19/514 وَعَن عِمْرَانَ بنِ الحُصَيْنِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ (صلى الله عليه و سلم)، أنّه قَالَ: «خَيْرُكُمْ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ». قَالَ عِمْرَانُ: فَمَا أدْري قَالَ النَّبِيُّ (صلى الله عليه و سلم) مَرَّتَيْنِ أَو ثَلاَثاً« ثُمَّ يَكُونُ بَعْدَهُمْ قَوْمٌ يَشْهَدُونَ وَلاَ يُسْتَشْهَدُونَ، وَيَخُونُونَ وَلاَ يُؤْتَمَنُونَ، وَيَنْذِرُونَ وَلاَ يُوفُونَ، وَيَظْهَرُ فِيهمُ السَّمَنُ ». متفقٌ عَلَيْهِ
১৯/৫১৪। ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম যুগ হল আমার সাহাবীদের যুগ। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেয়ীদের) যুগ।’’ ইমরান বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর যুগের পর উত্তম যুগ হিসাবে দুই যুগ উল্লেখ করেছেন, না তিন যুগ তা আমার জানা (স্মরণ) নেই।’ ‘‘অতঃপর তোমাদের পর এমন এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা সাক্ষ্য দেবে অথচ তাদেরকে সাক্ষী মানা হবে না। তারা খেয়ানত করবে এবং তাদের নিকট আমানত রাখা যাবে না। তারা আল্লাহর নামে মানত করবে কিন্তু তা পুরা করবে না। আর তাদের দেহে স্থূলত্ব প্রকাশ পাবে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
20/515 وَعَن أَبي أُمَامَة رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «يَا ابْنَ آدَمَ، إنَّكَ أَنْ تَبْذُلَ الفَضْلَ خَيرٌ لَكَ، وَأنْ تُمسِكَهُ شَرٌ لَكَ، ولاَ تُلاَمُ عَلَى كَفَافٍ، وَابْدأ بِمَنْ تَعُولُ ». رواه الترمذي، وقال:«حديث حسن صحيح »
২০/৫১৫। আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘হে আদম সন্তান! উদ্বৃত্ত মাল (আল্লাহর পথে) খরচ করা তোমার জন্য মঙ্গল এবং তা আটকে রাখা তোমার জন্য অমঙ্গল। আর দরকার মত মালে নিন্দিত হবে না। প্রথমে তাদেরকে দাও, যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে।’’ (তিরমিযী, বিশুদ্ধ সূত্রে) [2]
21/516 وَعَن عُبيْدِ اللهِ بنِ مِحْصَنٍ الأَنصَارِيِّ الخَطمِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «مَنْ أصْبَحَ مِنْكُمْ آمِناً في سِربِهِ، مُعَافَىً في جَسَدِهِ، عِنْدَهُ قُوتُ يَوْمِهِ، فَكَأنَّمَا حِيزَتْ لَهُ الدُّنْيَا بِحَذَافِيرِهَا». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن »
২১/৫১৬। উবাইদুল্লাহ ইবনে মিহসান আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার ঘরে অথবা গোষ্ঠীর মধ্যে নিরাপদে ও সুস্থ শরীরে সকাল করেছে এবং তার কাছে একদিনের খাবার আছে, তাকে যেন পার্থিব সমস্ত সম্পদ দান করা হয়েছে।’’ (তিরমিযী, হাসান) [3]
22/517 وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمْرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أن رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «قَدْ أفْلَحَ مَنْ أسْلَمَ، وَكَانَ رِزْقُهُ كَفَافاً، وَقَنَّعَهُ اللهُ بِمَا آتَاهُ ». رواه مسلم
