12/171 وعَن عَابِسِ بنِ رَبِيعَةَ قَالَ: رَأيْتُ عُمَرَ بنَ الخَطَّابِ رضي الله عنه يُقَبِّلُ الحَجَرَ – يَعْنِي : الأسْوَدَ – وَيَقُولُ: إني أَعْلَمُ أنَّكَ حَجَرٌ مَا تَنْفَعُ وَلاَ تَضُرُّ، وَلَولا أنِّي رَأيْتُ رَسُولَ الله (صلى الله عليه و سلم) يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ. مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
১২/১৭১। আবেস ইবনে রাবি‘আহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-কে ‘হাজারে আসওয়াদ’ চুমতে দেখেছি, তিনি বলছিলেন, ‘আমি সুনিশ্চিত জানি যে, তুমি একটা পাথর; তুমি না উপকার করতে পার, আর না অপকার? আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমাকে চুমতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুমতাম না।[1]
17- بَابُ فِي وُجُوْبِ الْاِنْقِيَادِ لِحُكْمِ اللهِ تَعَالٰى
পরিচ্ছেদ -১৭ : আল্লাহর বিধান মান্য করা অবশ্য কর্তব্য। আর যাকে এর দিকে আহ্বান করা হবে ও তাকে ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাধা দেওয়া হবে, সে কী উত্তর দেবে?
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [النساء: ٦٥]
অর্থাৎ “কিন্তু না, তোমার রবের শপথ! তারা বিশ্বাসী (মু’মিন) হতে পারবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে, অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তঃকরণে তা মেনে নেয়।” (সূরা নিসা ৬৫ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ إِنَّمَا كَانَ قَوۡلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ أَن يَقُولُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٥١ ﴾ [النور: ٥١]
অর্থাৎ যখন বিশ্বাসীদেরকে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের দিকে আহ্বান করা হয়, তখন তারা তো কেবল এ কথাই বলে, ‘আমরা শ্রবণ করলাম ও মান্য করলাম।’ আর ওরাই হল সফলকাম। (সূরা নূর ৫১ আয়াত)
[1] সহীহুল বুখারী ১৫৯৭, ১৬০৫, ১৬১০, মুসলিম ১২৭০, তিরমিযী ৮৬০, নাসায়ী ২৯৩৭, ২৯৩৮, আবূ দাউদ ১৮৭৩, ২৯৪৩, আহমাদ ১০০, ১৩২, ১৭৭, ২২৭, ২৫৫, ২৭৬, ৩২৭, ৩৬৩, ৩৮৩, ৩৮২, মুওয়াত্তা মালেক -৮২৪, দারেমী ১৮৬৪