পরিশিষ্ট-১
সাত বছর আগে এ পুস্তকটি প্রথম প্রকাশিত হয়। আলহামদুলিল্লাহ! ভাষাতত্ত্ববিদ, সাহিত্যিক ও দ্বীনি ম হলে এটি সমানভাবে সমাদৃহ হয়েছে। এতে এ সত্য প্রতিভাত হয যে, দ্বঈন এমন বিজ্ঞান ও শিল্পকলা চর্চার পথে অন্তরায় নয় যা যাবতীয় বন্ধন ও শর্তাবলী মুক্ত হয়ে তার উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তুর আলোচনা করেছে।তাছাড়া এ থেকে আরো বুঝা যায়, নিয়ত যদি খালেসহয় এবং আত্মঅহমিকা ও প্রদর্শনেচ্ছা না থাকে তাহলে শিল্প ও বিজ্ঞানের আলোচনা দ্বীনি চেতনার সাথে কোনভাবেই সাংঘর্ষিক নয়। তাই বলে চিন্তা ও দষ্টিভঙ্গির স্বাধীনতার অর্থ মোটেও এই নয় যে, দ্বীন থেকে সম্পূর্ণ ছিন্ন করতে হবে। যা তথাকথিত বুদ্ধিজীবি একদল লোকের ধারণা। কারণ তারা বিশেষ কোন জাতির ও ইতিহাসের ভিত্তিতে এ বিষয়টিকে দেখে থাকে। পাশ্চাত্যে যেমনদ্বীন, বিজ্ঞান ও শিল্পকলার মধ্যে বৈপরীত্য ও সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তেমনিভাবে তারা ইসলামী দুনিয়ায়ও সেইরূপ অবস্থার সৃষ্টি করত চায়। অথচ একটি মুহূর্তের জন্যও ইসলামে দ্বীন, বিজ্ঞান ও শিল্পকলার মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়নি। ইতিহাস তার সাক্ষী।
দ্বিতীয় আরেকটি কথা, যা এমুহূর্তে বলা অত্যন্ত প্রয়োজন। তা হচ্ছে, চিত্রায়ণ পদ্ধতিই কি আল-কুরআনের প্রধান ও ভিত্তির মর্যাদা রাখে?
এ প্রশ্নের উত্তর আমি ‘আল-কুরআনে কিয়ামতের দৃশ্য’ নামক গ্রন্থের ভূমিকায় এভাবে দিয়েছি:
এ বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণের জন্য কুরআনের আয়াতসমূহগভীরভাবে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন। এতে কোন সন্দেহ নেই, কুআনী কিস্সা-কাহিনী, কিয়ামতের দৃশ্যাবলী, মানবিক উপমা উৎক্ষেপণ এবং প্রজ্ঞাপ্রসূ যুক্তির সাথে যদি মনোজাগতিক অবস্থা, চিন্তা ও মনন, কল্পনা ও রূপায়ণ এবং নবুওয়তের কতিপয় ঘটনার উদাহরণকেও শামিল করা যায়- তাহলে দেকা যাবে সেগুলোর অনুপাত ৪:৩ প্রায়। উপরিউক্ত সবগুলো বিষয়ই চিত্রায়ণ পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। শুধু সেইসবজায়গা ও পদ্ধতির বাইরে রাখা হয়েছে যেখানে শরয়ী কোন নির্দেশ বর্ণিত হয়েছে কিংবা বাইরে রাখা হয়েছে যেখানে শরীয় কোন নির্দেশ বর্ণিতহয়েছে কিংবা যুক্তি-প্রমাণের রীতি অবলম্বন করা হয়েছে। অথচা সাদাসিদাভাবে কোন মাসয়ালা বর্ণনা করা হয়েছে। চিত্রায়ণ পদ্ধতি ছাড়া এরূপ সাদাসিদা বর্ণনা আল-কুরআনে প্রায় চার ভাগের এক ভাগ। তাই আমার বক্তব্য অতিশয়োক্তি নয় যে, “আল-কুরআনের বর্ণনা পদ্ধতিতে চিত্রায়ণ ও দৃশ্যায়নের ওপর অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।”
যদি আল্লাহ তাওফিক দেন এবং আল-কুরআনের নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ প্রকাশ করি তাহলে লোকের মনে ততোটুকু নিশ্চয়তা আসবে যতোটুকু নিশ্চয়তা আছে আমার মনে। যেমন-
