16/332. وَعَن أَبي سُفيَانَ صَخرِ بنِ حَربٍ رضي الله عنه في حَديثِهِ الطويل في قِصَّةِ هِرَقْلَ: أنَّ هِرَقْلَ قَالَ لأَبِي سُفْيَانَ: فَمَاذَا يَأمُرُكُمْ بِهِ؟ يَعْنِي النَّبيّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: قُلْتُ: يَقُولُ: « اعْبُدُوا اللهَ وَحْدَهُ، وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيئاً، واتْرُكُوا مَا يَقُولُ آبَاؤُكُمْ، وَيَأمُرُنَا بِالصَّلاةِ، وَالصِّدْقِ، والعَفَافِ، والصِّلَةِ»مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
১৬/৩৩২। আবূ সুফিয়ান সাখর ইবনে হারব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে (রোম-সম্রাট) হিরাক্লিয়াসের ঘটনা সম্পর্কিত দীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত, হিরাক্লিয়াস আবূ সুফিয়ানকে বললেন, ‘তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদেরকে কী নির্দেশ দেন?’ আবূ সুফিয়ান বলেন, আমি বললাম, ‘তিনি বলেন, ‘‘তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর এবং তার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না এবং তোমাদের বাপ-দাদার ভ্রান্ত পথ পরিত্যাগ কর।’’ আর তিনি আমাদেরকে নামায পড়ার, সত্যবাদিতার, চারিত্রিক পবিত্রতার এবং আত্মীয়তা বজায় রাখার আদেশ দেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
17/333. وَعَن أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «إنَّكُمْ سَتَفْتَحُونَ أرْضاً يُذْكَرُ فِيهَا القِيرَاطُ» . وفي رِوَايَةٍ: «سَتَفْتَحُونَ مِصْرَ وَهِيَ أرْضٌ يُسَمَّى فِيهَا القِيراطُ، فَاسْتَوْصُوا بأهْلِهَا خَيْراً ؛ فَإنَّ لَهُمْ ذِمَّةً وَرَحِماً»وفي رواية: «فَإِذَا افتَتَحتُمُوهَا، فَأَحسِنُوا إِلَى أَهلِهَا ؛ فَإِنَّ لَهُم ذِمَّةً وَرَحِماً»، أَوْ قَالَ: «ذِمَّةً وصِهْراً». رواه مسلم
১৭/৩৩৩। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা অদূর ভবিষ্যতে এমন এক এলাকা জয় করবে, যেখানে ক্বীরাত্ব (এক দীনারের ২০ ভাগের একভাগ স্বর্ণমুদ্রা) উল্লেখ করা হয়।’’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমরা অচিরে মিসর জয় করবে এবং এটা এমন ভূখণ্ড যেখানে কীরাত্ব (শব্দ) সচরাচর বলা হয়। (সেখানে ঐ মুদ্রা প্রচলিত।) তোমরা তার অধিবাসীদের সাথে ভাল ব্যবহার করো। কেননা, তাদের প্রতি (আমাদের) দায়িত্ব (অধিকার ও মর্যাদা) এবং আত্মীয়তা রয়েছে।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘সুতরাং যখন তোমরা তা জয় করবে, তখন তার অধিবাসীর প্রতি সদ্ব্যবহার করো। কেননা, তাদের প্রতি (আমাদের) দায়িত্ব (অধিকার ও মর্যাদা) এবং আত্মীয়তা রয়েছে।’’ অথবা বললেন, ‘‘দায়িত্ব (অধিকার ও মর্যাদা) এবং বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে।’’ (মুসলিম)[2]
* আলেমগণ বলেন, তাদের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আত্মীয়তা এভাবে যে, ইসমাঈল -এর মা হাজার (বা হাজেরা) তাদেরই বংশের ছিলেন। বৈবাহিক সম্পর্ক এভাবে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পুত্র ইব্রাহীমের মা মারিয়াহ তাদের বংশের ছিলেন।
18/334. وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : لَمَّا نَزَلَت هَذِهِ الآيَةُ : ﴿ وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ ٢١٤ ﴾ [الشعراء: ٢١٤] دَعَا رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم) قُرَيْشاً، فَاجْتَمَعُوا فَعَمَّ وَخَصَّ، وَقالَ: «يَا بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، يا بَنِي كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ، أنقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي مُرَّةَ بنِ كَعْبٍ، أنْقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي عَبْدِ مَنَاف، أنْقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي هَاشِم، أَنقِذُوا أَنفُسَكُم مِنَ النَّار، يَا بَني عَبدِ الْمُطَّلِب، أَنقِذُوا أَنفُسَكُم مِنَ النَّار، يَا فَاطِمَةُ، أنْقِذِي نَفْسَكِ مِنَ النَّارِ . فَإنِّي لاَ أمْلِكُ لَكُمْ مِنَ اللهِ شَيئاً، غَيْرَ أنَّ لَكُمْ رَحِماً سَأبُلُّهَا بِبِلالِهَا». رواه مسلم
