পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত দোআসমূহের কয়েকটি রহমত ও মাগফিরাতের জন্যে দোআ
আরবি
“আয় আমাদের রব! আমরা আমাদের নফসের উপর যুলম করেছি, আপনি যদি আমাদের ক্ষমা এবং দয়া না করেন তাহলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো”।
(আল আ’রাফ)
দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবীর জন্য দোআ
আরবি
“আয় আমাদের প্রভু! আমাদেরকে দুনিয়াতে পুণ্যতা দান করো। আর পরকালের কামীয়াবী দান করো এবং দোযখের ভয়াবহ আযাব থেকে রক্ষা করো”।
ধৈর্য্য ও দৃঢ় থাকার দোআ
আরবি
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের ধৈর্য্যধারণের তৌফিক দান কর এবং আমাদের কদমকে দৃঢ় করে দাও আমাদেরকে কাফিরদের উপর বিজয়ী হবার জন্য সাহায্য কর”।
(আল-বাক্বারাহ)
শয়তানের কু-প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকার দোআ
আরবি
“হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়তানের প্ররোচণা থেকৈ তোমার আশ্রয় কামনা করি আর হে আমার প্রতিপালক! তারা আমার নিকটে উপস্থিত হওয়া থেকেও আমি তোমার আশ্রয় চাই”।
(সূরা মুমিনঃ ৯৭-৯৮)
জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোআ
আরবি
“হে আমাদের প্রতিপালক! জাহান্নামের আযাবকে আমাদের উপর থেকে ফিরিয়ে দাও। নিশ্চয়ই তার আযাব প্রাণ বিধ্বংসী এবং তা অনেক খারাপ ঠিকানা ও খারাপ স্থান”
(সূরা ফোরক্বান)
অন্তর সংশোধনের দোআ
আরবি
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের অন্তরে হেদায়াত বর্ষণ করার পর আর বক্রপথে পরিচালিত করোনা আর আমাদের প্রতি তোমার করুণা বর্ষণ করো। নিশ্চয়ই তুমি মহান দাতা”।
(সূরা আলে-ইমরান)
ক্বলব পরিষ্কারের দোআ
আরবি
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ও আমাদের পূর্বে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ক্ষমা করে দাও। আমাদের অন্তরে মুমিনদের জন্য কোন হিংসা-বিদ্বেষ রেখোনা, হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি স্নেহশীল ও দয়াবান”।
(সূরা হাশর-১০)
অবস্থা সংশোধনের দোআ
আরবি
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার তরফ থেকে আমাদের ওপর রহমত নাযিল কর এবং আমাদের ব্যাপারে সংশোধন নসীব কর”।
(সূরা কাহাফ-১০)
পরিবার-পরিজনের পক্ষ থেকে শান্তি লাভের দোআ
আরবি
“আয় রব! আমাদের জন্য আমাদের স্ত্রীদের এব আমাদের সন্তান-সন্ততিদের চোখের শান্তি দান কর (এমন কর যেন তাদেরকে দেখে আমাদের চক্ষু শীতল হয়ে যায়) আর আমাদের মুত্তাকীদের অগ্রবর্তী হিসেবে কবুল কর”।
(সূরা ফোরক্বান-)
মাতা পিতার জন্য দোআ
আরবি
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে আমার মাতা-পিতাকে আর সকল মুমিনকে সেইদিন ক্ষমা কর যেদিন ক্বিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে”।
পরীক্ষা থেকে রক্ষা পাওয়ার দোআ
আরবি
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দ্বারা যে সকল ভুল-ত্রুটি হয় তার জন্য আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যেরূপ বোঝা আরোপ করেছেন আমার উপরও সেরূপ বোঝা আরোপ করবেন না। প্রতিপালক! আমাদের উপর এমন বোঝা আরোপ করবেন না যা আরা বহন করতে পারব না। আমাদের সাথে সদয় ব্যবহার করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে দয়া করুন। আপনি আমাদের মনিব, আপনি আমাদেরকে কাফিরদের উপর বিজয়ী করুন”।
