4/367. وَعَن أَبي مُوسَى الأَشعَرِي رضي الله عنه أَنَّ النَّبِيِّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «إِنَّمَا مَثَلُ الجَلِيسِ الصَّالِحِ وَجَلِيسِ السُّوءِ، كَحَامِلِ المِسْكِ، وَنَافِخِ الْكِيرِ، فَحَامِلُ الْمِسْكِ: إمَّا أنْ يُحْذِيَكَ، وَإمَّا أنْ تَبْتَاعَ مِنْهُ، وَإمَّا أنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحاً طَيِّبَةً، وَنَافِخُ الكِيرِ : إمَّا أنْ يُحْرِقَ ثِيَابَكَ، وَإمَّا أنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحاً مُنْتِنَةً». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
৪/৩৬৭। আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হল, কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) ও হাপরে ফুৎকারকারী (কামারের) ন্যায়। কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে অথবা তার কাছ থেকে সুবাস লাভ করবে। আর হাপরে ফুৎকারকারী (কামার) হয়ত তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।’’[1] (বুখারী, মুসলিম)
5/368. وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيِّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «تُنْكَحُ المَرْأَةُ لأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا، وَلِحَسَبِهَا، وَلِجَمَالِهَا، وَلِدِينِهَا، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاك». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
৫/৩৬৮। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘চারটি গুণ দেখে মহিলাকে বিবাহ করা হয়; তার ধন-সম্পদ, তার বংশ মর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য এবং তার দ্বীন-ধর্ম দেখে। তুমি দ্বীনদার পাত্রী লাভ করে সফলকাম হও। (অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।)’’ (বুখারী)
* এর অর্থঃ লোকেরা সাধারণতঃ মহিলার এই চার গুণ দেখে বিবাহ করে থাকে। তুমি দ্বীনদার পেতে আগ্রহী হও, তাকে বিবাহ কর এবং তার সঙ্গ ও সাহচর্য পেয়ে ধন্য হও। [2]
6/369. وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ : قَالَ النَّبيُّ (صلى الله عليه و سلم) لِجِبرِيلَ: «مَا يَمْنَعُكَ أنْ تَزُورَنَا أكثَرَ مِمَّا تَزُورُنَا ؟»فَنَزَلَتْ : ﴿ وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمۡرِ رَبِّكَۖ لَهُۥ مَا بَيۡنَ أَيۡدِينَا وَمَا خَلۡفَنَا وَمَا بَيۡنَ ذَٰلِكَۚ ﴾ [مريم: ٦٤] رواه البخاري
৬/৩৬৯। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিব্রাঈলকে বললেন, ‘আপনি যতটা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার চেয়ে বেশী সাক্ষাৎ করতে আপনার বাধা কিসের?’ ফলে এ আয়াত অবতীর্ণ হল, ‘‘(জিব্রাঈল বললেন,) আমরা তোমার প্রতিপালকের আদেশ ব্যাতিরেকে অবতরণ করি না। যা আমাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে এবং উভয়ের মধ্যস্থলে রয়েছে সে সকলই তাঁর মালিকানাধীন।’’ (সূরা মারয়্যাম ৬৪ আয়াত, বুখারী) [3]
7/370. وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، عَنِ النَّبيِّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «لا تُصَاحِبْ إلاَّ مُؤْمِناً، وَلاَ يَأْكُلْ طَعَامَكَ إلاَّ تَقِيٌّ». رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد لا بأس بِهِ .
৭/৩৭০। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘মু’মিন মানুষ ছাড়া অন্য কারো সঙ্গী হয়ো না এবং তোমার খাবার যেন পরহেযগার ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ না খায়।’’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী) [4]
8/371. وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبيَّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «الرَّجُلُ عَلَى دِينِ خَلِيلِهِ، فَليَنْظُرْ أَحَدُكُمْ مَنْ يُخَالِلُ». رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح، وَقالَ الترمذي: «حديث حسن»
৮/৩৭১। আবু হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের উপর হয়। অতএব তোমাদের প্রত্যেককে দেখা উচিত যে, সে কার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করছে।’’ (আবূ দাউদ, তিরিমিযী, বিশুদ্ধ সূত্রে) [5]
9/372. وَعَن أَبي مُوسَى الأَشعَرِي رضي الله عنه: أَنَّ النَّبيَّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «المَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وَفي رِوَايَةٍ: قِيلَ لِلنَّبِي (صلى الله عليه و سلم): الرَّجُلُ يُحِبُّ القَومَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ؟ قَالَ: «المَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ».
৯/৩৭২। আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হল, ‘‘কোনো ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়কে ভালবাসে, কিন্তু (আমলে) তাদের সমকক্ষ হতে পারেনি। তিনি বললেন, মানুষ যাকে ভালবাসে, সে তারই সাথী হবে।’’(বুখারী ও মুসলিম)[6]
10/373. وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه : أَنَّ أَعرَابِياً قَالَ لِرَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) : مَتَى السَّاعَةُ ؟ قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «مَا أعْدَدْتَ لَهَا ؟»قَالَ : حُبَّ الله وَرَسُولهِ، قَالَ: «أنْتَ مَعَ مَنْ أحْبَبْتَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ، وهذا لفظ مسلم، وفي رواية لهما : مَا أعْدَدْتُ لَهَا مِنْ كَثيرِ صَوْمٍ، وَلاَ صَلاَةٍ، وَلاَ صَدَقَةٍ، وَلَكِنِّي أُحِبُّ الله وَرَسُولَهُ.
১০/৩৭৩। আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কবে ঘটবে?’ তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তুমি এর জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছ?’’ সে বলল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ভালবাসা।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি যাকে ভালবাস, তারই সাথী হবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম, শব্দগুলি মুসলিমের) [7]
উভয়ের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘আমি বেশি নামায-রোযা ও সাদকাহর মাধ্যমে প্রস্তুতি নিতে পরিনি। কিন্তু আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি। (তিনি বললেন, তুমি যাকে ভালবাস, তারই সাথী হবে।)’’
[1] সহীহুল বুখারী ২১০১, ৫৫৩৪, মুসলিম ২৬২৮, আহমাদ ১৯১২৭, ১৯১৬৩
[2] সহীহুল বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাউদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯২৩৭, দারেমী ২১৭০
[3] সহীহুল বুখারী ৪৭৩১, ৩২১৮, ৭৪৫৫, তিরমিযী ৩১৫৮, আহমাদ ২০৪৪, ২০৭৯, ৩৩৫৫
[4] তিরমিযী ২৩৯৫, আবূ দাউদ ৪৮৩২, আহমাদ ১০৯৪৪
[5] তিরমিযী ২৩৭৮, আবূ দাউদ ৪৮৩৩, আহমাদ ৭৯৬৮, ৮২১২
[6] সহীহুল বুখারী ৬১৭০, মুসলিম ২৬৪১, আহমাদ ১৯০০২, ১৯০৩২, ১৯১৩১
[7] সহীহুল বুখারী ৩৬৮৮, ৬১৬৭, ৬১৭১, ৭১৫৩, মুসলিম ২৬৩৯, তিরমিযী ২৩৮৫, ২৩৮৬, নাসায়ী ৫১২৭, আহমাদ ১১৬০২, ১১৬৬৫, ১২২১৪, ১২২৮১, ১২২৯২, ১২৩০৪