে শুধুমাত্র দাঊদ ইবনু আব্দিল্লাহ্ আওদী এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আর শাইখ আহমাদ শাকের ‘‘মুসনাদু আহমাদ’’ এর টীকায় দাউদ ইবনু আব্দিল্লাহ্ আওদীকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তা সঠিক নয়। কারণ দুর্বল হচ্ছেন দাঊদ ইবনু ইয়াযীদ আওদী, যিনি এ সনদে নেই।