শরীয়তী বিচার ব্যবস্থা
তালাক ও খোলার আলোচনায় ইসলামী আইনের যে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়েছে তা থেকে একথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এ আইন যে মূলনীতির ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে তা হচ্ছে- নারী-পুরুষের দাম্পত্য সম্পর্ক যদি অটুট থাকে তাহলে তা আল্লাহর নির্ধারিত সীমার হেফাযত এবং ভালোবাসা ও সম্প্রীতির সাথে অক্ষুণ্ন থাকতে হবে। এটাকে কুরআন মজীদে ‘ইমসাক বিলমা’রূফ-এর মত সংক্ষিপ্ত অথচ পরিপূর্ণ অর্থজ্ঞাপক শব্দের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যদি এভাবে তাদের মিলেমিশে থাকা সম্ভব না হয় তাহলে ‘তাসরীহুম বি-ইহসান’ হওয়া উচিত অর্থাৎ যে স্বামী-স্ত্রী সরলভাবে মিলেমিশে থাকতে সক্ষম না হবে তারা সহজভাবে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং এরূপ অবস্থার সৃষ্টি যেন না হতে পারে যে, তাদের পারস্পরিক সংঘাতে শুধু তাদের জীবনই তিক্ত হয়ে উঠবে না, বরং উভয়ের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হবে, সমাজে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়বে, নৈতিক বিপর্যয় প্রসার লাভ করবে এবং ভবিষ্যত বংশধর পর্যন্ত তাদের সেই খারাপ প্রভাব বিস্তার লাভ করবে।
বিপর্যয়ের এসব পথ বন্ধ করে দেয়ার জন্য ইসলামী শরীয়ত পুরুষকে তালাকের অধিকার ও নারীকে খোলার অধিকার দিয়েছে। তারা ইচ্ছা করলে যেন ‘তাসরীহুম বি-ইহসান’এর মূলনীতির ওপর আমল করতে পারে। [এখানে একথাও হৃদয়ংগম করে নেয়া দরকার যে, ইসলামী শরীয়ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদকে আদালতে জনসমক্ষে নিয়ে আসা পসন্দ করে না। ইসলামী শরীয়ত এজন্য পুরুষ ও নারীর প্রয়োজনে এমন আইনগত ব্যবস্থাও রেখেছে যে, যতদূর সম্ভব ঘরের বিবাদ ঘরেই মীমাংসা হয়ে যেতে পারে। আদালতের দরজার কড়া নাড়া হবে সর্বশেষ প্রচেষ্টা, যখন পারিবারিক পরিসরে মীমাংসায় পৌঁছার কোন সম্ভাবনা অবশিষ্ট না থাকে।–গ্রন্হকার।] কিন্তু এমনও কতিপয় ঝগড়াটে প্রকৃতির লোক রয়েছে, যারা না ‘ইমসাক বিল-মারূফ’- এর ওপর আমল করতে পারে, আর না ‘তাসরীহুম বি-ইহসান’- এর ওপর আমল করতে প্রস্তুত হয়। অনন্তর দাম্পত্য পরিসরে এমনও অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় যার ফলে হয় অধিকারের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় অথবা ‘ইমসাক বিল মারূফ’ (সসম্মানে ফিরিয়ে রাখা) এবং ‘তাসবীহুম বি-ইহসান’ (ভদ্রভাবে বিদায় দেয়া) উভয়ের ওপর আমল করা তাদের জন্য সম্ভব হয় না। এজন্য ইসলামী শরীয়ত তালাক ও খোলার ব্যবস্থা ছাড়াও অধিকারের সংরক্ষণ এবং আল্লাহর অধিকারসমূহের হেফাযত করার অন্য তৃতীয় একটি পন্হা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর নাম হচ্ছে শরীয়তী বিচার ব্যবস্থা।
শরীয়তের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে কয়েকটি মৌলিক কথা
শরীয়তী বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করার পূর্বে কয়েকটি মৌলিক বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন।
বিচারের জন্য সর্বপ্রথম শর্ত
