চতুর্থ অধ্যায়
উচ্চশিক্ষা : ক্যারিয়ারের সোপান
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে সবচেয়ে কঠিন বাঁধাটি অতিক্রম করতে হয় এইচএসসি পাশ করার পর উচ্চ শিক্ষার প্রবেশ মুখে। দীর্ঘ দশ/ বার বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাবে কি পাবে না, তা নির্ধারিত হয় এ পর্বে। তাছাড়া ভবিষ্যতের উজ্জ্বল ক্যরিয়ার এ সময়ের নির্ভুল সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করে। এসব কারণে বহু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণ নানা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান এইচএসসি উত্তর সময়টাতে। এ অধ্যায় সে দুশ্চিন্ত লাঘবে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
ভর্তি পরীক্ষার কঠিন বৈতরণী পার হবার পরেও অনেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন উচ্চশিক্ষার বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে। কারণ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে উচ্চশিক্ষার এক একটি বিষয়ের এক এক সকম মূল্য। সময়ের নিরন্তর ধেয়ে চলার ধারায়-এ মূল্যের উত্থান পতন হয়। এক সময় যে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দ তালিকার শীর্ষে থাকে সময়ের ব্যবধানে যুগের চাহিদায় সেটিই হয়তোবা নেমে যায় পছন্দ তালিকার একেবারে নিচে। বর্তমান সময়ে কোন বিষয়ের চাহিদা কেমন, কর্মসংস্থান ও দেশ- সেবার বিস্তৃতি কতদূর, ভবিষ্যত কেমন হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে মোটিামুটি একটি প্রারম্ভিক ধারণা পাওয়া যাবে এ পর্বে।
ক্যারিয়ার বিষয়ক সিদ্ধান্তের সিংহভাগ গৃহীত হয় ব্যক্তির উচ্চ শিক্ষার উপর ভিত্তি করে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অনেক পূর্বেই উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ভাবনা শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের মনে জন্ম নেওয়া দরকার। এইচএসসি পাশের পূর্বেই অর্থাৎ স্কুল পূর্বেই যদি ‘ক্যারিয়ার: বিকশিত জীবনের দ্বার’ একজন অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীর হাতে যায় তাহলে এইচএসসি উত্তর উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় সেটিতে অনেক সুবিধা হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
এমবিবিএস (MBBS)
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন স্তরে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যেতে পারে। এগুলো হচ্ছে
১। এম বি বিএস (অনার্স কোর্স)
২। বিডিএস (অনার্স কোর্স)
৩। ডেপ্লোমা ইন হেলথ টেকনোলজি
বিষয়
Bachelor in Medicine & Bachelor in Surgery (MBBS) কোর্সটি দেশের একমাত্র কোর্স যেখানে একই সাথে দুটি বিষয়ে (মেডিসিন ও সার্জারি) অনার্স করানো হয়।
সময়
MBBS কোর্সটি ৫ বছর ব্যাপী একটি কোর্স। এরপর এক (১) বছর ইন্টার্নশিপ রয়েছে। তবে ইন্টার্নী করার সময় ডাক্তারগণ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাতা পেয়ে থাকেন।
যা পড়ানো হয়
৫ বছর ব্যাপী ও কোর্সটিতে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কম্যুনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মেডিসিন, সার্জারী ও গাইনকোলজি ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়।
চাহিদা
সমাজে ডাক্তারদের চাহিদা সম্বন্ধে নতুন করে বলার কিছুই নেই। সেই আনাদিকাল থেকে ডাক্তারগণ সমাজের অবকাঠামোর অন্যতম চালিকাশক্তি হিসাবে টিকে আছেন। সমাজের সর্বত্রই ডাক্তারদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয় এবং সম্ভবত পেশাগত মর্যাদার দিক থেকে ডাক্তাররাই সবার চেয়ে এগিয়ে। এজন্যই ডাক্তারদের বলা হয় “The second god”. এই পেশায় একদিকে যেমন সম্মান অন্যদিকে হালাল উপায়ে পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জনেরও সুযোগ রয়েছে একজন ডাক্তার শুধু MBBS ডিগ্রি নিয়েও এই সামাজে সম্মানের সাথে টিকে থাকতে পারেন।
এই অনার্স ডিগ্রি নেওয়ার পর একজন ডাক্তর যেমন সরাসরি চিকিৎসা সেবায় অংশগ্রহন করতে পারেন এবং ক্লিনিক্যাল সেক্টরে উচ্চতর ডিগ্রি যেমন এম ডি/ এম এস (চিকিৎসা শাস্ত্রে মাস্টার্স কোর্স) অথবা এফসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়াম এন্ড সার্জনস কর্তৃক প্রদত্ত এমআরসিপি (রয়েল কলেজ অব ইংল্যান্ড কর্তৃক প্রদত্ত) ইত্যাদি করার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে পারেন আবার এমবিবিএস করার পর বিভিন্ন নন ক্লিনিক্যাল সবাজেক্ট যেমন হেলথ ইকোনমিক্স, পাবলিক হেলথ, মাইক্রোবায়েলজি, এম্ত্রায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইম্মুউনোলজি, বায়োক্যাম্যাষ্ট্রি ইত্যাদির মত অসংখ্য কোর্সে মাষ্টার্স বা পিএইচডিকরা যায়।
বিষয় রেটিং
চাহিদার দিক থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বিষয়সমূহ পাশাপাশি ডাক্তারীও শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রতিবছর মেডিকেল কলেজগুলোতে শীর্ষ মেধাবীরা পেশা হিসাবে ডাক্তারী বেছে নেবার জন্য ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ন হয়।
কোথায় পড়ানো হয়
আমাদের দেশে বর্তমানে ১৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর সবগুলোতেই MBBS কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে আসন সংখ্যা ২০৬০টি। ছাত্রদের পছন্দ ও মেধাস্থান অনুযায়ী কে কোন মেডিকেলে চান্স পাবে তা নির্ধারিত হয়। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর নাম-
১. ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
২. স্যার সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
৩. বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
৪. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।
৫. চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্রগ্রাম।
৬. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী।
৭. সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট।
৮. শের-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল।
৯. খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা।
১০. শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া।
১১. রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর।
১২. ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর।
১৩. দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর।
১৪. কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
১. বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, ধানমণ্ডি, ঢাকা।
২. আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।
৩. ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড হেলথ ক্যাব টেকনোলজি, চট্টগ্রাম।
৪. মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন্স, উত্তরা, ঢাকা।
৫. জরিনা শিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ, রায়ের বাজার, ঢাকা।
৬. ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
৭. ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী।
৮. সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা।
৯. ডা. ইবরাহীম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
১০. জালালাবাদ আর আর মেডিকেল কলেজ, সিলেট।
১১. ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, জনসন রোড, ঢাকা।
১২. কম্যুনিটি বেইসড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।
১৩. নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেট।
১৪. হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
১৫. নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
সাধারণত সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তির পর এদেশের প্রাইভেট মেডিলেকল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে খরচ অত্যন্ত বেশি।
উচ্চশিক্ষা
মেডিকেল সাইন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেবার জন্য বাংলাদেশে একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেটি হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি ঢাকার শাহাবাগে অবস্থিত। এখানে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিষ্ট্রি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কম্যুনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, সিন-ডিডি কার্ডাওলজি, ইউরোলজি, নেক্রলজি, বেমাটোলজি ও গাইনিকোলজিতে এমফিল, এমডি করা যায়। এছাড়া সার্জারির বিভিন্ন বিষয়ে যেমন জেনারেল সার্জারি, ইএলটি অর্থপেডিক সার্জারি, নিউরোসার্জারি, সাইনাল সার্জারি, কার্ডিওথেরাপিক সার্জারি, হেপাটোরিলিয়ারী সার্জারি প্রভৃতি বিভাগে এমএস (MS) করা যায়। এছাড়াও শীর্ষস্থনীয় ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমডি বা এম এস করার সুযোগ রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন যেমন- NICVD বা জাতিয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, NITOR বা পশু হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, জাতিয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট প্রভৃতি স্থানে ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায় আর নিপসম এর মত প্রতিষ্ঠানগুলোতে নন-ক্লিনিক্যাল বা গবেষণামুলক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায়।
বিদেশে ভর্তি
মেডিকেল এডুকেশন খুব ব্যয়বহুল হবার কারণে নিজ খরচে বিদেশে পড়ার খরচ চালানো কষ্টসাধ্য। এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই যেকোন ছাত্র-ছাত্রী ইচ্ছা করলে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে প্রতি বছর কোর্স ফি হিসাবে বাংলাদেশী টাকার ৪০-৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এজন্য সাধারণত ছাত্ররা দেশেই MBBS পাশ করে বিভিন্ন ডিগ্রির জন্য বিদেশে গমন করে। সেক্ষেত্রে খরচ কিছুটা কম হয়। বিদেশে ডিগ্রি নেবার ক্ষেত্রে “রয়াল ইউনিভর্সিটি অব ইংল্যান্ড” সবার চেয়ে এগিয়ে। এখান থেকে FRCS অথবা MRCP ডিগ্রি নিতে পারলে বিশ্বব্যাপী এ স্বীকৃতি রয়েছে। এছাড়া এভিনবার্গ, গ্লাসগো ও আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভর্সিটি থেকেও ডিগ্রি নেওয়া যায়।
এই অনেকগুলো পরীক্ষার প্রথম কয়েকটি অংশ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও দেওয়া যায়। যেমন MRCP, MRCS এর প্রথম দুটি অংশই কলকাতা থেকে দেওয়া যায়। এছাড়াও PLAB এর প্রথম অংশ বাংলাদেশে, দ্বিতীয় অংশ কলকাতায় দেওয়া যায়। এই সকল ইন্টারন্যাশনাল ডিগ্রি নেওয়ার সুবিধা হল এই যে, এই ডিগ্রি নেবার পর ডাক্তারগণ বিশ্বের যেকোন দেশে ডাক্তারি করতে পারবেন। এমবিবিএস ও ইন্টার্ণী করার পর ক্লিণিক্যাল বিষয়গুলোতে বিদেশে স্কলারশীপ খুবই নগন্য। তবে কয়েক বছর ট্রেইনিং থাকলে পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালে অব সারডারশীপ ও পরবর্তীতে ফেলোশীপ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু নন-ক্লিনিক্যাল বিষয় বা গবেষণার জন্য খুব সহজেই স্কলারশীপ পাওয়া যায় এবং এক্ষেত্রে গবেষকের জন্য খুব লোভণীয় চাকরির সুযোগ রয়েছে।
চাকুরি
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারগণের জন্য চাকুরির সুবিধা আছে। এছাড়া ডাক্তারগণ ইচ্ছা করলে বিসিএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সরকারি ক্যাডারভুক্ত হয়ে চাকুরি করতে পারেন। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তারা পর্যাপ্ত চাকুরির সুবিধা পাবেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান- জাতিসংঘ, WHO, CARE ইত্যাদিসহ অন্যান্য মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ডাক্তারগণের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ থেকে পাশ করা বহু ডাক্তার এখন বিদেশে চাকুরিতে আছেন।
স্কলারশীপ
মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে এ সংক্রান্ত বৃত্তির সংখ্যা নগণ্য।
দেশে: (ক) ডাচ বাংলা ব্যাংক বৃত্তি,
(খ) ইমদাদ সিতারা বৃত্তি,
(গ) ফেয়ার এন্ড লাভলি বৃত্তি (শুধুমাত্র মেয়েদের)।
বিদেশে: (ক) মনোবুশো বৃত্তি (পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য),
(খ) কমনওয়েলথ বৃত্তি (পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য),
(গ) বৃটিশ কাউন্সিল বৃত্তি (পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য)।
ডেন্টাল সার্জারি
যা পড়ানো হয়
গ্রাজুয়েশন লেভেলে ডেন্টাল বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি BDS’ (Bachelor in Dental Surgery) কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া ১ বছর ইন্টার্নীশিপ চালু রয়েছে।
ডিমান্ড
মেডিকেলের পাশাপাশি দেশে ডেন্টালের চাহিদাও ব্যাপক। বিসিএস এর সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাকুরির সুবিধা থাকায় অনেক পিতামাতাই তাদের সন্তানদের এই বিষয়ে পড়াতে আগ্রহী হয়। তাছাড়া প্রাইভেট প্রাকটিসের ব্যবস্থাতো রয়েছেই। সামাজিক মর্যাদার পাশাপাশি সততার সাথে অর্থ উপার্জনের সুযোগ এই পেশার জন্য বাড়তি আকর্ষণ।
কোথায় পড়ানো হয়
দেশে সরকারি ডেন্টাল কলেজ বর্তমানে ৩টি। এগুলো হল-
(ক) ঢাকা ডেন্টাল কলেজ
(খ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট
(গ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট
মোট আসন সংখ্যা- ২০৫টি
এছাড়া দেশে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা
পোস্ট গ্রাজুয়েশন লেভেল BSMMU (IPGMR) থেকে এই বিষয়ে ডিগ্রি নেওয়া যায়।
বিদেশে ভর্তি
“ডেন্টাল” এডুকেশন, মেডিকেল এডুকেশনের মত ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে গ্রাজুয়েশন লেভেলে বিদেশে ভর্তি কষ্টসাধ্য। গ্রাজুয়েশন লেভেলে বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য Russia, Canada, England, Ireland এ ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে পোস্ট গ্রাজুয়েশন পর্যায়ে ডিগ্রি নেবার জন্য বিদেশে নামিদামি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের ডিগ্রি সারা বিশ্বেই স্বীকৃত। এদের মধ্যে Royal College of England অন্যতম।
স্কলারশীপ
ডেন্টাল বিষয়ে বৃত্তির সংখ্যা খুবই সীমাবদ্ধ-
দেশেঃ (ক) ডাচ বাংলা ব্যাংক বৃত্তি (খ) ইমদাদ সিতারা বৃত্তি
বিদেশেঃ (ক) মনোবুশো বৃত্তি, জাপান (খ) কমনওয়েলথ বৃত্তি
চাকুরি
ডেন্টাল ডাক্তারগণের জন্য সরকারি বিভিন্ন ব্যাংক হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও চাকুরির ব্যবস্থা আছে। বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজসমূহে চাকুরি নিতে পারেন। তাছাড়া তারা চাইলে প্রাইভেট প্রাকটিস বা ক্লিনিকেও চাকুরি নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ডিগ্রি নিয়ে বিদেশের বিভিন্ন দেশে চাকরির জন্য যেতে পারেন।
হেলথ টেকনোলজি
বাংলাদেশে ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকটি সরকারি হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট ও প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে ঢাকায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যেমন- সাভারে সিআরপি-এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট। এসব প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল টেকনোলজি (যেমন, রেডিওলজি/ ইমেজিং), ফিজিওথেরাপী, ল্যাংগুয়েজ- থেরাপী, অবুপেশনাল থেরাপী ফার্মেসী, প্যাথলজী এন্ড ল্যাব টেকনোলজি, প্যারামেডিক্স প্রভৃতি বিষয়ে ডিপ্লোমা এবং অনার্স কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা কোর্সের সুবিধা হচ্ছে এসএসসি পাশ করার পরই তা কারা যায়। এসকল বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে প্রচুর খালি আছে এবং দেশের বাইরেও উচ্চ শিক্ষার্থে যাওয়ার সুযোগ আছে।
চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে
আরো বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে যেগুলি কোন না কোনভাবে চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত এবং যে কেউ ক্যারিয়ার হিসেবে এ পেশাগুলো গ্রহণ করতে পারেন। নিচে এদের কয়েকটি সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হল- হেলথ ইকোনমিক্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ব্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে হেলথ ইকনোমিক্স পড়া যায়। বড় বড় এনজিও ও WHO, UNICEF ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব লোভণীয় বেতনের চাকরির সুযোগ রয়েছে। ব্রাক ইউনিভর্সিটিতে এ বিষয়ে স্কালারশীপ দেওয়া হয়। তবে প্রার্থীকে অবশ্যই ভাল অংকের মেধা থাকতে হবে।
পুষ্টিবিজ্ঞান: হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া যায়।
হেলথ ম্যানেজমেন্ট: বড় বড় হসপিটাল পরিচালনা করার কৌশল নিয়ে এ বিষয় গড়ে উঠেছে। এমবিবিএস করার পর এ বিষয়ে মাস্টার্স করা যায় অথবা সরাসরি বিবিএ করে হেলথ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করা যায়।
সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয়বস্তু
বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাট. বাঁধ, উচুঁ টাওয়ার, এয়ারপোর্ট, সুয়ারেজ লাইন, পানির পাইপ লাইন, বর্জ্য নিষ্কাশন ও রিসাইক্লিং সিস্টেম, ভূমিকম্পের কারণ ও প্রতিরোধ, ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
চাহিদা
উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল যে কোন দেশের জন্যেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। বাংলাদেশ ভাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা বেশি এবং এর প্রকট অভাব অনুভূত হচ্ছে। এদেশে এখন প্রচুর Real estste বা construction consultation ফার্ম আছে, যেগুলোতে প্রচুর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দরকার। এছাড়াও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি চাকুরির সুযোগ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারদের তুলনায় অনেক বেশি। এই পেশায় পেশাগত জীবনে পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হলে বৈধ পথে প্রচুর অর্থ ও সম্মান অর্জন করা যায়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে।
সাবজেক্ট রেটিং
বর্তমানে –এ এই সাবজেক্টের অবস্থান অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পছন্দ অনুসারে ৩য় (যে কোন সময় পরিবর্তনযোগ্য, এটি কোন অফিসিয়াল রেটিং নয়, শিক্ষার্থীদের বিষয় নির্বাচনের ভিত্তিতে এটি নির্মিত)।
কোথায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন
ক) দেশে: BUET, KUET, RUET, CUET, এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ যেমন- North South, Stamtord, Ahsanullah ইত্যাদি। শাবিপ্রবি-তে সিভিল এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (CEE) এবং অন্যান্য কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং আছে।
খ) বিদেশে: প্রায় সব খ্যাতনামা Technical Institute এবং University –তে সিভিল আছে। তবে Stamford University কর্তিৃক প্রদত্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির মান খুব উন্নতমানের। এছাড়াও MIT সহ অন্যান্য Institute/ University তেও সর্বোচ্চ মানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বৃত্তি
দেশে ও বিদেশে উভয় জায়গাতেই Term Final পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আকর্ষণীয় বৃত্তি প্রদান করা হয় (ডিপার্টমেন্টাল পক্ষ থেকে)।
উচ্চ শিক্ষা
ক) দেশে: BUET -এ সিভিলের বিভিন্ন বিষয়ের উপর M.S, M.Sc এবং Ph.D করা যায়। শাবিপ্রবি-তেও CEE এর উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।
খ) বিদেশে: বিদেশের প্রায় সব খ্যাতনামা এবং মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে Civil Engineering এর উপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা হয়।
চাকরির ক্ষেত্র
-B.C.S General
-B.C.S Technical (Civil যেমন C&B, LGED, R&H)
-PWD
-Real estate
-Construction Farm
-Consulting Farm
