118- بَابُ اِسْتِحْبَابِ الْقَمِيْصِ
পরিচ্ছেদ – ১১৮: জামা পরিধান করা উত্তম
1/793 عَن أُمِّ سَلَمَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ أحَبُّ الثِّيَابِ إِلَى رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) الْقَمِيصَ . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: «حديث حسن » .
১/৭৯৩। উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় পোশাক ছিল কামীস (জামা)।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাসান)[1]
119- بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ
পরিচ্ছেদ – ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়
1/794 عَن أَسمَاءَ بِنتِ يَزِيدَ الأَنصَارِيَّةِ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ كُمُّ قَمِيصِ رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) إِلَى الرُّسْغِ . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: «حديث حسن »
১/৭৯৪। আসমা বিনতে য়্যাযীদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু‘আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামার হাতা কব্জি পর্যন্ত লম্বা ছিল।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান)[2]
2/795 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: « مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاءَ لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ ». فَقَالَ أَبُو بَكرٍ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ إِزَارِي يَسْتَرْخِي إِلاَّ أنْ أَتَعَاهَدَهُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « إنَّكَ لَسْتَ مِمَّنْ يَفْعَلُهُ خُيَلاءَ ». رواه البخاري وروى مسلم بعضه .
২/৭৯৫। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে নিজের পোশাক মাটিতে ছেঁচড়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামতের দিন (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না।’’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! খেয়াল না করলে আমার লুঙ্গি ঢিলে হয়ে নেমে যায়।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি তাদের শ্রেণীভুক্ত নও, যারা তা অহংকারবশতঃ করে থাকে।’’ (বুখারী, মুসলিম এর আংশিক বর্ণনা করেছেন।)[3]
[1] আবূ দাউদ ৪০২৫, ৪০২৬, তিরমিযী ১৭৬২, ইবনু মাজাহ ৩৫৭৫
[2] আমি (আলবানী) বলছিঃ এর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। দেখুন ‘‘সিলসিলাহ্ য‘ঈফা’’ (২৪৫৮)। এর সনদের মধ্যে শাহর ইবনু হাওশাব নামক এক বর্ণনাকারী রয়েছেন তিনি মন্দ হেফয শক্তির কারণে দুর্বল। হাফেয ইবনু হাজার ‘‘আত্তাক্বরীব’’ গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, বেশী বেশী মুরসাল এবং সন্দেহমূলক বর্ণনাকারী। আবূ হাতিম ও ইবনু আদী প্রমুখও বলেছেন তার হেফ্য শক্তিতে দুর্বলতা ছিল। [দেখুন ‘‘য‘ঈফা’’ হাদীস নং ৬৮৩৬]। তিরমিযী ১৭৬৫, ৪০২৭
[3] সহীহুল বুখারী ৩৬৬৫, ৫৭৮৩, ৫৭৮৪, ৫৭৯১, ৬০৬২, মুসলিম ২০৮৫, তিরমিযী ১৭৩০, ১৭৩১, নাসায়ী ৫৩২৭, ৫৩২৮, ৫৩৩৫, ৫৩৩৬, আবূ দাউদ ৪০৮৫, ইবনু মাজাহ ৩৫৬৯, আহমাদ ৪৪৭৫, ৪৫৫৩, ৪৬৬৯, ৪৭৫৯, ৪৮৬৯, ৪৯৯৪, ৫০১৮, ৫০৩০, ৫০৩৫, ৫১৫১, ৫১৬৬, ৫২২৬, ৫৩০৫, ৫৩১৮, ৫৩২৮, ৫৩৫৪, ৫৪১৬, ৫৪৩৭, ৫৫১০, মুওয়াত্তা মালেক ১৬৯৬, ১৬৯৮