১. তওরাত ও আল-কুরআনের কিস্সা-কাহিনী।
২. আল-কুরআনে মানুষের স্বরূপ।
৩. আল-কুরআনে যুক্তি-প্রমাণ।
৪. আল-কুরআনে শেল্পিক উপকরণ।
এটি আমার অত্যন্ত খুশীর ব্যাপার যে, এ পুস্তকের মাধ্যমে আল-কুরআনের চিত্রায়ণ পদ্ধতির দিকে সামান্য হলেও মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করতে পেরেছি। এটি এ পুস্তকেরই ফল যে, আল-কুরআনের অধিকাংশ পাঠক ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ এমন জায়গায়ও শৈল্পিক চিত পান, যেসব জায়গার বর্ণনার আমার এ পুস্তকে পওয়া যায় না। এরা যখন কোন জায়গায় শৈল্পিক সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণ করেন, তখন খুশীতে আত্মহারা হয়ে যান। একইভাবে তারা আল-কুরআন ছাড়াও বিভিন্ন কাব্য ও গদ্যের মধ্যেও শৈল্পিক সৌন্দর্য অনুসন্ধানে লেগে যান।
একজন লেখকের জন্য এটি কোন সাধারণ কথা নয় যে, তিনি শৈল্পিক সৌন্দর্য যে সন্ধান দিলেন তা অন্যান্য লেখকগণও সাদরে গ্রহণ করলেন। এ সৌভাগ্য আমাকে খুশীতে আপ্লুত করেছে। এজন্য আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার লাখো শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
শিল্পকলা পরিভাষাটির ভুল ব্যবহার
এখানে আরেকটি কথা না বললেই নয়। আধুনা শিল্পকলা পরিভাষাটির অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে, অথবা তার অর্থ ও তাৎপর্য সঠিকভাবে বুঝা যায় না। কুরআনুল কারীমের তাফসীরেও এ শব্দটির ভুলব্যাখ্যা করা হয়।
স্বীকার করছি, আজ থেকে সাত বছর আগে যখন এ পুস্তকের নামকরণ করলাম ‘আত তাসভীরুল ফান্নী ফিল কুরআন’ (আল-কুরআনের শৈল্পিক সৌন্দর্য)তখন আমার মাথায় একটি খেয়ালই ছিল- বর্ণনা ও ব্যাখ্যার সৌন্দর্য এবং তার ধরণ প্রকৃতি নিয়ে আলোচনাকরবো। এ রকম চিন্তাও কখনো আসেনি যে, শিল্পকলাকে কুরআনের সাথে সংশ্লিষ্ট করে দিলে তা মনগড়া জিনিস হয়ে যায়, যার ভিত্তি খেয়ালীপনার ওপর। তার কারণ, আমিকুরআনের যে দীর্ঘ অধ্যয়ন করেছি তাতে এ ধরনের তাৎপর্য গ্রহণ করা যায় না।
আমি স্পষ্ট বলতে চাই এবং স্বীকারও করছি,মস্তিষ্ক প্রসূত কোন জিনিসকে দ্বীনি আকীদা হিসেবে আমি গ্রহণ করিনি। তবে তা এজন্যগ্রহণ করেছি, এছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। অবশ্য আমি উপলব্ধি করছি, মানুষের বিবেক-বুদ্ধিকে সমীহ করলেও আমার বিবেক আমাকে বাধ্য করেছে যেন তার সীমালংঘন না করা হয়। শুধু জ্ঞানের ভিত্তিতে এমনকথাকে মেনে নেয়া, যার পেছন কোন দলিল-প্রমাণ নেই।
আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, শিল্পকলা পরিভাষাটি এমন মনগড়া ও নতুন অর্থে কেনব্যবহার করা হয় যার সমর্থনে যথার্থকোন প্রমাণ নেই। তাহলে কেন এরূপকরা হয়? এটি কি সম্ভব নয়- সত্যিকারের ঘটনাকে বিজ্ঞান ও শিল্পকলার ডঙে বর্ণনা করা। যাতেতার সত্যতা ওকাহিনী বলবত থাকে?
তাহলে কি হোমার ইলিয়িডের ভিত্তি মনগড়া কল্প-কাহনীর ওপর রেখেছিল?
