হযরত আবদুল্লাহ যুল বাজাদাইনের ইন্তেকাল
মৃত্যু মানব জীবনের শেষ মঞ্জিল। মৃত্যুকে জীবনের মুকুটও বলা চলে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াইয়া মানুষ তাহার অতীত জীবনের একটি স্বচ্ছ প্রতিবিম্ব দেখিতে পায়। কোন লোক যদি তাহার জীবন হিংসা-দ্বেষ ও পরের অপকার করিয়া অতিবাহিত করিয়া থাকে, তবে মৃত্যুর সম্মুখে দাঁড়াইয়া সে তাহার কর্মফলের একটি খতিয়ান অবশ্যই লক্ষ্য করিবে। দেখিবে, মৃত্যুর কঠোর হস্ত জীবনের অতীত ইতিহাস জীবন্তরূপ তাহার সম্মুখে তুলিয়া ধরিয়াছে।
আর যদি কেহ জীবনের ব্রত হিসাবে প্রেম-প্রীতি ও পরোপকার গ্রহণ করিয়া থাকে, তবে মৃত্যু তাহার কর্মফরকে পুষ্পহারের ন্যায় তাহার সম্মুখে তুলিয়া ধরে। সে দেখিতে পায়, জীবনের শেষ মঞ্জিলে তাহার কর্মফল আশীর্বাদরূপে তাহার সম্মুখে উপস্থিত করা হইয়াছে। ইসলামের এক বিস্মৃতপ্রায় ত্যাগী পুরুষ হযরত আবদুল্লাহ যুল বাজাদাইনের মৃত্যু এই শেষ মঞ্জিলে জীবনের প্রতিফলিত প্রতিবিম্বের একটি স্মরণীয় আদর্শ।
ইসলাম গ্রহণের পূর্বে এই ত্যাগী পুরুষের নাম ছিল আবদুল উজ্জা। শিশুকালেই তিনি পিতৃহারা হন। ধনী পিতৃব্য এই এতীমের লালন-পালন ভার গ্রহণ করেন। পিতৃব্যের যত্নে যখন তিনি যৌবন সীমায় পদার্পণ করেন, তখন পিতৃব্য তাঁহাকে জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সবকিছু দিয়া একটি সুখের সংসার পাতিয়া দেন।
যেই সময়ের কথা বলিতেছি, আল্লাহর রাসূল তখণ মদীনায় হিজরত করিয়াছেন। মদীনার দরবার হইতে তওহীদের বাণী আরবের প্রতি জনপদে প্রতিধ্বনিত হইতেছে। আবদুল্লাহর প্রকৃতিতে ছিল স্বাভাবিক সততা। ইসলামের বাণী কর্ণে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এই সত্যবাণী কবুল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ইসলামের বাণী আরবের পথে-প্রান্তরে যতই দ্রুত প্রতিধ্বনিত হইতেছিল, তাঁহার অন্তরের আবেগ ততই তীব্রতর হইতেছিল, কিন্তু পিতৃব্যের ভয়ে তিনি এই আবেগ প্রকাশ করিতে পারিতেছিলেন না। সবসময়ই তিনি পিতৃব্যের পানে চাহিয়া সময় কাটাইতেছিলেন। তাঁহার আকাঙ্খা ছিল, পিতৃব্য যদি ইসলাম গ্রহণ করিয়া ফেলেন তবে সঙ্গে সঙ্গে তিনিও অভীষ্ট পথে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করিবেন।
এই প্রতীক্ষায়ই আবদুল্লাহ যুল বাজাদাইনের দিন-সপ্তাহ-মাস এইভাবে বত্সরও কাটিয়া গেল, কিন্তু পিতৃব্যের মনোভাবের কোন পরিবর্তন তিনি দেখিতে পাইলেন না। দেখিতে দেখিতে মক্কা জয়ের ঘটনাও অতীত হইয়া গেল। ইসলামের জয়যাত্রা আল্লাহর রহমতের সওগাত লইয়া আরবের পথে-প্রান্তরে পুষ্প বর্ষণ করিয়া চলিল। আল্লাহর রাসূল পবিত্র কাবাগৃহ দেবদেবীমুক্ত করিয়া মদীনায় ফিরিয়া গেলেন। এতদিন আবদুল্লাহর ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করিয়া গেল। একদিন তিনি পিতৃব্যের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিতে লাগিলেন, “পিতৃব্য, আমি দীর্ঘ কয়েক বত্সর যাবৎ আপনার ইসলাম গ্রহণের অপেক্ষায় বসিয়া কাল