5/787 وَعَن أَبي رِمْثَة رِفَاعَةَ التَّيْمِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: رَأَيتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) وَعَلَيهِ ثَوبَانِ أَخْضَرَانِ . رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح
৫/৭৮৭। আবূ রিমসা রিফাআহ তাইমী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরনে দুটো সবুজ রঙের কাপড় দেখেছি।’ (আবূ দাঊদ বিশুদ্ধ সূত্রে)[1]
6/788 وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) دَخَلَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاء . رواه مسلم
৬/৭৮৮। জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাবিজয়ের দিন (সেখানে) কাল রঙের পাগড়ী পরে প্রবেশ করেছিলেন। (মুসলিম)[2]
7/789 وَعَن أَبي سَعِيدٍ عَمرِو بنِ حُرَيْثٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَأنِّي أنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) وَعَلَيهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ، قَدْ أرْخَى طَرَفَيْهَا بَيْنَ كَتِفَيْهِ . رواه مسلم
وفي روايةٍ لَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) خَطَبَ النَّاسَ، وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ .
৭/৭৮৯। আবূ সা‘ঈদ ‘আমর ইবনে হুরাইস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাল রঙের পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় দেখছি, তিনি তাঁর পাগড়ীর দুই প্রান্ত দুই কাঁধের মাঝখানে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন।’ (মুসলিম)[3]
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাল রঙের পাগড়ী মাথায় বেঁধে লোকদের মাঝে খুতবা দিচ্ছিলেন।’
8/790 وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كُفِّنَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) فِي ثَلاَثَةِ أثْوَابٍ بِيضٍ سَحُولِيَّةٍ مِنْ كُرْسُفٍ، لَيْسَ فِيهَا قَمِيصٌ وَلاَ عِمَامَةٌ .متفقٌ عَلَيْهِ
৮/৭৯০। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি সাদা সুতি বস্ত্রে কাফন দেওয়া হয়েছে যেগুলি ইয়ামানের ‘সাহুল’ নামক স্থানে প্রস্তুত করা হয়েছিল। ওগুলির মধ্যে কামীস (জামা) ছিল না। আর পাগড়ীও ছিল না।’’ (বুখারী-মুসলিম)[4]
9/791 وَعَنهَا، قَالَتْ: خَرَجَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) ذَاتَ غَدَاةٍ، وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعرٍ أسْوَدَ. رواه مسلم
৯/৭৯১। উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সকালে বের হলেন, তখন তাঁর দেহে পালানের ছবি ছাপা কাল লোমের চাদর ছিল।’ (মুসলিম)[5]
‘মুরাহহাল’ বলা হয় সেই কাপড়কে, যাতে ‘রাহল’ (উটের পিঠে স্থিত জিন্ বা পালান) এর ছবি ছাপা থাকে। আরবীতে পালানকে ‘আকওয়ার’ও বলে।
10/792 وَعَنِ المُغِيرَةِ بنِ شُعْبَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي مَسِيرٍ، فَقَالَ لِي: «أمَعَكَ مَاءٌ ؟» قُلتُ: نَعَمْ، فَنَزَلَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فَمَشَى حَتَّى تَوَارَى فِي سَوَادِ اللَّيْلِ، ثُمَّ جَاءَ فَأفْرَغْتُ عَلَيْهِ مِنَ الإدَاوَةِ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ مِنْ صُوفٍ، فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُخْرِجَ ذِرَاعَيْهِ مِنْهَا حَتَّى أخْرَجَهُمَا مِنْ أسْفَلِ الْجُبَّةِ، فَغَسَلَ ذِرَاعَيْهِ وَمَسَحَ بِرَأسِهِ، ثُمَّ أهْوَيْتُ لأَنْزِعَ خُفَّيْهِ، فَقَالَ: « دَعْهُمَا فَإنِّي أَدْخَلْتُهُمَا طَاهِرَتَيْنِ » وَمَسحَ عَلَيْهِمَا . متفقٌ عَلَيْهِ .
وفي رواية: وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ شَامِيَّةٌ ضَيِّقَةُ الكُمَّيْنِ .