শরীয়তের বিচার ব্যবস্থার শর্তগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে- আদালতকে অবশ্যই ইসলামী আদালত হতে হবে এবং বিচারককে অবশ্যই মনে প্রাণে মুসলমান হতে হবে। এর একটি কারণ তো হচ্ছে যা ফিকহবিদগণ সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন অর্থাৎ শরীয়তের মূলনীতির অধীনে শরীয়তী ব্যাপারসমূহে মুসলমানদের ওপর অমুসলিম বিচারকদের ফয়সালা যদিও বাহ্যত কার্যকর হয়ে যায়, কিন্তু নীতিগত দিক থেকে তা কার্যকর হতে পারে না। যেমন, এক অমুসলিম বিচারক একজন মুসলমানের বিবাহ বাতিল করে দিল, চাই তার ওই নির্দেশ শরীয়তের নির্দেশ অনুসারেই হোক না কেন এবং কার্যত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদই হোক না কেন, কিন্তু মূলত তার দ্বারা বিবাহ বাতিল ঘোষিত হলেও বাতিল হবে না এবং অন্যের সাথে বিবাহ বসাও স্ত্রীলোকটির জন্য জায়েয হবে না। যদি সে বিবাহ করে, তবে তার এ বিবাহ বাতিল গণ্য হবে এবং ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে তার সন্তানরা হবে অবৈধ।
দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, কুরআন অনৈসলামী আদালতের ফায়সালাকে মূলত সমর্থনই করে না। তাছাড়া, বিশেষ করে মুসলমানদের ব্যাপারে কুরআনের চূড়ান্ত ফায়সালা হচ্ছে- তাদের সম্পর্কে কুফরী আদালতের ফায়সালা আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ প্রসংগটি আমি আমার ‘একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া’ নামক প্রবন্ধে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি- যা এ পুস্তকের শেষদিকে পরিশিষ্ট আকারে পেশ করা হয়েছে।
বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ইজতিহাদের প্রয়োজনীয়তা
বিচারকের মধ্যে ইজতিহাদ ও গবেষণার যোগ্যতা থাকা একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়া যে আইনকে কার্যকর করার জন্য তাকে বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে সেই আইনের প্রতি তার অন্তরে বিশ্বাসগত দিক থেকে গভীর শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। কারণ এছাড়া যেসব বিসয়ের মীমাংসা কাযীর সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে, যদিও শরীয়তে এর জন্য ব্যাপক বিধান মওজুদ রয়েছে, তথাপি ব্যক্তিগত ব্যাপারসমূহের ক্ষেত্রে প্রতিটি মোকদ্দমার বিশেষ বিশেষ অবস্থা ও প্রকৃতির দিকে লক্ষ্য রেখে এসব আইন-কানুনের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান, যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করা, ক্ষেত্রবিশেষে আইনের মূলনীতি থেকে অগুরুত্বপূর্ণ কিন্তু প্রয়োজনীয় নির্দেশ বের করা এবং আইনের প্রাণসত্তা অনুযায়ী মামলা পরিচালনার যাবতীয় শর্তের দিকে লক্ষ্য রাখা- কাযীর মধ্যে উল্লিখিত যোগ্যতার সমাবেশ না ঘটলে সম্ভব নয়। একথা সুস্পষ্ট যে, এ দুটি গুণের সমাবেশ কেবল এমন ব্যক্তির মধ্যে হওয়াই সম্ভব, যিনি ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে মুসলমান এবং ইসলামী আইনের মূলনীতি ও এর শাখা-প্রশাখা সম্পর্কে পূর্ণ অভিজ্ঞ। তিনি এ আইনের ভাবধারা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেন, এর মূল উৎস সম্পর্কে তিনি দক্ষ এবং অভ্যন্তরীণভা মুসলিম সমাজের গঠন প্রণালী ও বিন্যাস সম্পর্কে ওয়াকিফহাল। একজন অমুসলিম বিচারকের মধ্যে এসব গুণ পাওয়া কোনক্রমেই সম্ভব নয়। আর এজন্যই তিনি মুসলমানদের শরঈ ব্যাপারসমূহে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবেন বলে মোটেই আশা করা যায় না।