পাশ্চাত্যের যেসব গল্পকার, উপন্যাসিক এবং নাট্যকার আছেন তাদের শিল্পকর্মে কি সত্যের লেশ মাত্র নেই?
অবশ্য মিথ্যে একটি গল্পও শিল্পকলার সাথে সম্পর্ক রাখে। কিন্তু শিল্পকলা সেখানে সীমাবদ্ধ হয়ে যায় না। নিঃসন্দেহে সত্য ও মর্মের ভেতর সেই যোগ্যতা থাকে যা পুরোপুরি শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করা যায়। এটি বুঝতে হলে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। শুধু পাশ্চাত্যের মানসিক গোলামী পরিহার করতে হবে এবং ভাষার ব্যবহারিক দিকটির প্রতি গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে হবে।
চিন্তা ও দৃষ্টির স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে, মানুষ যা ইচ্ছে তাই বলবে এবং যা খুশী তাই করবে। আমরা দ্বীনের পরিত্রার দিকে লক্ষ্য রেখে আল-কুরআনের ওপর ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে নজর দিতে চাই। তাতে আমাদের সামনেযে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে, তা হচ্ছে গোটা সৃষ্টিলোকে এমন কোন গ্রন্থ নেই যা মানব ইতিহাসের এমন ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ বিদ্যমান যেখানে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের উপকরণ রয়েছে, যতোটুকু উপকরণ আল-কুরআনের ঐতিহাসিক অংশ আছে।
আল-কুরআনের বক্তব্যের যথার্থতা
আল-কুরআনে বর্ণিত ঘটনাবলীর যতার্থতা যাচাইয়ের জন্য আমাদের কাছে শুধু দু’টো উপায় আছে। তার মধ্যে একটিও অকাট্য নয়। তাছাড়া সেখানে প্রমাণের শক্তিও বর্তমান নেই, যা আল-কুরআনে পাওয়া যায়।
উল্লেখিত দু’টো উপায়ের মধ্যে একটি হচ্ছে- ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণ। যদি আল-কুরআন দ্বীনি পবিত্রতা থেকে না দেখে শুধু ঐতিহাসিক গ্রন্থ হিসেব মূল্যায়ন করা হয়, তো দেখা যাবে বৈজ্ঞানিকদৃষ্টিকোণ থেক পৃথিবীর যাবতীয় ইতিহাস গ্রন্থ হতে এর মর্যাদা ঊর্ধ্বে। এগ্রন্থের বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তাঁর পুরনো ও নতুন দুশমনরাও স্বীকৃতি দিতে বাধ্য যে, তিনি অতি সত্যবাদী একজন লোক ছিলেন।
একে শুধু সেই ব্যক্তিই দ্বিমত করতে পারে, যে অপরের প্রতি অপবাদ দেয়ার ব্যাপারে অনড়। কুরআনুল কারীমের সংকলন ও বিন্যাস এমন বিজ্ঞচিতভাবে করা হয়েছে সেখানে খুঁত ধরার কিংবা আঙ্গুলি নির্দেশ করার কোন অবকাশ নেই। একথা সকলেই স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন।
