৯: নবী (সা) বিভিন্ন সময়ে যা পড়তেন
তাহাজ্জুদ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর তিনি আকাশের দিকে তাকাতেন এবং ইন্না ফী খালকিস…… থেকে সূরার শেষ পর্যন্ত পাঠ করতেন (আলে-ইমরান ৩:১৯০-২০০ বুখারী)।
সকাল ও সন্ধ্যায়
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা) বলেন, সকারে এবং সন্ধ্যায় তিনবার করে সূরা ইখলাস ৯১১২), ফালাক (১১৩) ও নাস (১১৪) পাঠ কর। যে কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এটা তোমার জন্য যথেষ্ট। (তিরমিযী, আবু দাউদ)
হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন, যে কেউ সকালে আয়াতুল কুরসী এবং হা-মীম আল-মাসীর (আল-মু’মিন ৪০ : ২-৩) তিলাওয়াত করবেন আল্লাহ তাকে সন্ধা পর্যন্ত হিফাযাত করবেন এবং যে কেউ সন্ধায় তিলাওয়াত করবেন আল্লাহ তাকে সকাল পর্যন্ত হিফাযাত করবেন। (তিরমিযী)।
হযরত মাকীঈল ইবনে ইয়াগার (রা) বলেন, যদি কেউ সকারে সূরা হাশরের মেষ তিন আয়াত (৫৯:২২-২৪) পাঠ করেন, তাহলে ৭০ হাজার ফেরেশতা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। যদি সন্ধ্যায় পাঠ করে, তাহলে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। (তিরমিযী)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, কেউ যদি সূরা রুমের তিন আয়াত (৩০:১৭-১৯) সকালে পাঠ করে, তাহলে দিনের বেলায় কোন ভালো কাজে অবহেলা করলেও তার জন্য পুরস্কৃত করা হবে এবং যদি সন্ধ্যায় পাঠ করে, তাহলে রাতের বেলায় কোন ভালো উপেক্ষা করলেও তার জন্য পুরস্কৃত করা হবে। (আবু দাউদ)
শয়নের আগে বা রাতে
হযরত আবু হুরায়রা (রা) শয়তানের সাথে তাঁর মুখোমুখি হওয়া সম্পর্কিত দীর্ঘ এক হাদীসে বলেন, শয়নের সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ কর। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষী তোমার জন্য নিয়োজিত হবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। (বুখারী)
হযরত আয়েশা (রা) বলেন, যখন তিনি শয়ন করতে যেতেন, তখন হাত দুটো সংযুক্ত করে তাতে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর তিনি যতটা সম্ভব মাথা, মুখমন্ডল, শরীরের সামনের অংশ হাত দিয়ে মুছে ফেলতেন। এটা তিনি তিনবার করতেন। (বুখারী, মুসলিম)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়। যারা এ দুটি আয়াত রাতে পড়ে, তাদের জন্য তা যথেষ্ট। (বুখারী মুসলিম)
সূরা আলে-ইমরানের শেষ অংশ (৩:১৯০-২০০) পাঠ করলে তা তোমাকে রাত্রিকালীন সতর্ক প্রহরীর মত পুরস্কারে ভূষিত করবে। হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেন, সূরা আদ-দুখান পড়লে ৭০ হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত আল্লাহর কাছে তোমার জন্য মাগফিরাত চাইতে থাকবে। (তিরমীযি)
আল-ইরবাদ ইবনে সারিয়া (রা) বলেন, মুসাব্বিহাত/আল-ইসরা (১৭), আল-হাদীদ (৫৭), আল-হাশর (৫৯), আস-সাফ (৬১), আল-জুমআ (৬২), আত-তাগাবুন (৬৪), আল-আ’লা (৮৭) পাঠ কর। তিনি ঘুমানোর আগে এইসব সূরা তিলাওয়াত করতেন এবং বলতেন, এসবের একটি আয়াত এক হাজার আয়াতের চেয়ে উত্তম। (আবু দাউদ, তিরমিযী)
হযরত জাবির (রা) বলেন, আস-সাজদা (৩২) ও আল-মুলক (৬৭) তিলাওয়াত না করে তিনি ঘুমাতেন না। (আহমাদ, তিরমিযী)