সাংস্কৃতিক জীবন
আমরা এ পর্যন্ত জানতে পেরেছি যে, ইসলাম আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনের জন্য কেমন চমৎকার বিধি-বিধান ও নিয়ম-কানুন শিক্ষা দিয়েছে। যারা ইসলামের শিক্ষা মেনে চলে তাদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতি এক ধরণের হবে। যারা সে শিক্ষা গ্রহণ করবে না তারা মনগড়া নিয়মে কিংবা অন্যদের শেখানো তরীকায় চলবে। ফলে সঙ্গত কারণেই তাদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতি আলাদা ধরণের হবে।
এ কারণেই মুসলিম ও অমুসলিমের জীবনধারা একই রকম হতে পারে না।
একজন মুসলিম সূর্য ওঠার বেশ আগে ঘুম থেকে উঠে পেশাব-পায়খানা সেরে পবিত্র হয়ে ওযূ করে, নামাযের পোশাক পরে মসজিদে গিয়ে জামাআতে ফজরের নামায আদায় করে। এরপর হয় মসজিদে বসেই সে কুরআন তিলাওয়াত করে, আর না হয় বাড়িতে এসে কুরআন পড়ে। মসজিদে আসা-যাওয়ার সময় কোনো মুসলমানের সাথে দেখা হলে ‘আস্সালামু আলাইকুম’ বলে শুভেচ্ছা জানায়।
একজন অমুসলিমের এত সকালে ঘুম থেকে উঠার দরকার হয় না। যখন খুশি ঘুমায়, যখন উঠা দরকার তখন উঠে পেশাব-পায়খানা করে মুখ ধুয়ে তার অভ্যাসমতো যা করার তা-ই করে। পেশাব-পায়খানার নিয়মও তার আলাদা। তার পাক-পবিত্র হওয়ার কোনো ধারণই নেই। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েও তারা নাপাক থাকতে পারে।
মুসলমানের কথাবার্তা বলার ধরণও অমুসলিমের থেকে আলাদা। কেউ তাকে ‘কেমন আছে’ জিজ্ঞাসা করলে জবাবে সে বলে ‘আল্হামদুলিল্লাহ! ভালো আছি।’ কোনো অমুসলিম এভাবে বলে না।
একটি মুসলিম পরিবারের মেয়ে শরীর ভালোভাবে ঢেকে বাড়ির বাইরে যায়। অমুসলিম মেয়েদের মতো পোশাক পরে বাইরে যায় না। একজন মুসলিম মহিলা বাড়ির বাইরে অন্য মানুষকে তার দেহের সৌন্দর্য দেখায় না।
এ অল্প ক’টি উদাহরণই এ কতা বোঝানোর জন্য যথেষ্ট যে, স্বাভাবিক কারণেই মুসলিম ও অমুসলিমদের চলা, বলা, করা, খাওয়া, পরা ইত্যাদি প্রায় সব কিছুতেই কিছু না কিছু ভিন্নতা ও পার্থক্য দেখা যায়।
আমাদের দেশে গ্রামের দিকে অশিক্ষিত মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কিছুটা তফাৎ দেখা গেলেও শহরে বিশেষ করে শিক্ষিত মহলে মুসলিমদের অনেককে অমুসলিমদের মতোই চলতে দেখা যায়। এর কারণ এটাই যে, তারা ইসলামী শিক্ষা ঠিকমতো পায়নি। কেন পায়নি সে কথাও বলা দরকার। তা না হলে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে। এর জন্য তারা মোটেই দায়ী নয়। তাহলে দায়ী করা?