(বাক্বারাহ-২৮৫)
উত্তম মৃত্যুর জন্য দোআ
আরবি
“হে আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা, দুনিয়া ও আখিরাতে তুমিই আমার ওলী (বন্ধু) আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দাও এবং নেক্কারদের সাথে সংযুক্ত কর”।
(সূরা ইউসুফ-১০১)
আরবি
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এক আহ্বানকারীর আহ্বান শুনেছি যিনি এলান করতেন এবং বলতেন যে, তোমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান আন। অতএব আমরা তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঈমান এনেছি। সুতরাং আপনি আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন এবং মন্দসমূহ দূর করে দিন। আমাদেরকে নেক্কারদের সাথে মৃত্যু দান করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি রাসূলদের মাধ্যমে আমাদের ব্যাপারে যে ওয়াদা করেছেন, তা পূরণ করে দিন, আর আমাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন অপমানিত করবেন না। নিঃসন্দেহে আপনি ওয়াদা খেলাফ করেন না”।
(আলে ইমরান ১৯৩-১৯৪)
সকাল ও সন্ধ্যার দোআ সমূহ
হযরত ওসমান বিন আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহর যে বান্দা সকাল ও সন্ধ্যায় এ দোআ করবে, তাকে কিছুতেই কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।
রাসূল (সাঃ)-এর পছন্দনীয় দোআ।
আরবি
“আল্লাহর নামের সাথে আরম্ভ-যার নামের সাথে যমিন ও আসমানের কেউ তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা। আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী”।
হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাঃ) নিয়মিত সকাল ও সন্ধ্যায় এ দোআ করতেন, কখনো বাদ দিতেন না।
আরবি
“আয় আল্লাহ! আমি তোমার নিটক দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি চাই। আয় আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার দীন , দুনিয়া, পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের জন্য তোমার ক্ষমা, শান্তি এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আয় আল্লাহ! আমার লজ্জা নিবারণ এবং আমার অশান্তিকে শান্তিতে রূপান্তরিত করে দাও। আয় আল্লাহ! আমার সামনে ও পিছন থেকে, ডান ও বাম থেকে এবং উপর থেকে আমাকে রক্ষাক করো। আর আমি তোমার নিকট আমার নীচতা থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি”।
(তিরমিযি)
অলসতা ও কাপুরুষতা থেকে রক্ষা পাওয়ার দোআ
হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূল (সাঃ)-এjর খেদমতের কাজে নিয়োজিত থাকতাম, রাসূল (সাঃ)-কে অধিকাংশ সময় এই দোআ পাঠ করতে শুনতাম-
আরবি
“আয় আল্লাহ আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি দুঃখ-কষ্ট, অসহায়ত্ব, অলসতা, কৃপণতা, কাপুরুষতা, ঋণের বোঝা থেকে এবং লোকদের চাপ থেকে”।
(বুখারী, মুসলিম)
তাকওয়া ও সংযমী হওয়ার দোআ
আরবি
“ আয় আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হেদায়েত, তাকওয়া, সংযমশীলতা, ও অমুখাপেক্ষীতার প্রার্থনা করি”।
দুনিয়া ও আখেরাতের অসম্মান হওয়া থেকে রক্ষার দোআ
আরবি
“আয় আল্লাহ! আমাদের সকল কাজের শেষ কর্মফল ভাল করে দাও এবং দুনিয়ার অসম্মান ও আখেরাতের আযাব থেকে রক্ষা করো”।
(তিবরানী)
নামাযের পরের দোআ
