ইসলামের অর্থনীতি
মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)
স্ক্যান কপি ডাউনলোড
‘ইসলামের অর্থনীতি’ সম্পর্কে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তদানীন্তন অধ্যক্ষ ডক্টর এম. এন. হুদার অভিমত
—ইসলাম সম্বন্ধে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠদাবি এই যে, ইসলাম শুধুমাত্র আত্মার কল্যাণকামী ধর্মই নয়- ইসলাম গোটা মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের সুস্পষ্ট ও সর্বাত্মক ইশারা। ইসলামী মোনাজাতের প্রথমকথাদুনিয়ার মঙ্গল, আখিরাতের মঙ্গলের কথা পরে।
মানুষের পার্থিব কল্যাণ অনেকখানি নির্ভর করে সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থার, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর। আজকের জিজ্ঞাসু মানুষ তাই প্রত্যেক সামাজিকবাণিজ্যিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বিচারকরতে চায় এই মাপকাঠি দিয়ে যে, সে ব্যবস্থা কতখানি পার্থিব কল্যাণ আনচে মানুষের জন্যে, মানুষের পার্থিব উন্নতির পথ কতখানি সুগম হতে তাতে, আর সেই উন্নতির সুফল কতখানি আসবে সবারই ভোগে।
আজ তাই চরম পরীক্ষা এসেছে প্রত্যেক সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার। যেদুটি প্রধান ব্যবস্থা আজ দুনিয়ায়চালু তার কোনটাতে মানুষ সুখী হতে পারছে না। তার মন চাইছে নূতন পথের সন্ধান- যে পথে থাকবে না বর্তমান ব্যবস্থাদ্বয়ের গলদগুলো। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, ইসলামে সে ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আজ শুধু বিশ্বাসকে সম্বল করলেই আমাদের চলবে না। ইসলামের সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল সূত্রগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে মেজে ঘষে দুনিয়ারসামনে তুলে ধরতে হবে আর দেখাতে হবে, কেমন করে আজকের শিল্প-বাণিজ্য –যন্ত্র-কেন্দ্রিকসভ্যতাতেও শুধুমাত্র ইসলামই মানুষের কল্যাণকামী পথের সন্ধান দিতে পারে।
এ এক বিরাট দায়িত্ব, এদায়িত্ব পূরণের পথে জনাব মুহাম্মদ আবদুর রহীম সাহেবের ‘ইসলামের অর্থনী’ এক বিশ্টি পদক্ষেপ। আবদুর রহীম সাহেব বিশেষ কৃতিত্বের সহিত ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তাকে আমাদের মোবারকবাদ। ……
(স্বাঃ) মীর্জা নুরুল হুদা
অধ্যক্ষ, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬ সন)
উৎসর্গ বিদগ্ধ সমাজের হাতে
প্রসঙ্গ কথা
অর্থনীতি মানব জীবনে একটি মৌলিক ওগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুনিয়ায় জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয সামগ্রীআহরণ, সর্বশ্রেণী মানুষের মধ্যে উহার সুষম বন্টন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মিটানোর জন্য প্রয়োজন একটি বলিষ্ঠ অর্থনীতি। কিন্তু মানুষের কাংক্ষিত এই অর্থনীতিটি পাওয়া যাবে কোন্ সূত্র হইতে অথব কে-ইবা উহা রচনা করিয়া দিবে মানব জাতিকে? যুগ যুগ ধরিয়া এই মূল প্রশ্নে বিতর্কচলিয়া আসিতেছে মানব সমাজে।