১৮/৩৩৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল যার অর্থ হল, ‘‘তুমি তোমার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক কর।’’ (সূরা শুআরা ২১৪ আয়াত) তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরায়েশ (সম্প্রদায়)কে আহ্বান করলেন। সুতরাং তারা একত্রিত হল। অতঃপর তিনি সাধারণ ও বিশেষভাবে (সম্বোধন করে) বললেন, ‘‘হে বানী আব্দে শাম্স! হে বানী কা‘ব ইবনে লুআই! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী মুর্রাহ ইবনে কা‘ব! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী আব্দে মানাফ! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী হাশেম! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী আব্দিল মুত্তালিব! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে ফাতেমা! তুমি নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। কারণ, আমি আল্লাহর নিকট তোমাদের (উপকার-অপকার) কিছুরই মালিক নই। তবে তোমাদের সাথে (আমার) যে আত্মীয়তা রয়েছে তা আমি (দুনিয়াতে) অবশ্যই আর্দ্র রাখব। (আখেরাতে আমার আনুগত্য ছাড়া আত্মীয়তা কোনো কাজে আসবে না।)’’ (মুসলিম) [3]
* উক্ত হাদীসে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করাকে আগুনের সাথে উপমা দেওয়া হয়েছে, যা পানি দিয়ে নিভাতে হয়। তাই আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখাকে তা আর্দ্র বা ভিজে রাখা বলা হয়েছে।
19/235. وَعَن أَبي عَبدِ اللهِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) جِهَاراً غَيْرَ سِرٍّ، يَقُولُ: «إنَّ آل بَني فُلاَنٍ لَيْسُوا بِأولِيَائِي، إِنَّمَا وَلِيِّيَ اللهُ وَصَالِحُ المُؤْمِنينَ، وَلَكِنْ لَهُمْ رَحِمٌ أبُلُّهَا بِبلاَلِهَا». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ، واللفظ للبخاري
১৯/৩৩৫। আবূ আব্দুল্লাহ ‘আমর ইবনে ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গোপনে নয় প্রকাশ্যে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘‘অমুক গোত্রের লোকেরা (যারা আমার প্রতি ঈমান আনেনি তারা) আমার বন্ধু নয়। আমার বন্ধু তো আল্লাহ এবং নেক মু’মিনগণ। কিন্তু ওদের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, আমি (দুনিয়াতে) অবশ্যই তা আর্দ্র রাখব।’’ (বুখারী ও মুসলিম, শব্দ বুখারীর)[4]
20/336. وَعَن أَبي أَيُّوبٍ خَالِدِ بنِ زَيدٍ الأَنصَارِي رضي الله عنه : أنَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ، أخْبِرْني بِعَمَلٍ يُدْخِلُني الجَنَّةَ، وَيُبَاعِدُني مِنَ النَّارِ . فَقَالَ النَّبيُّ (صلى الله عليه و سلم): «تَعْبُدُ الله، وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيئاً، وَتُقِيمُ الصَّلاةَ، وتُؤتِي الزَّكَاةَ، وتَصِلُ الرَّحمَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
২০/৩৩৬। আবূ আইয়ূব খালেদ ইবনে যায়েদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এমন আমল বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সাথে কাউকে অংশীদার করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দেবে এবং রক্ত সম্পর্ক বজায় রাখবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [5]
21/337. وَعَن سَلمَانَ بنِ عَامِرٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيِّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: …. الصَّدَقَةُ عَلَى المِسكينِ صَدَقةٌ، وعَلَى ذِي الرَّحِمِ ثِنْتَانِ : صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ». رواه الترمذي، وَقالَ: «حديث حسن».
