হযরত খুবাইবের শাহাদাত
সাধারনত শত্রু যদি দেশ ছাড়িয়া চলিয়া যায়, তবে মানুষ স্বস্তি অনুভব করে, কিন্তু মুসলমানগণ যখন জন্মভূমি মক্কা ত্যাগ করিয়া মদীনায় চলিয়া গেলেন, স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পদ কাফেরদের হাতে ছাড়িয়া দিয়া মক্কা হইতে তিন শত মাইল দূরবর্তী মদীনায় যাইয়া আশ্রয় নিলেন, তখন কাফের শক্তি যেন আরো অধীর হইয়া উঠিল। কেননা, তাহারা মনে করিতেছিল, দূরে বসিয়া মুসলমানগণ ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ পাইবেন। আরববাসীগণ আল্লাহর রাসূল (সা) কে জানিতে সুযোগ পাইবে, ধীরে ধীরে তাহার ধর্ম গ্রহণ করিতে থাকিবে এবং শেষ পর্যন্ত এই বিন্দু সাগরে পরিণত হইয়া প্রবল শক্তিতে উচ্ছাসিত হইয়া উঠিবে। শেষ পর্যন্ত ইসলামের এই প্লাবনের সম্মুখে তাহাদের ভুয়া নেতৃত্ব তৃণ-খণ্ডের ন্যায় ভাসিয়া যাইবে।
মদীনায় পৌছিয়া মুসলমানদের পক্ষে প্রতিশোধ প্রচেষ্টায় অবতীর্ণ হওয়ার প্রয়োজন হইল না। মক্কার কোরায়শগণ মানসিক অস্থিরতার চাপে স্বতপ্রবৃত্ত হইয়াই সংঘর্ষ সৃষ্টির পথে অগ্রসর হইল, কিন্তু বদর ও ওহুদের ময়দানে শক্তি পরীক্ষার পর যখন তাহাদের ক্ষামতার মিথ্যা আত্মাভিমানও নি:শেষ হইয়া গেল, তখন চারিদিক হইতে তাহারা ব্যাপকভাবে ষড়যন্ত্রজাল বিস্তার করিতে শুরু করে। তাহারা আজল ও কারা গোত্রের সাত ব্যক্তিকে রাসূলে খোদা (সা) এর নিকট প্রেরণ করত: এই প্রস্তাব পেশ করে, আপনি যদি কিছু সংখ্যক বিশিষ্ট সাহাবী প্রেরণ করেন, তবে আমরা গোত্রের সকল লোকই ইসলাম গ্রহণ করিব। রাসূলে খোদা (সা) হযরত আসেম ইবনে ছাবেত (রা) এর নেতৃত্বে দশ জন বিশিষ্ট সাহাবীর একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করিলেন। অপরদিকে এক স্থানে কাফেরদের দুইশত যোদ্ধা মুসলমানদের এই সংক্ষিপ্ত জামাতটির অপেক্ষা করিতেছিল। মুসলমানদের জামাত তখন তথায় পৌছিলেন তখন নাঙ্গা তরবারী বিজলীর শক্তিতে তাঁহাদের অভ্যর্থনা করিল। মুসলমানরা যদিও কোরআনের বাণী প্রচার করিতে বাহির হইয়াছিলেন, কিন্তু একেবারে নিরস্ত্র ছিলেন না। সংকট দেখার সঙ্গে সঙ্গেই দুইশত তরবারির সম্মুখে দশটি তরবারিও কোষমুক্ত হইল এবং উভয়পক্ষে তুমুল সংগ্রাম শুরু হইয়া গেল। আটজন সাহাবী বীরত্বের সহিত যুদ্ধ করিয়া শহীদ হইয়া গেলেন। হযরত খুবাইব ইবনে আদী এবং যায়েদ ইবনে দাসেনা (রা) নামক দুই সিংহপুরুষ গ্রেফতার হইয়া গেলেন। সুফিয়ান হোযালী এই দুই বীরকে মক্কায় লাইয়া গিয়া নগদ মূল্যে মক্কার হিংস্র পশুদের নিকট বিক্রয় করিয়া আসিল।
উভয় বন্দীকেই হারেস ইবনে আমেরের গৃহে রাখা হইল। কাফেররা এইরূপ নির্দেশ দিল, তাহাদের রুটি বা পানি কিছুই যেন দেওয়া না হয়। হারেস অক্ষরে অক্ষরের নির্দেশ পালন করিল। বন্দীদের জন্য খাবার সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করিয়া দেওয়া হইল।
