জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস
জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি

ইসলামে হালাল হারামের বিধান

অন্তর্গতঃ উচ্চতর অধ্যয়ন, ফিকাহ
Share on FacebookShare on Twitter

সূচীপত্র

  1. অনুবাদকের কথা
    1. গ্রন্থকারের ভূমিকা
  2. প্রথম অধ্যায়
    1. সংজ্ঞা
      1. ১. সব জিনিসের ব্যাপারেই মৌল নীতি হচ্ছে– তা মুবাহ
      2. ২. হালাল–হারাম ঘোষণা করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ্‌র
      3. ৩. হালালকে হারাম ও হারামকে হালালকরণ শির্‌ক পর্যায়ে অপরাধ
      4. ৪. হারাম জিনিস ক্ষতিকর
      5. ৫. হালাল যথেষ্ট, হারাম অপ্রয়োজনীয়
      6. ৬. হারাম কাজের নিমিত্তও হারাম
      7. ৭. হারাম কাজে কৌশল অবলম্বনও হারাম
      8. ৮. নিয়ত ভাল হলেই হারাম হালাল হয় না
      9. ৯. হারাম থেকে দূরে থাকার জন্যে সন্দেহপূর্ণ কাজ পরিহার
      10. ১০. হারাম সকলেরই জন্যে
      11. ১১. প্রয়োজন নিষিদ্ধকে বৈধ করে
  3. দ্বিতীয় অধ্যায়
    1. মুসলিমের ব্যক্তিগত জীবনে হালাল–হারাম
      1. ব্রাহ্মণদের দৃষ্টিতে পশু যবাই করা ও খাওয়া
      2. ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের দৃষ্টিতে হারাম জন্তু
      3. ইসলাম পূর্ব যুগের আরবদের অবস্থা
      4. ইসলাম পবিত্র জিনিসগুলো মুবাহ করেছে
      5. মৃত জন্তুর হারাম হওয়ার কারণসমূহ
      6. প্রবাহিত রক্ত হারাম কেন
      7. শূকরের গোশত
      8. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্যে উৎসর্গিত জন্তু
      9. কয়েক প্রকারের মুর্দার
      10. এসব মুর্দার হারাম করার কারণ
      11. দেবতার উদ্দেশ্যে বলি দেয়া জন্তু
      12. মাছ ও পঙ্গপাল সম্পর্কে স্বতন্ত্র বিধান
      13. মৃত জন্তুর চামড়া, অস্থি ও পশম ব্যবহার
      14. ঠেকার অবস্থায় স্বতন্ত্র হুকুম
      15. চিকিৎসার প্রয়োজনে
      16. সামষ্টিক পর্যায়ে প্রয়োজন পূরণের ব্যবস্থা থাকলে ব্যক্তি–প্রয়োজন অবশিষ্ট থাকে না
      17. যবেহ করার শরীয়তসম্মত পন্থা
      18. সামুদ্রিক জীব সবই হালাল
      19. স্থলভাগের হারাম জীব-জন্তু
      20. গৃহপালিত জন্তু হালাল হওয়ার জন্যে যবেহ করা শর্ত
      21. শরীয়ত অনুযায়ী যবেহ করা শর্ত
      22. যবেহ করার এ নিয়মের তাত্পর্য
      23. যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণের তাত্পর্য
      24. ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের যবেহ করা জন্তু
      25. ১. গির্জা ও মেলাতে হারের জন্যে যবেহ করা জন্তু
      26. ২. বিদ্যুত্ স্পর্শে যবেহ করা বা টিনবদ্ধ গোশত খাওয়া
      27. অগ্নি পূজক প্রভৃতির যবেহ করা জন্তু
      28. দৃষ্টির অন্তরালবর্তী জিনিসের খোঁজ করা অনাবশ্যক
    2. শিকার
      1. শিকারী সম্পর্কিত কথা
      2. শিকার প্রাণী সম্পর্কিত শর্ত
      3. শিকার করার উপায়
      4. শানিত অস্ত্র দ্বারা শিকার করা
      5. কুকুর দ্বারা শিকার করা
      6. তীর নিক্ষেপের পর শিকার মৃতাবস্থায় পাওয়া
    3. মদ্য
      1. সমস্ত মাদক দ্রব্যই হারাম
      2. মাদক দ্রব্য মাত্রই হারাম- অল্প হোক কি বেশি
      3. সুরার ব্যবসা
      4. মুসলমান সুরা উপঢৌকন দিতে পারে না
      5. সুরা পানের আসর পরিহার করা
      6. সুরা রোগ- ঔষধ নয়
      7. চেতানা নাশক দ্রব্যাদি
      8. ক্ষতিকর জিনিস মাত্রই হারাম
    4. পোশাক পরিচ্ছদ
      1. পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বিধায়ক দ্বীন
      2. স্বর্ণ ও রেশমী কাপড় পুরুষদের জন্যে হারাম
      3. রেশম ও স্বর্ণ ব্যবহার পুরুষদের জন্যে হারাম করার কারণ
      4. মহিলাদের জন্যে তা হালাল কেন
      5. মুসলিম মহিলার পোশাক
      6. নারী ও পুরুষের মাঝে সাদৃশ্য সৃষ্টি
      7. খ্যাতি ও অহংকারের পোশাক
      8. মাত্রাতিরিক্ত সৌন্দর্যের জন্যে আল্লাহ্ সৃষ্টি বিকৃতকরণঃ
      9. দেহে চিত্র অংকন, দাঁত শানিতকরণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যে অপারেশন করান
      10. ভ্রূ সরুকরণ
      11. চুলে জোড়া লাগান
      12. খেজাব লাগন
      13. দাড়ি বাড়ানো-লম্বাকরণ
    5. ঘর-বসবাসের স্থান
      1. বিলাসিতা ও পৌত্তলিকতার প্রকাশ
      2. স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্র
      3. ইসলামে প্রতিকৃতি হারাম
      4. ছবি ও প্রতিকৃতি হারাম করার কারণ
      5. মহাপুরুষদের স্মৃতিরক্ষার উপায়