২১/৩৩৭। সালমান ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘—মিসকীনকে সাদকাহ করলে সাদকাহ (করার সওয়াব) হয়। আর আত্মীয়কে সাদকাহ করলে দু’টি সওয়াব হয়ঃ সাদকাহ করার ও আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখার।’’ (তিরমিযী, উল্লেখ্য যে, হাদীসের প্রথম অংশ সহীহ নয় বলে উল্লেখ করা হয়নি।) [6]
22/338. وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كَانَتْ تَحْتِي امْرَأةٌ، وَكُنْتُ أحِبُّهَا، وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُهَا، فَقَالَ لي : طَلِّقْهَا، فَأبَيْتُ، فَأتَى عُمَرُ رضي الله عنه النَّبيَّ (صلى الله عليه و سلم)، فَذَكَرَ ذلِكَ لَهُ، فَقَالَ النَّبيّ (صلى الله عليه و سلم): «طَلِّقْهَا». رواه أَبُو داود والترمذي، وَقالَ: «حديث حسن صحيح»
২২/৩৩৮। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘আমার বিবাহ বন্ধনে এক স্ত্রী ছিল, যাকে আমি ভালবাসতাম। কিন্তু (আমার পিতা) উমার তাকে অপছন্দ করতেন। সুতরাং তিনি আমাকে বললেন, ‘‘তুমি ওকে ত্বালাক দাও।’’ কিন্তু আমি (তা) অস্বীকার করলাম। অতঃপর উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলেন এবং এ কথা উল্লেখ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বললেন, ‘‘তুমি ওকে ত্বালাক দিয়ে দাও।’’ (সুতরাং আমি তাকে ত্বালাক দিয়ে দিলাম।) (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাসান সহীহ সূত্রে) [7]
* (উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ঐ মহিলার চরিত্রে এমন কিছু দেখেছিলেন, যার জন্য তাঁর কথা মেনে ত্বালাক দেওয়া জরুরী ছিল। অনুরূপ কারো পিতা দেখলে বা জানতে পারলে তাঁর কথা মেনে পুত্রের উচিত স্ত্রীকে ত্বালাক দেওয়া। নচেৎ পিতামাতার কথা শুনে ভালো স্ত্রীকে অকারণে ত্বালাক দেওয়া পিতৃমাতৃভক্তির পরিচয় নয়।)
23/339. وَعَن أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه: أَنَّ رَجُلاً أَتَاهُ، قَالَ : إنّ لِي امرَأةً وإنّ أُمِّي تَأمُرُنِي بِطَلاقِهَا، فَقَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، يَقُولُ: «الوَالِدُ أوْسَطُ أبْوَابِ الجَنَّةِ، فَإنْ شِئْتَ، فَأضِعْ ذلِكَ البَابَ، أَو احْفَظْهُ». رواه الترمذي، وَقالَ: «حديث حسن صحيح»
২৩/৩৩৯। আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বলল, ‘আমার এক স্ত্রী আছে। আমার মা তাকে ত্বালাক দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন।’ আবূ দারদা বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘পিতা-মাতা জান্নাতের দুয়ারসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দুয়ার। সুতরাং তুমি যদি চাও, তাহলে এ দুয়ারকে নষ্ট কর অথবা তার রক্ষণাবেক্ষণ কর।’’ (তিরমিযী, হাসান সহীহ সূত্রে)[8]