কাটাইতেছিলাম, কিন্তু আপনার মনোভাবের কোন প্রকার পরিবর্তন না দেখিয়া নিরাশ হইয়াছি। জীবনের প্রতি আর বেশী ভরসা আমি করিতে পারিতেছি না। এখন আমাকে অনুমতি দিন যেন ইসলাম গ্রহণ করিতে পারি।” যুল বাজাদাইন যে বিষয়ে ভয় করিতেছিলেন, কার্যক্ষেত্রে তাহাই দেখা গেল। ইসলাম গ্রহণের কথা তাঁহার মুখ হইতে বাহির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পিতৃব্য ক্রোধে আত্মহারা হইয়া গেলেন। তিনি তর্জন করিয়া বলিতে লাগিলেন, “তুমি যদি শেষ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করার স্পর্ধাই দেখাও, তবে আমি আমার সকল সম্পত্তি তোমার নিকট হইতে ছিনাইয়া লইব। তোমাকে পরিধানের জামাকাপড় পর্যন্ত এখানে রাখিয়া যাইতে হইবে। তুমি শেষ পর্যন্ত এখান হইতে এমন ভাবে বহিষ্কৃত হইবে যে তোমার শরীরে কাপড়ের একটি সূতাও অবশিষ্ট থাকিবে না।”
যুল বাজাদাইনের তখনকার অবস্থা সহজেই অনুমেয়। তাঁহার মনে হইল দুনিয়ার গোটা জীবন ধারণের অবলম্বন যেন একটি মণ্ডাকার করিয়া তাঁহার সম্মুখে রাখিয়া দেওয়া হইল এবং বলা হইল : দেখ, এই তোমার জীবনের অবলম্বন, যদি চাও তবে উহা হযরত ইব্রাহীম খলিলের ন্যায় মুহূর্তের মধ্যে নিজ হাতে কুরবানী করিয়া দাও। মুহূর্ত বিলম্ব না করিয়া যুল বাজাদাইন সবকিছু কোরবানী দিতেই প্রস্তুত হইলেন এবং বলিতে লাগিলেন, “পিতৃব্য, আমি অবশ্যই মুসলমান হইব, আমি হযরত মোহাম্মদ (সা) এর অনুকরণ অবশ্যই করিব, শেরেক ও মূর্তিপূজা আর অধিক দিন করিতে পারিব না। আপনার ধন-সম্পদ আপনার জন্য মোবারক হউক, আমার জন্য আমার ইসলাম রহিয়া গেল। অল্প কিছুদিন পরেই অবশ্য মৃত্যুর কঠোর হস্ত এই সব হইতে আমাকে ছিনাইয়া লইবে; সুতরাং আজই যদি তাহা স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করি, তবে মন্দ কি? আপনি আপনার সম্পদ ফেরৎ নিন, এইসবের জন্য আমি সত্য ধর্ম পরিত্যাগ করিতে পারি না।”
এই অবস্থায়ই তিনি তাঁহার মাতার গৃহে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। মাতা পুত্রকে এমন দিগম্বর উলঙ্গ দেখিয়া চক্ষু বন্ধ করিয়া ফেলিলেন এবং অস্থিরভাবে বলিতে লাগিলেন, বত্স, তোমার এই অবস্থা হইল কেন? যুল বাজাদাইন বলিলেন, “মা, আমি মুসলমান হইয়া গিয়াছি।” আল্লাহ! যুল বাজাদাইনের মুখে মুসলমান হইয়া যাওয়ার এই ঘোষণা কতই না চমত্কার শুনাইতেছিল। বাস্তবের সহিত ছিল এর কত গভীর সম্পর্ক। তিনি নিজ হাকে জীবন ধারণের উপযোগী পার্থিব সকল সম্পদ বিসর্জন দিয়া দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ প্রয়োজনটুকু পর্যন্ত কোরবান করিয়া ইসলামের জন্য এবং একমাত্র ইসলামের জন্যই জীবনের সকল বাঁধন, সকল অবলম্বন কাটিয়া টুকরা টুকরা করিয়া দূরে নিক্ষেপ করিয়া আসিয়াছিলেন। তাঁহার হাতে ছাগল, মেষ, উট, ঘোড়া কিছুই আর ছিল না। পরবর্তী মুহূর্তে মুখে দেওয়ার জন্য সামান্য খাবার, বিশ্রামের জন্য একটু আশ্রয়, পরিধানের এক টুকরা কাপড়, কিছুই আর তাঁহার অবশিষ্ট ছিল না। ঠিক এই অবস্থায় সংসারের সকল বাঁধন হইতে দূরে সরিয়া