      6. শিশুদের খেলনায় দেষ নেই
      7. অসম্পূর্ণ ও বিকৃত প্রতিকৃতি
      8. বিদেহী ছবি-প্রতিকৃতি
      9. ছবির প্রতি অমর্যাদাই তাকে জায়েয  করে
      10. ফটোগ্রাফীর ছবি
      11. ছবির উদ্দেশ্য
      12. ছবি-প্রতিকৃতি ও তার নির্মাতা সম্পর্কিত বিধানের সার-নির্যাস
      13. বিনা প্রয়োজনে কুকুর পালা
      14. শিকার ও পাহারাদারির জন্যে কুকুর রাখা
      15. আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কুকুর পালন
    6. উপার্জন ও পেশা
      1. কর্মক্ষম ব্যক্তির নিষ্কর্মা বসে থাকা হারাম
      2. ভিক্ষাবৃত্তি জায়েয হয় কখন
      3. শ্রম সম্মানজনক
      4. কৃষিকার্য দ্বারা উপার্জন
      5. হারাম কৃষিকার্য
      6. শিল্প ইত্যাদি
      7. নিষিদ্ধ কজ ও পেশা
      8. বেশ্যাবৃত্তি
      9. নৃত্য ও যৌন শিল্পকর্ম
      10. ভস্কর্য, প্রতিকৃতি ও ক্রুশ নির্মাণ মিল্প
      11. মাদক ও জ্ঞান-বুদ্ধির বিনষ্টকারী দ্রব্যাদি দশিল্প
      12. ব্যবসা করে উপার্জন করা
      13. ব্যবসা সম্পর্কে গির্জার ভূমিকা
      14. হারাম ব্যবসা
      15. চাকরি
      16. হারাম চাকরি
      17. উপার্জন পর্যায়ে সাধারণ নিময়
  4. তৃতীয় অধ্যায়
    1. স্বাভাবিক কামনা চরিতার্থ করার ক্ষেত্রসীমা
      1. যৌন স্পৃহা পর্যায়ে মানুষের ভূমিকা
      2. জ্বেনার কাছেও যাবে না
      3. ভিন মেয়েলোকের সাথে নিভৃতে সাক্ষাৎ হারাম
      4. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি লালসার দৃষ্টিতে তাকান
      5. লজ্জাস্থানের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ হারাম
      6. পুরুষ বা নারীর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ
      7. নারীর সৌন্দর্য প্রকাশ সমস্যা
      8. নারীদের সতর
      9. সাধারণ গোসলখানায় নারীর প্রবেশ
      10. নারীদের উলঙ্গতা-উচ্ছৃঙ্খলতা হারাম
      11. কোন্ অবস্থায় ‘তাবাররুজ’ হয় না
      12. স্ত্রীর স্বামীর মেহমানদের খেদমত করা
      13. প্রকৃতি বিরোধী কাজ কবীরা গুনাহ
      14. হস্তমৈথুন
      15. ইসলামে বৈরাগ্যবাদ নেই
      16. প্রস্তাবিত কনেকে দেখা
      17. বিয়ের পয়গাম দেয়ার হারাম পন্থা
      18. কুমারী কন্যার অনুমতি, তার ওপর জোর না করা
      19. মুহাররম মেয়েলোক
      20. এ সব মেয়ে বিয়ে করা হারাম হওয়ার কারণ
      21. দুগ্ধ সেবনের কারণে বিয়ে হারাম হওয়া
      22. বৈবাহিক সম্পর্কের দরুন বিয়ে হারাম
      23. দুই বোনককে এক সঙ্গে স্ত্রী বানান
      24. পরস্ত্রী
      25. মুশরিক নারী
      26. আহলি কিতাব নারী
      27. অমুসলিম পুরুষের সাথে মুসলিম নারীর বিয়ে
      28. ব্যভিচারে অভ্যস্ত নারী
      29. সাময়িক বিয়ে
      30. একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ
      31. একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের শর্ত- সুবিচার
      32. একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমতির যৌক্তিকতা
      33. স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক
      34. স্বামী-স্ত্রীর সংবেদনশীল সম্পর্ক
      35. গুহ্যদ্বার পরিহার
      36. স্বামী-স্ত্রীর গোপন তত্ত্ব সংরক্ষণ
      37. পরিবার পরিকল্পনা
      38. কোন্ অবস্থায় পরিবার পরিবার পরিকল্পনা জায়েয
      39. গর্ভপাত ঘটানো
    2. স্বামী-স্ত্রীর সামাজিক অধিকার
      1. স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ধৈর্য ধারণ
      2. স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ দেখা দিলে
      3. কেবল এরূপ অবস্থায়ই তালাক দেয়া যেতে পারে
      4. ইসলামের পূর্বে তালাক প্রথা
      5. ইয়াহূদী ধর্মে তালাক
      6. খ্রিস্ট ধর্মে তালাক
      7. তালাকের ব্যাপারে খ্রিস্ট ধর্মের ভিন্নমত
      8. তালাকের ব্যাপারে খ্রিস্ট ধর্মের অনুসৃত নীতির পরিণাম
      9. তালাক পর্যায়ে খ্রিস্ট ধর্মের স্বতন্ত্র ভূমিকা
      10. খ্রিস্ট ধর্মের শিক্ষা সাময়িক
      11. তালাকের ব্যাপারে ইসলামের নিয়ন্ত্রণ
      12. হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়া হারাম
      13. তালাকের কসম খাওয়া হারাম
      14. তালাকপ্রাপ্তা স্বামীর ঘরে ইদ্দত পালন করবে
      15. এক তালাকের পর আর এক তালাক
      16. তালাক প্রাপ্তকে ইচ্ছামত বিয়ে করতে বাধা দেবে না
      17. স্বামীর প্রতি ঘৃণা সম্পন্না স্ত্রীর অধিকার