অবশ্য মানুষ শুধু বিতর্কে লিপ্ত হইয়াই ক্ষান্ত হয় নাই; বরং প্রয়োজনের তাগিতে সে নিজেই নানারূপ অর্থনীতি রচনা করিয়া লইয়াছে। তন্মধ্যে ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র এই দুইটি অর্থনীতিই বর্তমানে দুনিয়ায় বেশির ভাগ অঞ্চলে প্রচলিত রহিয়াছে। দীর্ঘকাল ধরিয়া এই দুইটি অর্থনীতির মধ্যেই মানুষ তাহার সকল চাওয়া ও পাওয়ার সন্ধান করিয়া আসিতেছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হইল: এই দুই অর্থনীতির কোনটিই মানুষের প্রকৃত দাবি পূরণ করিতে পারিতেছে না। একটি সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ নির্মাণে এই দুইটি অর্তনীতিই সমান ব্যর্থতার পরিচয় দিয়াছে।
ধনতন্ত্র সমাজে ব্যক্তিকে অসাধারণ গুরুত্ব প্রদান করিয়াছে। ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষা করিতে গিয়া সমষ্টির স্বার্থকে সে নির্মমভাবে জলাঞ্জলি দিয়াছে। পক্ষান্তরে সমাজতন্ত্র সমষ্টিরস্বার্থকেই সর্বক্ষেতে বড় করিয়া দেখিয়াছে। সমষ্টির স্বার্থরক্ষার নামে সে ব্যক্তির স্বার্থকে নিষ্ঠুরভাবে পদদলিত করিয়াছে। এই দুই প্রান্তিকধর্মী দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রে কোনটিই মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ সাধনে এতটুকু সফলকাম হয় নাই; বরং এই দুই অর্থনীতির অধীনেই মানব জাতি নিগৃহীত হইয়াছে সমানতালে। সমাজের মুষ্টিমেয় ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী লোককে লুটপাটের সুবিধা প্রদান ছাড়া এই দুই অর্থনীতি সাধারণ মানুষকে কিছুই দিতেগ পারে নাই। এ কারণেই দুনিয়ার মানুষ তাহাদের আশা-আকাংক্ষা পূরণের উপযোগী একটি তৃতীয় অর্থনীতির জন্য অধীর আগ্রহে প্রহর গুণিতেছে সুদীর্ঘকালহইতে।
ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন দর্শন। অর্থনীতিস্বভাবতই ইহার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই সোনালী যুগে ইলামের সমাজ ও রাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সঙ্গে ইহার অর্থনীতিও গণ-মানুষকে মুক্তি ও কল্যাণের পথ-নির্দেশ করিয়াছে। রাসূলে করীম (স) ও খুলাফায়ে রাশেদীন মানুষের সামনে ইসলামী অর্থনীতির বাস্তব নমুনা তুলিয়া ধরিয়াছেন অত্যন্ত সতর্কভাবে। কিন্তু সোনালী যুগের পর ইসলামের সমাজ ও রাষ্ট্রনীতর ন্যায় ইহার অর্থনীতিও হারাইয়অ গিয়াছে বিস্মৃতির অতল গহবএর। রাজতন্ত্রেরসর্বনাশা অভিশাপ মানব জাতিকে বঞ্চিত করিয়াছে ইসলামী সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থনীতির অপরিমেয় কল্যানকারিতা হইতে।
কিন্তু এতৎসত্ত্বেও ইসলামী সমাজ,রাষ্ট্র ও অর্থনীতির আবেদন এতটুকু ফুরাইয়া যায় নাই; বরং মানব রচিত মতবাদহগুলি, বিশেষত ধনতন্ত্র ও সমাজতন্দ্রের অনিবার্য ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে ইসলামী অর্থনীতি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাইয়াছে প্রচণ্ডভাবে। বিশেষত ঊনবিংশ শতাব্দীর ইসলামী নব জাগৃতির পরিণতিতে মানুষের কাংক্ষিত তৃতীয় অর্থনীতি হিসেবে ইসলামী অর্থনীতির ব্যাপারে একটা অদম্য কৌতূহল লক্ষ্য করা গিয়াছে বর্তমান শতকের শুরু হইতেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে কৌতূহল নিবারণের জন্য যথোচিত উদ্যম ও প্রয়াস লক্স্য করা যায় নাই মুসলিম পণ্ডিত ও চিন্তাবিদদের মধ্যে; বরং তাদের কেহ কেই প্রচলিত অর্থনীতির দেহে ইসলামের রংচড়াইয়া উহাকেই ইসলামী অর্থনীতি নামে চালানোরে একটা ব্যর্থ প্রয়াস পাইয়াছেন নেহায়েত অনাকাংক্ষিতভাবে।