-Mobile/ Land phone company
-UNDP
-WHO
-বিভিন্ন NGO (যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করে)
– BUET, KUET, RUET, CUET, DUET শাবিপ্রবি, প্রভৃতি সরকারি এবং Stamtord, Ahsanullah, Prisidency প্রবৃতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা
-অন্যান্য সকল জায়গায় যেখানে Graduate রা চাকুরির জন্য দরখাস্ত করতে পারে
-অন্যান্য সকল কোম্পানী/ ফ্যাক্টিরী
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/
টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয়বস্তু
ইলেকট্রিসিটির পাওয়ার হাউস ডিজাইন ও তার রক্ষণবেক্ষণ, ইলেকট্রনিক্স সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়, Circuit design and application, টেলিকমিউনিকেশন, ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
চাহিদা এবং ভবিষ্যৎ
যেকোন দেশেই ইলেকট্রিক্যাল/ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। এর ব্যাপক চাহিদা অতীতে সবসময় ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশেষত আগামী ৫/৬ বছর ইলেকট্রিক্যালের চাহিদা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে আশা করা যায়।
বিষয় রেটিং
বর্তমানে BUET এবং অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে EEE এর অবস্থান ১ম।
কোথায় পড়বেন
ক) দেশে:
– BUET, RUET, CUET, KUET,
-প্রায় সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেমন AIUB,East-West, Stamford ইত্যাদি।
-KUET-এ আছে Electrical & Communication Engineering (ECE) যা EEE এর কাছাকাছি, RUET এ আছে ETE
-কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (TE) নামে যে বিভাগ আছে তা EEE এর কাছাকাছি।
-NSU, IUB সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি আছে।
খ) বিদেশে:
প্রায় সব খ্যাতনামা এবং মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়- EEE/ECE/TE আছে। এর মধ্যে MIT, Harvard University উল্লেখযোগ্য।
স্কলারশীপ
-Term final- এর Result- এর উপর ভিত্তি করে দেশে ও বিদেশে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ থেকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
-বিভিন্ন Technical magazine এ থিসিস/ রিসার্চ পেপার জমা দিয়েও বৃত্তি পাওয়া যায়।
– বিভিন্ন Technical Foundation ও বৃত্তি প্রদান করে।
উচ্চশিক্ষা
ক) দেশে: BUET, RUET, CUET, KUET, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালসমূহ যেমন NSU, AIUB, Ahsan-ullah. ইত্যাদি।
খ) বিদেশে: প্রায় সব খ্যাতিনামা ও মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়।
চাকুরির ক্ষেত্র
-B.C.S General
-B.C.S Technical (Electrical যেমন বিদ্যুৎ বিভাগ, T&T ইত্যাদি)
-PDB
-Mobile/ Land phone company
– BUET, KUET, RUET, CUET, DUET এবং অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেমন AIUB, Ahsan-ullah, Stamtord, East-West প্রভৃতি জায়গায় শিক্ষকতা
-যেখানে সাধারণ ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারে।
-অন্যান্য কোম্পানী/ ফ্যাক্টরি
ম্যাটেরিয়াল এন্ড মেটালরজিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয়বস্তু
-বিভিন্ন মৌল ও পদার্থের ধর্ম এবং পদার্থ গুলোর ব্যবহারিক প্রয়োগ
-মেটালের বিভিন্ন রকম বিক্রিয়া, পলিমারাইজেশন, ইত্যাদি
-মেটাল দ্বারা তৈরি বিভিন্ন জিনিসের ধর্ম এবং সেগুলো তৈরির কৌশল
-খনি থেকে মেটাল উত্তোলন, পরিশোধন এবং ব্যবহারের কৌশল
ডিমান্ড
দেশে এ বিষয়ের চাহিদা মোটামুটি। তবে বিদেশে এ বিষয়ের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। বিশেষত যেসব দেশ খনি সমৃদ্ধ, সেসব দেশে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে এ বিষয়েরই একটি প্যারালাল (সমান্তরাল) বিষয়ের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক।
ভবিষ্যৎ
ভবিষ্যতে দেশে এ বিষয়ের চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
এডমিশন
(ক) দেশে: BUET
(খ) বিদেশে: অধিকাংশ খ্যাতনামা এবং মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে।
স্কলারশীপ
(ক) দেশে: ভার্সিটি কর্তৃক প্রদত্ত
(খ) বিদেশে: ph.D গবেষনা পরিচালনা করার জন্য উন্নত বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এবং টিচিং এ্যাসিসটেন্টসীপ দেওয়া হয়ে থাকে।
চাকুরি
-সরকারি: গাজীপুর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী
-পেট্রোবাংলা, তিতাস গ্যাস
-ইস্পাত রিফাইনিং কারখানাগুলোতে
-ধাতব জিনিস তৈরির কারখানায়/ কোম্পানিতে
উচ্চশিক্ষা
(ক) দেশে: BUET
(খ) বিদেশে: প্রায় সব খ্যাতিনামা এবং মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিদেশে চাকুরি
বিভিন্ন মাইনিং, মেটালসংক্রান্ত এবং ধাতব বস্তু তৈরির কোম্পাণীতে।
আর্কিটেকচার
বিষয়বস্তু
বর্তমানে আর্কিটেকচারে যেসব বিষয় পড়ানো হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল Structure, philosophy, Mathematics, Mechanical equipment, Environmental design, Basic planning, Economics, Sociology, physics, Urban design, construction method and detail, Sculpture, Working drawing. এছাড়াও রয়েছে photography এবং Design studio, Design studio building এর design শেখানো হয়।
চাহিদা
বর্তমানে দেশে এ বিষয়ের প্রচন্ড চাহিদা রয়েছে। কারণ মানুষ বাড়ার সাথে সাথে বসতবাড়ি, অফিস আদালতের পরিমাণও বাড়ছে। মানুষ এখন চায় সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ সে যেন থাকতে পারে, কাজ করতে পারে। সে কারণে আর্কিটেকচারের বিকল্প কিছুই নেই। এছাড়াও বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে মোটা অংকের বিনিময়ে চাকুরি করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা জরুরি। আর্কিটেকচার ফার্মগুলোর চাহিদাও অনেক।
ভবিষ্যত
ভবিষ্যতে আরো অফূরন্ত সুযোগ রয়েছে। খুব ভালো design করে এখন অনেক আর্কিটেক্ট খুব ভালো আয় করছেন। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। সামনের দিনগুলোতে আরো নতুন নতুন স্থাপনা গড়ে উঠবে। দেশের এই প্রেক্ষাপটে আর্কিটেকচারের বিকল্প নেই। দেশের বাইরেও অনেকে কাজ করে ভালো আয় করে যাচ্ছেন।
এডমিশন
দেশে বর্তমানে সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানে Architecture পড়ানো হয়-
(ক) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
(খ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
(গ) শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
এছাড়া বেসরকারি গুলোর মধ্যে অন্যতম-
(ক) এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভর্সিটি
(খ) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
(গ) নর্থ-সাইথ ইউনিভার্সিটি
(ঘ) স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
ভর্তির যোগ্যতা
প্রথমত বিজ্ঞান শাখায় সকল বিষয়ে ভালো করতে হবে। বিশেষত পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতে A+ থাকলে খুব ভালো হয়। এইচএসসি’তে জিপিএ 4.8 এর উপরে থাকলে ভাল হয়। এসএসসি তে জি.পি.এ 4.7 এবং অবশ্যই কম্পিউটার ব্যবহার করে এবং মুক্তহস্তে অঙ্কনে পারদর্শী হতে হবে। যেকোন ছবি আঁকার মত যোগ্যতা ছাড়া আর্কিটেকচার-এ ভালো করা অনেকটাই অসম্ভব।
স্কলারশীপ
দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর স্কলারশীপ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে যদি সিজিপিএ 3.25 এর উপর থাকে তাহলে জাপানে, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় পড়াশুনা করার জন্য স্কলারশীপ পাওয়া সম্ভব। দেশেও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি দিয়ে থাকে।
Credit transfer এর মাধ্যমেও অনেকে স্কলারশীপ ব্যবস্থা করে থাকেন। দেশের চেয়ে বাইরে আর্কিটেকচারের কদর বেশি।
চাকুরি
এ বিভাগ হতে পাস করার পর যে কেউ যে কোন Architectural Consultant বা Developer ফার্মে চাকুরির সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি অনেক সুযোগ থাকার কারণে অনেকে চাইলে 3D-animation, 3d-Modeling, Autocad drawning, Rendering, photography বা Graphics এর যে কোন কাজ করতে পারেন। আর্কিটেকচারের প্রয়োজন শুধুমাত্র bulding design এর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। চাইলে উল্লিখিত যেকোন একটা কিছু করে ব্যক্তি তার নিজের Career গড়ে নিতে পারেন।
গবেষণা বহির্বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে এবং আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। যেমন: মাস্টার্স, পিএইচডি প্রভৃতি এ আওতায় পড়ে। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা ও জাপানে মাস্টার আর্কিটেক্টদের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে পারবেন। পড়াশুনার পাশাপাশি পার্ট টাইম চাকুরি করার সুযোগ পেতে পারে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরা
Visit: www.Architecture-Jobsource.org.
নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং/ মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয়বস্তু
-বিভিন্ন রকম নৌযান ডিজাইন ও তৈরির কৌশল
-পরিচালনার কৌশল
-পরিত্যক্ত নৌযান থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তু তৈরির কৌশল।
চাহিদা
বাংলাদেশে এ বিষয়টির ডিমান্ড মাঝামাঝি। তবে অভিজ্ঞতা অর্জনের পর যথেষ্ট চাহিদা পরিলক্ষিত হয়। উপরন্তু নেভাল আর্কিটেকচার এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ দুটো বিষয়ের সমন্বয় হওয়ায় নেভাল আর্কিটেক্ট অথবা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এর যেকোন একটিতে চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়।
ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশ যেহেতু ছোট ছোট জাহাজ নির্মানের পথে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও অগ্রসর হবে তাই ভবিষ্যতে এ বিষয়ের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে
চাকুরি
-Bangladesh Shipping Corporation, শিপইয়ার্ডে, ডকে
-দেশি ও বিদেশি, সরকারি এবং বেসরকারি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের জাহাজে
-Bangladesh Navy, BIWTA, BIWTC
উচ্চশিক্ষা
(ক) দেশে: BUET-এ M.S/M.Sc/ph.D করতে পারবেন।
(খ) বিদেশে: বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।
কম্পিউটার এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি/ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/
কম্পিউটার সায়েন্স
বিষয়বস্তু
-সফটওয়ার তৈরির বিভিন্ন কৌশল
-কম্পিউটার ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির কৌশল
-অটোমেশণ এর বিভিন্ন কৌশল
-কমিউনিকেশন এর বিভিন্ন ধাপ ও কৌশল
কোথায় পড়ানো হয়
বাংলাদেশেল প্রায় সবকয়টি public বিশ্ববিদ্যালয়- ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, BUET, সবকয়টি বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (RUET, DUET, KUET, CUET), সিলেট প্রযুক্তি ও প্রকৌশল, পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, টাঙ্গাইল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সবকয়টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে Computer Science অথবা Computer Science and Engineering অথবা Computer & Information Technology বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়।
দেশের বাইরে বিশ্বের প্রায় সবদেশেই এটি পড়ানো হয়।
মেয়াদ
public University গুলোতে অনার্স ৪ বছর মেয়াদী কোর্স এবং MS এক বছর। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই Semister system এ পড়াশুনা করানো হয়।
খরচ
সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খরচ অপেক্ষাকৃত কম। কিন্ত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভরচ অত্যন্ত বেশি।
ভর্তি
S.S.C (অথবা O-level), H.S.C (অথবাA-level) পরীক্ষা গুলোতে English, Math, Physics, Higher Math, Chemistry বিষয়সমূহে অবশ্যই নূন্যতম A grade পেতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে এর চেয়ে কম grade এ ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়।
চাকুরি
দেশেঃ প্রযুক্তি খুব দ্রুত অগ্রসর না হলেও আমাদের দেশে আজ থেকে ৫০ বছর আগে থেকেই Computer এর ব্যবহার হয়ে আসছে। সরকারি Sector গুলোতে বিশেষ করে পরমাণু শক্তি কমিশন, Traffic Controlling, E-Govemence, Satellite Transmission, রেল যোগাযোগ-এ কম্পিউটার এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এই সমস্ত field-এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকুরি পাওয়া সম্ভব আবার বেসরকারী সেক্টরসমূহে CSE বা CS এর গ্রাজুয়েটদের চাকুরির সুযোগ আরও বেশি। এসব ক্ষেত্রে এদের পদের নাম হয়ে থাকে-
- Software Engineer & Programmer
- IT Professional
- Network Administration, System Analyst
- Web Mastering & Developing
- Graphics Designer
- Simulation & Animation এর কাজের জন্য চলচ্চিত্রে Special effect তৈরিতে, cartoon ছবি গুলোতে এর ব্যবহার চলছে র্ব্তমান সময়ে।
- Virtual reality এর মাধ্যম হিসাবে
- Desktop publishing বিভিন্ন বই পুস্তক লেখা লেখি, ছাপানো
- Multimedia একই সাথে test, soured, static & dynamic, image নিয়ে কাজের মাধ্যমে অনেক বাস্তব সম্মত কাজ করা যায়
বেতন
মাসিক বেতন ১৫,০০০/- থেকে শুরু করে আরও অনেক এবং কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আবার বিদেশে বিশেষ করে Microsoft এর মতো প্রতিষ্ঠানে চাকুরি পাওয়া সম্ভব যদি Programming – এ খুব ভাল করা যায়। এজন্য বিভিন্ন –এ অংশ নিতে হবে এবং প্রচুর করতে হবে। এ অংশ নিয়ে ও প্রচুর সুনাম বয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। এছাড়া বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক যন্ত্রপাতি তৈরি ও করে নিজেকে দেশে ও বিদেশে পরিচিত এবং পূর্নাঙ্গ পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয়বস্ত
সাধারণত যন্ত্রকৌশল বিভাগে energy এর উপর জোর দেওয়া হয়। বিশেষ করে এক from থেকে আরেক from-এ Energy এর রূপান্তর, এর transmission এবং ব্যবহার পড়ানো হয়। এছাড়া Mechanics related বিষয়গুলো বেশি পড়ানো হয়। Fluid mechanics, Heat transfer, Environmental pollution control এবং অন্যান্য multidisciplinary বিষয়গুলো পড়ানো হয়।
চাকুরি
সমগ্র পৃথিবীতে এই subject এর বেশ ভালো চাহিদা আছে। Energy related ক্ষেত্রগুলোতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা অনেক। বিশ্বের বড় বড় Automobile কোম্পানীগুলোত Mechanical Designer দের প্রচুর চাহিদা। এছাড়াও Fluid mechanics এ একটি শাখা CFT তে প্রচুর ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন। ভবিষ্যতে মেকানিক্যার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা আরো বাড়বে।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা খুব বেশি না থাকলেও কম নেই। অনেক Multinational কোম্পানী বাংলাদেশের এনার্জি সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য চেষ্টা করছে। এছাড়া প্রতিটি Factory বিশেষকরে Textile Factory তে Mechanical Engineer দের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
কোথায় পড়ানো হয়
দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে BUET, KUET, RUET, CUET -এ Subject পড়ানো হয়। তাছাড়া কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ানো হয়।
উচ্চশিক্ষা
দেশেঃ BUET, RUET, KUET, CUET এ Masters এবং PhD এর সুয়োগ রয়েছে।
বিদেশেঃ প্রায় প্রতিটি দেশের Engineering Faculty গুলোতে MS এবং PhD এর সযোগ রয়েছে
ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয়বস্ত
chemistry কে base ধরে যে Application সেসব বিষয়। পাম্প, বয়লার, distillation ইত্যাদির সঙ্গে Related জিনিস পড়ানো হয়।
চাহিদা
বাংলাদেশে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ডিমান্ড কম। তারপরেও মোটামুটি চাকুরি হয়ে যায়। বিভিন্ন private sector এ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয় তবে খুব কম পরিমানে নেয়। বর্তমান ও ভবিষ্যত মোটামুটি একই রকম। তবে বিদেশে ভালো সুযোগ রয়েছে।
কোথায় পড়ানো হয়
দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বুয়েট এবং সিলেট শাহজালালে পড়ানো হয়।
এছাড়া Stamford University তেও পড়ানো হয়।
স্কলারশীপ
বুয়েটে কেমিক্যালের বেশকিছু স্কলারশীপ রয়েছে। এছাড়া বাইরের স্কলারশীপই বেশী। মূলত Subject টি পড়ে বাইরে যাওয়াটাই ভালো
চাকুরি
দেশে Square, Unilever, Beximco etc এবং সরকারি মেট্রোবাংলা, তিতাস, সারকারখানা গুলো, Cement factory তে চাকুরি হয়।
উচ্চশিক্ষা
বুয়েটে MS, PhD পর্যন্ত করানো হয়।
আরবান এন্ড রেজিওন্যাল প্ল্যানিং
বিষয়বস্ত
একটি নতুন শহর বা হাউজিং এস্টেট গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা সংক্রান্ত জ্ঞান।
গ্রাম থেকে নগরায়নের পদ্ধতি, প্রভাব, সুফল ও কুফল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়াদি।
চাহিদা
বর্তমানে দেশ এবং বিদেশে এই বিষয়ের চাহিদা মোটামুটি ভাল। তবে, একজন ভাল প্ল্যানারের যথেস্ট চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। উপরন্ত, স্হাপত্যকলার সাথেও এই বিষয়ের অনেক মিল থাকায় এই বিষয়ের যথেস্ট চাহিদা আছে।
কোথায় পড়বেন
দেশেঃ বুয়েট, শাবিপ্রবি, জাবি,প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিদেশেঃ প্রায় সব খ্যাতনামা ও মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে স্হাপত্য-কলা আছে।
স্কলারশীপ
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপার…… স্কলারশীপ ছাড়াও অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা প্রভৃতি দেশে এই বিষয়ের উপর স্কলারশীপ পাওয়া যায়।
উচ্চ শিক্ষা
দেশেঃ বুয়েট, শাবিপ্রবি, জাবি
বিদেশেঃ প্রায় সব খ্যাতনামা ও মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়
চাকুরি সুবিধা
১ ) রাজউক,
২) বিভিন্ন নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এ
৩) রিয়েল এস্টেট কোম্পানী,
৪) ডিজাইনিং ফার্ম,
৫) বিভিন্ন প্রজেক্টে প্ল্যানার হিসেবে,
৬) এছাড়াও স্নাতক পাশের পর অন্যান্য সব বিষয়ের মত সাধারণ ক্ষেত্রগুলোতে।
ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই)
বিষয় বস্ত
-প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট
-ইন্ড্রাষ্টি ম্যানেজমেন্ট
-মেকানিকাল ম্যানেজমেন্ট
-প্রফিটেবল মেকানিকাল ডিজাইন
চাহিদা
বর্তমানে দেশে ও বিদেশে এই বিষয়ের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। একই সাথে একজন বিজনেস ম্যানেজার এবং প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ একজন আই.পি.ই. ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে করানো সম্ভব বলে ভবিষ্যতেও এর ব্যাপক চাহিদা থাকবে বলে আশা করা যায়।
কোথায় পড়বেন
দেশেঃ বুয়েট, শাবিপ্রবি, রুয়েট, কুয়েট।
বিদেশেঃ কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেসন – আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত; ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউঃ মালয়েশিয়া ইত্যাদি জায়গায় এবং অধিকাংশ খ্যাতনামা এবং মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে “ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট’’ নামে IPE– এর প্যারালাল সাবজেক্ট আছে।
স্কলারশীপ
-কিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ডিপার্টমেন্টাল স্কলারশীপ।
-বিদেশে বিভিন্ন প্রডাকশন কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশীপ।
উচ্চ শিক্ষা
দেশেঃ বুয়েট, শাবিপ্রবি
বিদেশেঃ প্রায় সব খ্যাতনামা ও মাঝারি মানের Varsity তবে USA- তে উচ্চশিক্ষায় যথেষ্ট সুযোগ ও চাহিদা আছে।
চাকুরি সুবিধা
১) British American Tobacco (BAT)
২) প্রডাকশন কোম্পানী, ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী, গার্মেন্টস,