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান মিলে এত বিশাল এলাকা যে, একে উপমহাদেশ বলা হয়। এ এলাকায় ৭০০ বছর মুসলিম শাসন ছিল। বাংলাদেশ এলাকায় এ শাসন সাড়ে ৫০০ বছর ছিল। ঐ সময় যে শিক্ষাব্যবস্থা ছিল, তার ফলে সকল শিক্ষিত লোকই ইসলামী শিক্ষালাভের সুযোগ পেত। ১৭৫৭ সালে ইংরেজরা বাংলাদেশ দখল করার পর ঐ শিক্ষাব্যবস্থা উৎখাত করে তাদের নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে; যাতে তাদের মন-মগজ-চরিত্রের অনুরূপ লোক তৈরী হয়। ১৯০ বছর আমরা ইংরেজদের গোলাম ছিলাম। ১৯৪৭ সালে আমরা ইংরেজ থেকে স্বাধীন হয়েছি। তখন থেকে এ দেশে মুসলিম শাসনেই চলছে। কিন্তু ইংরেজরা তাদের শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে যে ধরণের মন-মগজ ও চরিত্রের লোক তৈরী করেছে, সে ধরণের লোকেরাই দেশ শাসন করছেন। তারা নামে মুসলিম হলেও ইসলামী শিক্ষায় গড়ে ওঠেন নি। ১৯৪৭ সালে আমরা স্বাধীন পাকিস্তানের অংশ হলাম। ইংরেজরা চলে গেলেও তাদের শিক্ষাব্যবস্থাই জারি রইল ইসলামের নামে পাকিস্তান কায়েম হলেও ইসলামী সরকার কায়েম হয়নি।
১৯৭১ সালে এ দেশ পশ্চিম-পাকিস্তান থেকে আলাদা হলো। যাদের হাতে বাংলাদেশ শাসন করার ক্ষমতা এলা তারা শিক্ষাব্যবস্থায় নিচের দিকে সামান্য যেটুকু ইসলামী শিক্ষা ছিল তা-ও উঠিয়ে দিলেন। বর্তমানে মাদ্রাসায় ইসলামের শুধু ধর্মীয় শিক্ষাটুকু আছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষার সামান্য থাকলেও মূলত ইংরেজ আমলের শিক্ষাব্যবস্থাই চালু আছে।
এ অবস্থায় এ দেশের শিক্ষিত লোকদের মন-মগজ-চরিত্র ইসলামী শিক্ষা অনুযায়ী তৈরী হতে পারছে না। এর জন্য তারা দায়ী নয়। যারা দেশ শাসন করছেন তারাই দায়ী। তাই শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বাড়লেও মুসলিম শিক্ষিতদের অনেকের চালচলনের ধরণ দেখতে অনেকটা অমুসলিমদের মতোই মনে হয়। অবশ্য শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামী না হওয়া সত্ত্বেও অনেক শিক্ষিত লোককে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় কিংবা পারিবারিক প্রভাবে মুসলিম হিসেবে জীবনযাপন করতে দেখা যায়।
মুসলিম ও অমুসলিম জীবনে তফাৎ কোথায়?
মুসলিম ও অমুসলিম সবাই আদমসন্তান। সবাই মানুষ। সবাই ঘুমায়, ঘুম থেকে উঠে, পেশাব-পায়খানা করে, বিয়ে-শাদি করে, আনন্দ-উৎসব করে, আয়-রোজগার করে, ব্যবসা-বাণিজ্য করে, মারা যায় এবং মরার পর তাদের দেহকে জীবিতরা সৎকার করে। মানুষ হিসেবে সব মানুষকেই এসব করতে হয়।
এসব কাজ মুসলিমদেরকে ইসলামের বিধান অনুযায়ী করতে হয়। অমুসলিমরা এর সবই অন্যভাবে করে। মুসলিমরা কিবলার (মক্কার কাবা শরীফ) দিকে পা দিয়ে ঘুমায় না। কিবলার দিকে মুখ করে ও পিঠ রেখে পেশাব-পায়খানা করে না। তাদের পেশাব-পায়খানার জায়গা সেদিকে খেয়াল রেখেই তৈরী করা হয়। ইসলামের দেওয়া হালাল ও হারামের বিধান মেনে তারা খাওয়া-দাওয়া করে। যেসব জিনিস খাওয়া হারাম তা খায় না। হালাল পশুও জবেহ করার সময় আল্লাহু আকবার না বললে হারাম হয়ে যায়। খাবার শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ বলতে হয়। খাবার শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলে শুকরিয়া জানাতে হয়।
মুসলিমদেরকে ইসলামের শেখানো নিয়মে বিয়ে করতে হয়। যেসব মহিলাকে বিয়ে করা হারাম তাদেরকে মুসলমানরা বিয়ে করে না। আয়-রোজগার করতে হালাল উপায় তালাশ করে এবং হারাম থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। ব্যবসা-বাণিজ্যের বেলায়ও হারাম থেকে বেঁচে থাকতে হয়।
ইসলামে আনন্দ-উৎসবের বিধানও রয়েছে। ঈদ শব্দের মানেই খুশি ও আনন্দ। এ আনন্দ শুরু করতে হয় নামায দিয়ে। এর দ্বারা শেখানো হয় যে, এমন ধরণের আনন্দ ফূর্তি করা যাবে না, যা আল্লাহ অপছন্দ করেন। মুসলিমদের আনন্দবিনোদন যেন নৈতিক বিধান অমান্য না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
মারা গেলে মুসলমানদের মৃতদেহকে গোসল করিয়ে, কাফনের কাপড় পরিয়ে, সম্মানের সাথে কবরে দাফন করা হয়।
এসব কাজ অমুসলিমরাও করে। তবে মুসলমানরা যে নিয়মে করে অমুসলিমরা সে নিয়মে করে না। তারা আলাদা নিয়মে করে। হিন্দুরা একভাবে করে, খ্রিস্টানরা আরেকভাবে করে। প্রত্যেক জাতির লোক নিজ নিজ নিয়মেই ঐসব কাজ করে থাকে।
সংস্কৃতি কাকে বলে?