      18. স্ত্রীকে জ্বালাতন করা হারাম
      19. স্ত্রী পরিত্যাগের ‘কসম খাওয়া’ হারাম
    3. পিতামাতা ও সন্তানদের সম্পর্ক
      1. বংশ সংরক্ষণ
      2. নিজ সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করা জায়েয নয়
      3. পালক পুত্র গ্রহণ হারাম
      4. পালক-পুত্র ব্যবস্থার বাস্তবভাবে রহিতকরণ
      5. কৃত্রিম উপায় গর্ভ সৃষ্টি
      6. প্রকৃত পিতা ছাড়া অন্য কাউকে পিতা বলা
      7. সন্তান হত্যা করো না
      8. সন্তানদের মধ্যে সমতা রক্ষা
      9. মীরাস বন্টনে আল্লাহর আইন পালন
      10. পিতামাতার সাথে সম্পর্ক ছিন্নকরণ
      11. পিতামাতাকে গালাগাল দেয়ার কারণ ঘটানোও কবীরা গুণাহ
      12. পিতামাতার অনুমতি ছাড়া জিহাদে যাওয়া
      13. মুশরিক পিতামাতার সাথে ব্যবহার
  5. চতুর্থ অধ্যায়
    1. আকীদা-বিশ্বাস ও ধর্মীয় অন্ধ অনুসরণ
      1. আল্লাহর সুন্নাতের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা
      2. কুসংস্কার ও ভিত্তিহীন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই
      3. গণকদারকে বিশ্বাস করা কুফর
      4. পাশার দ্বারা ভাগ্য জানতে চাওয়া
      5. যাদুবিদ্যা
      6. তাবীজ ব্যবহার
      7. খারাপ লক্ষণ গ্রহণ
      8. জাহিলী অন্ধ অনুসরণের বিরুদ্ধে জিহাদ
      9. বিদ্বেষমূলক ভাবধারা ইসলামের বিপরীত
      10. বংশ ও বর্ণের কোন গৌরব নেই
      11. মৃতের জন্যে বিলাপ
    2. পারস্পরিক কার্যাদি
      1. হারাম জিনিস বিক্রয় করা হারাম
      2. ধোঁকাপূর্ণ বিক্রয় হারাম
      3. দ্রব্যমূল্য লয়ে খেলা করা
      4. পণ্য মজুদকারী অভিশপ্ত
      5. বাজারের স্বাধীনতায় কৃত্রিম হস্তক্ষেপ
      6. দালালী জায়েয
      7. মুনাফাখোরি ও ধোঁকাবাজি হারাম
      8. যে ধোঁকাবাজি করল সে আমাদের নয়
      9. বারবার কিরা-কসম করা
      10. মাপে-ওজনে কম করা
      11. চোরা মাল ক্রয়
      12. সুদ হারাম
      13. সুদ হারামকরণের যৌক্তিকতা
      14. সুদদাতা ও সুদী দলিলের লেখক
      15. ঋণ লওয়া থেকে নবী পানা চাইতেন
      16. বেশি মুল্যে বাকী ক্রয়
      17. আগে মূল্য দেয়া ও পরে পণ্য গ্রহণ
      18. শ্রম ও মূলধনের পারস্পরিক সহযোগিতা
      19. বীমা কোম্পানী
      20. বীমা কোম্পানী কি পারস্পরিক সাহায্য সংস্থা
      21. পরিবর্তন ও সংশোধনী
      22. ইসলামে বীমা পদ্ধতি
      23. কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন
      24. জমি কাজে লাগাবার নানা উপায়
      25. দ্বিতীয় পন্থা
      26. ভাগে জমি চাষ
      27. ভুল নীতিতে পারস্পরিক চাষাবাদ
      28. নগদ টাকায় জমি লাগানো
      29. নগদ মূল্যে জমি লাগানো নিষিদ্ধ হওয়ার যৌক্তিকতা
      30. পশুপালনে শরীকানা
    3. ক্রীড়া ও আনন্দ
      1. প্রতি মুহূর্তে একই অবস্থা থাকে না
      2. রাসূল তো মানুষ ছিলেন
      3. মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে
      4. জায়েয ধরনের খেলা
      5. দৌড় প্রতিযোগিতা
      6. কুস্তি করা
      7. তীর নিক্ষেপ
      8. বল্লম চালানো
      9. ঘোড় সাওয়ারী
      10. শিকার করা
      11. পাশা খেলা
      12. দাবা খেলা
      13. গান ও বাদ্যযন্ত্র
      14. জুয়া-সুরা-সঙ্গী
      15. লটারীও এক প্রকার জুয়া
      16. সিনেমা দেখা
    4. সামাজিক সম্পর্ক
      1. মুসলমান ভাইর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না
      2. পারস্পরিক সন্ধি সমঝোতাকরণ
      3. অন্যদের বিদ্রুপ করা ঠিক নয়
      4. দুর্নাম করা, দোষী করা
      5. খারাপ উপাধিতে ডাকা
      6. খারাপ ধারণা
      7. দোষ খুঁজে বেড়ান
      8. গীবত
      9. গীবতের অনুমতি-সীমা
      10. চোগলখোরী
      11. মান-সম্মান সংরক্ষণ
      12. রক্তের মর্যাদা
      13. হন্তা ও নিহত উভয়েই জাহান্নামী
      14. চুক্তি সম্পন্ন ও যিম্মী ব্যক্তির রক্ত মর্যাদা
      15. রক্তের মর্যাদা কখন থাকে না
      16. আত্মহত্যা
      17. ধন-মালের মর্যাদা
      18. ঘুষ হারাম
      19. শাসক – প্রশাসকদের জন্যে উপটৌকন
      20. জুলুম বন্ধের জন্যে ঘুষ দেয়া
      21. নিজেদের ধন-মাল অপব্যয় করা
      22. অমুসলিমের সাথে সম্পর্ক
      23. আহলি কিতাবের প্রতি বিশেষ সুবিধা দান
      24. যিম্মি
      25. অমুসলিমদের সাথে সম্পর্কের রূপ
      26. অমুসলমানের কাছে সাহায্য চাওয়া
      27. ইসলাম একটা সাধারণ রহমত
  6. উপসংহার