এই প্রেক্ষিতে ও প্রেক্ষাপটে ইসলামের অর্থনীতি সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ও প্রামাণ্য বক্তব্য উপস্থাপনের মানসে পঞ্চাশ দশকের গোড়ার দিকে অত্যন্ত সাহসিকতার সহিত আগাইয়া আসেন এ শতকের অন্যতমম শ্রেষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক আল্লামা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ)। প্রায় অর্ধ যুগব্যাপী নিরন্তন সাধনা ও গবেষণার ফসল হিসাবে ১৯৫৬ সনে তিনি বাংলাভাষী জনগণের কাছে উপস্থাপনকরেন ‘ইসলামের অর্থনীতি’ নামক এই অতুলনীয় গ্রন্থটি। কোন ভাসাভাসা ও গতানুগতিক আলোচনা কিংবা প্রচলিত অর্থনীতির দেহে ইসলামের রং চড়ানো নয়, বরং আধুনিক অর্থনীতির আলোকে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ হইতে ইসলামী অর্থনীতির মূল সূত্রগুলি তিনি পরম যত্নের সহিত তুলিয়া ধরিয়াছেন এই মুল্যবান গ্রন্থে। বিশেষত, সুদ-ভিত্তিক অর্থনীতির এই যুগে সুদমুক্ত অর্থনীতির প্রবর্তন এবং জন্মনিরোধের ন্যায় আত্মঘাতি কর্মপন্থা ছাড়াইএ যে জনসংখ্যাসমস্যার সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব, তাহা এই গ্রন্থে তিনি প্রমাণ করিয়াছেন অকাট্যভাবে। বলা বাহুল্য, বাংলাভাষায় ইসলামী অর্থনীতি সংক্রান্ত আলোচনায় এই গ্রন্থটিই হইতেছে একমাত্র পথিৃত এবং সর্বাধিক প্রমাণ্য ও সমৃদ্ধ দলীল। বিগত চার দশক যাবত এই গ্রন্থটিই সমাদৃত হইয়া আসিতেছে ইসলামের অর্থনীতি সংক্রান্ত শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পাঠগ্রন্থ হিসেবে।
বিগত এক চল্লিশ বৎসরে এই গ্রন্থটির ছয়টি সংস্করণ প্রকাশিত হইয়াছে এবং প্রতিটি সংস্করণই আশাতীত পাঠকপ্রিয়তা লাভকরিয়াছে। এজন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে অজস্র শোকরিয়া জ্ঞাপন করিতেছি। গ্রন্থটির বর্তমান সংস্করণের অঙ্গসজ্জা ও মুদ্রণ পারিপাট্যকে অধিকতর উন্নত করার জন্যে যথাসাধ্য উদ্যোগ নেওয়া হইয়াছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বিদগ্ধ পাঠক মহলে এ সংস্করণটি পূর্বাপেক্ষা অধিকতর সমাদৃত হইবে এবং বাংলার এই জমীনে ইসলামী সমাজ, রাষ্ট্রও অর্থনীতি কায়েমের লক্ষ্যে তাহাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনার সঞ্চার করিবে।
মহান আল্লাহ গ্রন্থকারের এই অসামান্য খেদমত কবুল করুন এবং তাঁহাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চতম মর্যাদা দিন, ইহাই আমাদের সানুনয় প্রার্থনা।
ঢাকা: ৫ এপ্রিল, ১৯৯৭
মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
চেয়ারম্যান, মাওলানা আবদুর রহীম ফাউন্ডেশন
চতুর্থ সংস্করণে গ্রন্থকারের বক্তব্য
আমার লিখিত ‘ইসলামের অর্থনীতি’ বইটির চতুর্থ সংশোধিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ সুধী পাঠকদের হাতে তুলিয়া দিতে পারিয়া আমি মহান আল্লাহর অশেষ শোকার আদায় করিতেছি। ইহা যে সম্ভব হইল- সত্য বলিতে কি- তাহা আমার জন্যও একটি বিস্ময়ের বিষয়। কেননা গ্রন্থ প্রণয়ন এক কথা, আর উহা প্রকাশনা সম্পূর্ণ ভিন্ন ও বিরাট ব্যাপার।