সকল ধর্ম ও সকল দেশের মানুষই উপরিউক্ত কাজগুলো নিজ নিজ নিয়মে করে থাকে। ঐ নিয়মগুলোই হলো সংস্কৃতি। বাংলায় কৃষ্টি শব্দটিও এ অর্থেই ব্যবহার করা হয়। ইংরেজিতে Culture, সে হিসেবেই মুসলিম কালচার, হিন্দু কালচার, খ্রিস্টান কালচার ইত্যাদি বলা হয়। দেশ হিসেবেও আমেরিকান কালচার, জাপানি কালচার, চাইনিজ কালচার ইত্যাদি নামে পরিচিত।
এর দ্বারা বোঝা গেল, এক জাতি থেকে অন্য জাতির মধ্যে জীবনযাপনের নিয়মে যে তফাৎ আছে ঐ তফাৎটাই সংস্কৃতি বা কালচার। খায় সবাই। খাওয়াটা সংস্কৃতি নয়। খাওয়ার নিয়মটাই সংস্কৃতি। সব মানুষকে যা কিছু করতে হয় তা করার নিয়ম বা পদ্ধতি দেখেই বলা যায়- কে কোন্ কালচারের লোক, কে কোন্ জাতির মানুষ। এভাবেই মানুষের চালচলন থেকে তার সংস্কৃতি কী তা জানা যায়।
সংস্কৃতি কাকে বলে- এ নিয়ে শিক্ষিত মহলে বিরাট তর্ক-বিতর্ক চলে। এ বিতর্কে সাধারণ জনগণের কোনো আগ্রহ থাকার কথা নয়। তাই অপ্রয়োজনীয় আলোচনায় যাওয়ার কোনো দরকার নেই। অতি সহজ কথায় আমরা বুঝে নিলাম, মানুষ সকল কাজ-কর্মে ও চলায়-বলায় যেসব নিয়ম-কানুন মেনে চলে তা-ই সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও কালচার।
যারা আল্লাহকে একমাত্র হুকুমকর্তা প্রভু, রাসূল সা.-কে একমাত্র আদর্শ নেতা, আখিরাতের জীবনে সাফল্য-লাভকেই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য বলে বিশ্বাস করে দুনিয়ার সব কাজ-কর্ম করে তারা আল্লাহ ও রাসূলের শেখানো নিয়মেই করে থাকে। এসব বিশ্বাসই সংস্কৃতির মূল। যারা এসব বিশ্বাস করে না তারা যে রকম বিশ্বাস করে তাদের কাজের নিয়ম সে রকম হওয়ার কথা। তাদের সংস্কৃতির মূল ভিন্ন। ঐ মূলটুকুকেই বলা হয় সভ্যতা বা Civilization. তাই ইসলামী সভ্যতার ভিত্তিমূল হলো তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাত। এ তিনটি মূলের ভিত্তিতে যাদের জীবন গড়ে ওঠে তারাই মুসলিম জাতি। তাদের মূলকেই বলে ইসলামী সভ্যতা। এ সভ্যতার ভিত্তিতেই ইসলামী সংস্কৃতির জন্ম হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
শুধু বড় শহরেই নয়, ছোট শহরেও এমনকি হাটবাজারেও নাচ-গান, নাটক, কবিতা পাঠ, কৌতুক ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’। সংস্কৃতি শব্দ থেকেই সাংস্কৃতির শব্দটি এসেছে।
পশুর মতো শুধু শরীরটুকু নিয়েই মানুষ নয়। মানুষের মন আছে, যা পশুর নেই। তাই মানুষ রাত-দিন পশুর মতো শুধু খেয়ে ও ঘুমিয়ে জীবন কাটায় না। মানুষের মনের খোরাকেরও দরকার হয়। পশুও দেখতে পায় যে, রাত যায় দিন আসে, আবার দিন যায় রাত আসে, সূর্য উঠে ও ডোবে। কিন্তু এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা পশুর নেই। মন আছে বলেই মানুষ যা কিছু দেখে এর চেয়েও বেশি চিন্তা করে। এ চিন্তা প্রকাশ না করলে মানুষ মনে শান্তি পায় না। বিভিন্নভাবে মানুষ ঐ চিন্তাকে প্রকাশ করে।