শিকার

আরব ও ‍দুনিয়ার অন্যান্য জাতিগুলোর বিপুল সংখ্যক লোকই শিকার কার্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন যাবন করছে। এ কারণে কুরআন ও সুন্নাতে এ বিষয়টির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ফিকাহ গ্রন্থ রচয়িতাগণ নিজ নিজ গ্রন্থে এজন্যে স্বতন্ত্র্য অধ্যায় রচনা করেছেন। তাঁরা এর মধ্যে কি হালাল ও কি হারাম, এ ক্ষেত্রে কি ওয়াজিব কি মুস্তহাব, তা বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। এভাবে বিস্তারিত বলার প্রয়োজনও ছিল। কেননা যে সব জন্তু বা পাখির গোশত পবিত্র ও উত্কষ্ট তার অনেক গুলোই এমন যে, তা মানুষের আওতাধীন থাকে না। তা ধরা ও কাবু করাও সহজসাধ্য নয়। কেননা সেগুলো মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত নয়। এ কারণে ইসলাম আয়ত্তাধীন জন্তু প্রাণী যবেহ করার ব্যাপারে গলায় বা গলার নিম্ন দেশে ছুরি চালানোর যে শর্ত আরোপ করেছে, এসব জন্তু-প্রাণী হালাল হওয়ার জন্যে সে ধরনের শর্ত আরোপ করা হয়নি। বরং সেগুলো যবেহ করার জন্যে সহজ পন্থা নির্ধারণ করেছে। এতে করে মানুষের কষ্ট অনেকটা লাঘব করা হয়েছে এবং খাদ্যের ক্ষেত্রে প্রশস্ত করা হয়েছে।

ইসলাম মানুষের স্বাভাবিক প্রয়োজন সমূহের প্রতি পূর্ণমাত্রায় দৃষ্টি রক্ষা করেছে। এ পর্যায়ে যে সব শর্ত আরোপিত হয়েছে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ ইসলামের মৌল বিশ্বাস ও তার বিধান ব্যবস্থা সমূহের কাছে আত্মসমর্পণ করুক। আর একজন মুসলিমকে যেমন সর্ব ব্যাপারে ও ক্ষেত্রে ইসলামের নিয়ামাদি পালন করতে হয়, এক্ষেত্রেও যেন সে ইসলামের নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন করে।

