প্রত্যাশিত ফলাফল
এ ধরনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পেয়ে যারা তৈরী হবে তাদের ভেতর চিরাচরিত ও গতানুগতিক স্রোতধারাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মত শক্তি থাকবে। তাদের জ্ঞানগর্ভ ও চুলচেরা সমালোচনা সব অ-ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতার ভিতে ধ্বস নামিয়ে দিবে। তাদের উদ্ভাবিত জ্ঞান বিজ্ঞান এত শক্তিশালী হবে যে, আজ যারা জাহিলিয়াতের দৃষ্টিভঙ্গী আঁকড়ে ধরে আছে, তাদেরকে তারা ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গীর দিকে ফিরিয়ে আনবে। তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান বিজ্ঞানের সুফল ইউরোপ, আমেরিকা ও জাপানের মত উন্নত দেশকেও প্রভাবিত করবে এবং বিবেকবান প্রতিটি মানুষ সহাবস্থান থেকেই তাদের এই ধ্যান ধারণাকে গ্রহণ করতে ছুটে আসবে। তাদের বিরচিত জীবন দর্শন ও জীবন পদ্ধতি এমন প্রবলভাবে চিন্তা মতবাদের জগতে প্রভাব বিস্তার করবে যে, বাস্তব বিরুদ্ধ কোন জীবন দর্শনের পক্ষে অস্তিত্ব বজায় রাখাই কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়াও শিক্ষা দ্বারা এমন চরিত্রবান ও কৃতসংকল্প লোক গড়ে উঠবে, নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের জগতে কার্যকর বিপ্লব সৃষ্টির জন্য যাদের প্রয়োজন অপরিহার্য। তারা হবে এ বিপ্লবের সুনিপুণ কৌশলী। এ বিপ্লব সৃষ্টির জন্য তাদের আগ্রহও থাকবে অদম্য। আর এ বিপ্লবী আন্দোলনকে বিশুদ্ধ ও ইসলামী প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে পরিচালনা করার যোগ্যতাও তাদের থাকবে। অবশেষে সফলতার চূড়ান্ত স্তরে পৌছে তারা ইসলামী আদর্শ ও মূলনীতির ভিত্তিতে একটা রাষ্ট্র, একটা পূর্ণাঙ্গ সভ্যতা , কৃষ্টি ও সমাজ ব্যবস্থা সহকারে কায়েম করবে। সে রাষ্ট্রের আকৃতি ও প্রকৃতি হবে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী এবং সারা দুনিয়ার নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা ও ক্ষমতা তার থাকবে।
বাস্তব সমস্যা
এ পর্যায়ে তিনটা কঠোর বাস্তব সমস্যা সামনে এসে দাঁড়ায়। আমার মনে হচ্ছে, আমার এ বক্তব্য শোনার সময়ে এ প্রশ্নগুলো আপনাদেরকে ইতোমধ্যেই বিব্রত করতে শুরু করে দিয়েছে।
পাঠ্যসূচী ও শিক্ষক সংগ্রহ
প্রথম প্রশ্ন হলোঃ এ শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নের উপায় কি? কারণ এই নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষাদানকারী শিক্ষকও যেমন বর্তমানে কোথাও পাওয়া যাবে না, ঠিক তেমনি এই নতুন পরিকল্পনা অনুসারে কোন একটা বিষয় শিক্ষা দেওয়ার মত বই পুস্তকও বর্তমানে কোথাও নেই। বরং একথা বললেও হয়তো অত্যুক্তি হবে না যে, প্রথম শ্রেণীর ছাত্রকেও এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য কোন শিক্ষক বা পাঠ্যপুস্তক বর্তমানে পাওয়া দুষ্কর। এ প্রশ্নের উত্তর হলো, একটা ভবন নির্মাণ করতে যেমন ইট পাকানোর ভাটা তৈরী করতে হয়, তেমনি একটা নতুন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বানানো একান্ত প্রয়োজন, যাতে বিশেষ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের উপযুক্ত শিক্ষক তৈরি করতে পারা যায়। ইটতো এমনি এমনি পাওয়া যায় না। ভাটায় পুড়িয়ে তৈরি করে নিতে হয়। অনুরূপভাবে শিক্ষক রেডিমেড পাওয়া যাবে না, তৈরি