প্রকৃতির সন্তানের মতো তখন তাঁহার একমাত্র ধারণা ছিল, তিনি তওহীদবাদী মুসলমান হইয়া গিয়াছেন। মাতা জিজ্ঞাসা করিলেন, এখন কি করিবে? তিনি বলিতে লাগিলেন, এখন আমি হযরত মোহাম্মদের (সা) দরবারে গমন করিব। আমার অনুরোধ, আমাকে এক টুকরা কাপড় দাও, যেন কোন প্রকারে লজ্জা নিবারণ করিয়া তাঁহার দরবার পর্যন্ত পৌছিতে পারি। মাতা একখানা কম্বল আনিয়া দিলেন। যুল বাজাদাইন সেই কম্বলটিকে দুই টুকরা করিয়া এক টুকরা পরিধান করিলেন এবং আর এক টুকরা গায়ে জাড়াইয়া লইলেন। এই অবস্থায় তিনি মদীনার পথে রওয়ানা হইয়া গেলেন।
রাতের অন্ধকার নিস্তেজ হইয়া আসিয়াছিল। বিশ্ব প্রকৃতি নবারুণের সম্বর্ধনা করিতে জাগিয়া উঠিয়াছিল। পাখীকূল ছিলো আল্লাহর গুণাগানে বিভোর। সুবহে সাদেকের আলোর কিরণ-স্নাত ভোরের বাতাস মসজিদে নববীর আঙ্গিনায় আসিয়া উকি মারিয়া যাইতেছিল। ঠিক এই মুহূর্তে যুল বাজাদাইন মসজিদে নববীতে আসিয়া পৌছিলেন। মসজিদের একটি দেয়ালের ঠেস লাগাইয়া রাসূলে খোদা (সা) শুভাগমনের অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরই আল্লাহর রাসূল (সা) মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রদার্পণ করিলেন। প্রাঙ্গণের প্রতিটি বালুকণা যেন তাঁহার খোশ আমদেদের তারানা গাহিয়া উঠিল। যুল বাজাদাইন রাসূলের আগমনের কথা অনুভব করিলেন। মসজিদে পা রাখিয়াই রাসূলুল্লাহ (সা) যুল বাজাদাইনকে দেখিতে পাইলেন।
রাসূলে খোদা জিজ্ঞাসা করিলেন, কে আপনি? যুল বাজাদাই বলিলেন- এক নিঃস্ব মুসাফির; আপনার পবিত্র দর্শনপ্রার্থী। আমার নাম আবুল উজ্জা।
আল্লাহর রাসূল (সা) তাঁহার আনুপূর্বিক ঘটনা শুনিলেন এবং বলিলেন, এখন হইতে আমার নিকট এই মসজিদেই অবস্থান করিতে থাকুন।
সেই দিন হইতে আল্লাহর রাসূল এই ত্যাগী মহাপুরুষের নামকরণ করিলেন আবদুল্লাহ। মসজিদে নববীর আসহাবে সুফফার সাধক শ্রেণীর অন্তর্গত হইলেন এই ত্যাগী পুরুষও। আবদুল্লাহ তখন হইতে দিনরাত অন্যান্য সাথীদের সহিত মিলিয়া কোরআন পাক শ্রবণ করিতেন এবং উচ্চ কণ্ঠে আবৃত্তি করিতে থাকিতেন।
একদিন হযরত ওমর ফারুখ (রা) বলিলেন বন্ধু! এত উচ্চকণ্ঠে কোরআন পাঠ করিবেন না। যাহাতে করিয়া অপরের নামাযে বিঘ্ন জন্মায়।
এই কথা শুনিয়া রাসূলে খোদা (সা) বলিলেন, ওমর (রা), তাহাকে কিছুই বলিও না,ইনি আল্লাহর এবং তাঁহার রাসূলের জন্য সব কিছুই ত্যাগ করিয়া আসিয়াছেন।
হিজরী নবম সনে শোনা গেল, আরবের সমস্ত খৃষ্টান সম্প্রদায় রোম সম্রাটের নেতৃত্বে একত্রিত হইয়া মুসলমানদের উপর আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়াছে। আরবে তখন ভীষণ গরম পড়িয়াছিল। এই সময় আল্লাহর রাসূল সৈন্য ও যুদ্ধসামগ্রীর জন্য চারিদিকে আবেদন করিলেন। হযরত ওসমান (রা) ২৯০০ উট, ১০০ ঘোড়া এবং এক সহস্র স্বর্ণমুদ্রা চাঁদা দিলেন। হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা) চল্লিশ হাজার রৌপ্যমুদ্রা প্রেরণ করিলেন। হযরত ওমর ফারুখ (রা) সমস্ত সম্পত্তি দুই ভাগে ভাগ করিয়া এক ভাগ যুদ্ধের জন্য জমা দিলেন।