এ পর্যায়ের কতগুলো শর্ত হচ্ছে শিকারকারী সংক্রান্ত, কতগুলো শিকার করা জীব সংক্রান্ত এবং কতকগুলো শিকার কার্য সংক্রান্ত।

এখানে স্থলভাগের প্রাণী শিকার সম্পর্কে বলা হচ্ছে। জলভাগের শিকার সম্পর্কে তো ইতিপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আর তার সারকথা হচ্ছে, কোনরূপ নিষেধ ছাড়াই সব কিছুকে আল্লাহ তা‘আলা হালাল করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে :

(আরবী***************)

সামুদ্রিক শিকার ও সেখানে থেকে পাওয়া খাদ্যই তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। (সূরা মায়িদা : ৯৬)

শিকারী সম্পর্কিত কথা

স্থলভাগে শিকারীর জন্যে সেই শর্ত যা যবেহকারীর জন্যে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে, তাকে মুসলিম হতে হবে অথবা আহলি কিতাব। আহলি কিতাব পর্যায়ে পড়ে এমন লোকের শিকারও খাওয়া যাবে- যেমন দাবি ও মাজুসী।

ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, নিরর্থক শিকার করা অর্থাত্ খাওয়ার উদ্দেশ্য না নিয়ে অথবা অপর কোন সুফল পূর্ণ কাজের উদ্দেশ্যে না রেখে শিকার করা বাঞ্ছনীয় নয়। কেননা বিনা কারণে ও উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রাণী হত্যা করার অনুমতি ইসলাম দেয়ানি। হাদীসে বলা হয়েছে : (আরবী********৯৫***********)

যেলোক কোন পাখি অর্থহীন উদ্দেশ্যহীনভাবে হত্যা করবে, কিয়ামতের দিন তা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে, হে আল্লাহ অমুক লোকটি আমাকে অর্থহীনভাবে হত্যা করেছিল, কোন ফায়দা লাভের জন্যে হত্যা করেনি।

অপর একটি হাদীসে বলা হয়েছে : (আরবী***********************)

যে লোক কোন চড়ুই বা তার বড় কোন পাখি অন্যায়ভাবে হত্যা করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার বিষয়ে নিশ্চয়ই কৈফিয়ত চাইবেন। সাহাবী বললেন হে রাসূল, ওদের আবার কি হক রয়েছে? বললেন : ওদের হক হচ্ছে ওদের যবেহ করে খেতে হবে, ওদের মস্তক কেটে নিক্ষেপ করে দেয়া নয়।

শিকারীর জন্যে আরও শর্ত হচ্ছে, সে যেন হজ্জ কিংবা উমরার জন্যে ইহরাম বাধা অবস্থার লোক না হয়। কেননা ইহরাম বাধা অবস্থায় মুসলিম পূর্ণাঙ্গ শান্তি নিরাপত্তা ও বিপদ মুক্তির অবস্থায অবস্থান করে। এ ব্যাপারে তার ক্ষেত্রে অত্যান্ত প্রশস্ত। তার চারপার্শ্বের সব জীব এবং পাখিরাও পূর্ণ নিরাপত্তা লাভ করে থাকে। এমন কি ইহরাম বাধা মুসলিমের হাতের বা তীরের নাগালের মধ্যেও যদি কোন শিকার এসে যায়, তবুও সে শিকার থেকে বিরত থাকবে। এ হচ্ছে মুসলিমের ধৈর্যের প্রশিক্ষণ পর্যায়ের ব্যবস্থা। তাই কুরআনে বলা হয়েছে : (আরবী***********************)

হে ঈমানদার লোকেরা, আল্লাহ শিকার জাতীয় জিনিস দ্বারা তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করবেন। তোমাদের হাত ও তীর তা নাগালের মধ্যে পেয়ে যাবে। আল্লাহকে অজ্ঞাতসারে কে সে ভয় করে, তা তিনি জানতে চান। এতদসত্ত্বেও যদি কেউ সীমালংঘন করে, তবে তার জন্যে পীড়াদায়ক আযাব রয়েছে।

(আরবী********************)

হে ঈমানদার লোকেরা ! তোমরা ইহরাম বাঁধা থাকা অবস্থায় শিকার করবে না। (সূরা মায়িদা : ৯৫)

(আরবী*******************)

তোমরা যতক্ষণ ইহরাম বাধা অবস্থায় থাকবে, ততক্ষন তোমাদের জন্যে স্থলভাগে শিকার করা হারাম করা হয়েছে। (সূরা মায়িদা:৯৬)

শিকার প্রাণী সম্পর্কিত শর্ত

যে জন্তু বা প্রাণী শিকার করা হবে, সে সম্পর্কে শর্ত হচ্ছে, তা এমন জন্তু বা প্রাণী হবে যাকে ধরে তার গলা বা মজ্জাস্থি (marrow) তে যবেহ করা সম্ভব হবে না। যদি তা সম্ভব হয় তা হলে তা অবশ্যই নির্দিষ্ট নিয়মে যবেহ করতে হবে, তা না করা হলে হালাল হবে না।