ভারতীয় উপমহাদেশে শরীয়তভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা না থাকার কুফল
[এখানে একটি কথার ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন যে, অমুসলিম সরকারের অনুমোদনক্রমে যে শরীয়তী বিচার ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে-মৌলিকভাবে এর যথার্থতায় আমি বিশ্বাসী নই। কিন্তু প্রসংগক্রমে আমি এখানে এমন একটি পন্হা নির্দেশ করতে চাই, যতদিন ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম না হবে ততদিন ভারতীয় মুসলমানদের শরঈ বিষয়াদি তার ভিত্তিতে মীমাংসা করা জায়েয হতে পারে।–গ্রন্হকার।]
এ উপমহাদেশে বৃটিশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করার পরও ১৮৬৪ সাল পর্যন্ত মুসলমানদের শরঈ ব্যাপারগুলোর ফায়সালা মুসলমান বিচারকগনই করতেন। আলেম সমাজের মধ্য থেকে তাঁদের বেছে নেয়া হতো। কিন্তু এরপর এ বিচার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়া হয় এবং সাধারণ দেওয়ানী ব্যাপারগুলোর মত শরঈ বিষয়াদিও ইংরেজ আদালতের কর্তৃত্বাধীনে নিয়ে আসা হয়। এর প্রথম ক্ষতি ছিল এই যে, শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী যেসব ক্ষেত্রে শরীয়তের বিচার ব্যবস্থা প্রযোজ্য ছিল, তা প্রায় শেষ হয়ে গেল। এর ফলে মুসলমানদের জন্য এ আদালত থেকে নিজেদের শরঈ ব্যাপারসমূহে এরূপ ফায়সালা লাভ করা অসম্ভব হয়ে পড়লো, যাকে তাদের দীনের দৃষ্টিকোণ থেকে শরঈ ফায়সালা বলা যেতে পারে।
এর দ্বিতীয় ক্ষতি, যা গুরুত্বের দিক থেকে প্রথম ক্ষতির চেয়ে কোন অংশে কম নয়, তা ছিল- এ আদালতের বিচারকদের কাছে ইসলামী মূলনীতি ও শাখা-প্রশাখার ওপর ব্যাপক জ্ঞান, এ সম্পর্কে ইজতিহাদ ও গবেষণা করার সঠিক শক্তি সৃষ্টি হওয়ার মতো উপায়-উপকরণ ছিল না। আর তাদের অন্তরে এ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও ছিল না যে, তা তাদেরকে এর নির্ধারিত সীমালংঘন করা থেকে বিরত রাখতে পারতো। যেসব বই-পুস্তক ছিল তাদের জ্ঞানের উৎস, সেগুলো এমন লেখকদের রচিত যারা আরবী ভাষার সাথে অপরিচিত ছিল। যেমন হ্যামিলটন (Hamiltion), তিনি একটি ফরাসী অনুবাদের সাহায্যে হিদায়ার ইংরেজী অনুবাদ তৈরি করেন। সঠিক অর্থে হিদায়ার মূল গ্রন্হ বুঝাবার যোগ্যতা তাঁর ছিল না। এমনকি তিনি ফিকাহের সাধারণ পরিভাষাগুলো বুঝতে এতটা ভুল করেছেন যে, মূল হিদায়ার সাথে না মেলানো পর্যন্ত তা উপলব্ধিতে আসবে না। বেইলীর (Bailie) Digest of Muhammadan Law’ যা ফতোয়া-ই আলমগীরীর সারসংক্ষেপের তরজমার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এবং ম্যাকনাটনের (Macnaughton) ‘Principles of Muhammadan Law’ গ্রন্হগুলোতে ইসলামী আইন সম্পর্কে তাঁদের জ্ঞানের দৈন্যদমার চিত্র ফুটে উঠেছে। পূর্ণাংগ জ্ঞানের অভাবে তাঁরা এসব বইয়ে আইনের ক্রটিপূর্ণ ও সংগতিহীন ব্যাখ্যা করেছেন। ইংরেজ বিচারালয় গুলো স্বয়ং নিজেদের জ্ঞানের দীনতার কথা অকপটে স্বীকার করেছে। যেমন বিচারপতি মারকবি এক মামলার রায়ে লিখেছেনঃ