করতে হবে। তবে প্রচলিত ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষালাভ করে এমন কিছু লোক বেরিয়েছে যারা হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর মত সহজাত ইসলামী স্বভাব চরিত্রের অধিকারী। তারা বিভিন্ন স্তরে অ-ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষালাভ করেও নিজেদের ঈমান রক্ষা করতে পেরেছেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গী ও জীবন-লক্ষ্য ইসলামী কিংবা সামান্য চেষ্টা সাধনার দ্বারাই খালেছ ইসলামী ভাবাপন্ন করা সম্ভব। জীবনের যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে তারা বিশ্বাসী, তার পথে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করার মত মনোবলও তাদের আছে। গবেষণা তথা ইজতিহাদ করার যোগ্যতাও তাদের মধ্যে বর্তমান। এ ধরনের লোকদেরকে যদি বিশেষ ধরনের নৈতিক ও মানসিক প্রশিক্ষণ দেয়া যায়, যে ধারাক্রমে তাদের মন মগজে এ যাবত বিভিন্ন তত্ত্ব ও তথ্য পুঞ্জিভূত হয়ে আসছে যদি তা একটু কৌশলে পাল্টে দেয়া যায় এবং দৃষ্টিভঙ্গী যদি একটু ভাল করে ইসলামমুখী করা যায়, তা হলে এসব লোকই পড়াশোনা ও চিন্তা-গবেষণা দ্বারা এতটা যোগ্য ও দক্ষ হতে পারে যে, আমার প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুসারে সমস্ত জ্ঞান বিজ্ঞানকে নতুন ধারায় বিন্যস্ত করে সংকলন করতে পারবে। অতঃপর জ্ঞান বিজ্ঞানের এই নবতর বিন্যাস ও সংকলন যখন খানিকটা সম্পন্ন হবে, তখন প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নমুনা স্বরূপ একটা শিক্ষাঙ্গন গড়া যেতে পারে।
ছাত্র সংগ্রহঃ
দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, এ জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়িত করা গেলেও তাতে ছাত্রদের আকর্ষণ করার কি একটা মোহনীয় বিষয় থাকবে যে শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত সভ্যতা ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সেবার করার জন্য নয় বরং তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরী হয়েছে। সে শিক্ষাব্যবস্থায় যারা অংশগ্রহণ করবে তারা কিছুতেই এ আশা করতে পারে না যে, ওখান থেকে শিক্ষা লাভ করে বেরিয়ে তারা কিছু অর্থোপার্জন করতে পারবে। এমতাবস্থায় কজন লোক এমন পাওয়া যাবে যারা অর্থোপার্জনের পরোয়া না করে এমন শিক্ষা গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসবে যে শিক্ষা শেষে পার্থিব দৃষ্টিতে কোন উজ্জল ভবিষ্যত নেই?
এর জবাব হলো, এ শিক্ষা ব্যবস্থার সত্য ও ন্যায়ের মোহিনী শক্তি ছাড়া আর কোন আকর্ষণ নেই এবং এরূপ কোন আকর্ষণের দরকার নেই। যাদের মন এদিকে আকৃষ্ট হয় না, শুধু পার্থিব ভোগ উপকরণই যাদের আকৃষ্ট করতে পারে, তাদের এদিকে আকৃষ্ট না হলেও চলবে। এ শিক্ষা যাদের প্রয়োজন নেই, এ শিক্ষাও তাদের প্রয়োজনের মুখাপেক্ষী হবে না। এর জন্য প্রয়োজন এমন সৎলোকের যারা জেনে বুঝে এই লক্ষ্যে ও এই কাজের জন্য নিজেদের ও নিজেদের সন্তানদের জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত হবে। এ ধরনের লোক একেবারেই বিরল নয়। সারা ভারতবর্ষ থেকে কি পঞ্চাশটা শিশুও এজন্য পাওয়া যাবে না? যে জাতি যুগের পর যুগ ধরে ইসলাম ইসলাম বলে আর্তনাদ করছে সে জাতি কি এ কয়টি শিশুও যোগান দিতে পারবে না! না পারলেও কিছু আসে যায় না। এরূপ হলে আল্লাহ অন্য জাতিকে এ সৌভাগ্য ও সুযোগ দান করবেন। আর যে দেশের মানুষ নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করে তারা যদি ইসলামী শিক্ষার জন্য অল্পসংখ্যক শিশু সংগ্রহ করে দিতে না পারে তা হলেও ক্ষতি নেই। আল্লাহ এ সৌভাগ্য অন্য জাতিকে দিবেন।