আল-কুরআনে যে বৈজ্ঞানক বিশ্লেষণ এসেছে তা অন্য কোন পুস্তকে পাওয়া সহজসাধ্য নয়। চাই তা কোন পবিত্র কিতাব হোক কিংবা ইতিহাসের্ অন্যান্য আসমানী কিতাব যা কালের আবর্তনে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধিত হয়েছে। আল-কুরআন যেভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে অন্য কোন কিতাব-ই সেভাবে (সুরক্ষিত অবস্থা) আমাদের কাছে পৌঁছেনি। রইল ইতিহাসগ্রন্থ, যে সম্পর্কে সর্বদা সন্দেহ-সংশয়ের অবকাশ রয়েই যায়। মানব সমাজে যতো ইতিহাস গ্রন্থ আছে তার মধ্যে এমন একটি গ্রন্থও নেই, যার যাবতীয তথ্য-উপাত্য সুনিশ্চিত বলে ধারণা করা যেতে পারে।
এ কারণেই বুদ্ধি ও যুক্তির কাছেও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না যে, একটি সাধারণ ইতিহাসের মানদণ্ডেআল-কুরআনের ঐতিহাসিক অংশের মূল্যঅয়ণ করা হবে। বিশেষ করে সেই ইতিহাসর সাথে যা যথার্থ নয়।
দ্বিতীয উপায় হচ্ছে- জ্ঞান বুদ্ধি। আমি নির্ধিায় সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত সমানার্হ ও গ্রহণযোগ। একথা আমি দ্বীনের ভিত্তিতে নয়, চিন্তা ওগবেষণার ভিত্তিতে বলছি। মানুষের বুদ্ধি-বিবেক যখন দাবি করে, সব বিষয়েই সে জেনে ফেলেছে, কোন জিনিসই তার জানার বাইরে নেই, তখন নিজেই তার সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট করে ফেলে। বুদ্ধি নিজেই জানে না সে কি জিনিস। কাজেই সে মানসিক ধারণার বিমূরত বিষয়সমূহ উপলব্ধি করবে কিভাবে? এর অর্থ এই নয় যে, আমি মানুষের বুদ্ধি-বিবেক ও স্বাধীনতার গুরুত্বকে অস্বীকার করছি। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাকে ততোটুকু মর্যাদা দেয়া উচিত যতোটুকু তার পাওনা।
ইউরোপের ধার্মিকগোষ্ঠী বস্তুবাদী দুনিয়ায় বসবাস করা সত্ত্বেওবুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় স্বাধীন মতামত প্রদান পছন্দ করতেন না। প্রতিক্রিয়া তার এই হয়েছে যে, বুদ্ধিজীবি ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য আমরাএ বিষয়টিকে প্রাচৗ ইসলাম পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতেচাই না। কেননা এরূপ স্বাধীন চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ অন্যদের ওপর বিনা দলিলেই প্রভাব বিস্তার করে বসবে যাকে আমরা নিন্দনীয় তাকলীদ বা অন্ধ অনুসরণ বলতে পারি। এ থেকে বুজা যায়, চিন্তার স্বাধীনতা বন্ধুত্বের একটি পন্থা। সেই বন্ধুত্বের সুবাদে আমরা বানরের মতো অপরের অনুকরণ করেই চলছি।
এতে কোন সন্দেহ নেই, যারা ‘আল-কুরআনের ঘটনাবলী এবং কুরআনে আঁকা কিয়ামতের চিত্র’ নিয়ে চিন্তা ও অনুসন্দান করছিল তারা আমার মতোই বাধাগ্রস্তহয়েছেন। আমি ভাবতাম, আল-কুরআনে যেসব দৃশ্যের চিত্রায়ণ করা হয়েছে, তা কি এভাবেই সংঘটিত হয়েছে? নাকি তা উপমা আকারে বর্ণিত হয়েছে?