যদি তীর নিক্ষেপ করা বা শিক্ষাপ্রাপ্ত কুকুরের দ্বারা শিকার করা না হয়, আর তা এমন অবস্থায় হস্তগত হয় যে, তার মধ্যে এখনও জীবনের স্থিতি রয়েছে তা হলে প্রচলিত নিয়মে গলদেশে যবেহ করতে হবে। কিন্তু যদি তা স্থিতিশীল জীবন নেই, এমন অবস্থায় হস্তগত হয় তাহলে সেটি যবেহ না করাই সঙ্গত। আর যদি তার সেই অবস্থায় সেটিকে মৃত্যুর জন্যে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে কোন গুনাহ হবে না। বুখারী ও মুসলিম এ হাদীস উদ্বৃত হয়েছে :

(আরবী*****************)

তুমি যখন তোমার শিকারী কুকুর পাঠাবে তখনই তার ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে। পরে তা যদি শিকারকে তোমার জন্যে আটকে রাখে আর তুমি সেটি জীবন্ত অবস্থায় হাতে পাও তাহলে তুমি যবেহ করবে।

শিকার করার উপায়

যে সব উপায়ে শিকার করা যায় তা দুধরনের :

১. তীক্ষ্ণ শানিত অস্ত্র, যেমন তলোয়ার, বল্লম ইত্যাদি। কুরআনের আয়াতে এ দিকের ইঙ্গিত পাওয়া যায় :

 (আরবী********)

তা পায় তোমাদের হস্ত এবং তীরসমূহ। (সূরা মায়িদা : ৯৪)

২. শিকারী জন্তু, যাকে শিকার কার্যের জন্যে রীতিমত শিক্ষিত ও ট্রেনিং প্রাপ্ত করা হয়েছে, যেমন কুকুর, বাজ ইত্যাদি। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : (আরবী******************)

তোমাদের জন্যে হালাল করা হয়েছে সব পাক-পবিত্র জিনিস, আর তোমাদের যেসব শিকারী জন্তু ট্রেনিং প্রদত্ত, আল্লাহ তোমাদের যা শিখিয়েছেন তা দিয়ে তোমরাও শিক্ষিত করে তোল………। (সূরা মায়িদা : ৪)

শানিত অস্ত্র দ্বারা শিকার করা

অস্ত্র দ্বারা শিকার করানোর দুটি শর্ত রয়েছে :

প্রথম, অস্ত্রটি শিকারের দেহের মধ্যে এমনভাবে বিদ্ধ হয়ে যাবে যে, এই জখমই সেটির মৃত্যুর কারণ হবে। অস্ত্রের চাপে পড়ে যেন মৃত্যু না হয়। হযরত আদী ইবনে হাতিম (রা) নবী করীম (সা) কে জিজ্ঞাসা করলেন :

(আরবী***************)

আমি ফলা ছাড়া তীর দ্বারাই শিকার করি। আর তা লক্ষ্য ভেদ করে, সেটি খাওয়া কি জায়েয?

রাসূলে করীম (সা) জবাবে বললেন : (আরবী*******************)

যখন তুমি তীর নিক্ষেপ কর, তার ধারালো দিকটা যদি দেহে ঢুকে যায় তাহলে তা খাও। আর যদি পাশাপাশি লাগে ও তার আঘাতে মরে তাহলে তা খাবে না। (বুখারী, মুসলিম)

এ হাদীস থেকে জানা গেল, শিকরীর দেহে ঢুকে পড়াটাই আসল লক্ষ্য। যদি শিকারের মৃত্যু হয় ভারী বোঝার তলায় চাপা পড়ে তাহলে তা খাওয়া জায়েয হবে না। এ হিসেবে বন্দুক ও পিস্তল রিভালবারের গুলী দ্বারা শিকার করা জন্তু হালাল হবে। কোননা এই গুলী দেহভ্যন্তরে তীর, বল্লম, ও তরবারীর তুলনায়ও অধিক শানিত ও গভীরভাবে প্রবেশ করে। এ পর্যায়ে ইমাম আহমদ কর্তৃক উদ্বৃত একটি হাদীস হচ্ছে : (আরবী****************)

বন্দুক দ্বারা শিকার করা জন্তু বা পাখি খাবে না, তবে যবেহ করলে তা খেতে পার। আর বুখারী উদ্বৃত হযরত ইবনে উমর (রা) এর একটি উক্তিহচ্ছে : বন্দুক দ্বারা করা শিকার মওকযা লাঠির আঘাতে মরা জন্তুর মতোই হারাম, এতে বন্দোকা অর্থ মাটির ঢিলা। তা নিক্ষেপ করে শিকার করা জন্তু নিশ্চয়ই হারাম। কিন্তু এখানে বন্দুক বলতে আমরা আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র মনে করছি এবং তার দ্বারা শিকার করা জন্তু অবশ্যই হালার হবে।

বুন্দেকার সাথে সাদৃশ্য সম্পন্ন জিনিস হচ্ছে প্রস্তর খণ্ড বা পাকা ইটের টুকরা। নবী করীম (সা) বলেছেন :

(আরবী*********৯৮***********)