৩) ম্যানেজমেন্টের কাজের জন্য যেকোন কোম্পানী বা ইন্ডাষ্ট্রিতে বিজনেস এক্সিকিউটিভ হিসেবে ।
কৃষি/ মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও অন্যান্য কৃষি সম্পর্কিত বিষয়
(Agriculture/ Soil Science and
Other Related Subjects)
Agriculture is the root of all culture অর্থাৎ কৃষ্টির মূল- রুশো। রুশো আরো বলেন, যদি শহরকে ধ্বংস করে গ্রাম তৈরী করা হয় তবে এক সময় শহর গড়ে উঠবে। কিন্ত গ্রাম ধ্বংস করে যদি শহর গড়ে উঠে তবে ঐ শহর এক সময় ধ্বংস হবে। এই চিরন্তন বক্তব্যটিই গ্রামীণ অর্থনীতি তথা কৃষির মূল বক্তব্য।
কৃষি ক্ষেত্রের এই দিকটির প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে, এইচএসসিতে যাদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো তারা বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি হতে পারেন। কৃষি শিক্ষার ক্ষেত্রে এ দেশের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান হলো শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ-এ মোট ৬টি অনুষদ (Faculty) আছে।
এগুলো হলো-
(ক) কৃষি অনুষদ
(খ) মৎস বিজ্ঞান অনুষদ
(গ) পশু পালন অনুষদ
(ঘ) পশু চিকিৎসা অনুষদ
(ঙ) কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ এবং
(চ) কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ।
বর্তমানে ১টি মাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পছন্দক্রম অনুযায়ী যেকোন অনুষদে ভর্তি হওয়া যায়।
এখন Grading পদ্ধতিতে GPA 3 হলে আবেদন করতে পারেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষার জন্য উচ্চতর প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সিলেট ও চট্রগ্রামে ভেটিরিনারী কলেজ আছে, যেখানে শুধুমাত্র পশু চিকিৎসা অনুষদে মোট আসনের ১০ গুন প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির পূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়। আবেদনের জন্য এইচএসসি-তে গণিত এবং জীববিজ্ঞান থাকা জরুরি। কৃষি শিক্ষা সাধারণত ৪ বৎসরের কোর্স। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বৎসরে মোট ৮টি সেমিস্টারে কোর্স শেষ করা হয়। প্রাতি কোর্সের ফলাফল চূড়ান্ত হিসাবে বিবেচিত। জিপিএ 4 এর মধ্যেই grading করা হয়।
৪বৎসরের অনার্স শেষ করে কোন শিক্ষার্থী দুই বৎসরের জন্য MS কোর্স করতে পারেন। MS কোর্সের পর দেশে বা বিদেশে PhD করা সহজ এবং ফলাফল গ্রহণযোগ্য।
কৃষি সম্পর্কিত যে কোন অনুষদে অধ্যয়নে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো অধ্যয়ন শেষে যেকোন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা যায়। বিশেষ করে BCS সহ যে কোন চাকুরির সাক্ষাৎকার খুব ভালো হয়। কারন ছাত্রজীবনে বারবার মৌখিক পরীক্ষা দেবার কারণে ছাত্রদের মধ্যে এক ধরনের প্রত্যয় (confidence) জন্মে যার সুফল প্রার্থী বরাবরই পেয়ে থাকে।
এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কৃষির অবদানের কারনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও কৃষি অনুষদ চালু হয়েছে। কৃষি ও কৃষির বিভিন্ন অনুষদের পাশাপাশি মৃত্তিকা বিজ্ঞান (Soil Science) এবং জীববিজ্ঞান (উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণীবিজ্ঞান) বিষয়ের ছাত্ররা কৃষি সম্পর্কিত (Agriculture related) কর্মে চাকুরি করার সুযোগ পাচ্ছে। বিসিএস (পশুপালন/পশুসম্পদ), বিসিএস (মৎস), বিসিএস (কৃষি) সম্পর্কিত পদগুলো শুধুমাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সুতরাং কৃষি সম্পর্কিত বিষয়ে অধ্যয়ন অনেকটা লাভজনক এবং আধুনিকও বটে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিওক-তে চাকুরির ক্ষেত্রে কৃষিবিদদের চাহিদা অনেক বেশি। এদেশের প্রটিতি উপজেলার কৃষিবিদদের জন্য অনেকগুলো প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এছাড়া অনেক কৃষিবিদ আত্ম কর্মসৎস্হানের মাধ্যমে নিজেরা উদাহারণ সৃস্টি করতে পেরেছেন। ‘প্রাণ পণ্য’ তন্মধ্যে অন্যতম।
পদার্থ বিজ্ঞান (Physics)
যা পড়ানো হয়
পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে সাধারনত পদার্থেরে মৌলিক গুনাবলী, পদার্থের গঠন, শক্তি এবং পদার্থের উপর শক্তির ক্রিয়া ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা হয়ে থাকে। পদার্থ বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয়বস্তর ব্যাপ্তি ব্যাপক। যেমন একাধারে বিশ্ব সৃস্টির বিষয় নিয়ে এর আলোচনা, আবার পদার্থের অতি ক্ষুদ্র কনিকাসমূহ যেমন অনু, পরমানু এবং তাদের গঠন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ পদার্থ বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত। পদার্থ বিজ্ঞানকে King of the subjects বলে থাকেন কেউ কেউ। এই bacic subject থেকে পরবর্তিকালে অনেকগুলো শাখা প্রশাখার উৎপত্তি হয়েছে। Applied, Physics, Electronics, Molecular, Solid, State, Physics, Reactor Physics, Atmospheric Physics, Material science, Plasma Physics, GeoPhysics, Atomic Physics ইত্যাদি ’ এই বিষয়ের শাখা প্রশাখা। বর্তমান সময়ে এর প্রায়োগিক দিকটি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে Basic Physics এর চর্চা বহির্বিশ্বে এবং এদেশও বহুলাংশে কমে গেয়েছে।
চাহিদা
গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে পদার্থ বিজ্ঞানের চাহিদা ছিল সমস্ত বিষয়ের মধ্যে তুঙ্গে। এই অবস্থা দেশ এবং বিদেশ উভয় ক্ষেত্রেই বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে এই অবস্থান অনেক নিচে নেমে এসেছে। তবে basic subject হিসেবে স্কুল, কলেজ, সমস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও পদার্থ বিদ্যা পড়ানো হয়। Major Subject হিসেবে, তাই এর চাহিদা এখনও রয়েছে, বেশ কিছুটা। যারা গণিতে ভালো, তারা এই বিষয়ে ভাল করতে পারে।
ভর্তির নিয়মাবালী
এইচএসসি-তে পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ নম্বর থাকতে হবে এই বিভাগে ভর্তির জন্য। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্য ভর্তির নিয়ম একই রকম নয়।
কোথায় পড়ানো হয়
এ দেশের সমস্ত সাধারন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এবং অনেক কলেজেই এই বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পড়ানো হয়ে থাকে। BUET-এ শুধুমাত্র এমফিল এবং পিএইচ ডি দেওয় হয় এই বিষয়ে।
উচ্চ শিক্ষা
দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি করার ব্যাপক সুবিধা রয়েছে।
চাকুরির সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবলিক ও প্রাইভেট) শিক্ষকতা, আনবিক শক্তি কমিশন, অন্যান্য কিছু গবেষনা প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল, কলেজে শিক্ষকতা করার সুযোগ রয়েছে এই বিষয়ের মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের জন্য। বিসিএস করে চাকুরিতে যোগদান করা ছাড়াও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা সমূহে এই বিভাগের গ্রাজুয়েটরা ভাল করে থাকে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও কলেজে এর চাহিদা বেশ ভাল।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়সমূহের মধ্যে বর্তমানে এর অবস্থান মাঝারি থেকে কিছুটা উপরের দিকে।
ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান
(Applied Physics)
বিষয়বস্ত
সাধারণত এই Subject এ General Physics এর ব্যবহারিক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে বর্তমানে Applied Physics এর নাম পরিবর্তন হয়ে Applied Physics and Electronics অথবা Applied Physics, Electronics and Telecommunication Engineering হওয়াতে এই Subject এর বিষয়বস্ততেও অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে এই বিষয়ে Electronics, Electrical, Communication এর অধিকাংশ বিষয়ই পড়ানো হয়।
চাকুরি ক্ষেত্রে
এই Subject থেকে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানেই চাকুরি করতে পারে। তবে ইলেক্ট্রনিক্স চিপ তৈরি প্রতিষ্ঠানে এদের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। এছাড়া বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স তৈরি ও মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতেও চাকুরির সুযোগ আছে। তাছাড়া BCS এ অংশ গ্রহন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
Science Faculty এর Subject গুলোর মধ্যে এই Subject এর অবস্থান প্রথম দিকে।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
স্কলারশীপ
দেশেঃ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বৃত্তি।
বিদেশেঃ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বৃত্তি।
রসায়ন (Chemistry)
পঠিতব্য বিষয়
বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের একটি শাখা বিধায় রসায়নের পাঠদান একেবারে গোড়া থেকেই শুরু হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসগুলোর বিষয়সমূহকে বিস্তারিত পড়ানো হয়। আর তখনই শুরু হয় রসায়নো মূল উচ্চতর শিক্ষা।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্রগ্রাম সহ সাধারণ সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজসমূহে এই বিষয়টি পড়ানো হয়। সেদিক থেকে এটি বেশ Common subject।
চাহিদা ও ভবিষ্যত
প্রকৃতপক্ষে বিশুদ্ধ রসায়নের চেয়ে বর্তমানে ফলিত রসায়ন, রাসায়নিক প্রযুক্তি বিষয়গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। এর কারণ Pharmaceutical Industry, Chemical industry এবং অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ। তবে এই বিষয়ের মূল চাহিদা শিক্ষকতা, উচ্চশিক্ষা ও গবেষনা ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এছাড়া BCS তো যেকোন বিষয় থেকেই দেখা যায়। Rating বলতে গেলে এর স্থান মাঝামাঝি।
স্কলারশীপ
বৃত্তি মূলত উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রযোজ্য যা গবেষণার জন্যই প্রদান করা হয়। মূলত বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি দেয়া হয়। Australlia, Canada, UK, USA, Japan ও Korea- তে Scholarship পাওয়া যেতে পারে যার সবই Postgraduate শিক্ষার জন্য। এছাড়া শিক্ষকদের জন্যScholarship রয়েছে।
চাকুরি
নিন্মোক্ত Option গুলো থাকতে পারে-
- শিক্ষকতায় ভালো ফলাফল করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে, নয়তে স্কুল ও কলেজে, BCS সাপেক্ষে সরকারি কলেজে।
- শিল্প প্রতিষ্ঠানে মান নিয়ন্ত্রক ও অন্যান্য চাকুরি, মূলত ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বা ফার্মেসীর প্রধান্য।
- সাধারন BCS-শিক্ষকতা ছাড়াও BCS- এর যেকোন অঙ্গনে চাকুরি রয়েছে যার সাথে রসায়নের কোন সম্পর্ক নেই।
সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমূহ- BCSIR, BSTI ও অন্যান্য সরকারি চাকুরি
ফলিত রসায়ন
(Applied Chemistry)
বিষয়বস্ত
এ বিষয়ের শিক্ষার্থীকে কেমিকেল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কেমিস্ট্রির প্রয়োগ সংক্রান্ত জ্ঞান প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে Chemical synthesis, Processing, Separation, Purification ইত্যাদি পড়ানো হয়ে থাকে।
চাহিদা
এই বিষয়ের চাহিদা বর্তমানে খুব বেশি ভাল না হলেও খারাপ নয়। তবে দেশে ইন্ডাস্ট্রি বৃদ্ধির সাথে সাথে এই বিষয়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বাইরে উন্নত দেশসমূহের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই এই বিষয়ে পড়াশুনার ব্যাপক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।
স্কলারশীপ
দেশেঃ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাধারন বৃত্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি।
বিদেশেঃ এই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য জাপানেই সবচেয়ে বেশি বৃত্তি পাওয়া যায়। সেখানে সরকারি (মনবুশো) এবং বেসরকারি উভয় ধরনের বৃত্তি প্রদানের সিস্টেম রয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা তথা উন্নত দেশসমূহের প্রায় সকল দেশেই এই সুবিধা পাওয়া যায়।
চাকুরি
দেশেঃ কেমিক্যাল ও ফার্মাসিটটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন ডিটারজেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, রাবার ইন্ডাস্ট্রি, সিনথেটিক ইন্ডাস্ট্রি, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, লেদার ইন্ডাস্ট্রি, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, এ্যাগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, BCIC ইত্যাদি।
তাছাড়া BCS এ অংশ গ্রহন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।
ফলিত রসায়ন
(Applied Chemistry)
বিষয়বস্তু
এ বিষয়ের শিক্ষার্থীকে কেমিকেল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কেমিস্ট্রির প্রয়োগ সংক্রান্ত জ্ঞান প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে Chemical synthesis, Processing, Separation, purification ইত্যাদি পড়ানো হয়ে থাকে।
চাহিদা
এই বিষয়ের চাহিদা বর্তমানে খুব বেশি ভাল না হলেও খারাপ নয়। তবে দেশে ইন্ডাস্ট্রি বৃদ্ধির সাথে সাথে এই বিষয়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বাইরে উন্নত দেশসমূহের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই এ্ই বিষয়ে পড়াশুনার ব্যাপক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।
স্কলারশীপ
দেশে: বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাধারণ বৃত্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি।
বিদেশে: এই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য জপানেই সবচেয়ে বেশি বৃত্তি পাওয়া যায়। সেখানে সরকারি মনবুশো) এবং বেসরকারি উভয় ধরনের বৃত্তি প্রদানের সিস্টেম রয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়, কানাডা, আমেরিকা তথা উন্নত দেশসমূহের প্রায় সকল দেশেই এই সুবিধা পাওয়া যায়।
চাকুরি
দেশে: কেমিক্যাল ও ফার্মাসিটটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন ডিটারজেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, রাবার ইন্ডাস্ট্রি, সিনথেটিক ইন্ডাস্ট্রি, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, লেদার ইন্ডাস্ট্রি, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, এ্যাগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি BCIS ইত্যাদি।
তাছাড়া BCS এ অংশ গ্রহণ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকতার সুযোগ রয়েছে।
গণিত ও ফলিত গণিত
(Mathematics & Applied Mathematics)
পঠিতব্য বিষয়
মৌলিক বিষয় হিসেবে ক্যালকুলাস, জ্যামিতি, ম্যাট্রিক্স, ম্যাকানিক্স, ভেক্টর ইত্যাদি পড়ানো হয়। সাথে পদার্থ, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার বিষয়েও ধারণা দেওয়া হয়।
চাহিদা
বিষয় হিসাবে গণিত একটি মাঝারি মানের পছন্দের বিষয়।
কোথায় পড়ানো হয়।
ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, ইসলামী, খুলনা, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর- এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ও এমএসসি কোর্স করানো হয়। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত কলেজসমূহে গণিত বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেবার সুযোগ রয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা
ঢাকাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ডক্টরাল রিসার্সের সীমিত সুযোগ রয়েছে।
বিদেশে ভর্তি
এইচএসসি পরীক্ষার পর পরই যেকোন ছাত্র-ছাত্রী ইচ্ছে করলে বিদেশে এই বিষয়ে ডিগ্রি নিতে পারে। ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা সহ অনেকগুলো দেশে এই বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স সহ ডক্টরেট করার সুযোগ রয়েছে।
ভবিষ্যত
গণিতবিদরা বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, কলেজ ও স্কুলসমূহে শিক্ষাকতার চাকুরি নিতে পারেন। এছাড়া পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ব্যাংকে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। তাছাড়া বিসিএস পরীক্ষায় গণিতবিদদের সাফল্যের হার মোটামুটি ভল।
স্কলারশীপ
গণিত বিষয়ে পড়ুয়দের জন্য দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন স্কলারশীপের ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশে: (ক) ডাচ বাংলা ব্যাংক বৃত্তি, (খ) ইমদাদ সিতারা ফাউন্ডেশন বৃত্তি
বেদেশে: (ক) কমনওয়েলথ স্কলারশীপ, (খ) মনোবুশো স্কলারশীপ
পরিসংখ্যান (Statistics)
বিষয়বস্তু
Basic Statistics, Probability, Sampling, Demography, Stochastic process, Research Methodology etc. Non-major বিষয় হিসেবে Maths, Economics, Computer Science প্রভৃতি বিষয়ের সাথে Statistics পড়ানো হয়।
কোথায় পড়ানো হয়
দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে এই বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী দেয়া হয়। দেশের বাইরের প্রথম স্তরের বিষয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পরিসংখ্যান বা Applied Statistics নামের একই ধরনের আরো একটি বিষয় পড়ানো হয়।
যোগ্যতা
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান/বাণিজ্য/কলা যে বিভাগেরই ছাত্র-ছাত্রী হোন না কেন গণিতে বি গ্রেড থাকলে এ বিষয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
ভার্তি প্রক্রিয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীরা ‘ক’ এবং বাণিজ্য ও কলা বিভাগের ছাত্র-ছত্রীরা ‘ঘ’ ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি হতে পারেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ের উপর আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ প্রক্রিয়া।
চাকুরি
চাকুরি BCS Professional Cadre- এ কলেজে শিক্ষাকতা ছাড়াও প্রতিটি থানায় একজন পরিসংখ্যানবিদের পদ আছে। এছাড়া সরকারি পর্যয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিসংখ্যান এর গ্রাজুয়েটদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়েও ব্যাংক ইন্স্যুরেন্স, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠন, গবেষণা ও পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যানবিদ ছড়া অচল। এছাড়াও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে কাজের বেশ সুযোগ রয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেমন IMF,WB,ADB,IDB ও বহুজাতিক কোম্পানীগুলোতে চাকরি পাবার জন্য উচ্চশিক্ষা যেমন MS,PHD প্রভৃতি থাকলে ভাল হয়। USA,UK ও Canada ’র বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা বিশ্ব স্বীকৃত।
স্কলারশীপ
USA,UK ও Canada বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকোত্তর ও তদুর্ধ্ব উচ্চশিক্ষার জন্য রেজাল্টের ভিত্তিতে Scholarship পাওয়া যায়।
সম্ভাবনা
পরিসংখ্যান বিষয়টি আসলে এমন এক বিষয় যে বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের ছড়া প্রায় সব ধরনের ব্যবসা, শিল্প ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান অচল। মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে এটি এমন এক বিষয় যার চাহিদা সব সময়ই অন্যগুলো থেকে বেশি। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগেও এ বিষয়টি নন-মেজর হিসেবে পড়াতে হয়। তাই এ বিষয়ে ক্যারিয়ার গঠনে রয়েছে ভাল সম্ভাবনা।
ভূ-তত্ত্ব/ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা
(Geology/Geology & Mining)
যা পড়ানো হয়
ক. পৃথিবীর ভৌতিক গঠন
খ.গঠনগত উপাদান। এর আকার ও প্রকৃতি
গ. ভূগর্ভের অভ্যন্তরস্থ (কেন্দ্র থেকে ভূস্তর পর্যন্ত) বিভিন্ন শিলার প্রকৃতি, উপাদান, বয়স, গুরুত্ব ইত্যাদি।
ঘ. সাগর, মহাসাগর, নদ-নদী ভৌতিক বৈশিষ্ট্য সমূহ (Geomorphic Characteristics)
ঙ. প্রাকৃতিক সম্পদ আরোহণ (তল, গ্যাস, ভারী মনিক, কয়লা, আয়রণ, অভ্র, জিপসাম) এবং এদের রিজার্ভ আরোহণের উপায় অর্থাৎ বিভিন্ন পদ্ধতি (যেমন-Seismic Survey, Gravity Survey, Magnetic Survey, Electrical Survey etc.)
