81- بَابُ النَّهْيِ عَنْ سُؤَالِ الْإِمَارَةِ وَاِخْتِيَارِ تَرْكِ الْوَلَايَاتِ
إِذَا لَمْ يَتَعَيَّنْ عَلَيْهِ أَوْ تَدْعُ حَاجَةٌ إِلَيْهِ
পরিচ্ছেদ – ৮১: পদ চাওয়া নিষেধ এবং রাষ্ট্রীয় পদ পরিহার করাই উত্তম; যদি সেই একমাত্র তার যোগ্য অথবা তার নিযুক্ত হওয়া জরুরী না হয়
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ تِلۡكَ ٱلدَّارُ ٱلۡأٓخِرَةُ نَجۡعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوّٗا فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا فَسَادٗاۚ وَٱلۡعَٰقِبَةُ لِلۡمُتَّقِينَ ٨٣ ﴾ [القصص: ٨٣]
অর্থাৎ “এটি আখেরাতের আবাস; যা আমি নির্ধারিত করি তাদেরই জন্য যারা এ পৃথিবীতে উদ্ধত হতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। আর মুত্তাকীদের জন্যই শুভ পরিণাম।” (সূরা ক্বাসাস ৮৩ আয়াত)
1/679 وَعَن أَبي سَعِيدٍ عَبدِ الرَّحمَانِ بنِ سَمُرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « يَا عَبْدَ الرَّحمَانِ بنَ سَمُرَةَ، لاَ تَسْأَلِ الإمَارَةَ ؛ فَإِنّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْألَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا، وَإنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْألَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا، وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ، فَرَأيْتَ غَيْرَهَا خَيْراً مِنْهَا، فَأتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَكَفِّرْ عَنْ يَمِينكَ ». متفقٌ عَلَيْهِ
১/৬৭৯। আবূ সা‘ঈদ আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘হে আব্দুর রহমান ইবন সামুরাহ! তুমি সরকারী পদ চেয়ো না। কারণ তুমি যদি তা না চেয়ে পাও, তাহলে তাতে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর যদি তুমি তা চাওয়ার কারণে পাও, তাহলে তা তোমাকে সঁপে দেওয়া হবে। (এবং তাতে আল্লাহর সাহায্য পাবে না।) আর যখন তুমি কোন কথার উপর কসম খাবে, অতঃপর তা থেকে অন্য কাজ উত্তম মনে করবে, তখন উত্তম কাজটা কর এবং তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দাও।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
2/680 وَعَن أَبي ذرٍّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «يَا أَبَا ذَرٍّ، إنِّي أرَاكَ ضَعِيفاً، وَإنِّي أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِي . لاَ تَأَمَّرَنَّ عَلَى اثْنَيْنِ، وَلاَ تَوَلَّيَنَّ مَالَ يَتِيمٍ ». رواه مسلم
২/৬৮০। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘হে আবূ যার্র! আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি এবং আমি তোমার জন্য তাই ভালবাসি, যা আমি নিজের জন্য ভালবাসি। (সুতরাং) তুমি অবশ্যই দু’জনের নেতা হয়ো না এবং এতীমের মালের তত্ত্বাবধায়ক হয়ো না।’’ (মুসলিম)[2]
3/681وَعَنهُ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، ألا تَسْتَعْمِلُني ؟ فَضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى مَنْكِبِي، ثُمَّ قَالَ: « يَا أَبَا ذَرٍّ، إنَّكَ ضَعِيفٌ، وَإِنَّهَا أَمَانَةٌ، وَإنَّهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِزْيٌ وَنَدَامَةٌ، إِلاَّ مَنْ أخَذَهَا بِحَقِّهَا، وَأدَّى الَّذِي عَلَيْهِ فِيهَا ». رواه مسلم
৩/৬৮১। উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহ রসূল! আপনি আমাকে (কোন স্থানের সরকারী) কর্মচারী কেন নিযুক্ত করছেন না?’ তিনি নিজ হাত আমার কাঁধের উপর মেরে বললেন, ‘‘হে আবূ যার্র! তুমি দুর্বল এবং (এ পদ) আমানত ও এটা কিয়ামতের দিন অপমান ও অনুতাপের কারণ হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তা হকের সাথে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) গ্রহণ করল এবং নিজ দায়িত্ব (যথাযথভাবে) পালন করল (তার জন্য এ পদ লজ্জা ও অনুতাপের কারণ নয়)।’’ (মুসলিম) [3]
4/682 وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: « إنَّكُمْ سَتَحْرِصُونَ عَلَى الإمَارَةِ، وَسَتَكونُ نَدَامَةً يَوْمَ القِيَامَةِ ». رواه البخاري
৪/৬৮২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা অতি সত্বর নেতৃত্বের লোভ করবে। (কিন্তু স্মরণ রাখো) এটি কিয়ামতের দিন অনুতাপের কারণ হবে। (বুখারী) [4]
[1] সহীহুল বুখারী ৭১৪৬, ৬৬২২, ৬৭২২, ৭১৪৭, মুসলিম ১৬৫২, তিরমিযী ১৫২৯, নাসায়ী ৩৭৮২, ৩৭৮৩, ৩৭৮৪, ৫৩৮৫, আবূ দাউদ ২৯২৯, ৩২৭৭, আহমাদ ২০০৯৩, ২০০৯৫, ২০০১৫, দারেমী ২৩৪৬
[2] মুসলিম ১৮২৬, ১৮২৫, আহমাদ ২১০০২
[3] মুসলিম ১৮২৫, ১৮২৬, আহমাদ ২১০০২
[4] সহীহুল বুখারী ৭১৪৮, নাসায়ী ৪২১১, ৫৩৮৫, আহমাদ ৯৪৯৯, ৯৮০৬