15- بَابُ الْمُحَافَظَةِ عَلَى الْأَعْمَالِ
পরিচ্ছেদ – ১৫ : আমলের রক্ষণাবেক্ষণ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ۞أَلَمۡ يَأۡنِ لِلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَن تَخۡشَعَ قُلُوبُهُمۡ لِذِكۡرِ ٱللَّهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ ٱلۡحَقِّ وَلَا يَكُونُواْ كَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلُ فَطَالَ عَلَيۡهِمُ ٱلۡأَمَدُ فَقَسَتۡ قُلُوبُهُمۡۖ ﴾ [الحديد: ١٦]
অর্থাৎ “যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে তাদের সময় কি আসেনি যে, আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের হৃদয় ভক্তি-বিগলিত হবে? এবং পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের মত তারা হবে না? বহুকাল অতিক্রান্ত হয়ে গেলে যাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়েছিল।” (সূরা হাদীদ ১৬ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَقَفَّيۡنَا بِعِيسَى ٱبۡنِ مَرۡيَمَ وَءَاتَيۡنَٰهُ ٱلۡإِنجِيلَۖ وَجَعَلۡنَا فِي قُلُوبِ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُ رَأۡفَةٗ وَرَحۡمَةٗۚ وَرَهۡبَانِيَّةً ٱبۡتَدَعُوهَا مَا كَتَبۡنَٰهَا عَلَيۡهِمۡ إِلَّا ٱبۡتِغَآءَ رِضۡوَٰنِ ٱللَّهِ فَمَا رَعَوۡهَا حَقَّ رِعَايَتِهَاۖ ﴾ [الحديد: ٢٧]
অর্থাৎ “অতঃপর আমি তাদের অনুগামী করেছিলাম আমার রাসূলগণকে এবং অনুগামী করেছিলাম মারয়্যাম তনয় ঈসাকে আর তাকে দিয়েছিলাম ইঞ্জীল এবং তার অনুসারীদের অন্তরে দিয়েছিলাম করুণা ও দয়া; কিন্তু সন্ন্যাসবাদ এটা তো তারা নিজেরা প্রবর্তন করেছিল, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের বিধান ছাড়া আমি তাদেরকে এ (সন্ন্যাসবাদে)র বিধান দিইনি; অথচ এটাও তারা যথাযথভাবে পালন করেনি।” (সূরা হাদীদ ২৭ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَلَا تَكُونُواْ كَٱلَّتِي نَقَضَتۡ غَزۡلَهَا مِنۢ بَعۡدِ قُوَّةٍ أَنكَٰثٗا ﴾ [النحل: ٩٢]
অর্থাৎ “তোমরা সে নারীর মত হয়ো না, যে তার সুতা মজবুত করে পাকাবার পর ওর পাক খুলে নষ্ট করে দেয়।” (সূরা নাহ্ল ৯২ আয়াত)
তিনি অন্যত্রে বলেছেন,
﴿ وَٱعۡبُدۡ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأۡتِيَكَ ٱلۡيَقِينُ ٩٩ ﴾ [الحجر: ٩٩]
অর্থাৎ “আর তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার রবের ইবাদত কর।” (সূরা হিজর ৯৯ আয়াত)
এ মর্মের অন্যতম হাদীস আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহ-র হাদীস, ‘‘সেই আমল তাঁর নিকট প্রিয়তম ছিল, যা তার আমলকারী লাগাতার করে থাকে।’’ যা পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদে গত হয়েছে।
1/157 وَعَن عُمَرَ بنِ الخطَّابِ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم): «مَنْ نَامَ عَنْ حِزْبهِ مِنَ اللَّيلِ، أَوْ عَنْ شَيءٍ مِنْهُ، فَقَرَأَهُ مَا بَيْنَ صَلاةِ الفَجْرِ وَصَلاةِ الظُّهْرِ، كُتِبَ لَهُ كَأَنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيلِ». رواه مسلم
১/১৫৭। উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার রাতের অযীফা (নামায বা তেলাওয়াত ইত্যাদি) রেখে ঘুমিয়ে যায়, অতঃপর সে তা ফজর ও যোহরের মধ্য সময়ে পড়ে নেয়, তাহলে তার জন্য রাতে পড়ার মতই (সওয়াব) লেখা হয়।’’[1]
2/158 وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمْرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم): «يَا عبدَ اللهِ، لاَ تَكُنْ مِثْلَ فُلان، كَانَ يَقُومُ اللَّيلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيلِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
২/১৫৮। আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘হে আব্দুল্লাহ! তুমি অমুক লোকের মত হয়ো না, যে রাতে নফল নামায পড়ত, অতঃপর তা ছেড়ে দিয়েছে।’’[2]
3/159 وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنهَا، قَالَتْ : كَانَ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم) إِذَا فَاتَتْهُ الصَّلاةُ مِنَ اللَّيلِ مِنْ وَجَعٍ أَوْ غَيرِهِ، صَلَّى مِنَ النَّهارِ ثنْتَيْ عَشرَةَ رَكْعَةً. رواه مسلم
৩/১৫৯। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন যে, ‘যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাতের নামায কোনো ব্যথা-বেদনা অথবা অন্য কোন কারণে ছুটে যেত, তখন তিনি দিনে বার রাকআত নামায পড়ে নিতেন।’[3] (মুসলিম)
[1] মুসলিম ৭৪৭, তিরমিযী ৪০৩, নাসায়ী ১৭৯০, ১৭৯১, ১৭৯২, আবূ দাউদ ১৩১৩, ইবনু মাজাহ ১৩৪৩, আহমাদ ২২০, ৩৭৯, ৪৫,মুওয়াত্তা মালেক -৪৭০, দারেমী ১৪৭৭
[2] বুখারী ১১৫২, ১১৩১, ১১৫৩, ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৭৯, ১৯৮০, ৩৪১৮, ৩৪১৯, ৩৪২০, ৫০৫২, ৫০৫৩, ৫০৫৪, ৫১৯৯, ৬১৩৪, ৬২৭৭, মুসলিম ১১৫৯, তিরমিযী ৭৭০, নাসায়ী ১৬৩০, ২৩৪৪, ২৩৮৯, ২৩৯০, ২৩৯১, ২৩৯২, ২৩৯৩, ২৩৯৪, ২৩৯৭, ২৩৯৯, ২৪০০, ২৪০১, ২৪০২, ২৪০৩, আবূ দাউদ ১৩৮৮, ১৩৮৯, ১৩৯০, ১৩৯১, ২৪২৭, ২৪৪৮, ইবনু মাজাহ ১৩৪৬, ১৭১২, আহমাদ ৬৪৪১, ৬৪৫৫, ৬৪৮০, ৬৭২৫, ৬৭৫০, ৬৭৯৩, ৬৮০২, ৬৮২৩, দারেমী ১৭৫২, ৩৪৮৬
[3] মুসলিম ৭৪৬, তিরমিযী ৪৪৫, ৭৩৬, ৭৬৮, নাসায়ী ১৩১৫, ১৬০১, ১৬৪১, ১৬৪১, ১৬৫১, ১৭১৮, আবূ দাউদ ৫৬, ১৩৪২, ১৩৪৬, ১৩৫০, ১৩৫১, ইবনু মাজাহ ১১৯১, ১৩৪৮, ১৭১০, ৪২৩৮, আহমাদ ২৩৭৪৮, ২৪৭৮৯, ২৫৫২২, ২৫৬৮৭, ২৫৭৭৮