9/535 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ النَّبيَّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ:« لاَ تَزَالُ الْمَسْأَلةُ بأَحَدِكُمْ حَتَّى يَلْقَى اللهَ تَعَالَى وَلَيْسَ فِي وَجْهِهِ مُزْعَةُ لَحْمٍ ». متفقٌ عَلَيْهِ
৯/৫৩৫। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সর্বদা ভিক্ষা করতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে তো (সে এই অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে,) তার চেহারায় কোন মাংস টুকরা থাকবে না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
10/536 وَعَنهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) قَالَ وَهُوَ عَلَى المِنْبَرِ، وَذَكَرَ الصَّدَقَةَ وَالتَّعَفُّفَ عَنِ الْمَسْأَلَةِ: «اليَدُ العُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى » وَاليَدُ العُلْيَا هِيَ المُنْفِقَةُ، وَالسُّفْلَى هِيَ السَّائِلَةُ. متفقٌ عَلَيْهِ
১০/৫৩৬। উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরের উপর আরোহণ করে বললেন এবং তিনি সাদকাহ ও ভিক্ষা করা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে আলোচনা করলেন। (এই সুযোগে) তিনি বললেন, ‘‘উঁচু হাত নিচু হাত চেয়ে উত্তম, আর দানকারীর হাত হচ্ছে উঁচু হাত এবং ভিক্ষাকারী হাত হচ্ছে নিচু হাত।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [2]
11/537 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «مَنْ سَألَ النَّاسَ تَكَثُّراً فإنَّمَا يَسْألُ جَمْراً ؛ فَلْيَسْتَقِلَّ أَوْ لِيَسْتَكْثِرْ ». رواه مسلم
১১/৫৩৭। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি মাল বৃদ্ধি করার জন্য মানুষের নিকট ভিক্ষা করে, সে আসলে আগুনের অঙ্গার ভিক্ষা করে থাকে। ফলে (সে এখন তা) অল্প ভিক্ষা করুক অথবা বেশী।’’ (মুসলিম) [3]
12/538 وَعَن سَمُرَةَ بنِ جُنْدُبٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «إنَّ المَسْأَلَةَ كَدٌّ يَكُدُّ بِهَا الرَّجُلُ وَجْهَهُ، إِلاَّ أنْ يَسْأَلَ الرَّجُلُ سُلْطاناً أَوْ في أمْرٍ لاَ بُدَّ مِنْهُ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح»
১২/৫৩৮। সামুরাহ ইবনে জুন্দুব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ভিক্ষা করা এক জখম করার কাজ, তা দ্বারা মানুষ নিজ চেহারাকে জখম করে। কিন্তু সে ব্যক্তি যদি বাদশাহর কাছে চায় অথবা নিরুপায় হয়ে চায় (তাহলে তা স্বতন্ত্র)।’’ (তিরমিযী, হাসান সহীহ) [4]
13/539 وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «مَنْ أصَابَتْهُ فَاقَةٌ فَأنْزَلَهَا بالنَّاسِ لَمْ تُسَدَّ فَاقَتُهُ، وَمَنْ أنْزَلَهَا باللهِ، فَيُوشِكُ اللهُ لَهُ بِرِزْقٍ عَاجِلٍ أَوْ آجِلٍ ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال:« حديث حسن »
১৩/৫৩৯। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে অভাবগ্রস্ত হয় এবং তার অভাব লোকদের নিকট প্রকাশ করে, তার অভাব দূর করা হয় না। আর যে ব্যক্তি তা আল্লাহর নিকট প্রকাশ করে, আল্লাহ তাকে শীঘ্র অথবা বিলম্বে জীবিকা প্রদান করেন।’’ (আবু দাউদ, তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [5]
[1] সহীহুল বুখারী ১৪৭৫, ৪৭১৮, মুসলিম ১০৪০, নাসায়ী ২৫৮৫, আহমাদ ৪৬২৪, ৫৫৮৪
[2] সহীহুল বুখারী ১৪২৯, মুসলিম ১০৩৩, নাসায়ী ২৫৩৩, আবূ দাউদ ১৬৪৮, আহমাদ ৪৪৬০, ৫৩২২, ৫৬৯৫, ৬০০৩, ৬৩৬৬, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৮১, দারেমী ১৬৫২
[3] মুসলিম ১০৪১, ইবনু মাজাহ ১৮৩৮, আহমাদ ৭১২৩
[4] তিরমিযী ৬৮১, নাসায়ী ২৫৯৯, ২৬০০, আহমাদ ১৯৬০০, ১৯৭০৭
[5] তিরমিযী ২৩২৬, আবূ দাউদ ১৬৪৫, আহমাদ ৩৫৮৮, ৪২০৭