8/196. عَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا : أن رَسُولَ الله (صلى الله عليه و سلم) رَأى خاتَماً مِنْ ذَهَبٍ في يَدِ رَجُلٍ فنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ، وَقالَ: «يَعْمدُ أحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا في يَدِهِ»! فَقِيلَ لِلرَّجُلِ بَعدَمَا ذَهَبَ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم): خُذْ خَاتَمَكَ انْتَفِعْ بِهِ. قَالَ: لاَ وَالله لاَ آخُذُهُ أبَداً وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم). رواه مسلم
৮/১৯৬। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ একটি লোকের হাতে সোনার আংটি দেখতে পেলেন। অতঃপর তিনি তা খুলে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে একজন স্বেচ্ছায় আগুনের টুকরা নিয়ে তা স্বহস্তে রাখতে চায়!’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেলে সেই লোকটিকে বলা হল, ‘তুমি তোমার আংটিটা তুলে নাও এবং (তা বিক্রি করে অথবা উপঢৌকন দিয়ে) তার দ্বারা উপকৃত হও।’ সে বলল, ‘না। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ফেলে দিয়েছেন, তা আমি কখনই তুলে নেব না।’[1]
9/197. عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الحَسَنِ البَصرِي : أَنَّ عَائِذَ بنَ عَمرٍو رضي الله عنه دَخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللهِ بنِ زِيَاد، فَقَالَ : أي بُنَيَّ، إِنِّي سَمِعتُ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم) يَقُولُ: «إنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الحُطَمَةُ» فَإِيَّاكَ أنْ تَكُونَ مِنْهُمْ، فَقَالَ لَهُ : اجلِسْ فَإِنَّمَا أنْتَ مِنْ نُخَالَةِ أصْحَابِ مُحَمَّد (صلى الله عليه و سلم)، فَقَالَ : وهل كَانَتْ لَهُم نُخَالَةٌ إِنَّمَا كَانَتِ النُّخَالَةُ بَعْدَهُمْ وَفي غَيْرِهِمْ . رواه مسلم
৯/১৯৭। আবূ সাঈদ হাসান বাসরী বর্ণনা করেন যে, আয়েয ইবনে ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু (ইরাকের গভর্নর) উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদের নিকট গেলেন। অতঃপর (উপদেশ স্বরূপ) বললেন, ‘বেটা! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় নিকৃষ্টতম শাসক সে, যে প্রজাদের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করে। সুতরাং তুমি তাদের দলভুক্ত হওয়া থেকে দূরে থাকো।’ যিয়াদ তাঁকে বলল, ‘আপনি বসুন, আপনি তো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের চালা আটার অবশিষ্ট ভুসি (অপদার্থ)!’ তিনি বললেন, ‘তাঁদের মধ্যেও কি ভুসি আছে? (কখনই না।) বরং ভুসি তো তাঁদের পরবর্তী এবং তাঁরা ছাড়া অন্যদের মধ্যে আছে।’[2]
10/198. عَن حُذَيفَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسي بِيَدِهِ، لَتَأْمُرُنَّ بِالمَعْرُوفِ، وَلَتَنْهَوُنَّ عَنْ المُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللهُ أنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَاباً مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُوْنَهُ فَلا يُسْتَجَابُ لَكُمْ». رواه الترمذي، وَقالَ: «حديث حسن».
১০/১৯৮। হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে, তা না হলে শীঘ্রই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর আযাব পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দো‘আ করবে; কিন্তু তা কবুল করা হবে না।’’[3]
11/199. عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «أفْضَلُ الجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائرٍ». رواه أَبُو داود والترمذي، وَقالَ: «حديث حسن».
১১/১৯৯। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ।’’[4]
12/200. عَنْ أَبِي عَبدِ الله طَارِقِ بن شِهَابٍ البَجَليِّ الأَحْمَسِيّ رضي الله عنه : أنَّ رَجُلاً سَأَلَ النَّبيّ (صلى الله عليه و سلم) وَقَد وَضَعَ رِجلَهُ في الغَرْزِ: أيُّ الجِهادِ أفضَلُ؟ قَالَ: «كَلِمَةُ حَقٍّ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائرٍ». رواه النسائي بإسناد صحيح
১২/২০০। আবূ আব্দুল্লাহ ত্বারেক ইবনে শিহাব বাজালী আহমাসী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করল এমতাবস্থায় যে, তিনি (সওয়ারীর উপর আরোহণ করার জন্য) পাদানে পা রেখে দিয়েছিলেন, ‘কোন্ জিহাদ সর্বশ্রেষ্ঠ?’ তিনি বললেন, ‘‘অত্যাচারী বাদশাহর সামনে হক কথা বলা।’’[5]
[1] মুসলিম ২০৯০, আহমাদ ২০১১৪
[2] মুসলিম ১৮৩০, আহমাদ ২০১১৪
[3] তিরমিযী ২১৬৯
[4] তিরমিযী ২১৭৪, আবূ দাউদ ৪৩৪৪, ইবনু মাজাহ ৪০১১, আহমাদ ১০৭৫৯, ১১১৯৩, (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান সূত্রে)
[5] নাসায়ী ৪২০৯, আহমাদ ১৮৩৫১, (নাসায়ী বিশুদ্ধ সূত্রে)