হযরত মাআয বলেন, একদিন রাসূল (সাঃ) আমার হাত ধরে বললেনঃ “হে মাআয! আমি তোমাকে ভালবাসি। তিনি আবার বললেন, হে মাআয! আমি তোমাকে অছিয়ত করছি যে, প্রত্যেক নামাযের পর এগুলো তরক করোনা। প্রত্যেক নামাযের পর এগুলো পাঠ করবে”।
আরবি
“আয় আল্লাহ! তুমি তোমাকে স্মরণের জন্যে, তোমার শুকরিয়া আদায় করার জন্যে এবং তোমার উত্তম ইবাদতের জন্যে আমাকে সাহায্য করো”।
রাসূল (সাঃ)-এর অছিয়ত
হযরত শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ) বলেন যে, আমাকে রাসূল (সাঃ) এ অছিয়ত করেছেনঃ “শাদ্দাদ! তুমি যখন দেখতে পাবে, দুনিয়ার ব্যক্তিগণ স্বর্ণ ও রৌপ্য সঞ্চয়ে মনোনিবেশ করেছে তখন তুমি এগুলো সঞ্চয় করবে।
আরবি
“আয় আল্লাহ! তোমার নিকট সৎ কাজে স্থির থাকার এবং হেদায়াতের উর দৃঢ় থাকার প্রার্থনা করছি। আমি তোমার নেয়ামতের শোকর আদায় করার এবং উত্তম ইবাদত করার তাওফিক প্রার্থনা করছি। আর আমি তোমার নিকট প্রশান্ত অন্তর, সত্যবাদী মুখ (যবান) প্রার্থনা করছি। আমি তোমার নিকট তোমার জ্ঞাত সকল খারাপ কাজ থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তোমার জ্ঞাত আমার কৃত সকল পাপ থেকে তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কেননা, তুমি সকল অদৃশ্য সম্পর্কে সর্বজ্ঞাত।
(মুসনাদে আহমদ)
সৃষ্টি জগতের দৃষ্টিতে সম্মান লাভের দোআ
আরবি
আয় আল্লাহ! তুমি আমাকে অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল করে দাও এবং অত্যন্ত শোকর গুযার করে দাও। আমার দৃষ্টিতে আমাকে ক্ষুদ্র ও লোকদের দৃষ্টিতে মহান করে দাও।
সার্বিক বা সকল কাজের দোআ
“হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে নবী করীম (সাঃ) একবার আমার হুজরায় পদার্পণ করলেন, ঐ সময় আমি নামাযে রত ছিলাম, নবী করীম (সাঃ)-এর আমার সাথে কিছু কথার প্রয়োজন ছিল আর এদিকে নামাযে আমার দেরী হয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, আয়েশা, সংক্ষিপ্ত ও সার্বিক দোয়া করবে। অতঃপর আমি যখন নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট আসলাম তখন জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ) সংক্ষিপ্ত ও সার্বিক দোয়া কি? তখন তিনি বললেন, ইহা পড়বে”।
আরবি
আয় আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সর্ব প্রকার শুভ কামনা করি। যা তাড়াতাড়ি হবার এবং যা দেরীতে হবে, জানা-অজানা সবই। এবং আমি সর্ব প্রকার অনিষ্ট থেকে যা তাড়াতাড়ি হবার ও যা দেরীতে হবার এবং আমার জানা-অজানা সমস্ত কিছু থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট বেহেশত এমন কি যে কথা ও কাজের দ্বারা তার নিকটবর্তী হওয়া যাবে তার প্রার্থনা করি। আর আমি তোমার নিকট জাহান্নাম থেকে এমন কি যে কথা ও কাজ জাহান্নামের নিকটবর্তী করে দেয়, তা থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। আর আমি তোমার নিকট সেই সব শুভ কামনা করি যে সব শুভ কামনা মোহাম্মদ (সাঃ) তোমার নিকট করেছেন। আর আমি তোমার নিকট সেই সব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি যেসব থেকে মোহাম্মদ (সাঃ) তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। এ প্রার্থনা করি যে তুমি আমার জন্য যে সিদ্ধান্ত নাও তার পরিণাম উত্তম করো।
ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার দোআ
আরবি
“আয় আল্লাহ! তুমি আমাকে উঠা, বসা, শোয়া এবং সর্বাবস্থায় হেফাযত কর। আর আমার ব্যাপারে কোন শত্রু ও হিংসুক হিংসা করার সুযোগ দিও না।
