19/479 وَعَن عَمرِو بنِ الحَارِثِ أَخِي جُوَيْرِيَّةَ بِنتِ الحَارِثِ أُمِّ المُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: مَا تَرَكَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) عِنْدَ مَوْتِهِ دِينَاراً، وَلاَ دِرْهَماً، وَلاَ عَبْداً، وَلاَ أَمَةً، وَلاَ شَيْئاً إِلاَّ بَغْلَتَهُ الْبَيضَاءَ الَّتي كَانَ يَرْكَبُهَا، وَسِلاَحَهُ، وَأرْضاً جَعَلَهَا لاِبْنِ السَّبِيلِ صَدَقَةً . رواه البخاري
১৯/৪৭৯। উম্মুল মু’মিনীন জুয়াইরিয়্যাহ বিনতে হারেসের ভাই ‘আমর ইবনে হারেস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মৃত্যুর সময় কোনো দীনার, দিরহাম, ক্রীতদাস, ক্রীতদাসী এবং কোনো জিনিসই ছেড়ে যাননি। তবে তিনি ঐ সাদা খচ্চরটি ছেড়ে গেছেন, যার উপর তিনি সওয়ার হতেন এবং তাঁর হাতিয়ার ও কিছু জমি; যা তিনি মুসাফিরদের জন্য সাদকাহ করে গেছেন।’ (বুখারী) [1]
20/480 وَعَن خَبَّابِ بنِ الأَرَتِّ رضي الله عنه، قَالَ: هَاجَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) نَلْتَمِسُ وَجْهَ اللهِ تَعَالَى، فَوَقَعَ أجْرُنَا عَلَى اللهِ، فَمِنَّا مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَأكُل مِنْ أجْرِهِ شَيْئاً، مِنْهُمْ: مُصْعَبُ بن عُمَيْرٍ رضي الله عنه، قُتِلَ يَوْمَ أُحُد، وَتَرَكَ نَمِرَةً، فَكُنَّا إِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رَأْسَهُ، بَدَتْ رِجْلاَهُ، وَإِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رِجْلَيْهِ، بَدَا رَأسُهُ، فَأمَرَنَا رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، أنْ نُغَطِّي رَأسَهُ، وَنَجْعَلُ عَلَى رِجْلَيْهِ شَيْئاً مِنَ الإذْخِرِ، وَمِنَّا مَنْ أيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ، فَهُوَ يَهْدِبُهَا . متفقٌ عَلَيْهِ
২০/৪৮০। খাববাব ইবনে আরাত্ত্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘আমরা আল্লাহর চেহারা (সন্তুষ্টি) লাভের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে (মদীনা) হিজরত করলাম। যার সওয়াব আল্লাহর নিকট আমাদের প্রাপ্য। এরপর আমাদের কেউ এ সওয়াব দুনিয়াতে ভোগ করার পূর্বেই বিদায় নিলেন। এর মধ্যে মুস‘আব ইবনে উমাইর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু; তিনি উহুদ যুদ্ধে শহীদ হলেন এবং শুধুমাত্র একখানা পশমের রঙিন চাদর রেখে গেলেন। আমরা (কাফনের জন্য) তা দিয়ে তাঁর মাথা ঢাকলে তাঁর পা বেরিয়ে গেল। আর পা ঢাকলে তাঁর মাথা বেরিয়ে গেল। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যে, ‘‘তা দিয়ে ওর মাথাটা ঢেকে দাও এবং পায়ের উপর ‘ইযখির’ ঘাস বিছিয়ে দাও।’’ আর আমাদের মধ্যে এমনও লোক রয়েছেন, যাঁদের ফল পেকে গেছে। আর তাঁরা তা সংগ্রহ করছেন।’(বুখারী ও মুসলিম) [2]
21/481 وَعَن سَهلِ بنِ سَعدٍ السَّاعِدِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم):« لَوْ كَانَت الدُّنْيَا تَعْدِلُ عِنْدَ الله جَنَاحَ بَعُوضَةٍ، مَا سَقَى كَافِراً مِنْهَا شَرْبَةَ مَاءٍ ». رواه الترمذي وقال:«حديث حسن صحيح»