p.Solar System
ছ. ভূ-রসায়ন, ভূ-পদার্থ বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞান এবং
জ. ভূমিকম্প ও সুনামি বিষয়ক, অর্সেনিক দূষণ ইত্যাদি।
কোথায় পড়ানো হয়
DU, JU, RU, -তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
এছাড়া বিদেশের যেমন, USA, UK, Canada,Germany, England, Australia সহ উন্নত বিশ্বের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে M.phil, phD সহ উচ্চতর ডিগ্রি।
স্কলরশীপ
দেশে: উল্লেখযোগ্য সুযোগ তেমন নেই। তবে বিভিন্ন Project, Gravity survey, Seisnic survey and Arsenic Contamination এর উপর ব্যাপক Project base work আছে যেগুলো সরাসরি ক্যালিফোর্নিয়া, কলম্বিয়, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠিপোষকতায় করা হয়।
বিদেশে: Commonwealth Scholarship প্রতিবছর একজন পেয়ে থাকে। এছাড়া উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক ভাল ফলাফল কারীদেরকে Scholarship দেওয়া হয়।
পড়ার যোগ্যতা
SSC ও HSC তে অবশ্যই ভাল রেজাল্টসহ বিজ্ঞান গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীরাই কেবল এ বিষয়ের পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। এইচএসসি-তে পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত এবং রসায়ন থাকতে হবে।
চাকুরি
দেশে: সরকারের Specialized field সমূহে যেমন- বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র, কয়লাখনি, কঠিন শিলা প্রকল্প গুলোতে কাজ করার সুযোগ আছে। এছাড়াও সরকারি যেমন-BCS – এ জেনারেল ক্যাডার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকে। বেসরকরি ক্ষেত্রে যেমন BRAC এবং বিভিন্ন ফার্মে সুযোগ থাকে তবে সীমিত।
ভবিষ্যত সম্ভাবনা
দিন দিন প্রাকৃতিক শক্তির চাহিদা বাড়ছে। সুতরাং এ প্রাকৃতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে বর্তমান আধুনিক সভ্যতার কথা চিন্তা-কল্পনা করা মুশকিল। তাই পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিনই এ Subject এর সম্ভাবনা বাড়বে বৈ কমবে না।
উচ্চ শিক্ষা
বিদেশে Geophysics, Geochemistry, Hydrology প্রভৃতি বিষয়ে MS ও phD করা যায়।
প্রাণিবিদ্যা (Zoology)
যা পড়ানো হয়
প্রাণিভূগোল, বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে তুলনামূলক অঙ্গসংস্থান, প্রাণিবৈচিত্র ও শ্রেণী বিন্যাস, শ্বসন, কম্কালতন্ত্র ও অন্যান্য দেহতন্ত্রসমূহ মানবকোষ, DNA, RNA ভ্রুণতত্ত্ব, বায়ো অনুজীববিদ্যা, মৎস্যবিদ্যা, পতঙ্গবিদ্যা, বংশগতিবিদ্যা, পরিবেশ ও পরিবেশ বিপর্যয় ইত্যাদি।
কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়
ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্রগ্রম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কোন কোন কলেজে।
ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা
মলিকুলার বায়োলজি, জীনতত্ত্ব, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, রেশম চাষ, মৌমাছি চাষ, মাছ চাষ ও ইনটেনসিভ ফামিং, পরিবেশ বিদ্যা, toxicology, মুক্তা চাষ, চিংড়ি গবেষণা ও অন্যান্য ফলিত শাখায় এমফিল ও phD–র সুযোগ।
চাকুরির ক্ষেত্র সমূহ
(ক) মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা সহ বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে যোগদানের সুযোগ।
(খ) Medical Representative হিসাবে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীতে যোগদানের সুযোগ।
(গ) BCSIR, NIPSOM, IEDCR, AIPH, ICDDR, BIRDEM ও অন্যান্য দেশী বিদেশী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের সুযোগ।
(ঘ) শিক্ষালয় জ্ঞারকে কাজে লাগেয়ে ব্যক্তিগত উদ্যেগে Sericulture, poultry farm, Fish farm, Fish Apiculture, Hatchery, Fish culture ইত্যাদি Prownculture করার সুযোগ।
Laboratory Requirements
- General lab
রক্তের গ্রুপ, গ্লুকোজ, হিমোগ্লোবিন নির্ণয়মহ রক্তচাপ, ESR, ECG প্রস্রাবের সুগার, Dissection, Microtomy কোষ বিভাজন ইত্যাদির জন্য সরঞ্জাম।
- Applied lab
বন্যপ্রাণী গবেষণা Lab, Molecular biology lab, Fisheries lab, Entomology lab, Genetics lab, Microbiology lab.
উদ্ভিদ বিজ্ঞান (Botany)
যা পড়ানো হয়
বাস্তুতন্ত্র, পরিবেশ ও পরিবেশ বিপর্যয়, অর্থনৈতিক উদ্ভিদবিদ্যা, জৈব প্রযুক্তি ও জীব প্রকৌশল, উদ্ভিদ প্রজনন, জীনতত্ত্ব, শ্রেণীবদ্ধ বিদ্যা, ভ্রুনবিদ্যা, উদ্ধিদ শরীর বিদ্যা, কর্মসংস্থান বিদ্যা, কোষ বিদ্যা, জৈব বৈচিত্র, শৈবাল বিদ্যা, অ্যাকুয়াকালচার, কোষ ও কোষ বিভাজন, উদ্ভিদ রোগাতত্ত্ব।
কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়
ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশহী ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কোন কোন কলেজে।
ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা
জীনমলিকুলার বায়োলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, টিসু কালচার, জীন ক্লোনিং পরিবেশ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা, ঔষধ উৎপাদন, শস্য উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর সম্ভাবনা প্রবল। এছাড়াও এখানে রয়েছে বেশ বিছু মাইক্রোবায়োলজিক্যাল বিষয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ।
চাকুরির ক্ষেত্রে সমূহ
(ক) মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নতক ও স্নাতকোত্তর এর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতাসহ বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে যোগদানের সুযোগ।
(খ) Medical Representative হিসাবে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীতে যোগদানের সুযোগ।
(গ) ফরেস্ট অফিসার হিসেবে যোগদানের সুযোগ।
(ঘ) Agronomy সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে যোগদানের সুযোগ
(ঙ) কৃষি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ।
(চ) BCSIR, NIPSOM, IEDCR, AIPH, ICDDR,BIRDEM ও অন্যান্য দেশী বিদেশী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের সুযোগ।
(ছ) শিক্ষালয় জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যেগ Harticulture, নার্সারি স্থাপন, বনায়ন এ্যাকুয়াকালচার উন্নতমানের
ফসল উৎপাদন করার সুযোগ।
Laboratory Requirement
Biodiversity গবেষণ্য ল্যাব, Molcenlar biology lab, Tissue culture lab, Limnology lab, Genetics lab, Microbiology lab etc.
প্রাণ রসায়ন ও অনুজীব বিজ্ঞান
(Biochemistry and Molecular Biology)
বিষয়বস্তু
বিষয়টির দুটি অংশ। Biochemistry অংশে সাধারণত জীবদেহে সংঘটিত বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়া, রাসায়নিক বস্তুর গঠন ভঙন, শক্তি উৎপাদন, পরিপাক, মেটাবলিজম প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। Molecular Biology অংশে মূলত কোষের অভ্যন্তরে সংগঠিত বিভিন্ন প্রকার বিক্রিয়, প্রক্রিয়া, দেহে অনুপ্রবেশ করা রোগজীবানু ধ্বংস করার উপায় প্রভৃতি বিষয়ক আলোচনা হয়।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্রগ্রাম ও দু’একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। বর্তমান সময়ে বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি Biological faculty –র প্রধান বিষয় হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।
স্কলরশীপ
দেশে স্কলারশীপের সংখ্যা খুব কম। কিন্তু বিদেশে post graduate level এ প্রচুর Scholarship পাওয়া যায়।
চাকুরি
(ক) দেশে:
সরকারি: মেডিকেল কলেজগুলোতে, BCSIR, পরমানু শক্তি কমিশন, বিশ্ববিদ্যলয়ে শিক্ষকতা, BCS, ICDDRB, BRRI, BARI.
প্রাইভেট: Diagnostic laboratories, Pharmaceutical industry, Food processing, private hospitals, Research laboratories, Nutrition projects etc.
(খ) বিদেশে: বিদেশে বিভিন্ন laboratory-তে গবেষণার প্রচুর সুযোগ ও চাকুরির ব্যবস্থা আছে। এ পেশায় মোটা অম্কের বেতন সহ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে প্রমোশন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
গবেষণা
গবেষণা করার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই phD করা উচিত এবং সেটা বাইরে থেকে। অন্যান্য চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে MSc ডিগ্রিই যথেষ্ট, সাথে MBA ডিগ্রি থাকলে প্রার্থীর মন বহুলাংশে বেড়ে যায়।
মাইক্রোবায়োলজি (Microbiology)
চাহিদার ক্রম অনুযায়ী বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রথম সারির একটি বিষয় হিসেবে Microbiology এর নাম অগ্রগণ্য। এর বিচিত্র বিষয়সূচি, আসন সংখ্যা, চাকুরির ক্ষেত্রে ইত্যাদি বিষয়ে কিছু মৌলিক সুবিধাই এই অগ্রাগণ্যতার অন্যতম কারণ।
পঠিতব্য বিষয়
Microbiology হচ্ছে Biology of the micro things (microbs) সুতরাং এই বিষয়ের আলোচ্য বিষয়াদি হচ্ছে Bacteria. Virus, fungus ইত্যাদি সম্পর্কিত জ্ঞান, তাদের উপকার, অপকার, নিয়ন্ত্রণ বা ব্যবহার ইত্যাদি সম্বন্ধে জানা। সেই সাথে মঠপর্যায়ে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সব Technique এই বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত হয়ে থাকে। এই বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত আরো রয়েছে রোগতত্ত্ববিদ্যা (Immunology), প্রাণরসায়ন (Biochemistry), রসায়ন (Chemistry) ইত্যাদি। এর পঠিতব্য বিষয়গুলোকে প্রধানত নিম্নোক্তভাবে সাজান যায়।
১. Microbial information related courses (with practical)
(A) Bacteriology, Virology, Mycology,etc.
– their detail knowledge
– Metabolism, geteoies etc.
– Their merits, demerits.
২. Application Techniques related courses:
– Basic Techniques in Microbiology
– Agricultural Microbiology
– Biotechnology
– Fermentation Technology.
– Industrial Microbiology
৩. Other Subjects:
– Fundamentals of Chemistry
– Basic Biochemistry
– Human physiology
– Immunology
– Computer Application etc.
কোথায় পড়ানো হয়
সরকারি: ঢাকা, চট্রগ্রম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বেসরকারি: North-South University, স্টামফোর্ড ইউনির্ভারসেটি,prime Asia University.
বিষয় রেটিং
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে Biological Subject এর দিক হতে Microbiology বিশির ভাগ ছাত্রেরই ১ম বা ২য় choice হয়ে থাকে।
অ্যাডমিশন-মূলত স্নাতক level এ Microbiology পড়ানো হয়। তবে বিদেশে High school পর্যায়ে বা অন্যান্য কিছু Technical college এ শুধু Technical side টি শেখানো হয়।
স্কলারশীপ
১.সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় পুরো খরচটাই বিশ্ববিদ্যালয় বহন করে বলে তেমন সাহায্যের দরকার হয় না। আর দরকার হলেও বৃত্তি তেমন নেই। সাধারণ বৃত্তিগুলো ফলাফল ভালো করলে পাওয়া যায়, যা নামে মাত্র।
২.বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফলাফল ভাল করলে Tuition fee তে কিছু ছাড় দেয়া হয়।
চাকুরি
এই বিষয় অন্যতম প্রধান বিষয় হওয়া সত্ত্বেও দেশে এর চাকুরি কম বললেই চলে।
মূলত গবেষণা সম্পর্কিত বিষয় হবার কারণেই এখানে এর অবস্থান দুর্বল। তবুও যে চাকুরিগুলো দেশে বিদ্যমান সেগুলো হচ্ছে-
দেশে
Pharmaceutical industry, Food industry, ICDRB & Research project সমূহে ও আনুসাংগিক কাজে, Medical college, Diagnostic centre গুলোতে Microbiologist হিসেবে, অন্যান্য গবেষণা কর্মে যেমন Biotechnologicsl work, Immunological research.
বিদেশে
Agricultural reseach, Environmental sector, Pharmaceutical industry, Public health, Immunological sector, Biotechnological/ Formulation sector. এছাড়াও বিভিন্ন জীবানুজাত রোগের গবেষণায়- যেমন AIDS, SARS ইত্যাদি।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি
কোথায় পড়ানো হয়
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: খুলনা, শাহজালাল, চট্রগ্রম, মাওলানা ভাসানী (টাঙ্গাইল) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: ইওডা, নর্থ সাউথ (বায়োক্যামেস্ট্রি এন্ড বায়োটেক), ব্র্যাক (মাস্টার্স)।
চাকুরি
দেশে: ব্র্যাক (টিস্যুকালচার হাইব্রীড-উন্নতমানের বীজ), কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, টিস্যুকালচার, ড. হাসিনা খান ল্যাব, পাট গবেষণা, ড. জেবা ইসলাম সেবা ধান নিয়ে গবেষণা, আইসিডিডিআরবি- ডায়রিয়া এবং কলেরা নিয়ে গবেষণা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে-ডি এন এ ফরেনসিক ল্যাব।
বিদেশে: দেশের বইরে রয়েছে প্রচুর কাজের সুযোগ। কারণ, জীববিজ্ঞান বিষয়কে জ্ঞানের পরিধি ও গবেষণার ক্ষেত্র অনবরত বেড়েই চলেছে।
কি পড়ানো হয়
এ বিষয়ে সাধানণত জীব প্রজাতর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রধান বাহক‘জীন (Gene)’ এর অভ্যন্তরীণ হঠন, গঠনিক উপাদান, বিক্রিয়া, জীনের উন্নতকরণের প্রযুক্তি প্রভুতি বিষয়ে পড়ানো হয়। বিষয়টি মূলত রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে একটি ফলিত বিষয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ‘Genetics and Breeding’ পড়ানো হয় যা কৃষি বিজ্ঞান ভিত্তিক একটি ফলিত বিষয়।
পড়ার যোগ্যতা
এ বিষয়ে পড়ার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে অবশ্যই বি গ্রেড থাকতে হবে।
স্কলারশীপ
বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য Scholarship পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাপান, জার্মানী প্রভৃতি রাষ্ট্র।
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (Food & Nutrition)
কী পড়ানো হয়
চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিছু বিষয়সহ স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স দিয়ে বিষয়টির কারিকুলাম সাজানো হয়েছে। মূলবিষয়গুলো হল ফিজিওলজি, অ্যানাটমী, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, অর্গানিক ও ইনঅর্গানিক কেমিস্ট্রি, ডায়েটিকস, ফুড প্রসেসিং, পাবলিক হেলথ, চাইল্ড কেয়ার ইত্যাদি।
কোথায়
ঢাবি, রাবি ও ইবি-তে পড়ানো হয়। হাজী দনেশ বিশ্ববিদ্যালয়েও ফুড টেকনোলজি নামে একটি কোর্স আছে। মেয়েদের জন্য ঢাবির অধীনস্থ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে বিষয়টি পড়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকুরি
চাকুরি মূলত সব ধরনের খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানী সেক্টরে। পাবলিক হেলথ নিয়ে কাজ করে এ ধরনের বেসরকারি সংস্থাগুলোতে প্রচুর চাকুরির সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠেত ভালমানের হাসপাতাল গুলোতে নিউট্রিসনিস্ট ও ডায়েটিশিয়ানের চাকুরি পওয়া যায়। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও ডয়েটিশিয়ানের (খাদ্য বিশেষজ্ঞের) পদ রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পুষ্টি প্রকল্প ও পাবলিক হেলথ সেক্টরে কাজ করার সুযোগ আছে।
স্কলারশীপ
দেশের বাইরে পুষ্টিবিজ্ঞান বেশ দামী বিষয় হওয়ার কারণে স্কলারশীপ মেলে বহজে। উন্নত দেশগুলোতে পুষ্টিবিদের পেশা বেশ লাভজনক।
সম্ভাবনা
দেশের ফুড কোম্পানিগুলোতে এ পেশার লোক প্রয়োজন। কিন্তু অতীতে একমাত্র গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাড়া কোথাও বিষয়টি পড়ানো হত না বিধায় ফুড কোম্পানিতে রসায়নবিদ দিয়ে কাজ চালানো হত। সরকার ঔষুধ কোম্পানিতে যেমন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ বাধ্যতামূলক করেছে তেমনি ফুড কোম্পানিগুলোতেও পুষ্টিবিদ নিয়োগের বিধান করলে এ পেশাটির জন্য প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
এ বিষয়ে পড়াশোনার জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম বি গ্রেড থাকতে হবে।
পপুলেশন সায়েন্স
বিষয়বস্তু
আদমশুমারি, মানব সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, মানব সম্পদ নিয়ন্ত্রণ এবং এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান গত বিষয়সমূহ।
চাহিদা
যেকোন দেশের অগ্রযাত্রা নির্ভর করে সে দেশের মোট মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের উপর। তাই, এ বিষয়টি যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের মত উন্নায়নশীল দেশে তাই এই বিষয়টির চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। বিভিন্ন মানব সম্পদ গবেষণাধর্মী বিদেশি সংস্থাতে ও এর ব্যাপক চাহিদা আছে।
কোথায় পড়বেন
দেশে: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিদেশে: বিভিন্ন নামকরা ও মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে সামাজিক বিজ্ঞান অথবা মানব বিজ্ঞান অনুষদের বা স্কুলের অন্তর্গত বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়।
ভর্তির নিয়ম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভর্তির জন্য গণিত এবং ইংরেজি বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।
স্কলারশীপ
দেশে: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ডিপার্টমেন্টাল স্কলারশীপ।
বিদেশে: বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন Human Rights সংস্থা, NGO প্রভৃতি কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশীপ।
উচ্চশিক্ষা
দেশে: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার সুযোগ আছে।
বিদেশে: বিভিন্ন খ্যাতনামা এবং মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স, এমএস, পিএইচডি এবং এম.ফিল করার সূযোগ আছে।
চাকুরি
UNDP, Human Rights সংস্থাসমূহ, বিভিন্ন NGO, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিভিন্ন কোম্পানীতে HRO হিসেবে, Private University তে শিক্ষক হিসেবে।
ভূগোল (Geography)
ভূমিকা
ভূগোল বিষয়ের আলোচ্য শাখাগুলো হল প্রাকৃতিক, মানবিক এবং সাংস্কৃতিক- যার মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে প্রকৃতির সৃষ্টি জগৎ সম্পর্কে, অনুধাবন করতে পারে মানুষও প্রকৃতির মিথস্ক্রিয়াশীল সম্পর্কের ব্যাপারে।
যা পড়ানো হয়
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে মূলত মনুষ ও পরিবেশের সম্পর্ক, বিভিন্ন সময় ও স্থান সম্পর্কে পড়ানো হয়।
চাহিদা
এই বিভাগের চাহিদা আগে মাঝারি মানের থাকলেও নতুন একটি বিষয় GIS অন্তর্ভূক্ত হবার কারণে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিষয়ভিত্তিক কোন নির্দিষ্ট অবস্থানে না থাকলেও এর অবস্থান মাঝারি মানের।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর এবং জগন্নথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পড়ানো হয়। এর বাইরে অনেক কলেজেই এই বিষয়ে অনার্স পড়ানো হয়ে থাকে।
উচ্চ শিক্ষা
দেশে ঢাকা, চট্রগ্রম, রাজশাহী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে।
চাকুরি সুবিধা
এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রধাণত বিসিএস-এর মাধ্যমে বিভিন্ন চাকুরিতে যোগ দেয়। এছাড়া অধ্যয়ন করার মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ের সাথে শিক্ষার্থীরা পরিচিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্মে যোগদান করতে পারছে। এছাড়াও শিক্ষাকতা, ব্যবসা ইত্যাদি পেশা গ্রহণেরও বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে।
মনোবিজ্ঞান (Psychology)
আলোচ্য বিষয়
মনোবিজ্ঞানের বিষয় আচরণ হওয়ায় এর আলোচ্য বিষয়গুলি চোখের পলক ফেলা থেকে আরম্ভ করে আগ্রাসী ব্যক্তির গতি পর্যন্ত বিস্তৃত। আচরণের সাথে সাথে মনোবিজ্ঞান মানুষের আবেগ, চিন্তা, স্বপ্ন, বিশ্বাস, স্মৃতি প্রত্যাশা আলোচনা করে।
চাহিদা
মনোবিজ্ঞান তার যাত্রাপথে এখন আর শুধু ব্যক্তি মন-এ আবদ্ধ নয়। আজ এর বিস্তৃতি ঘটেছে- চিকিৎসায়, শিক্ষায়, শিল্পে, বিকাশে, সমাজে, প্রকৌশলে, উপদেশনায় ও নির্দেশনায়্।
চাকুরির সুযোগ
ভাল ফলাফলধারী ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক, সরকারি ক্ষেত্রে সধারণ সকল ক্যাডার, স্পেশাল মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক, প্রাইভেট কোম্পানী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপদেশক ও নির্দেশক হিসেবে কাজ করতে পারেন। আমাদের দেশে মনোবিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রে কম থাকলেও উন্নত বেশ্বে বিশেষ করে আমেরিকা, কনাডায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী, শিশুমনোবিজ্ঞানী, শিল্পমনোবিজ্ঞানী, শিক্ষাঙ্গনে উপদেশক ও নির্দেশক হিসেবে মনোবিজ্ঞানীদের উন্নত পেশা গ্রহণের সুযোগ আছে।
কোথায় পড়াবেন
ঢাকা, রাজশাহী, জগন্নথ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বিদেশেও এ বিষয়ে পড়াশুনার ভাল সুযোগ আছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত বিষয়গুলোর মধ্যে এর অবস্থান নীচের দিকে।
গবেষণা ও স্কলারশীপ
উচ্চশিক্ষার মধ্যে রয়েছে MS, phD ও বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি। ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বিদেশে অনেক সুযোগ রয়েছে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য পড়াশুনা করার। দেশের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানে MS করা যায়। বিদেশের মধ্যে USA, Canada, UK, Australia, Japan, Germany অগ্রগণ্য। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের Scholarship রয়েছে। তবে সেগুলো শিক্ষাকতা ও গবেষণাকে উদ্বুদ্ধ করে- যেমন Commonwealth Scholarship, Monoboshu Scholarship ইত্যাদি।
বিবিএ/এমবিএ
বিবিএ
বিবিএ হলো চার বছর মেয়াদী সন্মান ডিগ্রি। ব্যবসায় শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের প্রথম সোপান হলো বিবিএ বা Bachelor of Business Administation. ডিগ্রির সংজ্ঞা ইংরেজিতে দিতে গেলে এভাবে দেয়া যায়: The degree is conferred upon a student after four years of full-time study (120 credit hours) in one or more areas of business concentrtions. The BBA program usually includes general business courses and advanced courses for specific concentrations.
