113- بَابُ كَرَاهَةِ النَّفْخِ فِي الشَّرَابِ
পরিচ্ছেদ – ১১৩: পানি পান করার সময় তাতে ফুঁ দেওয়া মাকরূহ
1/769 عَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه: أنَّ النَّبِيَّ (صلى الله عليه و سلم) نَهَى عَن النَّفْخِ فِي الشَّرَابِ، فَقَالَ رَجُلٌ: القَذَاةُ أَرَاهَا فِي الإِنَاءِ ؟ فَقَالَ: « أَهرِقْهَا » . قَالَ: إنِّي لاَ أرْوَى مِنْ نَفَسٍ وَاحِدٍ ؟ قَالَ: « فَأَبِنِ القَدَحَ إِذَاً عَنْ فِيكَ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
১/৭৬৯। আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানীয় পানকালে তাতে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। একটি লোক নিবেদন করল, ‘পানপাত্রে (যদি) আমি খড়কুটো দেখতে পাই?’ তিনি বললেন, ‘‘তাহলে তা ঢেলে ফেলে দাও।’’ সে নিবেদন করল, ‘এক শ্বাসে পানি পান করে আমার তৃপ্তি হয় না।’ তিনি বললেন, ‘‘তাহলে তুমি পেয়ালা মুখ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে নিঃশ্বাস গ্রহণ করো।’’ (তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]
২/৭৭০. وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنه: أَنَّ النبيَّ (صلى الله عليه و سلم) نَهَى أَنْ يُتَنَفَّسَ فِي الإِنَاءِ أَوْ يُنْفَخَ فِيهِ . رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
২/৭৭০। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানপাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে বা তাতে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। (তিরমিযী হাসান সহীহ)[2]
114- بَابُ بَيَانِ جَوَازِ الشُّرْبِ قَائِمًا
পরিচ্ছেদ – ১১৪: দাঁড়িয়ে পান করা
দাঁড়িয়ে পান করা বৈধ; কিন্তু বসে পান করা সর্বোত্তম ও পূর্ণাঙ্গ রীতি। এ মর্মে কাবশার পূর্বোক্ত হাদীসটি দ্রষ্টব্য।
1/771 وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: سَقَيْتُ النَّبِيَّ (صلى الله عليه و سلم) مِنْ زَمْزَمَ، فَشَرِبَ وَهُوَ قَائِمٌ. متفق عَلَيْهِ
১/৭৭১। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যমযমের পানি পান করিয়েছি। তিনি তা দাঁড়িয়ে পান করেছেন।’ (বুখারী ও মুসলিম)[3]
2/772 وَعَنِ النَّزَّالِ بنِ سَبْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: أَتَى عَلِيٌّ رضي الله عنه بَابَ الرَّحْبَةِ، فَشَرِبَ قَائِماً، وَقَالَ: إنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) فَعَلَ كَمَا رَأَيْتُمُونِي فَعَلْتُ . رواه البخاري
২/৭৭২। নায্যাল ইবনে সাবরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুফা নগরীর ‘রাহবাহ’র দ্বারপ্রান্তে আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এসে দাঁড়িয়ে পানি পান করলেন এবং বললেন, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঠিক এভাবে (পান) করতে দেখেছি, যেভাবে তোমরা আমাকে (পান) করতে দেখলে।’ (বুখারী)[4]
3/773 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كُنَّا عَلَى عَهدِ رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) نَأكُلُ وَنَحْنُ نَمشِي، وَنَشْرَبُ ونَحْنُ قِيامٌ . رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
৩/৭৭৩। ইবনে ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আমরা চলতে চলতে আহার করতাম এবং দাঁড়িয়ে পান করতাম।’ (তিরমিযী, হাসান সহীহ)[5]
4/774 وَعَن عَمرِو بنِ شُعَيبٍ، عَن أَبِيهِ، عَن جَدِّهِ رضي الله عنه، قَالَ: رَأَيتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) يَشْرَبُ قَائِماً وقَاعِداً . رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
৪/৭৭৪। ‘আমর ইবনে শু‘আইব তাঁর পিতা থেকে তিনি স্বীয় দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাঁড়িয়ে ও বসে পানি পান করতে দেখেছি।’ (তিরমিযী হাসান সহীহ)[6]
5/775 وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ (صلى الله عليه و سلم): أَنَّهُ نَهَى أَن يَشْرَبَ الرَّجُلُ قَائِماً . قَالَ قَتَادَةُ: فَقُلْنَا لأَنَسٍ: فَالأَكْلُ ؟ قَالَ: ذَلِكَ أَشَرُّ ـ أَوْ أخْبَثُ ـ رواه مسلم . وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: أَنَّ النَّبِيَّ (صلى الله عليه و سلم) زَجَرَ عَن الشُّرْبِ قائِماً .