প্রস্তরখণ্ড বাইটের টুকরা দ্বারা শিকার কারা যায় না, শত্রুকেও গভীরভাবে যখম করা চলে না। তবে তাদ্দারা দাঁত ভাঙ্গা যায় ও চক্ষু ফোটান যায়। (বুখারী, মুসলিম)

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, হাতিয়ার নিক্ষেপ করা বা অস্ত্র চালানর সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে হবে। নবী করীম (সা) হযরত আদী ইবনে হাতিম (রা) কে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন। ও বিষয়ে তাঁর বর্ণনা করা হাদীসসমূহ বিশেষ গুরুত্বের অধিকারী।

কুকুর দ্বারা শিকার করা

কুকুর বা বাজ, শিকার ইত্যাদি দ্বারা যখন শিকার করতে চাওয়া হবে, তখন নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পালন করতে হবে :

একটি হচ্ছে, জন্তু বা পাখিটিকে শিকার করার কাজটি রীতিমত শিক্ষা ও ট্রেনিং দিতে হবে।

দ্বিতীয় এই যে, শিক্ষাপ্রাপ্ত জন্তু বা পাখিটী তার মালিকের জন্যে শিকার করবে, নিজের খাওয়ার জন্যে নয়। কুরআনের ইঙ্গিত থেকে তাই বুঝতে পারা যায়।

আর তৃতীয় হচ্ছে, সেটিকে শিকারের উদ্দেশ্য পাঠানোর সময় সেটির উপর বিসমিল্লাহ বলে দিতে হবে।

নিম্নোদ্বৃত আয়াতে এ সব কটি শর্তের কথা বলে দেয়া হয়েছে :

(আরভী******************)

লোকেরা তোমার কাছে জিজ্ঞাস করে তাদের জন্যে কি কি হালাল করা হয়েছে? তুমি বল, তোমাদের জন্যে হালাল করা হয়েছে সব পাক-পবিত্র উত্কষ্ট দ্রব্য এবং যেসব শিকারী জন্তু বা পাখি তোমরা শিখিয়ে পড়িয়ে তৈয়ার করে নিয়েছ শিকার করার জন্যে- ওরা যা তোমাদের জন্যে আটকিয়ে রাখবে তা তোমরা খাও এবং তার ওপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর।

১. শিকারী জন্তু বা পাখি শিক্ষাদানের ব্যাপারটিও সুস্পষ্ট। তা হচ্ছে সেটির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রন কার্যকর করা, নিজ আদেশ মতো সেটিকে পরিচালিত করতে পারা, যখন যেদিকে ইচ্ছা সেটিকে চালিত করতে পারা এবং সেটির সে অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত হওয়া। শিকার করে মালিকের কাছে উপস্থিত করতে অভ্যস্ত হওয়া, মালিকের অনুপস্থিতিতে তার জিনিসপত্রের রক্ষণাবেক্ষণ। করা। মালিক সেটিকে তাড়ালে তাড়িত হওয়া। এ সব শর্ত আরোপের ব্যাপারে কোন কোন ফিকাহবিদের কিছুটা দ্বিমত আছে বটে, কিন্তু মোট কথা হলো, প্রচলিত নিয়মে শিকারী জন্তু বা পাখিকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে।

২. মালিকের জন্যে শিকার রক্ষা করার অর্থ, শিকারী জন্তু বা পাখি শিকারটিকে নিজে খাবে না, মালিকের জন্যে রেখে দেবে। নবী করীম (সা) বলেছেন : (আরবী*******************)

তুমি যখন শিকার করার উদ্দেশ্যে কুকুর প্রেরণ কর, তখন সে শিকার করে তা থেকে যদি কিছু খায়, তাহলে তুমি তা খাবে না। কেননা প্রমাণিত হয়েছে যে, সেটি শিকারকে নিজের জন্যেই ধরে রেখেছে। আর পাঠানর পর শিকার করে যদি নিজে না খায়, তাহলে তুমি তা খেতে পার। কেননা প্রমাণিত হয়েছে যে, সেটি তার মালিকের জন্যে শিকারকে ধরে রেখেছে। (আহমদ)

কোন কোন ফিকাহবিদ শিকারী জন্তু – কুকুর ও শিকারী পাখি যেমন বাজ শিকরার মধ্যে পার্থক্য করেছেন। বলেছেন, শিকারী পাখি যদি শিকার থেকে কিছু খায়ও তবু তা খাওয়া মুবাহ। কিন্তু কুকুর খেলে তা খাওয়া যায়েয নয়।

এই দুটি শর্তে যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে। কুকুরকে শিকার কার্যের জন্যে শিক্ষিত করে তোলা ও তার শিকার করে শিকারটিকে মালিকের জন্যে ধরে রাখা মানুষের উচ্চ মর্যাদার সথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কুকুরের উচ্ছিষ্ট খাবার থেকে মানুষকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যেই এ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কেননা কুকুর শিক্ষাপ্রাপ্ত হলে ও শিকার করে সেটিকে মালিকের জন্যে ধরে রাখলে সেটি এক শিকার যন্ত্র মাত্র, শিকারী শিকার কাজে ব্যবহার করেছে। যেমন শিকারী তীর বল্লম বা বন্দুক চলিয়ে থাকে।