কোথায় পড়ানো হয়?
আমাদের দেশে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, চট্রগ্রাম, খুলনা, জাহাঙ্গীরনগর, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ নবগঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিবিএ পড়ানো হয়। ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সম্প্রতি এই কোর্স চালু হয়েছে। তাছড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় সবগুলোতোই বিবিএ পড়ানো হয়।
কি কি পড়ানো হয়?
বিবিএ’র কারিকুলাম এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে ব্যবসায় শিক্ষার পাশাপাশি একজন শিক্ষর্থী বিজ্ঞান, মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে অল্পবিস্তর জ্ঞান লাভ করতে পারে। বিবিএ তে বিভিন্ন বিষয়ে (Major) প্রধান বিষয় রয়েছে। সেগুলো হলো:
১. মার্কেটিং
২. হিসাব বিজ্ঞান
৩. ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
৪.ব্যবস্থাপনা
৫. হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপনা
৬. ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিসটেম প্রভৃতি
এছাড়াও দেশের বাইরে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে Bachelor of Science in Business Administration (BSBA) নামে বিবিএ ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এই ডিগ্রীতে মূলত ব্যবসায় প্রশাসনের কারিকুলাম ব্যবসায় শিক্ষার বিষয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞানের বিষগুলোর উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়।
বিষয় রেটিং
বর্তমানে বিষয় রেটিং করা হয় চাকরি বাজারে চাহিদা দেখে। আপনি একটি জাতীয় দৈনিক হাতে নিয়ে বসলে দেখতে পাবেন কোন বিষয়ের উপর সবচেয়ে বেশি চাকরি বিজ্ঞাপন দিয়েছে সেই অনুসারে আপনি নিজেই বিষয় রেটিং করতে পারবেন। (এটা সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়ে থাকে।) বর্তমান রেটিং-
১. মার্কেটিং
২.ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
৩. হিসাব বিজ্ঞান
৪.ব্যবস্থাপনা
৫.হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপনা
৬.ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিসটেম প্রভৃতি
ভর্তি (দেশে/বিদেশে)
দেশে অবস্থিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের অধিকারী হতে হয়। ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক অথবা বিজ্ঞান বিভাগের যে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অবতির্ণ হতে পারে। কেবলমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। যে সকল শিক্ষার্থী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিবিএ ভর্তির সুযোগ পায় না তাদের জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সুযোগ করে দিয়েছে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করার। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনার খরচ অত্যন্ত বেশি। তবে কোন শিক্ষার্থীর যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার খরচ চালানোর সামর্থ থাকে তবে সে ইচ্ছা করলে সমপরিমান অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করতে পারবে। এক্ষেত্রে দেশে অবস্থিত বিদেশী দূতাবাসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। বর্তমানে দেশে অনেক কনসালটেন্সি ফার্ম এ বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকে।
উচ্চশিক্ষা (এমবিএ)
বিবিএ (মার্কেটিং, ব্যাংকিং ফিন্যান্স, একাউন্টিং,ম্যানেজমেন্ট,) ডিগ্রি লাভ করার পর কোন শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়াশুনা করতে পারেন। বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অধিভুক্ত যে কোন বিষয়ে এমবিএ করার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেতে হয়। দেশে ব্যবসায় প্রশাসনে অধ্যয়নের জন্য পাইওনিয়র প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ। একজন শিক্ষার্থী যে কোন বিষয়ে স্নাতক পাশ করার পর এখানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেতে পারে। তবে আইবিএতে ভর্তি পরীক্ষা একটু ব্যতিক্রম। ইংরেজি, গণিত ও জ্যামিতিতে ভাল দখল থাকলে এখানে চান্স পাওয়া সম্ভব। আইবিএ থেকে অর্জিত ডিগ্রির মান দেশে অবস্থিত অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত এমবিএ ডিগ্রির চেয়ে নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। তাই দেশের অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করার পরও কোন শিক্ষার্থী যদি এখান থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন তবে এটা তার জন্য অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছড়াও রাজশাহী, খুলনা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ’র অনুরূপ স্বতন্ত্র এমবিএ পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রেও আইবিএ স্টাইলেই ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়।
সিএ/আইসিএমএ
বিবিএ/এমবিএ শেষ করার পর একজন শিক্ষার্থী ইচ্ছে করলে প্রফেশনাল ডিগ্রি অর্জনের জন্য সিএ/আইসিএমএ তে পড়াশুনা করতে পারে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি তে A+ থাকলে সরাসরি সিএ কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্যের জন্য কাওরান বাজারস্থ সিএ ভবনে যোগাযোগ করতে হবে নীলক্ষেতে অবস্থিত আইসিএমএ ভবনে অথবা www.icmab.org.bd ওয়েব সাইটে অথবা ঢাকার বাইরে অবস্থিত শাখা অফিসগুলোতে।
এমফিল, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি
এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করার পর একজন শিক্ষার্থী আরও উচ্চতর ডিগ্রির জন্য গবেষণামূলক কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে তিনটি ধাপ রয়েছে। সেগুলো হলো-এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি। এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করার পর সর্বপ্রথম দুই বছর মেয়াদী এমফিল কোর্সের জন্য ভর্তি হয়। অবশ্য সরাসরি তিন বছর মেয়াদী পিএইচডি প্রোগ্রামেও ভর্তি হওয়া যায়। সেক্ষেত্রে কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমপক্ষে দুই বছরের শিক্ষাকতাসহ আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশনা থাকতে হবে। উল্লেখ্য এমফিল ও পিএইচডি গবেষণা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় হতে নিয়মিত (মাসিক/বাৎসরিক) বৃত্তি/অর্থ প্রদান করা হয় কোন কোন ক্ষেত্রে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রামসহ দেশের প্রায় সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর একজন গবেষক হওয়ার ইচ্ছে করলে দেশের বাইরে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করতে পারেন। কেননা আমাদের দেশে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণার ব্যবস্থা নেই।
স্কলারশীপ
বিবিএ/এমবিএ অধ্যয়নকালে দেশে তেমন কোন স্কলারশীপের ব্যাবস্থা না থাকলেও বিবিএ/এমবিএতে ভাল রেজাল্ট করতে পারলে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রচুর স্কলারশীপ পাওয়া যায়। তবে আইবিএতে অধ্যয়নকালে কিছু স্কলারশীপের ব্যবস্থা আছে। সেগুলো হলো- প্রফেসর এম শফিউল্লাহ স্কলারশীপ (যারা ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্ভর পায় তাদের জন্য), নাজির আগমেদ মেমোরিয়াল স্কলারশীপ, প্রফেসর আলিমুর রহমান স্কলারশিপ, রোটারী ক্লাব, DDBL, ICB, BAT, National Cash Register, Young-one, নূরুল হুদা মেমোরিয়াল, সামসুল আলম মেমোরিয়াল, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্কলারশীপ। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবিএতে প্রথ, বর্ষের রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে কিছু ছাত্রকে দ্বিতীয় বর্ষ হতে মেধা বৃত্তি প্রদান করে থাকে। দেশের বাইরে অধ্যয়ন করার জন্য যে সমস্ত স্কলারশীপ পাওয় যায় সেগুলো হলো- মনবুশো স্কলারশিপ (জাপান), কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ওয়ল্ড ব্যাংক স্কলারশিপ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক স্কলারশীপ প্রভৃতি। বিবিএ/এমবিএ পর্যয়ে ইংল্যান্ড, কনাডা, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশেই স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতন শিক্ষার জন্য যাওয়া যায়। ইন্টারনেট সার্চ করলে এসব বৃত্তির তথ্য সহজেই উদঘটন করা সম্ভব। তবে দেশে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসসমূহে খোঁজ নিলে স্কলারশীপের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়।
চাকুরি
বিবিএ/এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করলে বেশ দ্রুত চাকুরি পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে প্রাইভেট অর্গানাইজেশনে বিবিএ/এমবিএ’র চাহিদা আকাশচুম্বী। ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনী, প্রবেশনারী অফিসার, এক্সিকিউটিভসহ অফিসার পদে ভাল বেতন ও সুযোগ সুবিধায় সিয়োগ প্রদান করা হয়। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় চাকুরির সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ভাল ফলাফলের অধিকারী হতে হবে। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানী, টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানী, গার্মেন্টস, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আকর্শণীয় বেতনে উচ্চ পদে চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
অর্থনীতি (Economics)
যা পড়ানো হয়
অর্থনীতি বিষয়টিতে সামষ্টিক ও ক্ষুদ্র অর্থনীতি, অংক, পরিসংখ্যান, ব্যাংকিং, ফিন্যান্স ও অর্থনীতির সংশ্লিষ্ট কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ানো হয়। এছড়াও উন্নয়ন অর্থনীতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়।
চাহিদা
একটি দেশের সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব অর্থনীতিবিদদের। তাছাড়া বর্তমানে অর্থ সংশ্লিষ্টি কাজের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই বিভাগের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিষয় ভিত্তিক অবস্থানের দিকে দিয়ে কলা/ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে এই বিষয়ের অবস্থান প্রথম দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় পাথম দিকে থাকে তারাই অনার্স বিষয় হিসেবে অর্থনীতি নিয়ে থাকে।
কোথায় পড়ানো হয়
দেশের সব কয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বেশকিছু পাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত অনেক কলেজে এই বিষয়টি পড়ানো হয়।
উচ্চ শিক্ষা
দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অনেক বিষয়ের উপর পিএইচডি করা যায়।
চাকুরির সুবিধা
অর্থনীতি বিভাগেন শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডারে যোগদান করা ছাড়াও দেশের ব্যাংক বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যবসা- প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন প্রইভেট ফার্ম, শিক্ষকতা ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে চাকুরি লাভ করে থাকে।
আইন (Law)
যা পড়ানো হয়
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইন।
চাহিদা
আইন বিষয়ের চাহিদা বহুবিদ- প্রথমত, আইনজীবী হিসেবে কোর্টে মামলা পরিচালনা করা। দ্বিতীয়ত, সরকারি (বিসিএস জুডিশিয়াল) এবং দেশি, বিদেশি ও বহুজাতিক বিভিন্ন কোম্পানীতে আইন কর্মকর্তা বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ লাভ করে কাজ করা যায়।
উল্লেখ্য সরকার পক্ষের মামলা পরিচালনা করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন আদালতে আইনজীবীদের মধ্য থেকেই আইন কর্মকর্তা নিয়ে থাকেন। এসব ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিষয়ভিত্তিক অকস্থানের দিক দিয়ে কলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে একে শীর্ষে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকে তারাই অনার্স বিষয় হিসেবে আইন নিয়ে থাকে।
কোথায় পড়ানো হয়
দেশের সব কয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বেশকিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিষয়ে চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স চালু আছে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত আইন কলেজেসমূহে সাধারন এলএলবি ডিগ্রি দিওয়া হয়।
উচ্চ শিক্ষা
এ বইয়ের ৫ম অধ্যায়ের‘আইনজীবী’ রচনাটি দেখুন।
ইংরেজি (English)
কি পড়ানো হয়
ইংরেজি বিভাগে প্রধান আলোচ্য বিষয় যে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য এটা আমাদের কাছে সুস্পষ্ট। ইংরেজি ভাষার বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের রচিত পড়ানো হয় এখানে। এছাড়া বাংলা সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস, নৃ-বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কেও প্রাথমিক ধারণা প্রদান করা হয় এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের।
চাহিদা
ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্য। আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার দরুন এর ব্যাপক চাহিদা আছে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব। বলা চলে চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি জানার কোন বিকল্প নেই। বিভিন্ন মালটিন্যশনাল কোম্পানী, দূতাবাস ও বিদেশে চাকুরি নেওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি একটি অপরিহার্য ভাষা। বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির চাহিদা সর্বজন স্বীকৃত।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান অবস্থানের দিক দিয়ে কলা অনুষদে এই বিষয়ের অবস্থার প্রথম দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকে তারাই অনার্সের বিষয় হিসেবে ইংরেজি নিয়ে থাকে।
কোথায় পড়ানো হয়
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অনার্স বিষয় হিসেবে ইংরেজি পড়ানো হয়।
চাকুরির সুবিধা
দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রইভেট প্রতিষ্ঠন এবং দেশি ও বিদেশি ব্যাংক উচ্চ বেতনে চাকুরির সু-ব্যবস্থ রয়েছে। বিসিএস এর বিভিন্ন ক্যাডারেও ইংরেজির ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট ভাল করে থাকে।
সমাজ বিজ্ঞান/ ন-বিজ্ঞান
(Sociology/Anthropology)
সব বিষয় পড়ানো হয়
অনার্সে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে মনোবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সামাজিক আইন, দুর্য়োগ-ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সমস্যা বিশ্লেষণ,এনজিও, মানবাধিকার, সামাজিক নীতি, জনবিজ্ঞান, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সামাজিক গবেষণা, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানো হয়।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিষয়ভিত্তিক অবস্থানের দিক দিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে এই বিষয়ের অবস্থান প্রথম দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকে তারাই অনার্সের বিষয় হিসাবে সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে থাকে।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নথ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কলেজে সমাজবিজ্ঞান পড়ানো হয়।
চাকুরির সুবিধা
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডারে যোগদান করা ছাড়াও দেশের ব্যাংক, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠন,বিভিন্ন প্রইভেট ফার্ম, শিক্ষাকতা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গবেষক হিসেবে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকুরি লাভ করে থাকে।
সমাজকল্যাণ/ সমাজকর্ম
(Social Welfare/ Social Work)
কী পড়ানো হয়
অনার্সে সমাজকর্মের তত্ত্ব, ইতিহাস, দর্শন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কোর্সের সাথে অর্থনীতি সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, সামাজিক আইন, দুর্য়োগ-ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সমস্যা বিশ্লেষণ, এনজিও, মানবাধিকার, সামাজিক নীতি, জনবিজ্ঞান, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সামাজিক গবেষণা, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানো হয়।
চাহিদা
সমাজকর্ম মূলত একটি পেশা। আমাদের দেশে এটি এখনও পেশা হিসেবে প্রতিষ্টিত না হলেও বিদেশি এনজিও সহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠন ও সরকারি চাকুরির সুবিধা রয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে এমফিল এব্ং পিএইচডি করা যায়। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিশেষ করে USA, UK Australia, Canada) সমাজকর্মের বিভিন্ন বিষয়ের উপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিষয় ভিত্তিক অবস্থানের দিক দিয়ে সমাজকল্যাণ/ সমাজকর্ম সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে প্রথম দিকে। বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকে তারাই অনার্স বিষয় হিসেবে সমাজকল্যাণ/সমাজকর্ম নিয়ে থাকে।
কেথায় পড়ানো হয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কলেজে সমাজকল্যাণ পড়ানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এর নাম সমাজকর্ম।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (International Relation)
যা পড়ানো হয়
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আসলে সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিষয়। কজেই সাম্প্রতিক বিশ্ব ছাড়াও এ বিষয়ে ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান ইত্যাদি পড়ানো হয়।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাবি, জাবি, চবি-তে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স কোর্স পড়ানো হয়। তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত।
উচ্চ শিক্ষা
উপরোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ হতে এ বিষয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জরনর সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া USA, Canada, Australia ও Europe- এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ আছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিষয়ভিত্তিক অবস্থানের দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একটি মধ্যম মানের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকে তারা আইন, অর্থনীতি, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ের পরপরই আনার্স বিষয় হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে থাকে।
চাকুরি
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালটিন্যশনাল কোম্পানী, মানবধিকার সংগঠন সমূহ, বিভিন্ন এনজিও, বিদেশি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও পররাষ্ট্রবিষয়ক ক্ষেত্রে চাকুরির সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও
(ক) অনার্স ও মাস্টার্স প্রথম শ্রেণী প্রপ্তির সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ।
(খ) বিসিএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে।
লোকপ্রশাসন (Public Administration)
পঠিতব্য বিষয়
প্রাগৈতিহাসিক কালে থেকে বর্তমান সময়ের প্রশাসনিক অবকাঠামো বিষয়ে জ্ঞান প্রদান। পরিবর্তিক পরিবেশে প্রশাসন কেমন হবে সে বিষয়ে বাস্তব শিক্ষা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আইন ইত্যাদি এ বিষয়ে পড়ানো হয়।
চাহিদা
ডিমান্ড সম্পর্কিত আলোচনায় লোকপ্রশাসনের ভবিষ্যৎ কি, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। ভাল ও সুন্দর রেজাল্ট করলে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরির সুযোগ রয়েছে। লোকপ্রশাসনে বিসিএস ও সরকারি কর্ম-কমিশনে রয়েছে লেরকপ্রশাসনের ছাত্রদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা।
বিষয়ভিত্তিক
বিষয়ভিত্তিক অবস্থানের দিক দিয়ে লোকপ্রশাসন একটি মধ্যম মানের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকে তারা আইন, অর্থনীতি, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ের পরপরই অনার্স বিষয় হিসেবে লোক প্রশাসন নিয়ে থাকে।
চাকুরি
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন মালটিন্যশনাল কোম্পানী, মানবধিকার সংগঠন সমূহ, বিভিন্ন এ.জি.ও, বিদেশি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও প্রশাসন ক্ষেত্রে চাকুরির সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও
(ক) ভাল ফলাফল করার সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ।
(খ) বিসিএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
(Mass Communication & Journalism)
যা পড়ানো হয়
এ বিভাগে সাংবাদিকতার বিভিন্ন অংশ ছাড়াও তথ্য প্রযু্ক্তি, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে।
চাহিদা
বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেভাবে বেড়ে চলেছে, সেই সাথে এই বিষয়ের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মিডিয়া একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। যে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
ক্রমর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ের বর্তমান অবস্থান কলা ও মানবিক অনুষদে উপরের দিকে।
কোথায় পড়ানো হয়
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়টির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এটি মূলত ঢাকা, চট্রগ্রম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এছাড়াও কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও এই বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে।
চাকুরি সুবিধা
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাত্র জীবনেই চাকুরি পেয়ে যায় এবং বিশাল অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই অভিজ্ঞতা পরবর্তি চাকুরি জীবনে কাজে লাগায়। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডার হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক হিসেবে এবং বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্ম ও এনজিও গুলোতে চাকুরি লাভ করে থাকে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
(Political Science)
কী পড়ানো হয়
রাষ্ট্র, সরকার, আইন প্রশাসন, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান ইত্যাদি নানবিধ বিষয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্য।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাবি, জাবি, জবি, চবি (রাজনীতি বিজ্ঞান), রাবি, শাবিপ্রবি (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও লোক প্রশাসন) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজে মাস্টার্স কোর্সে পড়ানো হয়।
এছাড়াও উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমুহ হতে উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে। তথাপি উচ্চতর ডিগ্রি ও গবেষণার জন্য USA, Canada, Australia এবং Europe-এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিষয়ভিত্তিক অবস্থানের দিক দিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি মধ্যম মানের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকে তারা আইন, অর্থনীতি, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ ইত্যাদি বিষয়ের পরপরই অনার্স বিষয় হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে থাকে।
চাকুরির সুযোগ-সুবিধা
১। ভাল ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের মাধ্যমে সরকারি কলেজসমুহের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২। নির্দিষ্ট কোন কোটা না থাকলেও বিসিএস প্রশাসনসহ সাধারণ ক্যাডারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিগ্রিধারীদেরকে চান্স পাওয়া সহজ।
৩। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার ভাল সম্ভাবনা।
বাংলা (Bangla)
যা পড়ানো হয়
বাংলা বিভাগে সাধারণত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বিভিন্ন উপন্যাস, বড় বড় কবি ও সাহিত্যিকদের বিভিন্ন গদ্য ও বিখ্যাত কবিতাগুলো পড়ানো হয়। এছাড়া ফাউন্ডেশন কোর্স হিসেবে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও বাংলা এই দু‘টো বিষয় ভাষা হিসেবে পড়ে থাকে।
চাহিদা
যেসব শিক্ষার্থী বাংলা ভাষা ও এর বিভিন্ন ধারা এবং আমাদের বাংলা ভাষার যে বিশাল সাহিত্য ভান্ডার রয়েছে তা জানতে এবং এই সমৃদ্ধ ভাষাটির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী তাদের কাছে এই বিষয়ের চাহিদা রয়েছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয় হিসেবে এর অবস্থান নীচের দিকে।
কোথায় পড়ানো হয়
বাংলদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাড়া বাকী সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এবং অধিকাংশ কলেজে বাংলা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে।
উচ্চ শিক্ষা
বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
এছাড়া ভারতসহ অন্যান্য কিছু দেশে এ বিষয়ের উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ আছে।
চাকুরি সুবিধা
এই বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হবার পর শিক্ষার্থীরা সাধারণত বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগদান করে। এছড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষক হিসেবে, বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংকের চাকুরিকে তারা পেশা হিসেবে গ্রহণ করে থাকে।
শান্তি ও সংঘর্ষ
(Peace & Conflict)
কী পড়ানো হয়
এই বিভাগে শান্তির তত্ত্ব, শান্তি ব্যবস্থাপনা, সংঘর্ষের সময় ব্যবস্থাপনা কি ধরনের হয়, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক অর্থনীতি, মানবাধিকার, পরিবেশগত সংঘর্ষ ও জননিরাপত্তার জন্য কি ধরনের উপায় নেয়া যেতে পারে এসব বিষয় মূলত পড়ানো হয়।
চাহিদা
শান্তি ও সংঘর্ষ বাংলাদেশে একেবারেই নতুন একটি বিভাগ। যার ফলে এর চাহিদা এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বে শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই এই বিভাগটি থাকার কারণে এবং একটি নতুন বিভাগ হবার কারণে দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের মাঝে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কোথায় পড়ানো হয়
সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই এ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা
দেশে কোথাও মাস্টার্স এর পর উচ্চ শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে এশিয়ার বাইরে ইউরোপে এ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
চাকুরির সুবিধা
যেহেতু শান্তি ও সংঘর্ষ বাংলাদেশে একটি নতুন বিভাগ এবং এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ব্যাচ এ বিভাগ থেকে পাস করেছে তাই চাকুরির ব্যাপারে কিছু বলা না গেলেও এ বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাকতা ছাড়াও বিসিএস ক্যাডার, গবেষক, বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তা হিসেবে পেশা শুরু করতে পারে।
ইতিহাস (History)
পঠিতব্য বিষয়সমূহ
ইতিহাস বিভাগে ইতিহাস ছাড়াও ইতিহাসের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও পড়ানো হয়। যেমন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি। তবে এসব বিষয়ে পূর্ণজ্ঞান না দিয়ে ইতহাস সম্পর্কিত জ্ঞানই প্রদান করা হয়। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত যুগ ও কালের ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জ্ঞান প্রদান করা হয় ইতিহাসে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলোর মধ্যে এর অবস্থান নীচের দিকে।
কোথায় পড়ানো হয়
বাংলাদেশের ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয় পড়ানো হয়।
তাছাড়া অনেক কলেজেই এই বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স পড়ানো হয়।
উচ্চ শিক্ষা
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে এই বিষয় পড়ানো হয় সেখান থেকে মাস্টার্স এর পর এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করা যায়।
চাকুরির সুবিধা
অন্যান্য বিভাগের মতো এই বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগ দিতে পারে। তাছাড়া স্কুল/ কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকতা, বেসরকারি সংস্থাতেও পেশা শুরু করতে পারে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
(Islamic History & Culture)
কী পড়ানো হয়
এই বিভাগে প্রধানত মুসলিম শাসকদের ইতিহাস, মুসলিম স্থাপত্য শিল্প, মুসলিম দর্শন, মুসলিম আইন, অর্থনীতি, শিল্প, সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চাহিদা
যেসব শিক্ষার্থী মুসলিমদের গৌরবোজ্জল ইতিহাস ও সমৃদ্ধ শিল্প-সাহিত্য, মুসলমানদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, মুসলমানদের দর্শন সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী তাদের কাছে এই বিষয়ের চাহিদা বয়েছে।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলোর মধ্যে এর অবস্থান নীচের দিকে।
কোথায় পড়ানো হয়
বাংলাদেশের ঢাকা, চট্রগ্রম, রাজশাহী ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয় পড়ানো হয়। তাছাড়া অনেক কলেজেই এই বিষয়ে পড়ানো হয়।
উচ্চ শিক্ষা
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যেখানে এই বিষয় পড়ানো হয় সেখানে থেকে মাস্টার্স এর পর এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করা যায়।
চাকুরির সুবিধা
অন্যান্য বিভাগের মতো এই বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগ দিতে পারে। তাছাড়া স্কুল/ কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকতা, বেসরকারি সংস্থাতেও পেশা শুরু করতে পারে।
উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ
কী পড়ানো হয়
এখন মূলত জেন্ডার নিয়ে পড়ানো হয়। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশেগুলোতে যেহেতু নারীদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন তেমন হয়নি এবং নারী-পুরুষের সম অধিকারের কথা বলা হলেও যেহেতু নারীরা পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে আছে সেহেতু নারীদের উন্নয়ন নিয়ে এখন পড়ানো হয়। এছাড়া এ বিভগের শিক্ষার্থীরা অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমকজবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়েও অধ্যয়ন করে থাকে।
চাহিদা
বর্তমানে সারা বিশ্বেই নারী অধিকার নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। জাতিসংঘ এবং এর অঙ্গ সংগঠনসমূহও এ ব্যাপারে বেশ সরব। তাছাড়া জতিসংঘ ঘোষিত mdg (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল)এর ৮টি পয়েন্টের মধ্যে ১টি পয়েন্ট নারীদের নিয়ে, এছাড়াও অন্তত ২টি পয়েন্ট নারীদের সাথে সম্পরর্কিত। সুতরাং এই বিভাগের চাহিদা কিছুদিনের মধ্যে বেশ বৃদ্ধি পবে বলে আশা করা যায়।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ একটি উদীয়মান বিষয়। এখনও ব্যাপক হারে প্রচলিত না হলেও কিছু দিনের মধ্যে তা হবে বলে আশা করা যায়।
কোথায় পড়ানো হয়
এই বিষয়টি শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে গত ৫ বছর ধরে পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া উপমহাদেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করা যায় না।
উচ্চ শিক্ষ
বাংলাদেশের কোথাও মাস্টর্স এর পর উচ্চ শিক্ষা করা যায় না।
চাকুরি সুবিধা
দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোতে জেন্ডার সংক্রান্ত আলাদা একটি বিভগ থাকে ,যেখানে মূলত এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাকুরি পায়। তাছাড়া এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার এবং গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে তাদের পেশা শুরু করতে পারে।
দর্শন (philosophy)
পঠিতব্য বিষয়
দর্শন বিষযে স্মাতক পর্যায়ে সাধারণত দার্শনিক বিষয়সমূহ, জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন দার্শনিকের মতবাদ, নন্দন তত্ত্ব,গতিবিদ্যা সহ যুক্তিবিদ্যার বিবিধ বিষয়ে পাঠদান করা হয়।
চাহিদা
দর্শন একটি মৌলিক বিষয়। পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ইনস্টিটিউট বিদ্যামান ।
বিষয় ভিত্তিক অবস্থান
কলা অনুষদের বিষয়গুলোর মধ্যে নীচের দিকে।
কোথায় এই বিষয় পড়ানো হয়
ঢাবি, রাবি, জবি, ইবি,শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।
চকুরির সুবিধা
অন্যান্য বিভাগের মতো এই বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগ দিতে পারে। তাছাড়া স্কুল/কলেজ /বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, বেসরকারি সংস্থাতেও পেশা শুরু করতে পারে ।
ইসলামিক স্টাডিজ
কি পড়ানো হয়
আল কুরআন ও তার প্রখ্যাত তাফসীর গ্রন্থাদি উলুমুল কুরআন,উলুমূল হাদীস, সিহাহ সিত্তাহ,মুসলিম বিশ্বের ইতিহাস, ফিকহ গ্রন্থাদি, ইসলামী অর্থনীতি,রাষ্ট্রনীতি, ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদের তুলনামূলক আলোচনা ।
কোথায় পড়ানো হয়
ঢাবি, রাবি, চবি, ইবিতে পড়ানো হয় । এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভূক্ত বেশ কয়েকটি কলেজে এ বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে ।
ইসলমী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়াতে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজম, দাওয়াহ এন্ড ইসলামি স্টাডিজ নামে তিনটি বিষয় পড়ানো হয় ।এক্ষেত্রে মাদরাসা থেকে আলিম এবং ফাজিল উভয় পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে ।
চাহিদা
সারাবিশ্বে বর্তমানে হতাশাগ্রস্থ মানুষের কছে বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্র যখন শান্তির নামে অশান্তিতে ভরে তুলেছে তখন বিশ্ববাসী আজ আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসালামী জীবন ব্যবস্থাকে মানার জন্য । তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসালমী অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আর এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইসলামিক স্টাডিজের ভূমিকা অগ্রগণ্য ।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থন
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধাতালিকায় শেষের দিকে থাকে তারাই বিষয় হিসেবে ইসলামিক স্টাডিজ পায় ।
চাকুরির সুবিধা
ইসালামিক স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা অন্যান্য গ্রাজুয়েটদের মতই বিসিএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন পেশায় আত্ম নিয়োগ করতে পারে । তাছাড়া ইসলমী ধ্যান ধারণায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয় । গবেষক হিসেবেওে এদের মূল্যারয়ন রয়েছে ।
শিক্ষা ও গবেষণা
(Education & Research)
কোথায়
ঢাবিতে অনার্স ও মাস্টার্স এবং রাবিতে শুধুমাত্র মাস্টার্স কোর্স করানো হয় ।
যোগ্যতা ও আসন
ঢাবি’র অধীনস্থ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউি-এ অনার্স আলাদাভাবেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করা হয় । চাবিন অন্যান্য ইউনিটগুলোর বর্তি পরীক্ষার কিছুদিন আগে এই ইন্সটিটিউটের নোটিশ দেয়া হয় । অসন বিজ্ঞান বিভাগে ৯০ জন, বাণিজ্যে ২০ জন এবং মানবিক ৪০ জন । ৪র্থ বিষয় বাদে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি তেত মোট ৭.৫০, বাণিজ্যে ৬.৫০ এবং মানবিকে ৬.০০ থাকতে হবে ।
যা পড়ানো হয়
এ বিষয়ে শিক্ষার সম্যক ধরণা, শিক্ষাদান পদ্ধতি, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পদ্ধতি, শিক্ষাক্রম তৈরি, সময়োপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরির জন্য গবেষণা, শিক্ষাবোর্ড, মন্ত্রণলয়, কারিকুলাম বোর্ড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী পভৃতি পড়ানো হয় ।
স্কলারশীপ এ বিষয়ে স্নাতক করে প্রতিবছর ৭/৮ জন শিক্ষার্থী মাস্টার্স করার জন্য বৃত্তি নিয়ে দেশের বইরে যাওয়ার সুযোগ পায়।
চাকুরি
বিসিএস, বিসিএস একাডেমী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, শিক্ষা বোর্ড, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, নায়েম, শিক্ষ অধিদপ্তর প্রভৃতি শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জেলা ও থান শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে এমন বিভিন্ন NGO তে কাজ করার সুযোগ আছে ।