এই বইর প্রথম সংস্করণ যদিও আমি নিজে প্রকাশ করিয়াছিলা, তাহা আজ হইতে ৩৩ বৎসর আগের কথা। কিন্তু বর্তমানে বই প্রকাশনার জন্য প্রয়োজনীয় মুলধন সংগ্রহ করা আমার জন্যে অকল্পনীয়। তাহা সত্ত্বেও আল্লাহতা’আলা অভাবিত উপায়ে এই সংস্করণটির প্রকাশ সম্ভব করিয়া দিয়াছেন।
আমার বহু কয়টি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশক না পাওয়ার কারণে নূতন করিয়া প্রকাশিত হইতে পারিতেছে না, এই বিষয়ে স্নেহাস্পদ মাওলানা মতীন সোনালী পেপার এ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড কোম্পানীর ম্যানেজিং ডাইরেকটর জনাব আলহাজ্জ খান মুহাম্মদ ইকবালকে অবহিত করেন। তিনি বইগুলি দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। প্রায় সব কয়টি বই দেখিয়া তাৎক্ষণিকভাবে ‘ইসলামের অর্থনীতি’ প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ তাহার পরিচালিত কারখানা হইতে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
জনাব ইকবালের সহিত আমার কখনই সাক্ষাৎ হয় নাই, টেলিফোনে কয়েকবার কথা হইয়াছে মাত্র। তিনি আমার সাক্ষাৎ না পাইয়াও বই প্রকাশের জন্য নিজ হইতেই কাগজ দান দ্বীন-ইসলামের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রচারে যে সহযোগিতা করিনে তাহা মহান আল্লাহর নিকট একটি বড় অবদান বলিয়া স্বীকৃত হইবে, আশা করি। আমি তাঁহার প্রতি কোনরূপ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া তাহার এই সহযোগিতাকে খাটো করিতে চাহি না। তবে তাহার সার্বিক কল্যাণের জন্য আমি মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করিতেছি। অকপটে স্বীকার করিতেছি যে, ইহা এক বিরল দৃষ্টান্তের ঘটনা।
বইটির বর্তমান সংস্করণ সংশোধিত ও নূতন বিষয়ে সংযোজিত হওয়ার পূর্বাপেক্ষা অধিক সমৃদ্ধ হইা সুধী পাঠকদের নিকট উপস্থিত হইল। ইহাতে তাহারা ইসলামী অর্থনীতির সহিত তুলনামূলক অধ্যয়নেরও বিরাট সুযোগ পাইবেন, তাহা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
পূর্ববর্তী তিনটি সংস্করণের ন্যায় এই সংস্করণটি সুধীবৃন্দের নিকট সমাদৃতহইবে, এই আশা আমি আন্তরিকভাবেই পোষণ করিতেছি।
মুহাম্মাদ আবদুর রহীম
মোস্তফা মনযিল
২০৮, নাখাল পাড়া
সূচীপত্র
অর্থনীতির গোড়ার কথা
অর্থনীতির সংজ্ঞা ও পরিচয়
মানব জীবনের অর্থনীতির গুরুত্ব
চিন্তার বিপর্যয়
অর্থনীতির মৌলিক বৈশষ্ট্য
পুঁজিবাদ ও কমিউনিজম
পুঁজিবাদ
কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্র
ইসলামী জীবন ব্যবস্থার ভিত্তি
উৎপাদনের উৎস ও উপকরণ
উৎপাদনের উৎস
প্রাকৃতিক উপাদান
পশুর অর্থনৈতিকমূল্য
পাখীর অর্থনৈতিকমুল্য
মৌমাছি ও গুটিপোকা পালন
বন-জংগল
কৃষিকার্য ও বাগান রচনা
প্রস্তর ও খনিজ সম্পদ
সমুদ্র সম্পদ
বায়ু বিদ্যুৎ ও বৃষ্টি
শিল্প
মৃৎশিল্প
বয়ন শিল্প
চর্মশিল্প বা ট্যানারী
পরিবহন ও যানবাহন
ব্যবসায় বাণিজ্য
শ্রম ও উপার্জনের অধিকার
মূলধন
অর্থোৎপাদনের পন্থা
ধন-সম্পদের মালিকানা
প্রয়োজনীসম্পদের প্রকারভেদ
প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার নীতি