একদিন হারেসের শিশুপুত্র একটি ছুরি লইয়া খেলিতে খেলিতে বন্দী হযরত খুবাইবের নিকট পৌছিয়া গেল। দীর্ঘ কয়েকদিনের ক্ষুধার্ত পিপাসায় কাতর আল্লাহর এই নেক বান্দা হারেসের শিশুকে কোলে তুলিয়া লইলেন এবং তাহার হাত হইতে ছুরি লইয়া মাটিতে রাখিয়া দিলেন। ইতিমধ্যেই হারেসের স্ত্রী আসিয়া দেখিল, খুবাইব শিশু ও ছুরি সম্মুখে লইয়া বসিয়া আছেন। স্ত্রীলোকটি মুসলিম চরিত্র সম্পর্কে কিছই জানিত না। এই মারাত্মক অবস্থা দেখিয়া ভয়ে আতঙ্কে তাহার প্রাণ শুকাইয়া গেল এবং অধীর কণ্ঠে চিত্কার করিতে শুরু করিল। হযরত খুবাইব (রা) স্ত্রীলোকটিকে অধীরতা অনুভব করিতে পারিয়া বলিতে লাগিলেন, “ভগ্নী, আপনি শান্ত হউন, আমি এই নিষ্পাপ শিশুটিকে হত্যা করিব না। মুসলমানরা জুলুম করেনা।” এই কথা বলিয়াই হযরত খুবাইব শিশুটিকে কোল হইতে নামাইয়া দিলেন। শিশু ছুটিয়া গিয়া মায়ের কোলে উঠিয়া পড়িল।
কোরায়শ দল কয়েকদিন অপেক্ষা করিল, কিন্তু অনাহারে যখন মৃত্যু হইল না তখন তাঁহাকে হত্যা করার জন্য তারিখ ঘোষণা করা হইল। খোলা ময়দানে একটি কাষ্ঠফলক পোঁতা হইল। কোরায়শ দল ফলকটির চারিধারে তরবারি ও বর্শা উঠাইয়া দাঁড়াইল। কেহ কেহ তরবারি ভাজিতে ছিল। কেহ কেহ ধনুকে তীর সংযোজন করিতেছিল। এমনবস্থায় ঘোষণা করা হইল, খুবাইবকে আনা হইতেছে। মুহূর্তে ময়দান সরগরম হইয়া উঠিল। উত্সুক দর্শকের দল চারিদিকে ছুটাছুটি করিতে শুরু করিল। কিছু লোক অস্ত্র ঠিক করিতে করিতে বন্দীর উপর আক্রমণ করিয়া পৈশাচিক উপায়ে রক্ত প্রবাহিত করার জন্য প্রস্তুহ হইল।
বীর মুসলিম হযরত খুবাইব (রা) এক পা এক পা করিয়া বধ্যভূমির দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। তাঁহাকে শূলের নীচে আনিয়া খাড়া করা হইল। এক ব্যক্তি তাঁহাকে সম্বোধন করিয়া বলিতে লাগিল, খুবাইব, আমরা তোমার এই বিপদে দুঃখ অনুভব করিতেছি। এখনও যদি তুমি ইসলাম ত্যাগ কর তবে তোমাকে মুক্তি দেওয়া যাইতে পারে।
হযরত খুবাইব (রা) সম্বোধনকারীর দিকে মুখ করিয়া বলিতে লাগিলেন, ইসলামই যদি অবশিষ্ট না থাকে, তবে জীবন রক্ষা অর্থহীন। এই দৃঢ়তাব্যঞ্জক জবাব জনতার মধ্যে বিদ্যুতের ন্যায় ছড়াইয়া পড়িল। ক্ষণিকের জন্য উত্তেজিত জনতা স্তব্ধ নীরব হইয়া গেল।
দ্বিতীয় এক ব্যক্তি অগ্রসর হইয়া বলিল, “খুবাইব, কোন অন্তিম ইচ্ছা থাকিলে বলিতে পার।”
হযরত খুবাইব (রা) জবাব দিলেন, “মাত্র দুই রাকাত নামায পড়িতে চাই; অন্য কোন ইচ্ছা নাই।” জনতা জানাইয়া দিল, ভাল কথা- শীঘ্র সারিয়া নাও। ফাঁসির রজ্জু প্রস্তুত ছিল, হযরত খুবাইব (রা) নীচে দাঁড়াইয়া প্রাণ ভরিয়া শেষ বারের মত প্রিয়তমের এবাদত করিতে প্রস্তুত হইলেন। হৃদয়ের নিষ্ঠা ও অনুরাগ নিংড়ানো এই মুখ প্রিয়তমের গুণগান করিতে যাইয়া বন্ধ হইতে চাহিল না। যে দুই হাত মহান আল্লাহর সম্দুখে বন্ধ হইয়াছিল, তাহা আর খুলিতে চাহিল না। রুকুর উদ্দেশে অবনত কোমর আর সোজা হইতে চাহিল না। মাটির বিছানা হিইতে সেজ্দার অনুরাগ শেষ হইল না! চক্ষুযুদগল হইতে এত বিনয়ের অশ্রু প্রবাহিত হইতে চাহিল, যেন শরীরের প্র্রতি রক্তবিন্দু অশ্রু হইয়া চোখের কোণে নামিয়া আসে। আল্লাহর এই ঊষর পৃথিবী যেন অশ্রু সিঞ্চনীতে জান্নাতুল ফেরদাউসের প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরিয়অ উঠে!