وفي رواية: أنَّ هذِهِ القَضِيَّةَ كَانَتْ في غَزْوَةِ تَبُوكَ .
১০/৭৯২। মুগীরাহ ইবনে শু’বা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে আমি রাতের বেলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, ‘‘তোমার কাছে পানি আছে কি?’’ আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ।’ সুতরাং তিনি স্বীয় বাহন থেকে নামলেন এবং চলতে লাগলেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। তারপর যখন ফিরে এলেন, তখন আমি পাত্র থেকে (পানি) ঢেলে দিলাম। তিনি তাঁর মুখমন্ডল ধুলেন। তাঁর পরনে ছিল পশমী জুববা। তিনি তা হতে তাঁর হাত দু’টিকে বের করতে সক্ষম হলেন না। পরিশেষে তিনি জুববার নিচের দিক দিয়ে হাত বের করলেন। অতঃপর তিনি তাঁর হাত দু’টি ধুলেন ও মাথা মাসাহ করলেন। তারপর আমি তাঁর মোজা খুলে নেওয়ার জন্য হাত বাড়ালাম। তিনি বললেন, ছেড়ে দাও। কেননা, আমি ওগুলো পবিত্র (ওযূ) অবস্থায় পায়ে দিয়েছি। অতঃপর তিনি তার উপর মাসাহ করলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[6]
অপর বর্ণনায় আছে, তাঁর দেহে ছিল শামী জুববা; যার হাতা দু’টি টাইট ছিল।
অন্য বর্ণনায় আছে, এ ঘটনাটি ছিল তাবূক যুদ্ধের সফরে।
[1] আবূ দাউদ ৪০৬৫, ৪২০৬, তিরমিযী ২৮১২, ১৫৭২, আহমাদ ৭০৭১, ৭০৭৭, ১৭০২৭
[2] মুসলিম ১৩৫৮, তিরমিযী ১৬৭৯, ১৭৩৫, ২৮৬৯, ৫৩৪৪, ৫৩৪৫ , আবূ দাউদ ৪০৭৬, ইবনু মাজাহ ২৮২২, ৩৫৮৫, আহমাদ ১৪৪৮৮, ১৪৭৩৭, দারেমী ১৯৩৯
[3] মুসলিম ১৩৫৯ নাসায়ী ৫৩৪৩, ৫৩৪৬, আবূ দাউদ ৪০৭৭, ইবনু মাজাহ ১১০৪, ২৮২১, ৩৫৮৪, ৩৫৮৭, আহমাদ ১৮২৫৯
[4] সহীহুল বুখারী ১২৬৪, ১২৭১, ১২৭২, ১২৭৩, ১২৮৭, মুসলিম ৯৪১, তিরমিযী ৯৯৬, নাসায়ী ১৮৯৭, ১৮৯৮, ১৮৯৯, আবূ দাউদ ৩১৫১, ইবনু মাজাহ ১৪৬৯, আহমাদ ২৩৬০২, ২৪১০৪, ২৪৩৪৮, ২৪৪৮৪, ২৪৭৯৫, ২৫০৭৩, ২৫১৫২, ২৫২৬৭, ২৫৪১৮, ২৫৭৪৪, মুওয়াত্তা মালিক ৫২১
[5] মুসলিম ২০৮১, তিরমিযী ২৮১৩, আবূ দাউদ ৪০৩২, আহমাদ ২৪৭৬৭
[6] সহীহুল বুখারী ১৮২, ২০৩, ২০৬, ৩৬৩, ৩৮৮, ২৯১৮, ৪৪২১, ৫৭৯৮, ৫৭৯৯, মুসলিম ২৭৪, তিরমিযী ৯৭, ৯৮, ১০০, নাসায়ী ৭৯, ৮২, আবূ দাউদ ১৪৯, ১৫০, ১৫১, ইবনু মাজাহ ৫৪৫, ৫৫০, আহমাদ ১৭৬৬৮, ১৭৬৭৫, ১৭৬৯১, ১৭৬৯৯, ১৭৭১০, ১৭৭১৭, ১৭৭৪১, ১৭৭৫৫, মুওয়াত্তা মালেক ৭৩, দারেমী ৭১৩