24/340. وَعَنِ البَرَاءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبيِّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «الخَالةُ بِمَنْزِلَةِ الأُمِّ». رواه الترمذي، وَقالَ: «حديث حسن صحيح»
২৪/৩৪০। বারা ইবনে ‘আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কৃর্তক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘খালা মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।’’ (তিরমিযী)[9]
এ প্রসঙ্গে আরো অনেক সহীহ ও প্রসিদ্ধ হাদীস রয়েছে, তার মধ্যে গুহাবন্দী তিন ব্যক্তির (১৩নং) হাদীস, জুরাইজের (২৬৪নং) লম্বা হাদীস এবং আরো অন্যান্য সহীহ ও প্রসিদ্ধ হাদীস সংক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে উল্লেখ করলাম না। তার মধ্যে ‘আমর ইবন আবাসাহর (৪৪৩নং) হাদীসটি বড়ই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ইসলামের অনেকানেক মৌলনীতি ও শিষ্টাচারিতার কথা বর্ণিত হয়েছে। যেটিকে পূর্ণরূপে ‘আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব’ পরিচ্ছেদে উল্লেখ করব -ইনশাআল্লাহ। যে হাদীসে সাহাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি নবুঅতের শুরুর দিকে মক্কায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এলাম এবং বললাম, ‘আপনি কি?’ তিনি বললেন, ‘‘আমি নবী।’’ আমি বললাম, ‘নবী কি?’ তিনি বললেন, ‘‘আমাকে মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছেন।’’ আমি বললাম, ‘ কী নির্দেশ দিয়ে প্রেরণ করেছেন?’ তিনি বললেন, ‘‘জ্ঞাতিবন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখা, মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা, আল্লাহকে একক উপাস্য মানা এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করার নির্দেশ দিয়ে।—’’ (অতঃপর পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর আল্লাহই অধিক জানেন।)
[1] সহীহুল বুখারী ৭, ৫১, ২৬৮১, ২৮০৪, ২৯৩৬, ২৯৪১, ২৯৭৮, ৩১৭৪, ৪৫৫৩, ৫৯৮০, ৬২৬১, ৭১৯৬, মুসলিম ১৭৭৩, তিরমিযী ২৭১৭, আবূ দাউদ ৫১৩৬, আহমাদ ২৩৬৬
[2] মুসলিম ২৫৪৩
[3] সহীহুল বুখারী ২৭৫৩, ৩৫২৭, ৪৭৭১, মুসলিম ২০৪, ২০৬, তিরমিযী ৩০৯৪, নাসায়ী ৩৬৪৪, ৩৬৪৬, ৩৬৪৭, আহমাদ ৮১৯৭, ৮৩৯৫, ৮৫০৯, ৮৯২৬, ৯৫০১, দারেমী ২৭৩২
[4] সহীহুল বুখারী ৫৯৯০, মুসলিম ২১৫, আহমাদ ১৭৩৪৮
[5] সহীহুল বুখারী ১৩৯৬, ৫৯৮৩, মুসলিম ১৩, নাসায়ী ৪৬৮, আহমাদ ২৩০২৭, ২৩০৩৮
[6] তিরমিযী ৬৫৮, নাসায়ী ২৫৮২, আবূ দাউদ ২৩৫৫, ইবনু মাজাহ ১৬৯৯, ১৮৪৪, আহমাদ ১৫৭৯২, ১৫৭৯৮, ১৭৪১৪, ২৭৭৪৮, ১৭৪৩০, দারেমী ১৬৮০, ১৭০১
[7] তিরমিযী ১১৮৯, আবূ দাউদ ৫১৩৮, ইবনু মাজাহ ২০৮৮
[8]তিরমিযী ১৯০০, ইবনু মাজাহ ২০৮৯, ৩৬৬৩, আহমাদ ২১২১০, ২৬৯৮০, ২৭০০৪
[9] সহীহুল বুখারী ২৭০০, ৪২৫১, তিরমিযী ১৯০৪