হযরত সিদ্দিক আকবর (রা) তাঁহার সর্বস্ব দিয়া দিলেন। হযরত আবু আকীল আনসারী সারারাত্র পরিশ্রম করিয়া সর্বমোট চারি সের খেজুর জমা করিলেন। তন্মধ্য হইতে দুই সের পরিবার-পরিজনের জন্য রাখিয়া অবশিষ্ট দুই সের খেজুর যুদ্ধ ফান্ডে দিয়া দিলেন।
আল্লাহর রাসূল ত্রিশ হাজার তওহীদের সন্তানসহ অগ্নিবর্ষী মরুভুমির উপর দিয়া মদীনা হইতে যাত্রা করিলেন। বাহন এত অল্প ছিল যে, প্রতি আঠারো জন ব্যক্তি মিলিয়া একটি করিয়া উট পাইয়াছিলেন। রসদসামগ্রী এতই অপ্রতুল ছিল যে, আল্লাহর এই বাহিনী গাছের পাতা খাইয়া প্রবল প্রতাবশালী রোম সম্রাটের সুসজ্জিত বিপুল সৈন্যবাহিনীর সহিত লাড়াই করিতে মনজিলের পর মনজিল অগ্রসর হইয়া চলিয়াছিলেন।
আবদুল্লাহ যুল বাজাদাইন খোদার রাহে জেহাদ করতঃ শহীদ হওয়ার আকাঙ্খায় এত অধীর হইয়া উঠিয়াছিলেন যে, তাঁহার আর বিলম্ব সহ্য হইতে ছিল না। একসময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের দরবারে হাযির হইয়া বলিতে লাগিলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি দোয়া করুন আমি যেন শহীদ হইতে পারি।”
রাসূলুল্লহ (সা) বলিলেন, তুমি কোন একটা গাছের ছাল আন। আবদুল্লাহ খুশী মনে একটি গাছের ছাল তুলিয়া আনিলেন। আল্লাহর রাসূল (সা) তখন ছালটুকু আবদুল্লহর বাহুতে বাঁধিয়া দিয়া বলিলেন, “হায় আল্লাহ, আমি কাফেরদের পক্ষে আবদুল্লাহর রক্ত হারাম করিয়া দিতেছ।” আবদুল্লাহ রাসূলে খোদা (সা) এর কথা শুনিয়া স্তম্ভিত হইলেন এবং বলিতে লাগিলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি যে শহীদ হওয়ার আকাঙ্খী।” রাসূলুল্লাহ (সা) বলিলেন, যখন তুমি আল্লাহর পথে বহির হইয়াছ, তখন জ্বরে ভুগিয়া মরিলেও শহীদ হইবে।
ইসলামী ফৌজ যখন তাবুক প্রান্তরে আসিয়া উপনীত হইল, তখন সত্য সত্যই আবদুল্লাহর জ্বরে আক্রান্ত হইয়া গেলেন। জ্বর তাহার জন্য শাহাদাতেরই পয়গাম বহন করিয়াছিল। আল্লাহর রাসূল (সা) খবর শুনিয়া বিশিষ্ট সাহাবীগণের সহিত তশরীফ আনলেন।
হযরত ইবনে হারেস মোযানী বর্ণনা করেন, তখন রাত্রিকাল ছিল। হযরত বেলাল (রা) প্রদীপ ধরিয়া রাখিয়াছিলেন। হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর (রা) আবদুল্লাহ যুল বাজাদাইনের পবিত্র লাশ কবরে প্রবেশ করাইতেছিলেন এবং খোদ আল্লাহর রাসূল কবরের ভেতর দাঁড়াইয়া এই ত্যাগী পুরুষের লাশ গ্রহণ করিতেছিলেন এবং বলিতেছিলেন- “তোমাদের এই ভাইকে সম্মানের সহিত কবরে প্রবেশ করাও।”
লাশ যখন কবরে রাখা হইল, তখন আল্লাহর রাসূল বলিতে লাগিলেন, উহার উপর আমি নিজ হাতে পাথর বিছাইয়া দিব। আল্লাহর রাসূলের পবিত্র হাতেই এই মর্দে মুমিনের কবর দেওয়ার কাজ সমাপ্ত হইল। পাথর বিছানো শেষ হইলে হাত উঠাইয়া মুনাজাত করিতে লাগিলেন, “আয় আল্লাহ, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি এই মৃতের প্রতি প্রীত ছিলাম। তুমিও তাহার প্রতি সন্তুষ্ট থাকিও।”
হযরত ইবনে মারউদ (রা) এই দৃশ্য দেখিয়া বলিতে লাগিলেন, “আফসোস! এই কবরে যদি আজ আমি সমাহিত হইতাম।”