কেউ কবিতার মাধ্যমে তার চিন্তা প্রকাশ করে। কেউ গান গেয়ে নিজের চিন্তা প্রকাশ কলে। কেউ বই লিখে চিন্তা প্রকাশ কলে। কেউ নাটক লিখে চিন্তা প্রকাশ করে। নাটককে আবার মঞ্চে অভিনয় করে প্রকাশ করা হয়। কেউ ছবি এঁকে তার চিন্তা প্রকাশ করে। সে যা দেখে তা তুলি দিয়ে ছবি বানিয়ে অন্যকে দেখায়। কেউ পাথর খোদাই করে কোনো মূর্তি বানিয়ে তার চিন্তার প্রকাশ ঘটায়। নাচের মাধ্যমেও চিন্তা প্রকাশ করা হয়।
তাই ভাষা, সুর অভিনয়, ছবি, খোদাই, নাচ ইত্যাদি হলো সংস্কৃতির বাহন। এসবের কাঁধে ভর করেই সংস্কৃতি প্রকাশ পায়।
আগেই বলা হয়েছে, সংস্কৃতির মূলভিত্তি হচ্ছে কতক বিশ্বাস। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে কতক বিশ্বাস ছাড়া মানুষ মনকে বুঝ দিতে পারে না। যার বিশ্বাস যে রকম, তার সংস্কৃতি সে রকমই হতে বাধ্য।
তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের যারা আয়োজন করে তাদের মৌলিক বিশ্বাস যে রকম হয় ঐ অনুষ্ঠানের সে রকম সংস্কৃতিরই প্রকাশ ঘটে।
যারা তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসী তাদের গান, নাটক, ছবি, সাহিত্য, তাদের সবকিছু ইসলামী সংস্কৃতির পরিচয় বহন করবে। যেকোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়, এটা কোন্ সংস্কৃতি।
বাঙালি সংস্কৃতি
দেশের অনেক শিক্ষিত লোকের মুখে ‘বাঙালি সংস্কৃতি’ কথাটি শোনা যায়। সংস্কৃতি কাকে বলে-এ বিষয়ে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, সে হিসেবে বাঙালি সংস্কৃতি কথাটি মোটেই যুক্তিপূর্ণ নয়। যারা এ কথাটি বলেন, তারা হয়ত না বুঝেই বলেন।
যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে, তাদেরকে বাঙালি বলা হয়। বাংলা ভাষাভাষীদের সবার জীবনজগৎ সম্পর্কে মৌলিক বিশ্বাস এক রকম নয়। বাঙালি মুসলিম এবং বাঙালি হিন্দুদের মৌলিক বিশ্বাস আলাদা। তাই মুসলিম সংস্কৃতি ও হিন্দু সংস্কৃতি কিছুতেই এক রকম হতে পারে না। তাহলে বাঙালি সংস্কৃতি বলে কোনো সংস্কৃতি থাকতে পারে না। বাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতি বাঙালি হিন্দুদের সংস্কৃতি থেকে অবশ্যই আলাদা। বাঙালি হিসেবে উভয়ই পয়লা বৈশাখ পালন করে; কিন্তু পালন করার ধরনে পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক। যারা ‘বাঙালি সংস্কৃতি’ কথাটি বলেন, তারা চালাকি করে হিন্দু সংস্কৃতিকে বাঙালি সংস্কৃতি নামে চালিয়ে দিয়ে মুসলিম তরুণদেরকে মুসলিম সংস্কৃতি থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চান। তাই দেখা যায়, বাঙালি সংস্কৃতির নামে অনুষ্ঠান করে সেখানে হিন্দু ধর্মের কতক প্রথাকেও বাঙালি সংস্কৃতির নামে চালিয়ে দেওয়া হয়।