অর্থ সংগ্রহের প্রশ্নঃ
সর্বশেষ প্রশ্ন হলো, এ কাজ সম্পাদনের জন্য অর্থ কোথায় পাওয়া যাবে? এর সংক্ষিপ্ত জবাব হলো, যাদের অর্থ আছে, ঈমানও আছে এবং অর্থ ব্যয় করার সঠিক খাত বুঝার মত বিবেক বুদ্ধিও আছে তাদের কাছ হতেই প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া যাবে। যারা দিন রাত ইসলামের জন্য কাতরাচ্ছে তাদের মধ্যে এমন লোকও যদি না পাওয়া যায় তাহলে আমি বলবো তাতেও কোন পরোয়া নেই। আল্লাহ তায়ালা অন্য জাতির মধ্য থেকেই এমন লোক তৈরি করে দিবেন। ইসলামের সোনালী যুগেও তো কুফর ও শিরকের ক্রোড় থেকেই এমন সব আল্লাহর বান্দার উদ্ভব ও আগমন ঘটেছিল, যাদের আর্থিক কুরবানীর বদৌলতে ইসলাম দুনিয়াতে প্রসার লাভ করেছিল। (তরজমানুল কুরআন, শাওয়াল-জিলকদ, ১৩৫৯ হিজরী)।
উচ্চ শিক্ষার ইপ্সিত মান
[মাওলানা মওদূদীর নয়া শিক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত উল্লেখিত ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার মান নির্ণয়ের লক্ষ্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে ১৯৪৪ সনে একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির প্রথম বৈঠক বসে ঐ বছরেরই ১৪ই আগস্ট ভারতের পাঠানকোটে। এই বৈঠকে মাওলানা তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে নমুনা স্বরূপ পাঁচটি বিষয়ের উপর শিক্ষার মান পেশ করেন। নিচে ধারাবাহিকভাবে এগুলো পেশ করা হলো।]
জ্ঞান বা বিদ্যাগত মানঃ
উচ্চ শিক্ষার ফ্যাকাল্টিগুলো নিম্নরূপ হতে পারেঃ
(১) দর্শনঃ ইতিহাস দর্শন-দর্শনশাস্ত্রে মুসলিম দার্শনিকদের বিভিন্ন মতবাদ ও চিন্তাধারা, অ-মুসলিম দার্শনিকদের বিভিন্ন মতবাদ ও চিন্তাধারা, আকীদা বা কালাম শাস্ত্র, সূফীবাদ, যুক্তিবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান, নীতিবিজ্ঞান, তাত্ত্বিকবিজ্ঞান, কুরআনের বিজ্ঞান ও তার সমর্থক হাদীস।
(২) ইতিহাসঃ ইসলামের ইতিহাস, মুসলমানদের ইতিহাস, বিশ্বের প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস, বিপ্লবের ইতিহাস, ইতিহাস দর্শন, সমাজতত্ত্ব (Sociology) , বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক দর্শন, পৌরবিজ্ঞান (Civics) , রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও বিশ্বের শাসনতন্ত্রসমূহ, ইসলামী ইতিহাস দর্শন ও সমাজ দর্শন এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার অধ্যয়ন কুরআন ও হাদীসের আলোকে।
(৩) অর্থনীতিঃ অর্থনীতি শাস্ত্র, বিভিন্ন অর্থনৈতিক মতবাদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মতাদর্শ, দুনিয়ার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, আর্থিক ক্রিয়াকান্ড (Finance) ও ব্যাংকিং ব্যবস্থ (Banking) এবং অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ হতে কুরআন, হাদীস ও ফিকাহ অধ্যয়ন।