২২/৫১৭। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সে ব্যক্তি সফলকাম, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাকে পরিমিত রুযী দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতে তাকে তুষ্ট করেছেন।’’ (মুসলিম) [4]
23/518 وَعَن أَبي مُحَمَّدٍ فَضَالَة بنِ عُبَيدٍ الأنصاريِّ رضي الله عنه: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، يَقُولُ: «طُوبَى لِمَنْ هُدِيَ لِلإسْلاَمِ، وَكَانَ عَيْشُهُ كَفَافاً وَقَنِعَ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
২৩/৫১৮। আবূ মুহাম্মাদ ফাদ্বালা ইবনে উবাইদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘‘তার জন্য শুভ সংবাদ যাকে ইসলামের পথ দেখানো হয়েছে, পরিমিত জীবিকা দেওয়া হয়েছে এবং সে (যা পেয়েছে তাতে) পরিতুষ্ট আছে।’’ (তিরমিযী, বিশুদ্ধ সূত্রে) [5]
24/519 وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) يَبِيتُ اللَّيَالِيَ الْمُتَتَابِعَةَ طَاوِياً، وَأهْلُهُ لاَ يَجِدُونَ عَشَاءً، وَكَانَ أكْثَرُ خُبْزِهِمْ خُبزَ الشَّعيرِ. رواه الترمذي، وقال:«حديث حسن صحيح»
২৪/৫১৯। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধারে কয়েক রাত অনাহারে কাটাতেন এবং পরিবার-পরিজনরা রাতের খাবার পেতেন না। আর তাদের অধিকাংশ রুটি হত যবের।’ (তিরমিযী, বিশুদ্ধ সূত্রে) [6]
25/520 وعن فَضَالَةَ بنِ عُبَيدٍ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) كَانَ إِذَا صَلَّى بِالنَّاسِ، يَخِرُّ رِجَالٌ مِنْ قَامَتِهِمْ في الصَّلاةِ مِنَ الخَصَاصَةِ ـ وَهُمْ أصْحَابُ الصُّفَّةِ ـ حَتَّى يَقُولَ الأعْرَابُ: هؤُلاَء مَجَانِينٌ . فَإذَا صلَّى رَسُول اللهِ (صلى الله عليه و سلم) انْصَرَفَ إلَيْهِمْ، فَقَالَ: «لَوْ تَعْلَمُونَ مَا لَكُمْ عِنْدَ اللهِ تَعَالَى، لأَحْبَبْتُمْ أنْ تَزْدَادُوا فَاقَةً وَحَاجَةً ». رواه الترمذي، وقال: «حديث صحيح »
২৫/৫২০। ফাদ্বালাহ ইবনে ‘উবাইদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন লোকদের নামায পড়াতেন, তখন কিছু লোক ক্ষুধার কারণে (দুর্বলতায়) পড়ে যেতেন, আর তাঁরা ছিলেন আহলে সুফ্ফাহ। এমনকি মরুবাসী বেদুঈনরা বলত, ‘এরা পাগল।’ একদা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায সেরে তাদের দিকে মুখ ফিরালেন, তখন বললেন, ‘‘তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে তোমরা এর চাইতেও অভাব ও দারিদ্র্য পছন্দ করতে।’’ (তিরমিযী, বিশুদ্ধ সূত্রে) [7]
[1] সহীহুল বুখারী ২৬৫১, ৩৬৫০, ৬৪২৮, ৬৬৯৫, মুসলিম ২৫৩৫, তিরমিযী ২২২১, ২২২২, নাসায়ী ৩৮০৯, আবূ দাউদ ৪৬৫৭, আহমাদ ১৯৩১৯, ১৯৩৩৪, ১৯৪০৫, ১৯৪৫১
[2] মুসলিম ১০৩৬, তিরমিযী ২৩৪৩, আহমাদ ২১৭৫২
[3] তিরমিযী ২৩৪৬, ইবনু মাজাহ ৪১৪১
[4] মুসলিম ১০৫৪, তিরমিযী ২৩৪৮, ইবনু মাজাহ ৪১৩৮, আহমাদ ৬৫৭২
[5] তিরমিযী ২৩৪৯, আহমাদ ২৩৪২৬
[6] তিরমিযী ২৩৬০, ইবনু মাজাহ ৩৩৪৭, আহমাদ ২৩০৩, ৩৫৩৫
[7] তিরমিযী ২৩৬৮, আহমাদ ২৩৪২০