৩. কুকুর পাঠানর সময় বিসমিল্লাহ বলাটা তীর নিক্ষেপ বা বল্লম কিংবা ছুরি চালান করে বিসমিল্লাহ বলার মতোই। কুরআনের আয়াতে তারই নির্দেশ দেয়া হয়েছে : (আরবী*******************)

৪. এ বিষয়ে বহু সহীহ হাদীসও বর্ণিত হয়েছে, যেমন হযরত আদী ইবনে হাতিম (রা) বর্ণিত হাদীসমূহ।

উপরিউক্ত শর্ত থেকে একথাও সুস্পষ্ট হয়ে উঠে যে, প্রেরিত কুকুরটির সাথে অপর কোন কুকুর শরীক হলে এ দুয়ের শিকার খাওয়া হালাল হবে না। হযরত আদী (রা) জিজ্ঞাস করলেন :

(আরবী******************)

আমি আমার কুকুর শিকারের জন্যে পাঠাই, পরে সেটির সঙ্গে দ্বিতীয় একটি অপরিচিত কুকুরও দেখতে পাই, তখন কি করব?

নবী করীম (সা) বললেন : (আরবী***************)

তাহলে তুমি শিকার খাবে না। কেননা তুমি তো বিসমিল্লাহ বলেছ তোমার নিজের প্রেরিত কুকুরটির উপর, অপরটির ওপর নয়। (আর তুমি জান না এ দুটির মধ্যে কোনটি শিকার করেছে?)

তীর নিক্ষেপ করা বা শিকার পাঠানর সময় বিসমিল্লাহ বলতে যদি ভুলে যায়, তাহলে খাওয়ার সময় এই ভুল শুধরে নিলেই চলবে। আল্লাহ দয়া করে মসলিম উম্মতের অনেক ভুল-ভ্রান্তিই মাফ করে দিয়েছেন এবং দেন। এটাই সেই পর্যায়ের গণ্য।

তীর নিক্ষেপের পর শিকার মৃতাবস্থায় পাওয়া

এ রকমটা প্রায় ঘটে ও ঘটতে পারে যে, শিকারী শিকারের উদ্দেশ্যে তীর নিক্ষেপ করল, তা শিকারকে বিদ্ধ করল, পরেতা চোখের আড়ালে পড়ে যায়, হারিয়ে যায়। কিছু সময় পর সেটি মৃত্যু অবস্থায় পাওয়া যায়- কয়েকদিন পর পাওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। এরূপ অবস্থায় কয়েকটি শর্তে শিকারটি হালাল হতে পারে :

১. সেটি যেন পানিতে পড়ে না থাকে। এ পর্যায়ে হাদীস হচ্ছে : রাসূলে করীম (সা) বলেছেন :

(আরবী***********)

তুমি যখন তোমার তীর নিক্ষেপ করলে শিকারকে লক্ষ্য করে তখন সেটি পাও নিহত অবস্থায়, তাহলে তুমি সেটি খাও। তবে যদি সেটিকে পানিতে পড়া অবস্থায় দেখ, তাহলে খাবে না। কেননা শিকারটি তোমার তীরের আঘাতে মরেছে না পানিতে ডুবে মরেছে, তা তুমি জান না।

২. অপর কোন তীরের চিহ্ন তার উপর থাকবে না, যার ফলে জানা যেতে পারে যে, অপর কোন তীরই তার মৃত্যুর কারণ হয়নি। হযরত আদী ইবনে হাতিম (রা) বললেন : (আরবী********************)

ইয়া রাসূল! আমি তো শিকার করার জন্যে তীর নিক্ষেপ করি। পরের দিন সেটি আমি পাই, তার ওপর আমার তীর বিদ্ধ হয়ে আছে।

নবী করীম (সা) বললেন : (আরবী****************)

তুমি যদি নিশ্চিতভাবেই জানতে পার যে, তোমার নিক্ষিপ্ত তীরই ওটিকে মেরেছে এবং তার ওপর কোন হিংস্র জন্তুর কোন চিহ্ন না পাওয়া যায়, তাহলে তুমি তা খেতে পার। (তিরমিযী)

৩. শিকারটা যেন পচেঁ যাওয়ার উপক্রম না হয়। কেননা সুস্থ মানব প্রকৃতি পঁচা জিনিস খেতে ঘৃণা করে। তা ছাড়া তার ক্ষতিকর দিক তো রয়েছেই। মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে : নবী করীম (সা) হযরত আবু সা‘লাবা (রা) কে বললেন :

(আরবী*****************)

তুমি তীর নিক্ষেপ করার পর তা যদি তিনটি দিন অদৃশ্য হয়ে থাকে এবং তার পর তুমি শিকারের খোঁজ পাও, তাহলে তা পঁচে না গেলে তুমি খেতে পার।

Page 4 of 16
Prev1...345...16Next

© Bangladesh Jamaat-e-Islami

  • আমাদের সম্পর্কে
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • যোগাযোগ
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস

@BJI Dhaka City South