(৪) আইনশাস্ত্রঃ আইনের উৎপত্তির ইতিহাস, আইনের বিধান, প্রাচীন ও আধুনিক জাতিসমূহের আইন কানুন, বিচার ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থার মূলনীতি ও তার সংগঠন। এ ক্ষেত্রে ইসলামী দৃষ্টিকোণ হতে কুরআন, হাদীস ও ইসলামী মাযহাবসমূহের আইন কানুন অধ্যয়ন করতে হবে।
(৫) ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানঃ আরবী ভাষা ও সাহিত্য। তাফসীর, হাদীস, ফিকাহ, ইসলামের ব্যবহারিক আইনের ইতিহাস, মুসলিম চিন্তাধারার ইতিবৃত্ত, দুনিয়ার প্রচলিত ধর্মসমূহের তুলনামূলক অধ্যয়ন, বিশ্বের ধর্মসমূহের ইতিহাস, ধর্ম দর্শন, আধুনিক যুগের ধর্মীয় ও নৈতিক আন্দোলনসমূহ এবং পাশ্চাত্যের নাস্তিকতাবাদের ইতিহাস।
নৈতিক ও মানসিক মানঃ
উল্লেখিত বিদ্যাগত ও জ্ঞানগত মান অর্জন করার সাথে সাথে শিক্ষার্থীকে নিম্নলিখিত বুদ্ধিভিত্তিক গুণাবলীতে সজ্জিত হতে হবেঃ
(১) চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গী ও মানসিকতার দিক দিয়ে পূর্ণ ও পরিপক্ক মুসলমান হতে হবে এবং ইসলামের জন্য গোটা দুনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রবল আগ্রহ পোষণ করবে।
(২) ইসলামের গভীর জ্ঞান অর্জন ও স্বাধীন চিন্তা গবেষণা করার (ইজতিহাদ) যোগ্যতা ও দক্ষতা সম্পন্ন হবে। দুনিয়ার বিকারগ্রস্ত সাংস্কৃতিক ও নৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে তার জায়গায় একটা সুস্থ, সুন্দর ও ন্যায়সঙ্গত সাংস্কৃতিক ও নৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যে যোগ্যতা ও প্রতিভার প্রয়োজন, তা তাদের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হতে হবে।
(৩) শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিভিত্তিক ট্রেনিং এমন উন্নতমানের হবে যে, সমসাময়িক পৃথিবী জ্ঞান বিজ্ঞানে তাদের বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।
(৪) কুরআন ও হাদীসে যে সমস্ত চারিত্রিক দোষকে কাফের, ফাসেক ও মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং যাকে ঈমানের পরিপন্থী, ইসলামের বিরোধী এবং সুস্থ ও ন্যায় নীতি ভিত্তিক সমাজের জন্য অশোভন বলে অভিহিত করা হয়েছে, তা থেকে তারা হবে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। পক্ষান্তরে তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে এমন সব নৈতিক গুণাবলীর লালন ও সমাবেশ ঘটানো চাই, যা কুরআন ও হাদীসে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের, পরহেজগারদের, সত্যবাদীদের, নেককারদের, মুমিনদের, সৎকর্মশীলদের, সফলকাম ও কামিয়াব লোকদের বৈশিষ্ট্য বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
(৫) তাদের চরিত্র ও মনোবল এমন বলিষ্ঠ হবে যে, তারা দুনিয়ায় নিজের পায়ে ভর করেই দাঁড়াতে পারবে। তাদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রেই টিকে থাকার ক্ষমতা থাকবে, কোন ক্ষেত্রেই পরাভব স্বীকার করবে না। তারা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার পথ করে নিতে সক্ষম হবে এবং কঠোর পরিশ্রম দ্বারা যে কোন পরিবেশে নিজেদের জীবিকা উপার্জনের যোগ্যতা তাদের থাকবে।
এ হলো আমাদের পরিকল্পিত নয়া শিক্ষা ইমারতের উপরের গাঁথুন (Super Structure)। শেষ পর্য্যন্ত আমাদের এই ইমারতই নির্মাণ করতে হবে। এই বিশাল প্রাসাদকে ধরে রাখার জন্য যে মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, তাতে নিঃসন্দেহে নিম্নলিখিত বিভাগগুলোর জ্ঞানগত প্রস্তুতি অপরিহার্য হবে।