হযরত খুবাইবের প্রেমিক অন্তরে আত্মনিবেদনের আনন্দে মত্ত ছিল, কিন্তু হঠাৎ তিনি অন্তর হইতে এক নূতন আহ্বান শুনিতে পাইলেন, এই আহ্বান বুঝি একমাত্র শহীদের অন্তরই অনুভব করিতে পারে। তিনি যেন অনুভব করিলেন, নামায অধিক লম্বা করিলে কাফেরগণ এই কথা ভাবিতে শুরু করিবে, তাঁহার মুসলিম অন্তর বুঝি মৃত্যু ভয়ে ভীত হইয়া গিয়াছে। এই কথা মনে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ডান দিকে মুখ ফিরাইয়া বলিলেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কাফেরদের তরফ হইতে কোন জবাব আসিল না, কিন্তু তাহাদের অগণিত তীরের তীক্ষ্ম মুখ উবং উত্তোলিত তরবারির তীক্ষ্মধার যেন সজীব হইয়া সালামের জবাব দিয়া উঠিল। তিন বাম দিকে মুখ ফিরাইয়াও সালামের বাণী উচ্চারণ করিলেন। কাফেরকুলের নির্বাক জামাত উহারও কোন জবাব দিতে পারিল না, কিন্তু অগণিত বর্শার সুচিতীক্ষ্ম ফলক যেন বলিয়া উঠিল, হে ইসলামের অমর মোজাহেদ, তোমার উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হউক।
মরদে মোজাহেদ হযরত খুবাইব (রা) সালাম ফিরাইয়া শূলের নীচে আসিয়া দাঁড়াইলেন। কাফেররা তাঁহাকে কাষ্ঠের সহিত বন্ধন করতঃ তীক্ষ্মধার তীর ছুঁড়িয়া তাঁহার খোদা প্রেমের শেষ পরীক্ষা লইতে শুরু করিল। একব্যক্তি পূর্বেই মানাযের বিছানায় মরদে মুমিনের যে পবিত্র রক্ত অশ্রুর বন্যায় প্রবাহিত হইয়া আসিতেছিল, তাহাই শত ছিদ্র দিয়া বাহির হইতে শুরু করিল। হযরত খুবাইবের এই ধৈর্য কি অপূর্ব! শূলের স্তম্ভের সহিত তাঁহার সর্বশরীর আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা রহিয়াছে। তৎপর এক এক তীর আসিয়া তাঁহার শরীরে এপার ওপার হইয়া যাইতেছে। তীক্ষ্মধার বর্শা তাঁহার বুকের পাঁজর ভেধ করিয়া বিদ্ধ হইতেছে। এক একটি আঘাত তিনি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করিতেছেন, কিন্তু এই অবস্থায়ও তিনি ইসলামের কঠোর স্বীকারোক্তিতে অটল রহিয়াছেন। দুঃখ-বেদনার এই প্রলয়ও তাঁহার অন্তরকে ইসলামের উপর হইতে হটাইতে পারিতেছে না।
এই সময় আর এক ব্যক্তি আসিয়া তাঁহার বুকে বর্শা রাখিল। ধীরে ধীরে তাহা এতটুকু বিদ্ধ করিল যে, অর্ধেকটুকু ফলক তাঁহার শরীরে প্রবিষ্ট হইয়া গেল। এই সময় আক্রমণকারী তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “এখন তোমার স্থানে যদি মোহাম্মদকে বাঁধিয়া তোমাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে তুমি কি উহা পছন্দ করিবে?” ধৈর্যেরে প্রতিমূর্তি হযরত খুবাইব (রা) একটি একটি করিয়া অস্ত্রের কঠিন আঘাত সহ্য করিতেছিলেন, কিন্তু তাঁহার নিকট পাপাত্মার এই একমাত্র বাক্যবাণ যেন সহ্য হইল না। যবানের এক এক ফোঁটা রক্ত যদিও ইতিপূর্বেই নিঃশেষে ঝরিয়া পড়িয়াছিল, তবুও এই শুষ্ক মুখেই নূতন শক্তি দেখা দিল। জ্বালাময়ী ভাষায় তিনি বালিতে লাগিলেন, “নিষ্ঠুর! খোদা জানেন, আমি তিলে তিলে প্রাণ দিয়া দিতে পারি, কিন্তু আল্লাহর রসূলের পায়ে একটি কাঁটা বিদ্ধ হওয়ার দৃশ্যও সহ্য করিতে আমি প্রস্তুত নই।”
