7/674 وَعَن أَبي هُنَيْدَةَ وَائِلِ بنِ حُجْرٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَألَ سَلَمَةُ بن يَزيدَ الجُعفِيُّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ الله، أَرَأَيتَ إنْ قامَت عَلَيْنَا أُمَرَاءُ يَسألُونَا حَقَّهُم، وَيمْنَعُونَا حَقَّنَا، فَمَا تَأْمُرُنَا ؟ فَأعْرَضَ عَنهُ، ثُمَّ سَألَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «اسْمَعْوا وَأَطِيعُوا، فإنَّمَا عَلَيْهِمْ مَا حُمِّلُوا، وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ ». رواه مسلم
৭/৬৭৪। আবূ হুনাইদা ওয়াইল ইবনে হুজর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, সালামাহ ইবনে য়্যাযীদ জু‘ফী আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর নবী! আপনি বলুন, যদি আমাদের উপর (অসৎ) শাসক নিযুক্ত হয় এবং আমাদের কাছে তাদের অধিকার চায় ও আমাদেরকে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। অতএব এ ব্যাপারে আপনি কী নির্দেশ দেন?’ তিনি তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা (তাদের) কথা শুনো এবং (তাদের) আনুগত্য করো। কারণ তাদের দায়িত্বে তা রয়েছে, যা তাদের উপর চাপানো হয়েছে (অর্থাৎ সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতা) এবং তোমাদের দায়িত্বে তা রয়েছে, যা তোমাদের উপর অর্পণ করা হয়েছে (অর্থাৎ নেতা ও শাসকের আনুগত্য)।’’ (মুসলিম) [1]
8/675 وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « إنَّهَا سَتَكُونُ بَعْدِي أثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا ! » قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ، كَيْفَ تَأمُرُ مَنْ أدْرَكَ مِنَّا ذَلِكَ ؟ قَالَ: « تُؤَدُّونَ الحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ، وَتَسْأَلُونَ اللهَ الَّذِي لَكُمْ ». متفقٌ عَلَيْهِ
৮/৬৭৫। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আমার পর স্বেচ্ছাচারী শাসন হবে এবং অন্যান্য (আপত্তিকর) ব্যাপার সকল প্রকাশ পাবে, যা তোমরা অপছন্দ করবে।’’ সাহাবীরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে যে এ যুগ পাবে, তাকে আপনি কী আদেশ দিচ্ছেন।’ তিনি বললেন, ‘‘তোমাদের প্রতি যে হক রয়েছে, তা তোমরা আদায় করবে এবং তোমাদের যে হক (শাসকের উপর রয়েছে), তা আল্লাহর কাছে চেয়ে নেবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [2]
9/676 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « مَنْ أطَاعَنِي فَقَدْ أطَاعَ اللهَ، وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللهَ، وَمَنْ يُطِعِ الأَمِيرَ فَقَدْ أطَاعَنِي، وَمَنْ يَعصِ الأميرَ فَقَدْ عَصَانِي ». متفقٌ عَلَيْهِ
৯/৬৭৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে (প্রকৃতপক্ষে) আল্লাহর আনুগত্য করল এবং যে আমার অবাধ্যতা করল, সে (আসলে) আল্লাহর অবাধ্যতা করল। আর যে ব্যক্তি নেতার আনুগত্য করল, সে (আসলে) আমার আনুগত্য করল এবং যে নেতার অবাধ্যতা করল, সে (আসলে) আমার অবাধ্যতা করল।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [3]
10/677 وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: « مَنْ كَرِهَ مِنْ أمِيرِهِ شَيْئاً فَلْيَصْبِرْ، فَإنَّهُ مَنْ خَرَجَ مِنَ السُّلطَانِ شِبْراً مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً ». متفقٌ عَلَيْهِ
১০/৬৭৭। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার নেতার কোন কাজ অপছন্দ করবে, তার উচিত হবে (তার উপর) ধৈর্য ধারণ করা। কারণ যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণও শাসকের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাবে, তার মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু হবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [4]
11/678 وَعَن أَبي بَكرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، يَقُولُ: « مَنْ أهانَ السُّلطَانَ أَهَانَهُ الله ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن »
১১/৬৭৮। আবূ বাক্রাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘যে ব্যক্তি বাদশাহকে অপমান করবে, আল্লাহ তাকে অপমানিত করবেন।’’ (তিরমিযী, হাসান) [5]
এ মর্মে আরো সহীহ হাদীস বিদ্যমান। কিছু হাদীস বিভিন্ন পরিচ্ছেদে উল্লিখিত হয়েছে।
[1] মুসলিম ১৮৪৬, তিরমিযী ২১৯৯
[2] সহীহুল বুখারী ৩৬০৩, মুসলিম ১৮৪৩, তিরমিযী ২১৯০, আহমাদ ৩৬৩৩, ২৭২০৭, ৪০৫৬, ৪১১৬
[3] সহীহুল বুখারী ২৯৫৭, নাসায়ী ৪১৯৩, ৫৫১০, ইবনু মাজাহ ৩, ২৮৫৯, আহমাদ ৭২৯০, ৭৩৮৬, ৭৬০০, ২৭৩৫০, ৮৩০০, ৮৫১১, ৮৭৮৮, ৯১২১, ৯৬৯৬, ৯৭৩৯, ১০২৫৯
[4] সহীহুল বুখারী ৭০৫৩, ৭০৫৪, ৭১৪৩, মুসলিম ১৮৪৯, আহমাদ ২৪৮৩, ২৬৯৭, ২৫১৯, দারেমী ২৫১৯
[5] তিরমিযী ২২২৪, আহমাদ ১৯৯২০, ১৯৯৮২