ইসলামী শরীয়ত সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য আদালতের কাছে যেসব উপায়-উপকরণ রয়েছে তা এতটা অপর্যাপ্ত ও সীমিত যে, এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বেঁচে থাকার জন্য যে কোন পথ সানন্দে অবলম্বন করতে আমি প্রস্তুত।[খাযা হোসাইন বনাম শাহযাদী বেগম।]
কিন্তু এতটা সীমিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও বিচারালয়সমূহ ইসলামী আইন সম্পর্কে গবেষণা ও ইজতিহাদ করার দুঃসাহস করে এবং এর সীমালংঘন করতে মোটেই ভয় পায় না। কারণ এ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা তাদের ঈমান-আকীদার অন্তরভুক্ত নয় এবং স্বৈরাচারী সরকারের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকেও তাদের ওপর এমন কোন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি যে, বিচারকগণ এ আইনের সীমালংঘন করতে পারবেন না। অপর একটি মামলার রায়ে [মালিক আবদুল গফুর বনাম মালীগা।] প্রধান বিচারপতি গার্থ যা লিখেছেন তা এসব বিচারালয়ের সঠিক অবস্থানকে তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট। তিনি লিখেছেনঃ
ইসলামী আইন, যার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং যা পুরাতন বই-পুস্তকে লিপিবদ্ধ রয়েছে, এখন থেকে কয়েক শতাব্দী পূর্বে বাগদাদ এবং অন্যান্য মুসলিম দেশে যা প্রচলিত ছিল- এসব দেশের আইনগত ও সামাজিক অবস্থা থেকে ছিল সম্পূর্ণ পৃথক্ যদিও আমরা মুসলমানদের মধ্যকার মামলা-মোকদ্দমায় যতদূর সম্ভব ইসলামী শরীয়তের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করার চেষ্টা করি, কিন্তু প্রথমত এটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যে, মূলত আইনটি কি রকম ছিল? দ্বিতীয়ত, পূর্ববতী যুগের মুজতাহিদ অর্থাৎ ইমাম আবূ হানীফা ও তাঁর ছাত্রদের মধ্যে আইনের ব্যাখ্যা নিয়ে অসংখ্য মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোর সামঞ্জস্য বিধান করা খুবই কঠিন। তাই আমাদেরকে আইনের মূল ভিত্তি ও সঠিক মূলনীতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। অতপর ইনসাফের নীতি, সৎ উদ্দেশ্য, দেশে প্রচলিত অন্যান্য আইন এবং সামাজিক অবস্থার দিকে লক্ষ্য রেখে তা কার্যকর করা উচিত।
এ বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, আদালতের একজন প্রধান বিচারপতি ইসলামী আইন সম্পর্কে নিজের অজ্ঞতা স্বীকার করছেন এবং আইনের ব্যাখ্যায় ইমামদের মতবিরোধের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার ব্যাপারে নিজেকে অক্ষম মনে করেছেন। তিনিই আবার নিজে সিদ্ধান্তে পৌঁছাকে প্রকাশ্যভাবে জায়েয মনে করেছেন। তিনি একটি বিচারের রায়ের মধ্যে একথা প্রকাশ করতে মোটেই দ্বিধা করছেন না যে, তিনি মুসলমানদের ওপর ইসলামী আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেবল ইসলামের আইনের সীমারেখার মধ্যে অবস্থান করতে বাধ্য নন, বরং এর সাথে সাথে তিনি দেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা এবং ইনসাফের মূলনীতি সম্পর্কে স্বয়ং নিজের দৃষ্টিভংগীর প্রতি লক্ষ রাখাও জরুরী মনে করেছেন। আমাদের দেশের বিচারালয়গুলোতে ‘মোহামেডান ল’ নামে যে ক্রটিপূর্ণ ও পঙ্গু আইন প্রচলিত আছে, তা এ ঈমানহীন ও জ্ঞানশূণ্য গবেষনার ফসল। ইসলামী আইনের নামে এ পঙ্গু আইনটিও আমাদের শরঈ ব্যাপারসমূহে যথাযথভাবে কার্যকর হয় না, বরং বিচারালয়ে নিত্য নতুন সিদ্ধান্তের কষাঘাতে তা দিন দিন আরো বিকৃত হয়ে চলেছে।