দীর্ঘদিন আমিএ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছি কিন্তু ঐতিহাসিক এমন একটি ঘটনাও পাইনি যার ওপর আমার অকাট্যভাবে বিশ্বাস স্থাপন হয় এবং আমি কুরআনের সাথে সেগুলো তুলনা করবো, তার চিন্তাও করতে পারিনি যে, শুধু ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে কোন ঘটনা কুরআনের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তখন এমন একজন দ্বীনদারও ছিলেন না, দ্বীনি বিষয়ে আমাকে খোলামেলা আলাপ করার ব্যাপারে নিষেধ করবে। পক্ষান্তরে আমি এতোটুকু বুঝতে পারতাম যে, আমার কথাগুলোকে কেউ যেন মিথ্যের ওপর ভিত্তি বলে উড়িযে দিতে না পারেন।
যদি কোন ব্যক্তি এমন কোন সতপেয়ে যান যাকে কুরআনের সাথে তুলনা করা চলে তাহলে আমি শান্ত মনে তার কথা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে তৈরী আছি। কিন্তু এমন সত্য অনুসন্ধানের আগে যদি এক ভিত্তিহীন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমার এ পুস্তককে মিথ্যে প্রতিপন্ন করা হয়, তা হবে স্বল্পবুদ্ধির পরিচায়ক। দ্বীনিমর্যাদায় আমার এ পুস্তকের মান যা-ই হোক না কেন।
কুরআনী পরিভাষার আলোকে বিরল বক্তব্য, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সৌন্দর্য এবং শক্তিশালী বর্ণনার নাম ‘শিল্পকলা’। তার মধ্যে কোন কিছুই একতার দাবি করে না যে, সে সবের ভিত্তি শুধু অলীক চিন্তা-কল্পনার ও তার প্রতিষ্ঠিত করা যায়।তবে শর্ত হচ্ছে- ব্যক্তির মধ্যে দৃঢ়তা, বুঝ ও উপলব্ধি যদি যথাযথভাবে থাকে।
পরিশিষ্ট-২
আল-কুরআনের সূরা অবতীর্ণের ক্রমধারা
সূরার নাম | অবতীর্ণক্রম | সংকলন ক্রম |
সূরা আল-আলাক/ সূরা ইকরা বিইস্মি | ০১ | ৯৬ |
সূরা আল-মুজ্জাম্মিল | ০২ | ৭৩ |
সূরা আল-মুদ্দাস্সির | ০৩ | ৭৪ |
সূরা আল-কলম | ০৪ | ৬৮ |
সূরা আল-ফাতিহা/আস সাবাউল মাছানী | ০৫ | ০১ |
সূরা লাহাব/ সুরা মাসা | ০৬ | ১১১ |
সূরা আত-তাভীর | ০৭ | ৮১ |
সূরা আল-আ’লা | ০৮ | ৮৭ |
সূরা আল-লাইল | ০৯ | ৯২ |
সূরা আল-ফাযর | ১০ | ৮৯ |
সূরা আদ-দোহা | ১১ | ৯৩ |
সূরা ইনশিরাহ/ সূরা আলাম নাশরাহ/ সূরা আশ শর্হ | ১২ | ৯৪ |
সূরা আল-আর | ১৩ | ১০৩ |
সূরা আল-আদিয়াত | ১৪ | ১০০ |
সূরা আল-কাওছার | ১৫ | ১০৮ |
সূরা আত-তাকাছর | ১৬ | ১০২ |
সূরা আল-মাউন | ১৭ | ১০৭ |
সূরা আল-কাফিরূন | ১৮ | ১০৯ |
সূরা আল-ফীল | ১৯ | ১০৫ |
সূরা আল-ফালাক | ২০ | ১১৩ |
সূরা আল-নাস | ২১ | ১১৪ |
সূরা আল-ইখলাস | ২২ | ১১২ |
সূরা আবাস | ২৪ | ৮০ |
সূরা আল-কাদর | ২৫ | ঙ৯৭ |
সূরা আশ-শাস্স | ২৭ | ৮৫ |
সূরা আত্তীন | ২৮ | ৯৫ |
সূরা কুরাইশ | ২৯ | ১০৬ |
সূরা আল-ক্বারিয়াহ | ৩০ | ১০১ |
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ | ৩১ | ৭৫ |
সূরা আল-হুমাযা | ৩২ | ১০৪ |
সূরা আল-মুরসালাত | ৩৩ | ৭৭ |