২১/৪৮১। সাহল ইবনে সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যদি আল্লাহর নিকট মাছির ডানার সমান দুনিয়ার মূল্য বা ওজন থাকত, তাহলে তিনি কোন কাফেরকে তার (দুনিয়ার) এক ঢোক পানিও পান করাতেন না।’’(তিরমিযী, বিশুদ্ধ সূত্রে) [3]
22/482 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، يَقُولُ: «أَلاَ إنَّ الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ، مَلْعُونٌ مَا فِيهَا، إِلاَّ ذِكْرَ اللهِ تَعَالَى، وَمَا وَالاهُ، وَعَالِماً وَمُتَعَلِّماً» رواه الترمذي، وقال:«حديث حسنٌ»
২২/৪৮২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘শোনো! নিঃসন্দেহে দুনিয়া অভিশপ্ত। অভিশপ্ত তার মধ্যে যা কিছু আছে (সবই)। তবে আল্লাহর যিকর এবং তার সাথে সম্পৃক্ত জিনিস, আলেম ও তালেবে-ইলম নয়।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [4]
23/483وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «لاَ تَتَّخِذُوا الضَّيْعَةَ فَتَرْغَبُوا في الدُّنْيَا». رواه الترمذي، وقال: «حديثٌ حسنٌ »
২৩/৪৮৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা জমি-জায়গা, বাড়ি-বাগান ও শিল্প-ব্যবসায়ে বিভোর হয়ে পড়ো না। কেননা, (তাহলে) তোমরা দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে।’’(তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [5]
24/484 وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: مَرَّ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) وَنَحْنُ نُعَالِجُ خُصّاً لَنَا، فَقَالَ: «مَا هَذَا ؟ » فَقُلْنَا: قَدْ وَهَى، فَنَحَنُ نُصْلِحُهُ، فَقَالَ: «مَا أرَى الأَمْرَ إِلاَّ أعْجَلَ مِنْ ذَلِكَ » . رواه أَبو داود والترمذي بإسناد البخاري ومسلم، وقال الترمذي:«حديثٌ حسنٌ صحيحٌ »
২৪/৪৮৪। আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। এমতাবস্থায় যে, আমরা আমাদের একটি কুঁড়েঘর সংস্কার করছিলাম। তিনি বললেন, ‘‘এটা কী?’’ আমরা বললাম, ‘কুঁড়ে ঘরটি দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছিল, তাই আমরা তা মেরামত করছি।’ তিনি বললেন, ‘‘আমি ব্যাপারটিকে (মৃত্যুকে) এর চাইতেও নিকটবর্তী ভাবছি।’’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, বুখারী ও মুসলিমের সূত্রে)[6]
25/485 وَعَن كَعبِ بنِ عِيَاضٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، يَقُولُ: «إنَّ لِكُلِّ أُمَّةٍ فِتْنَةً، وفِتْنَةُ أُمَّتِي: المَالُ » رواه الترمذي، وقال: «حديثٌ حسنٌ صحيحٌ »
২৫/৪৮৫। কা‘ব ইবনে ‘ইয়াদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি; ‘‘প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফিতনা রয়েছে এবং আমার উম্মতের ফিতনা হচ্ছে মাল।’’(তিরমিযী, হাসান সহীহ সূত্রে)[7]
[1] সহীহুল বুখারী ৪৪৬১, ২৭৩৯, ২৮৭৩, ২৯১২, ৩০৯৮, নাসায়ী ৩৫৯৪, ৩৫৯৫, ৩৫৯৬, আহমাদ ১৭৯৯০
[2] সহীহুল বুখারী ১২৭৬, ৩৮৯৭, ৩৯১৪, ৪০৪৭, ৪০৮২, ৬৪৩২, ৬৪৪৮
[3] তিরমিযী ২৩২০, ইবনু মাজাহ ৪১১০
[4] তিরমিযী ২৩২২, ইবনু মাজাহ ৪১১২
[5] তিরমিযী ২৩২৮, আহমাদ ৩৫৬৯, ৪০৩৮, ৪২২২
[6] তিরমিযী ২৩৩৫, আবূ দাউদ ৫২৩৫, ইবনু মাজাহ ৪১৬০, আহমাদ ৬৪৬৬
[7] তিরমিযী ২৩৩৬, আহমাদ ১৭০১৭