3/116 عَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : مَا صَلّى رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) صَلاةً بَعْدَ أَنْ نَزَلتْ عَلَيهِ : ﴿ إِذَا جَآءَ نَصۡرُ ٱللَّهِ وَٱلۡفَتۡحُ ١ ﴾ إلاَّ يَقُولُ فِيهَا : «سُبحَانَكَ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اَللهم اغْفِرْ لي». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وَفي رِوَايَةٍ في الصَّحِيحَينِ عَنهَا : كَانَ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم) يُكْثِرُ أنْ يقُولَ في رُكُوعِه وسُجُودهِ: «سُبْحَانَكَ اَللهم رَبَّنَا وَبِحَمدِكَ، اَللهم اغْفِرْ لِي»، يَتَأوَّلُ القُرآنَ . معنى: «يَتَأَوَّلُ القُرآنَ»أي يعمل مَا أُمِرَ بِهِ في القرآن في قوله تَعَالَى : ﴿ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَٱسۡتَغۡفِرۡهُۚ﴾ [النصر: ٣]
وفي رواية لمسلم : كَانَ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم) يُكثِرُ أنْ يَقُولَ قَبلَ أنْ يَمُوتَ: «سُبحَانَكَ اَللهم وَبِحَمدِكَ أسْتَغْفِرُكَ وَأتُوبُ إلَيْكَ».قَالَتْ عائشة : قُلْتُ : يَا رَسُول الله، مَا هذِهِ الكَلِماتُ الَّتي أرَاكَ أحْدَثْتَها تَقُولُهَا ؟ قَالَ: «جُعِلَتْ لي عَلامَةٌ في أُمَّتِي إِذَا رَأيْتُها قُلتُها ﴿ إِذَا جَآءَ نَصۡرُ ٱللَّهِ وَٱلۡفَتۡحُ ١ ﴾ إِلَى آخِرِ السورة».
وفي رواية لَهُ : كَانَ رسولُ الله (صلى الله عليه و سلم) يُكثِرُ مِنْ قَولِ: «سبْحَانَ اللهِ وَبِحَمدِهِ أسْتَغفِرُ اللهَ وأتُوبُ إِلَيْهِ».قَالَتْ : قُلْتُ : يَا رسولَ اللهِ، أَراكَ تُكثِرُ مِنْ قَولِ سُبحَانَ اللهِ وَبِحَمدهِ أسْتَغْفِرُ اللهَ وأتُوبُ إِلَيْه ؟ فَقَالَ: «أخبَرَني رَبِّي أنِّي سَأرَى عَلامَةً في أُمَّتي فإذا رَأيْتُها أكْثَرْتُ مِنْ قَولِ: سُبْحَانَ اللهِ وبِحَمدهِ أسْتَغْفرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْه فَقَدْ رَأَيْتُهَا: ﴿ إِذَا جَآءَ نَصۡرُ ٱللَّهِ وَٱلۡفَتۡحُ ١ ﴾ فتح مكّة، ﴿ وَرَأَيۡتَ ٱلنَّاسَ يَدۡخُلُونَ فِي دِينِ ٱللَّهِ أَفۡوَاجٗا ٢ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَٱسۡتَغۡفِرۡهُۚ إِنَّهُۥ كَانَ تَوَّابَۢا ٣ ﴾ [النصر: ٢، ٣]
৩/১১৬। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন, ‘ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি অলফাত্হ’ অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক নামাযে অবশ্যই এই (দো‘আ) পড়তেন ‘সুবহানাকা রাব্বানা অবিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলী’ (অর্থাৎ হে আমাদের প্রভু! আমরা তোমার প্রশংসায় তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর। (বুখারী ও মুসলিম)
সহীহায়নের তাঁর অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রুকু ও সাজদায় অধিকাধিক ‘সুবহানাকাল্লাহুম্মা রাববানা অবিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলী’ পড়তেন। তিনি কুরআনের হুকুম তামিল করতেন। অর্থাৎ এই দো‘আ পড়ে তিনি কুরআনে বর্ণিত ‘‘(হে নবী) তুমি তোমার প্রভুর প্রশংসায় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও।’’ আল্লাহর এই আদেশ পালন করতেন।
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মৃত্যুর পূর্বে অধিক পরিমাণে (এই দো‘আ) পড়তেন, ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা অবিহামদিকা আস্তাগফিরুকা অআতূবু ইলায়ক।’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এই শব্দগুলো কী, যেগুলোকে আমি আপনাকে নতুন করে পড়তে দেখছি?’ তিনি বললেন, ‘‘আমার জন্য আমার উম্মতের মধ্যে একটি চিহ্ন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যখন আমি তা দেখব তখন এটি পড়ব। (চিহ্নটি হল) ‘ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি ওয়াল-ফাতহ—- শেষ সূরা পর্যন্ত।’’
মুসলিমের আর একটি বর্ণনায় আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা অআতূবু ইলাইহ’ (দো‘আটি) বেশী বেশী পড়তেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে বেশী বেশী ‘‘সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা অআতূবু ইলাইহ’’ (দো‘আটি) পড়তে দেখছি (কী ব্যাপার)?’ তিনি বললেন, ‘‘আমার প্রভু আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, আমি শীঘ্রই আমার উম্মতের মধ্যে একটি চিহ্ন দেখব। সুতরাং আমি যখন তা দেখব, তখন ‘সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা অআতূবু ইলাইহ’ (দো‘আটি) বেশী বেশী পড়ব। এখন আমি তা দেখে নিয়েছি, ‘ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি অলফাত্হ।’ যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। অর্থাৎ মক্কাবিজয়। আর তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি অধিক তওবা গ্রহণকারী। [1]
4/117 عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ : إِنَّ اللهَ – عَزَّ وَجَلّ – تَابَعَ الوَحيَ عَلَى رَسُولِ الله (صلى الله عليه و سلم) قَبلَ وَفَاتهِ حَتَّى تُوُفِّيَ أكْثَرَ مَا كَانَ الوَحْيَ . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
৪/১১৭। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পূর্বে (পূর্বাপেক্ষা) বেশী অহী নিরবচ্ছিন্নভাবে অবতীর্ণ করেছেন।[2]
5/118 عَن جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله (صلى الله عليه و سلم): «يُبْعَثُ كُلُّ عَبْدٍ عَلَى مَا مَاتَ عَلَيهِ». رواه مسلم
৫/১১৮। জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (কিয়ামতের দিন) প্রত্যেক ব্যক্তিকে ঐ অবস্থায় উঠানো হবে, যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেছে।[3]
[1] সহীহুল বুখারী ৪৯৬৭, ৭৯৪, ৮১৭, ৪২৯৩, ৪৯৬৮, মুসলিম ৪৮৪, নাসায়ী ১০৪৭, ১১২২, ১১২৩, আবূ দাউদ ৮৭৭, ৮৮৯, আহমাদ ২৩৫৪৩, ২৩৬৪৩, ২৩৭০৩
[2] সহীহুল বুখারী ৪৯৮২, মুসলিম ৩০১৬, আহমাদ ১৩০৬৭
[3] মুসলিম ২৮৭৮, আহমাদ ১৪১৩৪