সূরা ক্বাফ | ৩৪ | ৫০ |
সূরা আল-বালাদ | ৩৫ | ৯০ |
সূরা আত্-ত্বারিক | ৩৬ | ৮৬ |
সূরা আল-ক্বামার | ৩৭ | ৫৪ |
সূরা সাদ | ৩৮ | ৩৮ |
সূরা আল-আ’রাফ | ৩৯ | ০৭ |
সূরা জ্বিন | ৪০ | ৭২ |
সুরা ইয়াসীন | ৪১ | ৩৬ |
সূরা আল-ফুরক্বান | ৪২ | ২৫ |
সূরা ফাতির | ৪৩ | ৩৫ |
সূরা মারইয়াম | ৪৪ | ১৯ |
সূরা ত্ব-হা | ৪৫ | ২০ |
সূরা ওয়াকিয়া | ৪৬ | ৫৬ |
সূরা আশ-শুয়ারা | ৪৭ | ২৬ |
সূরা আন-নামল | ৪৮ | ২৭ |
সূরাক্বাসাস | ৪৯ | ২৮ |
সূরা বানী ইসরাঈল/সূর আসরা | ৫০ | ১৭ |
সূরা ইউনুস | ৫১ | ১০ |
সূরা হুদ | ৫২ | ১১ |
সূরা ইউসুফ | ৫৩ | ১২ |
সুলা আল-হিযর | ৫৪ | ১৫ |
সূরা আনআম | ৫৫ | ০৫ |
সূরা আস্-সাফ্ফত | ৫৬ | ৩৭ |
সূরা লুকমান | ৫৭ | ৩১ |
সূরা আস-সাবা | ৫৮ | ৩৪ |
সূরা আয্-যুমার | ৫৯ | ৩৯ |
সূরা আল-মুমিন/সূরা গাফির | ৬০ | ৪০ |
সূরা হা-মীম আস্সাজদা/সূরা ফুস্সিলাত | ৬১ | ৪১ |
সূরা আশ-শুরা | ৬২ | ৪২ |
সূরা যুখরুফ | ৬৩ | ৪৩ |
সূরা আদ-দুখান | ৬৪ | ৪৪ |
সূলা আল-জাছিয়া | ৬৫ | ৪৫ |
সূরা আহকাফ | ৬৬ | ৪৬ |
সূরা আয-যারিয়াত | ৬৭ | ৫১ |
সূরা আল-গাশিয়া | ৬৮ | ৮৮ |
সূরা আল-কাহফ | ৬৯ | ১৮ |
সূরা আন-নাহল | ৭০ | ১৪ |
সূরা নূহ | ৭১ | ৭১ |
সূরা ইবরাহীম | ৭২ | ১৪ |
সূরা আল-আম্বিয়া | ৭৩ | ২১ |
সূলা মুমিনূন | ৭৪ | ২৩ |
সূরা আস্-সাদজাহ | ৭৫ | ৩২ |
সুরা আত-তূর | ৭৬ | ৫২ |
সূরা আল-মুলক | ৭৭ | ৬৭ |
সূরা আল-হাক্কাহ্ | ৭৮ | ৬৯ |
সূলা আল-মাআরিজ | ৭৯ | ৭০ |
সূরা আন-নাবা | ৮০ | ৭৮ |
সূরা আন-নাযিয়াত | ৮১ | ৭৯ |
সূরা ইনফিতর | ৮২ | ৮২ |
সূরা ইনশিক্বাক | ৮৩ | ৮৪ |
সূরা আর-রূম | ৮৪ | ৩০ |
সূরা আল-আনকাবূত | ৮৫ | ২৯ |
সূরা আল-মুতাফ্ফিফীন | ৮৬ | ৮৩ |
সূরা আল-বাকারাহ | ৮৭ | ০২ |
সূরা আল-আনফাল | ৮৮ | ০৮ |
সূরা-আলে ইমরান | ৮৯ | ০৩ |
সূরা আল-আহযাব | ৯০ | ৩৩ |
সূরা মুমতাহিনা | ৯১ | ৬০ |
সূরা আন-নিসা | ৯২ | ০৪ |
সূলা যিলযাল | ৯৩ | ৯৯ |
সূরা আল-হাদীদ | ৯৪ | ৫৭ |
সূরা মুহাম্মদ/ সূরা কিতাল | ৯৫ | ৪৭ |
সূরা আর্-রা’দ | ৯৬ | ১৩ |
সূরা আর-রহমান | ৯৭ | ৫৫ |
সূরা দাহর/সুরা ইনসান | ৯৮ | ৭৬ |
সূর আত্-তালাক | ৯৯ | ৬৫ |
সূরা বাইয়্যিনাহ | ১০০ | ৯৮ |
সূরা আল-হাশর | ১০১ | ৫৯ |
সূরা আন-নূর | ১০২ | ৩৪ |
সূলা আল-হাজ্জ | ১০৩ | ২২ |
সূরা আল-মুনাফিকূন | ১০৪ | ৬৩ |
সূরা আল-মুজাদাহলাহ | ১০৫ | ৫৮ |
সূরা আল-হুজরাত | ১০৬ | ৪৯ |
সূলা আত-তাহরীম | ১০৭ | ৬৬ |
সূলা আত্-তাগাবুন | ১০৮ | ৬৪ |
সূরা আছ-সফ | ১০৯ | ৬১ |
সূরা আল-জুম’আ | ১১০ | ৬২ |
সূরা আল-ফাত্হ | ১১১ | ৪৮ |
সূরা আল-মায়িদা | ১১২ | ০৫ |
সূরা আত্-তওবা/সূলা বারায়াত | ১১৩ | ০৯ |
সূলা আন-নাসর | ১১৪ | ১১০ |