বেহেশতের সুসংবাদ পেলেন যারা
নাসির হেলাল
ভূমিকা
ইসলামের প্রথম যুগে যাঁরা মুসলমান হয়েছিলেন। যাঁরা মহানবী (সা) এর সার্বক্ষণিক সাহচর্যে এসেছিলেন, তাঁরা মানবশ্রেষ্ঠ ঐ মানুষটার ছোঁয়ায় এসে নিজেরাও হয়েছিলেন সোনার মানুষ। তাইতো তাঁদের জীবদ্দশাতেই রাসূল (সা)-এর পক্ষ থেকে তাদেরকে বেহেশতী বলে ঘোষণা করা হয়। ইসলামী পরিভাষায় সুসংবাদ প্রাপ্ত এ সমস্ত সম্মানিত সাহাবাদেরকে আশারায়ে মোবাশশারা বলা হয়েছে। ‘বেহেশতের সুসংবাদ পেলেন যাঁরা’ গ্রন্থটি ঐ দশজন সাহাবীর সংক্ষিপ্ত অথচ পূর্ণাঙ্গ জীবনী।
ছোটদের জন্য বাংলা ভাষায় নবী, রাসূল, সাহাবী, মুসলিম মনীষীদের জীবনী তেমন একটা লেখা হয়নি। এদিকটা সামনে রেখেই চিন্তাশীল শিশু-কিশোরদের জন্য আমার বিনীত প্রয়াস। যতদূর সম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে গবেষণা ধর্মীতা বজায় রেখে লেখার, আবার এদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে যাতে কিশোর-কিশোরীদের বুঝতে কোন অসুবিধা না হয়।
যদিও লেখাগুলো শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে রচিত তবুও আমার বিশ্বাস বড়দের কাছেও ভাল লাগবে। লেখা দশটি ধারাবাহিকভাবে দৈনিক সংগ্রামের শিশুদের পাতা ‘শাহীন শিবিরে’ যখন ছাপা হচ্ছিলো তখন অনেকেই আমাকে একটা বই আকারে প্রকাশের জন্য তাকিদ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক কারণে ছাপা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ আল ফালাহ পাবলিকেশন্স গ্রন্থটির ১ম, ২য় ও ৩য় প্রকাশের দায়িত্ব নেওয়ায় তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
গ্রন্থের লেখা দশটি আগ্রহের সাথে ‘শাহীন শিবিরে’ ছাপার জন্য শাহীন শিবিরের তৎকালীন পরিচালন জয়নুল আবেদীন আজাদ ও অত্যন্ত মমত্বের সাথে প্রচ্ছদ অংকন করে দেওয়ার জন্য শিল্পী হামিদুল ইসলামকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
গ্রন্থটির ৪র্থ প্রকাশ থেকে পরবর্তী প্রকাশের দায়িত্ব বহন করবে ‘সুহৃদ প্রকাশন’।
গ্রন্থপাঠে যদি কোন শিশু-কিশোর অথভা কোন পাঠকের জানার আগ্রহ তীব্র হয় তো নিজেকে সার্থক মনে করব।
-নাসির হেলাল