নামায পড়ার পর হইতে হযরত খুবাইবের উপর যে কঠিন বিপদ নামিয়া আসিতেছিল তাহার প্রত্যেকটি আঘাতই তিনি অম্লান বদনে সহ্য করিয়া চলিয়াছিলেন, তাঁহার প্রশান্ত যবান হইতে এক একটি আঘাতের সহিত এক একটি কবিতা বাহির হইয়া আসিতেছিল। প্রশান্ত কণ্ঠে তিনি বলিতেছিলেন,-
১. লোক দলে দলে আমার চারিদকে সমবেত হইয়াছে। কবিলা, জামাত সকলেরই যেন এখানে উপস্থিতি বিশেষ প্রয়োজনীয় হইয়া পড়িয়াছে।
২. এই সমাবেশ একমাত্র শক্রুতা প্রদর্শনের জন্য অনুষ্ঠিত হইয়াছে। ইহারা আমার বিরুদ্ধে জিঘাংসা বৃত্তিরই প্রদর্শন করিতেছে মাত্র এবং আমাকে এখানে মৃত্যুর খুঁটির সহিত বাঁধিয়া রাখা হইয়াছে।
৩. ইহারা এই প্রদর্শনীতে স্ত্রীলোক ও শিশুদিগকে সমবেত করিয়া একটি উচ্চ মঞ্চের একত্রিত করিয়া রাখিয়াছে।
৪. ইহারা বলে, যদি ইসলাম অস্বীকার করি তহবে আমাকে মুক্ত করিয়া দিবে, কিন্তু আমার পক্ষে ইসলাম পরিত্যাগের চাইতে মৃত্যু কবুল করা যে অনেক সহজ। আমার চক্ষু হইতে যদিও অশ্রু ঝরিতেছে, তথাপি আমার অন্তর সম্পূর্ণ শান্ত।
৫. আমি শত্রুর সম্মুখে মস্তক অবনত করিব না, কাহারও বিরুদ্ধে ফরিয়াদও করিব না। আমি ভীত হইব না। কেননা, আমি জানি, আল্লাহর সান্নিধ্যেই যাইতেছি।
৬. আমি মৃত্যুতে ভয় করি না, কেননা আমি জানি, সর্বাবস্থায়ই মৃত্যু আসিবে। আমার কেবল একটি ভয় আছে এবং তাহা দোযখের আগুনের ভয়।
৭. আরশের মালিক আমার দ্বারা সেবা করাইয়াছেন এবং দৃঢ়তা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়াছেন। কাফেররা এখন আমার শরীর টুকরা টুকরা করিয়া ফেলিয়াছে, এতক্ষণে আমার সকল আশাই শেষ হইয়া গিয়াছে।
৮. আমি আমার এই অসহায়তা, নিঃসঙ্গতার জন্য কেবলমাত্র আল্লাহর নিকটই ফরিয়াদ করিতেছি। জানি না আমার মৃত্যুর পর উহাদের কি ইচ্ছা! যত কিছুই হউক, আল্লাহর পথে যখন আমি জীবন দান করিতেছি, তখন উহারা যাহা কিছুই করুক না কেন, ইহাতে আমার আর কোন ভাবনা নাই।
৯. আমি আল্লাহর উপর ভরসা রাখি। তিনি আমার শরীরের এক এক টুকরো গোশ্তের মধ্যে বরকত দান করিবেন। “হে আল্লা, আমার উপর যাহা কিছু অনুষ্ঠিত হইতেছে, তোমার রসূলকে তাহা জানাইয়া দাও।”
হযরত সায়ীদ আমের ওমর ফারুকের কর্মচারী ছিলেন। মধ্যে মধ্যে তিনি হঠাৎ সংজ্ঞাহীন হইয়া পড়িতেন। একদিন হযরত ওমর (রা) জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনি কি কোন রোগে আক্রান্ত হইয়াছেন? তিনি উত্তর দিলেন, “আমি সম্পূর্ণ সুস্থই রহিয়াছি। কোন প্রকার রোগে ভুগিতেছি না। হযরত খুবাইবকে যখন ফাঁসি দেওয়া হয়, তখন আমি দর্শকদের দলে ছিলাম। সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা স্মরণ হইলে পর আমর সংজ্ঞা থাকে না। অন্তর কাঁপিতে কাঁপিতে আমি সংজ্ঞাহীন হইয়া পড়ি।”