48- بَابُ التَّحْذِيْرِ مِنْ إِيْذَاءِ الصَّالِحِيْنَ وَالضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ
পরিচ্ছেদ – ৪৮: নেক লোক, দুর্বল ও গরীব মানুষদেরকে কষ্ট দেওয়া থেকে ভীতিপ্রদর্শন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ بِغَيۡرِ مَا ٱكۡتَسَبُواْ فَقَدِ ٱحۡتَمَلُواْ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا ٥٨ ﴾ [الاحزاب: ٥٨]
অর্থাৎ “যারা বিনা অপরাধে বিশবাসী পুরুষ ও নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে।” (সূরা আহযাব ৫৮ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ فَأَمَّا ٱلۡيَتِيمَ فَلَا تَقۡهَرۡ ٩ وَأَمَّا ٱلسَّآئِلَ فَلَا تَنۡهَرۡ ١٠ ﴾ [الضحا: ٩، ١٠]
অর্থাৎ “অতএব তুমি পিতৃহীনের প্রতি কঠোর হয়ো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না।” (সূরা যুহা ৯-১০ আয়াত)
এই পরিচ্ছেদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বহু হাদীস রয়েছে। তার মধ্যে ৯৬ নং হাদীস, যাতে বলা হয়েছে, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন বন্ধুর সাথে শত্রুতা করবে, তার সঙ্গে আমার যুদ্ধের ঘোষণা রইল।’’
যেমন ২৬৬ নং হাদীসটিও এই পরিচ্ছেদের সাথে সম্পর্ক রাখে; যাতে বলা হয়েছে, ‘‘সম্ভবতঃ তুমি তাদেরকে (অর্থাৎ সালমান, সুহাইব ও বিলালকে) অসন্তুষ্ট করেছ। তুমি যদি তাদেরকে অসন্তুষ্ট করে থাক, তাহলে তুমি তোমার প্রতিপালককে অসন্তুষ্ট করেছ।’’
1/394 وَعَن جُندُبِ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم): « مَنْ صَلَّى صَلاةَ الصُّبْحِ فَهُوَ في ذِمَّةِ الله فَلاَ يَطْلُبَنَّكُمُ الله مِنْ ذِمَّته بشَيءٍ، فَإنَّهُ مَنْ يَطْلُبْهُ منْ ذمَّته بشَيءٍ يُدْركْهُ، ثُمَّ يَكُبُّهُ عَلَى وَجْهِهِ في نَارِ جَهَنَّمَ ». رواه مسلم
১/৩৯৪। জুন্দুব ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ফজরের নামায (জামাআতে) পড়ল, সে আল্লাহর জামানতে চলে এল। সুতরাং আল্লাহ যেন অবশ্যই তোমাদের কাছে তার জামানতের কিছু দাবী না করেন। কারণ, যার কাছেই তিনি তাঁর জামানতের কিছু দাবী করবেন, তাকে পাকড়াও করবেন। অতঃপর তিনি তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’’ (মুসলিম)[1] (বলা বাহুল্য, যে নামায পড়ে সে আল্লাহর জামানতে। সুতরাং সে সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র।)
[1] মুসলিম ৬৫৭, তিরমিযী ২২২, আহমাদ ১৮৩২৬, ১৮৩৩৫