112- بَابُ كَرَاهَةِ الشُّرْبِ مِنْ فَمِ الْقِرْبَةِ وَنَحْوِهَا
وَبَيَانِ أَنَّهُ كَرَاهَةُ تَنْزِيْهٍ لَا تَحْرِيْمٍ
পরিচ্ছেদ – ১১২: মশ্ক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা অপছন্দনীয়, তবে তা হারাম নয়
1/766 عَن أَبي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) عَنِ اخْتِنَاثِ الأَسْقِيَةِ . يعني: أن تُكْسَرَ أفْواهُها، وَيُشْرَبَ مِنْهَا . متفق عَلَيْهِ
১/৭৬৬। আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশকের মুখ বাঁকিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
2/767 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) أن يُشْرَبَ مِنْ فِيِّ السِّقَاءِ أَوْ القِرْبَةِ . متفق عَلَيْهِ
২/৭৬৭। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে বারণ করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[2]
3/768 وَعَن أُمِّ ثَابِتٍ كَبْشَةَ بِنتِ ثَابِتٍ أُخْتِ حَسَّانَ بنِ ثَابِتٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) فَشَرِبَ مِنْ فيِّ قِرْبَةٍ مُعَلَّقَةٍ قَائِماً، فَقُمْتُ إِلَى فِيْهَا فَقَطَعْتُهُ . رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
৩/৭৬৮। উম্মে সাবেত কাবশাহ বিনতে সাবেত, হাসসান ইবনে সাবেতের ভগিনী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন এবং একটি ঝুলন্ত মশকের মুখ থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করলেন। সুতরাং আমি উঠে তার মুখটা কেটে নিলাম। (তিরমিযী হাসান সহীহ)[3]
উম্মে সাবেত মশকের মুখটি কেটেছিলেন; যাতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র মুখ স্পর্শকৃত ঐ অংশটুকু সংরক্ষণ করেন, তার দ্বারা বরকত লাভ করেন এবং অসম্মান থেকে বাঁচিয়ে রাখেন। এ হাদীসটি সরাসরি পাত্রের মুখ থেকে পানি পান করার বৈধতার উপর বর্তানো যায়। আর পূর্বোক্ত হাদীস দু’টি এ ব্যাপারে উত্তম ও পূর্ণাঙ্গরীতি বর্ণনা করার জন্য এসেছে। আর আল্লাহই বেশি জানেন।
[1] সহীহুল বুখারী ৫৬২৫, ৫৬২৬, মুসলিম ২০২৩, তিরমিযী ১৮৯০, আবূ দাউদ ৩৭২০, ইবনু মাজাহ ৩৪১৮, আহমাদ ১০৬৪৩, ১১২৪৮, ১১২৬৫, ১১৪৭৮, দারেমী ২১১৯
[2] সহীহুল বুখারী ২৪৬৩, ৫৬২৭, ৫৬২৮, মুসলিম ১৬০৯ , তিরমিযী ১৩৫২, আবূ দাউদ ৩৬৩৪, ইবনু মাজাহ ২৩৩৫, আহমাদ ৭১১৩, ৭১১৪, ৭২৩৬, ৭৬৪৫, ৮১৩৫, ৮৯০০, ৯৪৭৭, ৯৬৪৫, মুওয়াত্তা মালেক ১৪৬২
[3] তিরমিযী ১৮৯২, ইবনু মাজাহ ৩৪২৩