12/130 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم): «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ، ثُمَّ أَتَى الجُمُعَةَ فَاسْتَمَعَ وَأنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْن الجُمُعَةِ وَزِيادَةُ ثَلاثَةِ أيَّامٍ، وَمَنْ مَسَّ الحَصَا فَقَدْ لَغَا». رواه مسلم
১২/১৩০। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করল, অতঃপর জুমআহ পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে নীরব থেকে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুমআহ ও (আগামী) জুমআর মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ করে দেওয়া হল। আর যে ব্যক্তি (খুৎবাহ্ চলাকালীন সময়ে) কাঁকর স্পর্শ করল, সে অনর্থক কর্ম করল।’’ (অর্থাৎ সে জুমআর সওয়াব বরবাদ করে দিল।)[1]
13/131 وعَنْهُ : أنَّ رَسُولَ الله (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «إِذَا تَوَضَّأ العَبْدُ المُسْلِمُ، أَو المُؤمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَينيهِ مَعَ المَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، فَإِذا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيهِ كُلُّ خَطِيئَة كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ المَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيئَةٍ مشتها رِجْلاَهُ مَعَ المَاء أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيّاً مِنَ الذُّنُوبِ». رواه مسلم
১৩/১৩১। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘মুসলিম বা মু’মিন বান্দা যখন ওযূর উদ্দেশ্যে তার মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন ওযূর পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে দুই চক্ষুর দৃষ্টির মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার হাত দু’টিকে ধৌত করে, তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে উভয় হাত দ্বারা ধারণ করার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার পা দুটিকে ধৌত করে, তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে, যা সে তার দু’পায়ে চলার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। শেষ অবধি সমস্ত গোনাহ থেকে সে পবিত্র হয়ে বের হয়ে আসে।’’[2]
14/132 وعَنْهُ، عَن رَسُولِ الله (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «الصَّلَوَاتُ الخَمْسُ، وَالجُمُعَةُ إِلَى الجُمُعَةِ، وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ مُكَفِّراتٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتُنِبَتِ الكَبَائِرُ». رواه مسلم
১৪/১৩২। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতেই বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমআহ থেকে আর এক জুমআহ এবং এক রমযান থেকে আর এক রমযান, এগুলো এর মধ্যকার (সংঘটিত সাগীরা) গোনাহ মুছে ফেলে; যদি কাবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায় তাহলে (নতুবা নয়)।’’[3]
15/133 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم): «ألا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟» قَالُوا : بَلَى، يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: «إِسْبَاغُ الوُضُوءِ عَلَى المَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الخُطَا إِلَى المَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاةِ بَعْدَ الصَّلاةِ فَذلِكُمُ الرِّبَاطُ». رواه مسلم
১৫/১৩৩। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজ বলে দেব না, যার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা পাপসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেন এবং মর্যাদা বর্ধন করেন?’’ সাহাবীগণ বললেন, ‘অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ‘‘কষ্টের সময় পূর্ণরূপে ওযূ করা, মসজিদের দিকে বেশী বেশী পদক্ষেপ করা (অর্থাৎ দূর থেকে আসা) এবং এক নামাযের পর দ্বিতীয় নামাযের অপেক্ষা করা। সুতরাং এই হল (নেকী ও সওয়াবে) সীমান্ত পাহারা দেওয়ার মত।’’[4]
16/134 وعَنْ أَبِي مُوسى الأَشعَرِيِّ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسولُ الله (صلى الله عليه و سلم): «مَنْ صَلَّى البَرْدَيْنِ دَخَلَ الجَنَّةَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
১৬/১৩৪। আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দুই ঠান্ডা (অর্থাৎ ফজর ও আসরের) নামায পড়বে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’[5]
17/135 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم): «إِذَا مَرِضَ العَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيماً صَحِيحاً». رواه البخاري
১৭/১৩৫। উক্ত আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যখন বান্দা অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তখন তার জন্য ঐ আমলের মতই (সওয়াব) লেখা হয়, যা সে গৃহে থেকে সুস্থ শরীরে সম্পাদন করত।’’[6]
18/136 وعن جَابرٍ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رسولُ الله (صلى الله عليه و سلم): «كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ». رواه البخاري
১৮/১৩৬। জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘প্রত্যেক নেকীর কাজ সাদকাহস্বরূপ।’’[7]
[1] মুসলিম ৫৮৭, তিরমিযী ৪৯৮, আবূ দাউদ ১০৫০,ইবনু মাজাহ ১০১০, আহমাদ ৯২০০
[2] মুসলিম ২৪৪, তিরমিযী ২, আহমাদ ৭৯৬০,মুওয়াত্তা মালেক ৭১৮, দারেমী ৬৩
[3] মুসলিম ২৩৩, তিরমিযী ২১৪, ইবনু মাজাহ ১০৮৬, আহমাদ ৭০৮৯, ৮৪৯৮, ৮৯৪৪
[4] মুসলিম ২৫১, তিরমিযী ৫২, নাসায়ী ১৪৩, আহমাদ ৭১৬৮, ৭৬৭২, ৭৯৩৫, ৭৯৬১
[5] সহীহুল বুখারী ৫৭৪, মুসলিম ৬৩৫, আহমাদ ১৬২৮৯
[6] সহীহুল বুখারী ২৯৯৬, আবূ দাউদ ৩০৯১, আহমাদ ১৯১৮০, ১৯২৫৪
[7] সহীহুল বুখারী ৬০২১, তিরমিযী ১১৭০, আহমাদ ১৪২৯৯, ১৪৪৬৩