সম্ভাবনা
বাংলাদেশে শুধুমাত্র ঢাবিতে এ বিষয়ে অনার্সের সুযোগ থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় জনশক্তি কম । তাই সহজে চাকুরি পাওয়র সম্ভাবনা আছে ।আরবি/ফার্সি
(Arabic/Persian)
কি পড়ানো হয়
এ বিভাগে দুটিতে সাধারণত সংশ্লেষ্ট ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস, বিভিন্ন উপন্যাস, বড় বড় কবি সাহিত্যিকদের বিভিন্ন গদ্য ও বিখ্যাত কবিতাগুলো পড়ানো হয়। এছাড়া ফাউন্ডেশন কোর্স হিসাবে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও বংলা এই দুটো বিষয় ভাষা হিসেবে পড়ে থাকে।
চাহিদা
যেসব শিক্ষার্থী আরবী ও ফার্সী ভাষা ও এর বিভন্ন ধারা এবং আরবী ও ফার্সি ভাষার যে বিশাল সাহিত্য ভান্ডার রয়েছে তা জানতে এবং এই সমৃদ্ধ ভাষাদ্বয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী তাদের কাছে এই বিষয় দুটির চাহিদ রয়েছে।
বিষয় ভিত্তিক অবস্থান
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বিষযয় হিসেবে এর অবস্থান নীচের দিকে।
কোথায় পড়ানে হয়
বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর এমফিল ও পিএইডি ডিগ্রি অর্জন করা যায়। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সহ পশ্চিমা বিশ্বেও এ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।
চাকুরি সুবিধা
এই বিভাগ থেকে উত্তির্ণ হবার পর শিক্ষার্থীর সাধারণত বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগদার করে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষক হিসেবে, বিভিন্ন প্রাইভেটড ফার্ম,ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংকের চাকুরিকে তার পেশা হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। বিদেশেও এ ডিগ্রিধারীদের চাহিদা আছে।
প্রেইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা
মানুষের জীবনে যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। শিক্ষাকে বলা হয়ে থাকে জাতির মেরুদন্ড।কোন জাতি নিজেকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত ও পরিচিত করতে চাইলে শিক্ষা ও গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এই শিক্ষা বলতে শুধুমাত্র সাক্ষরতাকে বুঝায় না বরং সামর্থনুযায়ী সর্বোচ্চ শিক্ষাকে বুঝায়। বহুকাল আগে থেকে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশের মানুষ সুযোগ পেলে অনেক বড় বড় কাজ করতে পারে, রাখতে পারে শিক্ষা ও গবেষণায় বিশাল অবদান। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছুদিন আগপর্যন্ত এ সুযোগ তথা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেত অল্পসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী।জনসংখ্যার তুলনায় দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কম থাকয় অনেক সম্ভাবনাময় ছাত্র-ছাত্রী। গুটিকয়েক অর্থবিত্তশলী লোকের ছেলেমেয়েরা দেশের বাইরে যেত যার ফলে দেশ থেকে চলে যেত অনেক বেশি মুদ্রা।
এই দুই সমস্যার সমাধান ও দেশের মধ্যে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে ১৯৯২ সাল থেকে এক বৈপ্লবিক অধ্যায়ের সূচনা হয়। সরকারের কলোপযোগী সিদ্ধান্ত ও কিছু মহৎ ও দুরদৃষ্টিসম্পন্ন লোকের উদ্যোগে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নামে অধিক পরিচিত। ১৯৯২থেকে ২০০৬ সাল,এই ১৪ বছরের মধ্যে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় ৫৭টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, যাতে বর্তমানে প্রায় লক্ষাধিক ছাত্র-ছত্রী পড়াশুনা করছে।
কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাখাতে এনেছে এক বিশেষ বিপ্লব। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ পড়াশুনা শেষে ভালো কর্মক্ষেত্রের সন্ধানে ব্যস্ত থাকে, সেহেতু এদেশের মানুষের জন্য দরকার যুগোপযোগি শিক্ষা ব্যবস্থা। এই চিন্তাকে মাথায় রেখে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলেছে সম্পূর্ণ বজারমুখি বিষয়সমূহ যেমন-বিবিএ, কম্পিউটার সায়েন্স, আইন, ইংরেজি সাহিত্য, ফার্মেসি, ইলোট্রিক্যাল-ইলেক্ট্রনিক্স,টেলিকমিউনিকেশন, এমবিএ,পাবলিক হেলথ ইত্যাদি। এসব বিষয় থেকে পাশা করার পর সহজে একজন ছাত্র বা ছাত্রী চাকুরি বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
সিলেবাস ও কারিকুলম
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠিত বিষয়সমূহের সবচেয়ে বড় সুযোগ হলো তাদের সিলেবাস কারিকুলাম। যেহেতু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সর্বোচ্চ জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, সেহেতু এসকল বিশ্ববিদ্যালয়র সমস্ত বিষয়ের সিলেবাস প্রনয়ন করা হয়েছে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের। অধিকন্ত সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রয়োজনে প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাসকে পরিবর্তন করা হয় যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানে আপডেটেড হয়ে থাকতে পারে। তবে দেশের কথা ভুলে যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ, দেশের কৃষ্টি-কালচার,ইতিহাস, সাহিত্য সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট। তাই একদিকে যেমনি প্রইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে, তেমনি দেশের ব্যাপারে পর্যপ্ত জ্ঞান অর্জন করেছে।
শিক্ষার মাধ্যম,পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা
যদিও এখন পর্যন্ত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছে তথাপি শিক্ষার মাধ্যমও পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে তারা সদা সচেষ্ট। এসকল বিশ্ববিধ্যালয়ে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ইংরেজিকে বেছে নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষার লিখিত বই ও পরীক্ষার খাতয় নয়, বরং লেকচার প্রদান, আলোচনা, উপস্থাপনা, পরিবেশনাসহ সতল বিষয়ে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে আন্তর্জাতিক মানের। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ক্লাসরুম তাপানুকুল (এসি)হয়ে থাকে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিশাল লইব্রেরি যতে সংগৃহীত রয়েছে দেশি-বিদেশি পর্যাপ্ত বইপত্র। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছত্রীদেরকে দেয়া হয়ে থাকে পর্যাপ্ত কম্পিউটার জ্ঞান তা সে যে বিষয়েই পড়াশুনা করুক না কেন। রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগসহ পর্যাপ্ত কম্পিউটার ল্যাব, যা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা নিতে পারে বিনামূল্যে বিশেষ সুযোগ। সর্বক্ষেত্রে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ও ওভারহেড প্রজেক্টর ব্যবহার করে ক্লশ নেয়ার সুযোগ, তাই জটিল চিত্র প্রদর্শন ও আধুনিক মানের শিক্ষাপদ্ধতি খুব সহজেই উপস্থাপন করা হয় এসকল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে।
শিক্ষকদের মান ও শিক্ষাপদ্ধতি
বর্তমানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে নামিদামী শিক্ষকসমূহ। দেশ-বিদেশের উচ্চ ডিগ্রিসম্পন্ন অনেক শিক্ষক রয়েছে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর্থিক সন্মানী ও পরিবেশের কারণে ভালো রেজাল্টধারী শিক্ষকগণ নিযোজিত আছেন এসকল বিশ্ববিদ্যালয়। যেহেতু এসকল বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাক্তি বা গ্রুপ দ্বারা প্রতিষ্টিত এবং সর্বদা সর্বোচ্চমান বজায় রাখতে সচেষ্ট তাই এখানকার শিক্ষকদেরকেও থাকতে হয় সদাসচেষ্ট। নিয়মিত পাঠদান, সময়নুবর্তিতা, ক্লাসের বাইরে ছাত্র-ছাত্রীদের সময়দান, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক জ্ঞান দান করা প্রতিটি শিক্ষকদের নিয়মিত রুটিন কাজ হিসাবে ধরে নেয়া হয়, তাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মান যেমনি ভালো হয়ে থাকে তেমনি ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো সুযোগ পেয়ে থাকে।এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পবীন ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক খন্ডকালীন অথবা পূর্ণকালীন সময়দান করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানকে করছে আরো উন্নত।
সেশনজট ও রাজনীতি
আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমস্যা হলো সেশনজট, যা সধারনত হয়ে থাকে রাজনৈতিক সংঘাত, স্বার্থসিদ্ধি এবং ক্লাস ও পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য। যার ফলে এদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায় জীবন থেকে। এসব কিছু মাথায় রেখে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসসমূহকে করেছে রাজনীতি মুক্ত; সময়মত ক্লাস, পরীক্ষা ও রেজাল্ট প্রদানের জন্য এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট কথাটি কল্পনা করতেও পারে না। একজন ছাত্র বা ছত্রী অতিসহজে নির্দ্বিধায় যথসময়ে তার পড়াশুনা শেষ করতে পারে।
চাকুরির বাজার
যেহেতু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বাজার চাহিদার সাথে সংগতি রেখে বিভিন্ন বিষয় খুলে থাকে, তাই এসকল বিষয়ে পড়াশুনা শেষে একজন ছাত্র-ছাত্রি দেশে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে সন্মানজনক চাকুরি পেয়ে থাকে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নামকরা ব্যবসায়িরা সংযুক্ত থাকায় নিজেদের কোম্পানিতে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিশেষ সুযোগ প্রদান করে থাকে।
চাকুরিজীবী, ঝরে যাওয়া ছত্র-ছাত্রী ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের দেশে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা বিভিন্ন কারণে পড়াশুনা স্থগিত রাখে অথবা কোন চাকুরিতে যোগদান করে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে পাবলিক বেশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডার গ্রাজুয়েট লেবেলে ভর্তির সুযোগ না থাকায় এবং সান্ধকালীন পড়াশুনার সুযোগ না থাকায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর জীবনে আর পড়াশুনা করা হয় না। এদের জন্যও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়েছে অপার সুযোগ। যথাযথ কারণ দর্শিয়ে অতি সহজে শিক্ষা বিরতিরত ছত্র-ছত্রীরা আবার পড়াশুনা শুরু করতে পারে নিজেদের পছন্দসহ বিষসমূহে। চাকুরিজীবীদের জন্য রয়েছে সন্ধ্যাকালীন বিশেষ প্রোগ্রাম, ফলে অনেকেই আবার পড়াশুনার দিকে মনোনিবেশ করছে নিজেদেরকে এবং যার বিশেষ সুফল পেতে শরু করেছে দেশ ও জাতি। শিক্ষার জন্য কোন বয়স নেই- একথাটিকে সত্যে পরিণত করেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তির যোগ্যতা
যেহেতু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিষয় রয়েছে তাই প্রতি বিষয়ে ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন যোগ্যতা থাকতে হয়। তবে অন্ডার গ্রাজুয়েট বিষয়ে পড়াশুনার জন্য অবশ্যই এইচএসসি পাশ হতে হবে। বিষয়ভেদে দ্বিতীয় শ্রেণী অথবা প্রথম রেজাল্ট থাকতে হয়। বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনার জন্য এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করতে হবে। যেহেতু নামকরা অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে তাই এসএসসি ও এইচএসসি’ তে ভাল রেজাল্টের পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে তাই এসএসসি ও এইচএসসি’ তে ভাল রেজাল্টের পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হয়। মাস্টার্স লেভেলের প্রোগ্রাম সমূহের জন্য ডিগ্রি/অনার্স ডিগ্রিধারী হতে হয়। ক্ষেত্র বিশেষে বিশেষ রেজাল্ট ও পড়াশুনা থাকতে হয়।
পড়াশুনার খরচ ও আর্থিক সাহায্য
যেহেতু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সেহেতু এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচাদি ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন-ফি থেকে ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।এজন্য দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুরনায় অনেক বেশি খরচ হয়ে থাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালযে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনার জন্য বিভিন্ন পরিমাণে টিউশন ফি দিতে হয়। বিশেষ কিছু সাবজেক্ট বাদে অধিকাংশ বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ২,০০,০০০ টাকা থেকে ৬,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত করচ হয়ে থাকে।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচের কথা শুনে যেমনি পিলে চমকে যেতে পারে, তেমনি বিনা খরচের পড়াশুনার সুযোগে আশান্বিত হবার কথা। এসএসসি এবং এইচএসসি বাল রেজাল্ট (জিপিএ-৫) পেলে অতিসহজে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী বিনা টিউশন ফিতে পড়াশুনা করতে পারে। এছাড়াও প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের এসএসসি এবং এইচএসসি এর রেজাল্টের জন্য বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে। যদি কোন ছাত্র-ছত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনাকালীন ভালো রেজাল্ট করে সেক্ষেত্রেও সে ভালো পরিমাণে আর্থিক সহযোগিতা ক্ষেত্র বিশেষে ১০০% টিউশন ফি স্কলারশীপ হিসাবে পেয়ে থাকে।
সীমাবদ্ধতা
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের যেমনি অনেক ভাল গুণ ও সুনাম রয়েছে তেমনি গুটি কয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মের কারণে অনেকের কাছেই আজ তারা প্রশ্নবিদ্ধ।প্রথমত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন অনিয়মের।
তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সরকার ও সচেতন মহলের সতর্কতার ফলে সমস্যার সমাধান হচ্ছে, যাদের কিছুটা অনিয়ম ছিল তারা শুধরে নিচ্ছে।
সর্বোপরি আমারা এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে এদেশে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মান, ছাত্র-ছাত্রীদের মান, ভবিষ্যতের অফুরন্ত সুযোগ, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ক্ষেত্রের কথা চিন্তা করে যে কোন ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিতে পারে।
ডক্টরাল ও পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ
বর্তমান বিশ্বে গবেষণা ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত তিনটি টার্ম হচ্ছে এম ফিল, পিএইচ ডি এবং এর বাইরেও শিক্ষাকতার পেশায় এই ডিগ্রি সমূহের মূল্য অপরিসীম। এসব ডিগ্রি প্রাপ্ত Candidate-রা চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সবিধা পেয়ে থাকেন। চাকুরি পাওয়ার পরেও আবার প্রমোশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এম ফিল, পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং কলেজের শিক্ষকরা অন্যদের তুলনায় দ্রুত প্রমোশন পেতে পারেন।গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমূহে চাকুরীরত ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই ধরনের সুবিধা বলবৎ রয়েছে বিশ্বব্যাপী।
এসমস্ত ডিগ্রি সমূহের মূ্ল্য এ দেশের প্রশাসনেও দেওয়া হচ্ছে আজকাল। তাই দেখা যায় সামরিক এবং বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই অফিসাররা এম ফিল/পিএইচডি করার জন্য আগ্রহী হয়ে পড়ছেন ইদানিং এবং ব্যাপক ভাবে।
আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে সমস্ত বিষয় পড়ানো তা হোক না কেন বিজ্ঞান, কলা এবং মানবিক বা বমার্স বিষয়ক সর্ব ক্ষেত্রেই এই ডিগ্রি সমূহ প্রদান করা হয়, বহির্বিশ্বে তো বটেই। এসব ক্ষেত্রে অবশ্য প্রয়োজন প্রথমত সুপারভাইজার নির্বাচন যার তত্ত্বাবধানে থেকে ছাত্র/ছাত্রী তার গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক (সুপার ভাইজার) নির্বাচন। তিনিই গবেষণার বিষয় ঠিক নির্দেশনা প্রদান করে থারেন। প্রার্থীকে তাই তত্ত্বাতধায়ক নির্বাচন করে নেতে হয় ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যামে। এ ক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয় হচ্ছে তত্ত্বাতধায়কের গবেষণার ক্ষেত্রে, গবেষণার ব্যাপারে তাঁর ইচ্ছা, আগ্রহ,যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা।
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, এম ফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি সমূহ দেশের এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ থেকে অর্জন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে উন্নত দেশ সমূহ সুযোগ সুবিধা বেশি থাকার কারণে প্রার্থীরা প্রথমে সেই সুযোগই সন্ধান করে থাকেন। বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নানাভাবে অর্জন করা যেতে পারে। তাদের মধ্যে প্রথমে স্কলারশীপ, এর পরে এ্যাসিস্টেন্টশীপ (রিসার্চ এবং টিচিং)। এর বাইরে অর্থ সংকুলনা পদ্ধতি হচ্ছে নিজে উপার্জন করে পড়াশুন করা অথবা পরিবার থেকে প্রদত্ত অর্থ দিয়ে এই প্রয়েজন মেটানো। বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যে বিশল অংকের অর্থ প্রয়োজন হয় সে দিকে চিন্তা করলে এই শেষোক্ত পদ্ধতিতে অর্থের যোগান দেওয়ার সংখ্যা খুবই কম।
বর্তমান সময়ে স্কলাররশীপের অর্থ সবচেয়ে বেশি সরবারহ করছে জাপান। এ দেশের সরকারি স্কলারশীপ মনোবুশো (Monobusho) বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এই তুলনায় বাকী দেশসমূহে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য যে পরিমাণ বৃত্তি প্রদান করে থাকে তার সংখ্যা অনেক কম। মনোবুশো কৃত্তির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পত্রিকার মাধ্যমে বা ইন্টারনেট থেকে পাওয়া যেতে পারে। এই বৃত্তির সংখ্যা এবং কৃত্তির অর্থের পরিমাণ খুবই আকর্ষণীয়। মনোবুশো বৃত্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, গবেষণার ক্ষেত্র এবং হবেষণা কার্যক্রমে সহায়তা দানের জন্য সুপারভাইজার প্রাপ্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কৃত্তি শুধুমত্র পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রদান করা হয়ে থাকে। এবং বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই বৃত্তির জন্য দরখাস্ত করতে হয়।