রাষ্ট্রায়াত্তকরণ ও ব্যক্তিগত মালিকানা
জাতীয়করণ নীতির অবৈজ্ঞানিকতা
জাতীয় মালিকানা ও সাম্যবাদ
রাষ্ট্রীয়করণ নীতির ব্যর্থতা
ইসলামী অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত
মালিকানার অবকাশ
ব্যবহারাধিকার হিসাবে মালিকানা
লাভের উপয়
ব্যক্তি মালিকানার নিরাপত্তা
ব্যক্তিগত মালিকানায় সরকারী হস্তক্ষেপ
ব্যক্তিগত মালিকানা সীমিতকরণ
শিল্পনীতি
মুলধন বিনিয়োগের পন্থা
যৌথ কারবার
অর্থনৈতিক সংগঠন
কর্মসংস্থান
শ্রম-শ্রমিক ও মজুরী সমস্যা
শ্রমিকের মর্যাদা
মজুরী সমস্যা
মজুর ও মালিকের সম্পর্ক
মজুর ও মালিকের সাম্য
শ্রমিকদের অধিকার
শ্রমিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
পারস্পরিক দ্বন্দ্বে সরকারী হস্তক্ষেপ
সরকারী নিয়ন্ত্রণ
মুনাফা ও শিল্পপণ্যে মজুরেরঅংশ
সমাজতান্ত্রিক দেশ ও ইসলামী সমাজের মধ্যে পার্থক্য
বধ্যতামূলক শ্রম
কমিউনিস্ট চীন
বাড়তি মূল্য ও ইসলামী অর্থনীতি
যান্ত্রিক উৎপাদনও ইসলামী অর্থনীতি
যন্ত্র শিল্পের সমস্যা ও উহার সমাধান
ভূম-ব্যবস্থা
ইসলামী অর্থনীতিতে জমির গুরুত্ব
জমির মালিকানা
ভূমির ভোগাধিকার লাভের ইসলামী নীতি
জমির মালিকানা লাভ
দ্বিতীয় খলীফার ভূমিনীতি
সারকথা
ইসলামী অর্থনীতিতে ভূীমস্বতের স্বরূপ
পারস্পরিক কৃষিনীতি
সরকারী পর্যায়ে জমি বন্টন
নবী করীম (স) ও খুলাফায়ে রাশেদুনের আমলে জমি বন্টন নীতি
ভূমি উন্নয়ন ও বন্টন
ধন-বিনিময়
ধন-বিনিময়ের ভুল পন্থা
পণ্যদ্রব্য পরিমাপের অসাধুতা
লাভের আশায় পণ্য মওজুদ
রেশনিং প্রথা
ধন-বিনিময়ের বিবিধ ব্যবস্থাঃ মুদ্রা
মুদ্রার গুরুত্ব
আন্তর্জাতিক মুদ্রা
মুদ্রাজাল প্রতিরোধ
প্রতিশ্রুতি-পত্র
হাওয়ালা
চেক
ধন-বন্টন
ধন-ব্যয়
ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অর্থব্যয়
নিকটাত্মীয়দের জন্য অর্থব্যয়
সামাজিক প্রয়োজনে অর্থব্যয়- যাকাত
সাধারণ দান
মীরাসী আইন
মীরাসী আইনের মূলনীতি
অসিয়ত
মীরাসী আইনের গুরুত্ব
মীরাসী আইনের তুলনামূলক আলোচনা
একটি আশংকার জওয়াব
মীরাস না পার প্রশ্ন
ইসলামী সাম্যের তাৎপর্য
অর্থনৈতিক অসাম্য
অর্থনৈতিক অসাম্য কেন
অর্থনৈতিক অসাম্য যুক্তি ও কল্যাণ দৃষ্টির উপর ভিত্তিশীল
ইসলামের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি
রাষ্ট্রীয় আয়
রাজস্বের সংজ্ঞা
প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ কর
ইসলামী রাষ্ট্রের আয়ের উপায়
নবী করীম (স) এবং খুলাফায়ে রাশেদুন কর্তৃক নির্ধারিত কর
ভূমি রাজস্ব
ওশর ও ওশরের অর্ধেক
খারাজ
বিভিন্ন সম্পদে এক-পঞ্চমাংশ
একাধিকারভুক্ত ব্যবসায়ে রাজস্ব
বন-সম্পদের আয়
সামুদ্রিক সম্পদের আয়
মালি
যাকাত ও সাদকা
সাদকায়ে ফিতর
জিজিয়া কর
জিজিয়ার অর্থনৈতিক মূল্য
আমদানী শুল্ক
আমদানী শুল্কের পরিমাণ
জরুরী পরিস্থিতিতে কর ধার্যকরণ
সামরিক কর
সরকারী ঋণ
সরকারী ঋণের প্রকারভেদ
রাষ্ট্রীয় ব্যয়
ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য
কুরআনের নির্দিষ্ট ব্যয়ের খাত
বেকার শ্রমজীবি ও রুজীহীনদের সামাজিক নিরাপত্তা
মজুর শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা
অক্ষম লোকদের সামাজিক নিরাপত্তা
যাকাত বিভাগের কর্মচারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা
মুসলিমদের সংরক্ষণ ব্যবস্থা
ক্রীতদাসদের মুক্তিবিধান
ঋণ মুক্তির স্থায়ী ব্যবস্থা
বিনা সুদে ঋণদান
ইসলারেম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা
নিঃস্ব পথিকদের পাথেয় সংস্থান
কুরআনে অবর্ণিত ব্যয়ের খাত
বায়তুলমালের ব্যয়
রাষ্ট্রপ্রধানের বেতন
রাষ্ট্র-প্রধানের বেতনের হার
সরকারী কর্মচারীদের বেতন
লা-ওয়ারিশ শিশুসন্তান প্রতিপালন
কয়েদী ও অপরাধীদের ভরণ পোষণ
ক্ষতিপুরণ দান
অমুসলিমদের আর্থিক নিরাপ্তা
বায়তুলমাল
বায়তুলমালের সূচনা
বায়তুলমাল হইতে জনগণের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান
বায়তুলমাল ও খলীফাতুল মুসলেমীন
বায়তুলমাল হইতে বিনাসুদে ঋণদান
উৎপাদনী ঋণ
ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংক
আধুনিক ব্যাংক-ব্যবস্থার মারাত্মক দোষ
ইসলামী ব্যাংক বৈদেশিক বিনিময় ও ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের পরিকল্পনা
ব্যাংকে অর্থ জমাদানকারীদের অবস্থা
বিনিয়োগকারীদের অবস্থা
শিল্প কর্মে অর্থ বিনিয়োগ
ব্যবসায় ও বাণিজ্যে মূলধন বিনিয়োগ
বিল অব এক্সচেঞ্জ-এ অর্থ বিনিয়োগ
কৃষি লোনে অর্থ বিনিয়োগ
মূলধনের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ব্যক্তিগত প্রয়োজন ঋণদান
ইসলামী রাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
বৈদেশিক বিনিময় ও ইসলামী ব্যাংক
উন্নয়ন
পরিকল্পনা
অর্থনৈতিক দৃষ্টিতে যাকাত
কৃষি উৎপন্ন ফসলের যাকাত
ব্যক্তিগত মূলধনের যাকাত
সরকারী ঋণে নিযুক্ত টাকার যাকাত
গৃহপালিত পশুর যাকাত
যাকাতের পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা
যাকাত ব্যয়ের পরিকল্পনা
স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা
জমি খরিদের দাম
কারখানা স্থাপন
ব্যবসায়ের পুঁজি সংগ্রহ
ব্যক্তিগতভাবে দান
অন্যান্য সাদকা
শরীকানা ব্যবসায়
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গোড়ার কথা
দেশীয় শিল্পপণ্য বিক্রয়
আমদানী ও রফতানী
বিলাস দ্রব্যের আমদানী
আমদানী নীতি
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য
যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল
বিলাস-দ্রব্যের আমদানী
ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব
বৈদেশিক বাজার হইতে পণ্য ক্রয় বিদেশে হইতে পণ্য ক্রয়ে সুদী লেনদেন
আন্তর্জাতিক মুদ্রা
আন্তর্জাতিক মুদ্রার গুরুত্ব
পণ্য বিনিময়
আন্তর্জাতিক মুদ্রার ক্ষতি
পারস্পরিক সাহায্য সংস্থা
পুঁজি ও শ্রমের সংঘর্ষ প্রতিরোধ
কারবারী ইন্সিওরেন্সের জন্য পারস্পরিক সাহায্য সংস্থা
স্বল্পমেয়াদী ব্যবসায়ী ঋণের ব্যবস্থা
যৌথ কৃষিকার্যের জন্য পারস্পরিক সাহায্য
কৃষি সংক্রান্ত দুর্ঘটনার প্রতিরোধ
কুটির শিল্প প্রসারকল্পে সাহায্য সংস্থা
অভাবী লোকদের সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষকতা
পারস্পরিক সাহায্য-সংস্থায় ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব
জনসংখ্যা সমস্যা
ম্যালথুস ও অন্যান্য পন্ডিতদের মতবাদ
অর্থনীতির দৃষ্টিতে ম্যালথুসর মতবাদ
জনসংখ্য সমস্যা ও ইসলাম
জনসংখ্যা সমস্যা ও প্রাচুর্যের পৃথিবী