দ্বিমুখী নীতি থেকে পরিত্রাণের দোআ
আরবি
আয় আল্লাহ! আমি তোমার নিকট চরিত্রহীনতা, অসৎ কাজ ও অসৎ প্রবৃত্তির কামনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। আয় আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ঝগড়া, বিবাদ, দ্বিমুখী নীতি এবং দুশ্চরিত্রতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
ঋণ পরিশোধের দোআ
হযরত আবু ওয়ায়েল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আলী (রাঃ) এর এক চুক্তিবদ্ধ গোলাম এসে বললো, হযরত! আমাকে সাহায্য করুন। আমি চুক্তির বিনিময় আদায় করতে পারছিনা। হযরত আলী (রাঃ) বললেন, আমি কি তোমাকে সেই দোআ শিক্ষা দেব যা রাসূল (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন? উহুদ পাহাড় পরিমাণ ঋণও যদি তোমার থাকে তাও আল্লাহ তাআলা এ দোয়ার ওছিলায় পরিশোধ করে দেবেন। স্বাধীনতার চুক্তি বদ্ধ গোলামটি আরয করলো, শিক্ষা দিন। সুতরাং তিনি এ দোআ শিক্ষা দিলেন।
আরবি
আয় আল্লাহ! আমাকে হালাল রিযিক দান করে হারাম জীবিকা থেকে নির্ভীক করে দাও। আর তোমার মাহাত্ম্য ও এহসানের দ্বারা তুমি ছাড়া অন্য সকল থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।
— সমাপ্ত —
*টীকাঃ-১. এ কাপড়খানা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে ‘দুমাহ’ এর শাসক উকিদা উপঢৌকন স্বরূপ দিয়েছিলেন।
২. ফাতেমাদের বলে এখানে মূলতঃ নিম্নোক্ত তিনজন সম্মানিতা মহিলাকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।
(ক)ফাতেমা যোহরা (রাঃ) রাসূল (সাঃ) এর কন্যা ও হযরত আলী (রাঃ)-এর স্ত্রী হযরত হাসান-হোসাইনের (রাঃ) মাত।
(খ)ফাতেমা (রাঃ) বিনতে আসাদ, হযরত আলী (রাঃ) এর মাতা।
(গ) ফাতেমা বিনতে হামযা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর চাচা শহীদের নেতা হযরত হামযার কন্যা।
1 . অর্থঃ গুনাহ বা পাপ থেকে বিরত থাকা এবং নেক আমল করার সামর্থ দানকারী হচ্চে আল্লাহ! তাঁর ক্রোধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে তিনি ব্যতীত আর কোন আশ্রয় নেই। (অর্থাৎ তাঁর ক্রোধ থেকে একমাত্র সে ব্যক্তিই রক্ষা পেতে পারে, যে তাঁর আশ্রয় তালাশ করে)।
1 অন্ধকার যুগে আনসারদের আওস ও খাযরাজ দু’গোত্রের মধ্যে “যে ভীষণ যুদ্ধ হয়েছিল ঐ যুদ্ধকে বুআস যুদ্ধ বলে।
1 ** সানিয়াতুলবিদায়ী অর্থ বিদায়ী টিলা। মদিনার দক্ষিণে একটি টিলা ছিল। মদিনাবাসীগণ তাদের মেহমানদেরকে বিদায় সম্ভাষণ জানাতো। সুতরাং পরবর্তীকালে এ টিলাটির নাম “সানিয়াতুল বিদা” বা বিদায় টিলা নামকরণ হয়ে যায়।
[3]. এহতেসাব শব্দের অর্থ হলো- হিসাব নিকাশ, এখনে এহতেসাব দ্বারা বুঝানো হচ্ছে রোযা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের পুরস্কারের উদ্দেশ্যে রাখবে এবং ফাহেশা কথা ও কার্য থেকে বিরত থাকবে যদ্দারা রোযা বিফলে না যায়।
[4] ‘রাইয়্যান শব্দের অর্থ আদ্র, সতেজ ইত্যাদি। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রাইয়্যান দরজা দিয়ে প্রবেশকারীগণ কখনও পিপাসার্ত ও ক্ষুধার্ত হয়না।
[5]. একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে হজ্জের সর্বপ্রকার নিয়ম-নীতি ও শর্তসমূহ পালন পূর্বক যে হজ্জ করার হয় তাকে ‘হজ্জে মাবরুর’ বলে।
1 খেজুর চিবিয়ে বাচ্চার মুখে ও মাথার তালুতে লাগিয়ে দেয়াকে তাহনীক বলে।