৫/৭৭৫। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোককে দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। কাতাদাহ বলেন, আমরা আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-কে প্রশ্ন করলাম, ‘আর (দাঁড়িয়ে) খাওয়া?’ তিনি বললেন, ‘তা তো আরো মন্দ বা আরো জঘন্য কাজ।’ (মুসলিম)[7]
তাঁর অন্য এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পান করার ব্যাপারে ধমক দিয়েছেন।
6/776 وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « لاَ يَشْرَبَنَّ أحَدٌ مِنْكُمْ قَائِماً، فَمَنْ نَسِيَ فَلْيَسْتَقِيء ». رواه مسلم
৬/৭৭৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন অবশ্যই দাঁড়িয়ে পান না করে। আর যদি ভুলে যায় (ভুলবশতঃ পান করে ফেলে), তাহলে সে যেন বমি করে দেয়।’’ (মুসলিম)[8]
[1] তিরমিযী ১৮৮৭, আবূ দাউদ ৩৭২২, ৩৭৭৮, আহমাদ ১০৮১৯, ১০৮৮৬, ১১১৪৭ , ১১২৫৭, ১১৩৫১, মুওয়াত্তা মালেক ১৭১৮, দারেমী ২১২১
[2] তিরমিযী ১৮৮৮, আবূ দাউদ ৩৭২৮, ইবনু মাজাহ ৩৪২৯
[3] সহীহুল বুখারী ১৬৩৭, ৫৬১৭, মুসলিম ২০২৭, তিরমিযী ১৮৮২, নাসায়ী ২৯৬৪, ২৯৬৫, ইবনু মাজাহ ৩৪২২, আহমাদ ১৮৪১, ১৯০৬, ২১৮৪, ২২৪৪, ২৬০৩, ৩১৭৬, ৩৪৮৭, ৩৫১৭
[4] সহীহুল বুখারী ৫৬১৫, ৫৬১৬, নাসায়ী ১৩০, আবূ দাউদ ৩৭১৮, আহমাদ ৫৮৪, ৯৭৯, ৯১৮ , ৯৭৩, ৯৭৯, ১০৪৯, ১১২৮, ১১৪৪, ১১৭৭, ১২০১, ১২২৭, ১৩৫৩, ১৩৭০
[5] তিরমিযী ১৮৮০
[6] তিরমিযী ১৮৮৩, আহমাদ ৬৬৪১, ৬৭৪৪, ৬৯৮২
[7] মুসলিম ২০২৪, তিরমিযী ১৮৭৯, আবূ দাউদ ৩৭১৭, ইবনু মাজাহ ৩৪২৩, ৩৪২৪, আহমাদ ১১৭৭৫, ১১৯২৯, ১২০৮১, ১২৪৬০, ১২৬৪৯, ১২৮১৯ , ১৩২০৬, ১৩৫৩১, ১৩৬৯১, দারেমী ২১২৭
[8] মুসলিম ২০২৬, আহমাদ ৮১৩৫