পাশ্চাত্য দেশসমূহের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রায় সকল ক্ষেত্রেই এ্যাসিসটেন্টশীপ প্রদান করে থাকে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ সম্পর্কিত তথ্য অর্জন করা যেতে পারে। দুই ধরনের এ্যাসিসটেন্টশীপের মাধ্যে রিসার্চ এ্যাসিস্টেন্টশীপের মূল্য এবং সুযোগ সুবিধা বেশি। এটা হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জনের একটি পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে গবেষক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন গবেষণা কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে থাকেন। গবেষণা ক্ষেত্রে এই সগযোগিতা প্রদানের জন্য এই কার্যকে রিসার্চ এ্যাসিস্টেন্টশীপ বলা হয়। দ্বিতীয় সুযোগটি হচ্ছে টিচিং এ্যাসিস্টেন্টশীপ যে ক্ষেত্রে গবেষক তার গবেষণা কার্যক্রমের পাশাপাশি কোন প্রফেসরকে তাঁর (প্রফেসর) কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করবেন এবং বিনিময়ে গবেষক পারিশ্রমিক হিসাবে কিছু অর্থ উপিার্জন করবে। এভাবে উপর্জিত অর্থই তার উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড সরবরাহ করে থাকে। রিসার্চ এবং টিচিং এ্যাসিস্টেন্টশীপ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য এ্যাসিস্টেন্টশীপ সমূহ অর্জনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে এসএসসি, এইচএসসি, বিএ/ বিএসসি/বিকম (সন্মান) এবং এমএ/ এমএসাসি/ এমকম পরীক্ষার রেজাল্ট। এর পরে আসে ভাষার উপরে দখল প্রসঙ্গ। ভাষার উপরে দখলের মাত্রা প্রমাণের জন্য প্রার্থীকে TOEFL/IELTS পরীক্ষা দিতে হয়। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিরূপনের জন্য ভিন্নতর কিছু পরীক্ষার স্কোর দেখতে চায়। এ পরীক্ষাগুলো হচ্ছে Graduate Record Examination (GRE), TOEFL, NEWSAT, GMAT ইত্যাদি। উপরোল্লিখিত স্কোরসমূহের সাথে যদি প্রার্থিীর গবেষণা ক্ষেত্র এবং সুপারভাইজার মিলে যায় তবে বিদেশে পিএইচডি করার সুযোগ হয়ে যেতে পারে।
যারা বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন এ ধরনের ডিগ্রি অর্জন করার জন্য।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ভাল রেজাল্টের পাশাপাশি IELTS, TOEFL, GRE,GMAT, NEWSAT (পূর্বে যা ছিল SAT-I এবং SAT-II)- এ ভাল স্কোর করা খুব দরকার। এগুলো সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষেপে আলোচনা করা হচ্ছে-
আইইএলটিএস (IELTS)
আইইএলটিএস (Intetnational English Testing System) হল ইংরেজি ভাষাতে দক্ষতা নির্ণয় পরীক্ষা পদ্ধতি। উচ্চশিক্ষার্থে অস্ট্রলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে যেতে চাইলে আইইএলটেএস-এ ভাল করতে হবে। এ পরীক্ষার আয়োজক ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইডিপি এডুকেশন, অস্ট্রেলিয়া। শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষার্থে দেশের কাইরে বিভিন্ন ভার্সিটিতে লেখাপড়া করতে ইচ্ছুকদের আইইএলটিএসের একাডেমি সিডিউলে অংশ নিতে হয়। পরীক্ষা হয় পেপার বেইসড। পরীক্ষায় থাকে লিসনিং, রিডিং, রাইটিং এবং স্পিকিং।
লিসেনিং: এই পরীক্ষায় চারটি অংশ থাকে। প্রথম দুটি অংশে যথাক্রমে জনগণের আগ্রহের বিষয় সংশ্লিষ্ট সংলাপ এবং বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ অংশে থাকে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ বিষয়ক আলোচনা। প্রার্থীকে একবার প্রশ্ন সম্পর্কিত একটি রেকর্ড শোনানো হয়, প্রশ্ন পড়ে উত্তরপত্রে উত্তর লেখার জন্য ১০ মিনিট সময় দেয়া হয়। লিসনিং পরীক্ষায় বৈচিত্র্যময় প্রশ্ন করা হয় । এ অংশে ৩৮ থেকে ৪০টি প্রশ্ন করা হয় এবং সময় দেয়া হয় ৩০ মিনিট। এ প্রশ্নগুলো হচ্ছে সাধারণত এমসিকিউ, ছোট প্রশ্নে বক্তার বক্তব্য শুনে প্রশ্নের উত্তর লেখা, শূন্যস্থান পূরণ, মিলকরণ-একটি শদ্বের সাথে অন্য শব্দ মিলিয়ে পূর্ণঙ্গ একটি অর্থ দাঁড় করানো, চার্ট পূর্ণ করা প্রভৃতি।
রিডিং: উচ্চশিক্ষার্থে যারা বিদেশে যেতে চান তাদের জন্য একাডেমিক রিডিং এ পরীক্ষা দিতে হয়। এ পরীক্ষায় সংবাদপত্র জার্নাল, বই ও ম্যাগাজিন থেকে যে কোন বিষয় আসতে পারে; তার উপর লিখতে হয়। প্রশ্নের ধরণ সধারণত হয়ে থাকে- এমসিকিউ, অল্প কথায় উত্তর, সারাংশ, কোন নির্দিষ্ট প্যাসেজ, প্যারার টাইটেল প্রদান, মিলকরণ ইত্যাদি। এ অংশে ৩৮ থেকে ৪০টি প্রশ্ন করা হয় এবং সময় নির্ধারিত থারে এক ঘন্টা।
রাইটিং: এ অংশে প্রার্থীর ইংরেজিতে কোন বিষয় বুঝতে পারা ও তার প্রকাশভঙ্গির দক্ষতা নির্ণয় করা হয়। দুধরণের রাইটিং এর মধ্যে বিদেশ গমনেচ্ছুকদেরকে একাডেমিক রাইটিং এ অংশ নিতে হয়। এ অংশে এক ঘন্টার ভিতর দুটি প্রবন্ধ লিখতে হয়। লেখার সময় যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে খেয়াল করতে হবে তা হল-অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এড়িয়ে চলা, যিুক্তি কিংবা দৃষ্টান্তের সঠিক প্রয়োগ করে সংক্ষেপে গুছিয়ে লেখা, জটিল শব্দ পরিহার করে স্পষ্ট করে লেখা। এক ঘন্টার পরীক্ষায় দুটি রচনায় অংশ গ্রহণ করতে হয় পরীক্ষার্থীকে। এ দুটি রচনার প্রথমটিতে একটি গ্রাফ বা চার্টকে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। ২০ মিনিটের মধ্যে ন্যূনতম ১৫০ শব্দের ভিতরে রচনাটি লিখতে হবে। দ্বিতীয়, যে রচনাটি লিখতে হবে সেখানে মূলত একটি বক্তৃতা দেয়া থাকে। নিজের মত করে বিষয়টি গুছিয়ে লিখতে হয়। শব্দসংখ্যা ২৫০-এর মধ্যে সীমিত রাখতে হয়।
স্পিকিং: ৫টি ধাপে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীর ইংরেজি বলার দক্ষতা পরীক্ষা করা হয় এ পর্যয়ে। এখানে পরীক্ষক প্রার্থীকে তার নাম, বয়স,ঠিকানা, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কোন বেষয়ে পড়তে ইচ্ছুক ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করেনে। একটি কার্ডে সমস্যা বা ঘটনার ছবি থাকবে। ছবি দেখে পরীক্ষার্থী পরীক্ষককে প্রশ্ন করবেন। প্রশ্ন হতে হবে যৌত্তিক-”অপ্রাসঙ্গিক নয়। মনে রাখতে হবে, পরীক্ষার্থী যত বেশি যৌত্তিক ও প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে পরবেন তার স্কোর তত বেশি হবে। ব্যাখ্যাসহ উপরোক্ত বিষয়ে প্রার্থীকে পরীক্ষকের সাথে আলোচনা করতে হয়। পরীক্ষার জন্য মোট সময় দেয়া হয় ১০-১৫ মিনিট। ১ম অংশের জন্য ৪-৫ মিনিট, ২য় অংশের জন্য ২-৩ মিনিট এবং শেষ অংশের জন্য ৪-৫ মিনিট।
আইইএলটিএস সহায়ক ও সিডি
ক) ক্যামব্রিজ আইইএলটিএস (১,২,৩)
-ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি সিন্ডিকেট।
খ) প্রিপারেশন ফর আইইএলটিএস
-ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, সিডনি।
গ) অইইএলটিএস টু প্র্যাকটিস নাউ।
-গিবসন, রুশেক এন্ড অ্যানি সুয়ান।
ঘ) প্রিপারেশন এন্ড প্রাকটিস
-উইনডি, জেরেমি এন্ড রিচার্ড স্টুয়ার্ড।
ঙ)পাসপোর্ট টু আইইএলটিএস
সিডি: ১. ক্যামব্রিজ-৩ এবং ২. সাকসেস টু আইইএলটিএস
ওয়েবসাইট: WWW.ieltd.irg
টোফেল (TOEFL)
উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা, যুক্তরাজ্য, যাক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে যেতে চাইলে টোফেল (Test of English As a foreign Languaue) স্কোর প্রয়োজন। এতে থাকে লিসনিং স্ট্রাকচার, রিডিং কমপ্রিহেনশন এন্ড ভোকাবুলারি এবং রাইটিং কমপ্রিহেনশন।
লিসনিং: মোট বরাদ্দকৃত ৪৫-৭০ মি. সময়ে ৫০টি প্রশ্ন নিয়ে তৈরি লিসনিং পরীক্ষা যার মাধ্যমে প্রার্থীর শোনার দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এতে দুই ধরনের প্রশ্ন করা হয়। (ক) শর্ট কনভারসেশন; এতে শোনার ক্ষেত্রে শব্দ নির্বাচন ক্ষমতা ও তার প্রকাশভঙ্গি পরীক্ষা করা হয়। (খ) লংগার কনবারসেশন;এখন শোনার ক্ষেত্রে মানুষ, প্রকৃতি ও বিজ্ঞান নিয়ে বিষয়ভিত্তিক বর্ণনার মাধ্যমে প্রার্থীর দক্ষতা যাচাই করা হয়। এখানকার প্রশ্ন মূলত ‘কে’ এবং ‘কি’ ধরনের হয়ে থাকে।
স্ট্রাকচার: প্রার্থীর ইংরেজি ভাষাজ্ঞানের দক্ষতা পরীক্ষা। এ অংশে প্রশ্নের ধরণ তুলনামুলক সহজ। এখানে ইংরেজি ব্যাকরণগত শুদ্ধতা,অশুদ্ধ চিহ্নিতকরণ ও শুন্যস্থান পূরণের ইপর প্রশ্ন করা হয়। এই বিষয়ে মোট প্রশ্ন থাকে ৪০টি। সময় নির্ধারিত থাকে ১৫-২০ মিনিট।
রিডিং কমপ্রিহেনশন এন্ড ভোকাবুলারি: এ অংশে প্রর্থীর পড়া ও ভোকাবুলরি বা শব্দভান্ডারের দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়। ৩০০ শব্দের দুটি কিংবা তিনটি প্যাসেজ থেকে প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। ৬০টি প্রশ্ন করা হয় এ পর্যায়ে, যার জন্য মোট সময় দেয়া হয় ৭০-৯০ মিনিট।
রাইটিং কমপ্রিহেনশন: রাইটিং কমপ্রিহেনশন পরীক্ষায় প্রার্থীর লেখার ক্ষমতা পরীক্ষা হরা হয়। সাধারণত যে কোন বিষয়ে প্রার্থীর অবস্থান ব্যাখ্যা করে রচনা লিখতে হয়। রচনা লিখতে প্রার্থীকে ইংরেজি ব্যাকরণ, শব্দচয়ন ও উপস্থাপনায় কৌশলী হতে হবে। রচনা থাকবে ১টি। সময় ৩০ মিনিট।
বাংলাদেশে ঢাকাস্থ বনানীর প্রোমেট্রিক সেন্টারে TOEFL পরীক্ষা অনুষ্ঠি হয়। বিস্তারিত জানতে আমেরিকান সেন্টারে যোগাযোগ করুন-
The American Center
House- 110, Road- 27, Banani, Dhaka.
Tel: 88134404
এছাড়া সরাসরি আমেরিকার TOEFL সেন্টারেও আপনি যোগাযোগ করতে পারেন।
TOEFL Services
Educational Testing Service
p.p. Box- 6115, Princeton, NJ08541- 6151, U|SA. Fax: 0016097717500
E-mail: [email protected], Web: WWW.toefl.org
টোফেল সহায়ক গ্রন্থ ও সিডি
ব্যারনস টোফেল
ক্যামব্রিজ প্রিপারেশন ফর দ্যা টোফেল টেস্ট- জোলেনা এন্ড রবার্ট সিয়ার।
টোফেল ক্লিভাস টেস্ট প্রিপারেশন- সাইকেল, এ পায়েল
টোফেল প্রিপারেশন গাইড- সি পায়েল।
জেনিংস টোফেল
সিপি: ১. ক্যাপলান টোফেল টেস্ট, ২, পিটারসন টোফেল টেস্ট
ওয়েরসাইন: www.ets.org
জিম্যাট (GMAT)
বিদেশে ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষা হলো জিম্যাট (Grauate Management Admission Test) । এ পরীক্ষায় তিনটি অংশ থাকে, তা হলো কুয়ানটিটেটিভ সেকশন, ভারবল সেকশন এবং অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসম্যান্ট।
কুয়ানটিটেটিভ সেকশন: এই অংশে হিসাবনিকাশ সংক্রান্ত অংক থাকে। মূলত দূ’ধরনের নিরূপণ সংক্রান্ত। মোট প্রশ্ন থাকে ৪১টি। সময় ৭৫ মিনিট। মাঝখানে ১০ মিনিট বিরতি।
ভারবাল সেকশন: এ অংশে প্রার্থীর ইংরেজি লেখার দক্ষতার পাশাপাশি যে কোন বিষয়ে প্রার্থীর কারণ ও যুক্তির বিশ্লেষণী ক্ষমতা দেখা হয়। এতে তিনটি অংশ থাকে। অংশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে-Reading comprehension, critical reasoning & Sentence Correction । সাধারণত নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন করা হয়। Reading comprehension পরীক্ষায় ৩৫০ শদ্বের ভিতর সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌত ও জৈব বিজ্ঞান এবং ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয় পড়ে উওর দিতে হবে। Critical Reasoning যুক্তি তৈরি ও অ্যকশন প্ল্যানের আলোকে উওর দিতে হবে। Sentence Correction এর ক্ষেত্রে বাক্যের গঠন, শুদ্ধ, অশুদ্ধ ও যথাস্থানে সঠিক শব্দচয়ন প্রধান বিবেচ্য। মোট ৭৫ মিনিট এর পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকবে ৪১টি।
অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট: ইংরেজি ভাষাজ্ঞান ও লেখার দক্ষতা নির্ণয় করা হয এ অংশে। এ পরীক্ষার একটি বিষয়ভিত্তিক, অপরটি যুক্তিতর্ক নির্ভর বিশ্লেষণ। সময় ১ ঘন্টা। মাঝখানে ১০ মিনিট বিরতি।
জিম্যাট সহায়ক গ্রন্থ ও সিডি
১ । দ্যা অফিসিয়াল সাইড ফর জিম্যাট রিভিউ- এডুকেশন টেস্টিং সার্ভিস।
২ । ক্যঅপলান জিম্যাট টেস্ট
৩ । ক্র্যাকিং দ্যা জিম্যাট ২০০৪- জিওফ মার্টস এন্ড অ্যাডম রবিনসন।
সিডি: ১. ডগলাস ফ্রেঞ্জ জিম্যাট টেস্ট
ওয়েবসাইট: www.mba.com
জিআরই (GRE)
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েটদের যোগ্যতা নিরূপণকারী পরীক্ষাই হল জিআরই (Graduate Record Exanination) যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য উন্নত দেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে চাইলে জিআরই প্রয়োজন।
টিচিং বা রিসার্চ এসিসটেন্টশীপ পেতে বা ফাইন্যানসিয়াল এইড কিংবা শুধুসাত্র ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাডমিশনের জন্যও জিআরই প্রয়োজন। জিআরই টিস্ট দূ’ধরনের। একটি জেনারেল টেস্ট যেটা কম্পিউটার ও পেপার উভয় বেইসড অন্যটি সাবজেক্ট টেস্ট যা শুধুমাত্র পেপার বেইসড। জেনারেল টেস্টে থাকে কুয়ানটিটেটিভ এন্ড ক্রিটিক্যাল থিংকিং, অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং এবং ভারবাল রিজনিং।
কুয়ানটিটেটিভ এন্ড ক্রিটিক্যাল থিংকিং: পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতির সমস্যা ও সমাধান এ অংশের প্রধান বিষয়। সাধারণত নৈর্ব্যত্তিক ও ছোট প্রশ্ন করা হয়। ২৮টি প্রশ্নের জন্য সময় ৪৪ মিনিট।
অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং: ইংরেজিতে লেখার ক্ষেত্রে জটিল যে কোন বিষয়ের সুস্পষ্ট ও কার্যকরণ ব্যাখ্যা করার দক্ষতা নির্ধারণ করা হয় এ পর্যায়ে। এ অংশে সংক্ষিপ্ত ভাষার উত্তর লিখতে হয়। ২টি রাইটিং টপিকসের জন্য নির্ধারিত সময় ৭৫ মিনিট।
ভারবাল রিজনিং: বিশ্লেষণ ও গননাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় িএ অংশের মূল প্রতিপাদ্য। প্রশ্নের ধরণ হয়ে থাকে নৈর্ব্যত্তিক। ৩০টি প্রশ্নের জন্য সময় ৩০ মিনিট।
জিআরই সাবজেক্ট টেস্ট হয় ৮টি বিষয়ের উপর। বিষয়গুলো হচ্ছে- প্রাণরসায়ন, জীববিদ্যা, রসায়ন, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ইংরেজি সাহিত্য, গণিত, পদার্থ ও মনোবিজ্ঞান।
প্রাণরসায়ন: যে বিষয়গুলো থাকবে, বায়োকেমিস্ট্রি-৩৬, সেল বায়োলজি-২৮, মলিকুলার বায়োলজি-৩৬। সাধারণত ১৮০টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত সময় ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
জীববিদ্যা: এই অংশের বিষয়গুলো যথাক্রমে- সেলুলার এন্ড মলিকুলার বায়োলজি, ওরগানিজমাল বায়োলজি এবং ইকোলজি এন্ড ইভ্যালুশন। ২০০টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত সময় ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
রসায়ন: এই অংশে যে বিষয়গুলো থাকবে, অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট্রি-১৫, ইনঅরগ্যানিক কেমিস্ট্রি-২৫, অরগ্যানিক কেমিস্ট্রি-৩০, ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি-৩০। ১৩০টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত সময় ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
কম্পিউটার বিজ্ঞান: কম্পিউটার বিজ্ঞানের এই অংশের বিষয়গুলো যথাক্রমে-সফটওয়্যার সিস্টেম এন্ড মেথোডোলজি-৪০, কম্পিউটার অর্গানাইজেশন এ্যান্ড আর্কিটেকচার-১৫, থিওরি এ্যান্ড ম্যাথমেটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড-৪০, অন্যান্য বিষয়-৫০। ৭০টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের জন্য সময় দেয়া হবে ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
ইংরেজি সাহিত্য: যে বিষয়গুলো থাকবে তা হলো, লিটারারি অ্যানালাইসিস-৪০ থেকে ৫৫, আইডেনটিফিকেশন-১৫ থেকে ২০, কালচারাল এন্ড হিস্ট্রিক্যাল কনটেন্ট-৩৫ থেকে ৪০, হিস্ট্রি-১০ থেকে ১৫ । ২৩০টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত সময় ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
গণিত: এই অংশে থাকবে, ক্যালকুলাস-৫০, বীজগণিত-২৫ এবং অতিরিক্ত বিষয়-২৫ । মোট ৬৬টি প্রশ্নের জন্য সময় থাকবে ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
পদার্থবিদ্য: সাইকোলজি অংশে থাকবে, এক্সপেরিমেন্টাল অব ন্যাচারাল সয়েন্স-৪০, সোসাল সায়েন্স-৪৩, জেনারেল সায়েন্স-১৭ । ২০৫টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত সময় ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
জিআরই সহায়ক গ্রন্থ ও সিডি
১ । ব্যারন’স জিআরই
২ । জিআরই প্র্যাকটিসিং টু টেক দ্যা জেনারেল টেস্ট-বিসবুক।
৩ । ক্র্যাকিং দ্যা জিআরই ২০০৪
-শ্যারণ ওয়েডার
সিডি: (১) ব্যারন’স জিআরই টেস্ট (২) সেলফ ক্যালরি জিআরই টেস্ট
ওয়েবসাইট: www.gre.org
নিউস্যাট (NEWSAT)
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ইংরেজি ও গণিতিক সমস্যা সমাধনের নির্ধারক পরীক্ষাই হলো নিউস্যাট। পূর্বে স্যাট পরীক্ষা স্যাট-ওয়ান ও স্যাট-টুতে বিভক্ত থাকলেও ঐ পরীক্ষার আয়োজকদের কলেজ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০০৫ সালের মার্চ থেকে এ পরীক্ষা নতুন আঙ্গিকে নেয়া হচ্ছে। নিউস্যাট পরীক্ষা কম্পিউটার বেইসড। এ পরীক্ষায় দুটি অংশ থাকে ভারবাল, ম্যাথ।
ভারবাল: এ অংশের বিষয়গুলো যথাক্রমে, অ্যানালোজিস-১৯টি, সেন্টেন্স কমপ্লিশন-১৯টি, ক্রিটিক্যাল রিডিং-৪০টি। ৭৯টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত সময় ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট।
ম্যাথ: ম্যাথের প্রশ্ন সাধারণত পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতির সাধারণ ধারণা থেকে করা হয়। বুদ্ধি ও যুক্তি নির্ভর প্রশ্ন এক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়। ৬৫টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের মধ্যে পাটীগণিত ও জ্যামিতি-৩৫, বীজগণিত-১৫, বুদ্ধিমত্তযুক্ত প্রশ্ন-১৫। সময় ৭০ মিনিট।
নিউস্যাট সহায়ক গ্রন্থ ও সিডি
১। টেন রিয়েল নিউস্যাট-কলেজ বোর্ড
২। ক্র্যাকিং নিউস্যাট ২০০৬
-অ্যাডাম রবিনসন এন্ড জন কাটাসম্যান।
৩। আপ ইয়োর স্কোর-পেসন অ্যাবলস্ক।
সিডি: গুবাস নিউস্যাট প্রিপারেশন টেস্ট
ওয়েবসাইট:www.collegeboard.com
প্রস্তুতি সম্পর্কে কিছু কথা
- বেশি বেশি ভোকাবুলারি আয়ত্ত্ব করুন। গ্রামারের স্ট্রাকচারাল দিক সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখুন। প্রতিদিন দশটি করে নতুন ইংরেজি শব্দ শিখুন এবং সেগুলো ব্যবহার করে বাক্য গঠন করুন।
- রাইটিং এ দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রতিদিন যে কোন বিষয়ের উপর অন্তত এক পৃষ্ঠা ইংরেজি লেখার চর্চা করুন এবং আপনার জানা শব্দগুলোর মধ্যে কমন শব্দগুলো ব্যবহার করুন।
- রিডিং এর জন্য ইংরেজি দৈনিক ও মাসিক পত্রিকা নিয়মিত পড়ুন ও বোঝার চেষ্টা করুন।
- স্পিকিং এর জন্য বিবিসি, সিএনএন টিভি চ্যানেল এবং ভাল শিক্ষামূলক ইংরেজি মুভি দেখুন। তাদের উচ্চারণের দিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনার বন্ধুর সাথে এবং হল বা হোস্টেলে অবস্থানের ক্ষেত্রে রুমমেটের সাথে সর্বদা ইংরেজেতে কথা বলার অভ্যাস করুন। সাধারণভাবে কথা বলার ক্ষেত্রে ইংরেজি ব্যবহার করুন।
- জিআরই ও স্যাট-ওয়ান এর ক্ষেত্রে প্রশ্নের ধরণ দেখে অংকগুলো চর্চা করুন। অংকের ক্ষেত্রে অনুশীলনের বিকল্প নেই।