থার্ড মিলিনিয়াম, উন্নয়ন ও বিশ্ব
একটা বই হাতে এসেছে। নাম “Threshold 2000”, আসন্ন ‘গ্লোবাল এজ’ এ যে ক্রিটিক্যাল ইস্যুগুলো আসবে এবং স্পিরিচ্যুয়াল ভ্যালুর ক্ষেত্রে যে সমস্যা দেখা দিবে, সে বিষয়েই বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিলিনিয়াম ইনস্টিটিউট’।
দু’হাজার সাল শুরু হবার সাথে সাথে তৃতীয় ‘মিলেনিয়াম’ এর যাত্রা আরম্ভ হয়ে গেছে। এই সাথে বিগত দুই মিলিনিয়ামের ইতিহাস এবং তার সাফল্য ব্যর্থতার চিত্র সামনে রেখে তৃতীয় ‘মিলিনিয়াম’ এর ছবি আঁকার কাজ সাড়ম্বরে শুরু হয়েছে সেই সাথে ‘থ্রেশোল্ড ২০০০’ এ ধরনেরই একটা কাজ।
প্রথমে বইটিতে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে তৃতীয় মিলিনিয়ামের সম্ভাব্য ছবির উপর চোখ বুলানো হয়েছে। তারপর উত্তরাধিকারমূলক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর ওপর দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। আসছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতে মানবজাতির অগ্রাধিকার কি হবে তার ওপর এসেছে একটি অধ্যায়। পরবর্তী অধ্যায়টি ঐতিহ্যবাহী ধর্মসমূহের ভূমিকার ওপর। উপসংহারমূলক আরও দুটি অধ্যায় এরপর রয়েছে।
রাজনীতি আসলে শাসনদন্ড এর বাইরে আর কিছু নয়। শাসনের যা উপজীব্য, যার জন্য শাসন, সেটাই প্রকৃতপক্ষে মূল বিষয়। এ মূল বিষয়কে আমরা ‘অর্থনীতি’, ‘বিশ্বাস’ বা ‘আদর্শ’ ইত্যাদি নামে ডাকতে পারি। ‘থ্রেশোল্ড ২০০০’ গ্রন্থের লেখকদের ধন্যবাদ যে তারা বিষয়টি বুঝেছেন। তাদের গ্রন্থে এই দুটি বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
ক্রিটিক্যাল বিষয়সমূহের ওপর আলোচনার শুরুতেই তাঁরা স্বীকার করেছেন, চলমান বিশ্ব অর্থনীতি ব্যর্থতা বরণ করেছে। ষাটের দশকের শুরুতে বিশ্বের জন্য যে উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছিল তা কার্যত আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাঁরা লিখেছেন, “When the United Nations Launched the First Development Decade in the 1960s, there was high hope that the nations of the world would move forward in joint efforts to create international system and structure that address the urgent needs of the emerging nations of Asia, Africa and Latin America while assuming the continued growth of the market oriented industrialized economies…… Now, for development decade later, there is still evidence that the numerous development plans and strategies embraced over the years have done nothing to improve significantly the situation of the poor of the world or to enhance the prospects of the whole community life on the Earth. On the contrary as we look around today, the struggle for life seems all the more perilous.”
অর্থাৎ জাতিসংঘ ষাটের দশকে যে উন্নয়ন অভিযানের যাত্রা শুরু করেছিল তা নিয়ে বড় আশা ছিল যে, পৃথিবীর জাতিগুলোর যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও অবকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার জরুরী প্রয়োজন পূরণ করে সামনে এগিয়ে যাবে এবং সেই সাথে ধরে রাখবে শিল্পোন্নত অর্থনীতির অব্যাহত প্রবৃদ্ধি। কিন্তু আজ চার দশকের উন্নয়ন যাত্রার পর দেখা যাচ্ছে, এই দীর্ঘ সময়ে বাস্তবায়িত অসংখ্য পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল পৃথিবীর দরিদ্রদের অবস্থার উন্নয়ন অথবা বৃহত্তর সমাজের জীবনমান উন্নয়নের সম্ভাবনা সৃষ্টিতে উল্লেখের মত কোন অবদান রাখে নি। বরং চারপাশে তাকালে দেখা যাচ্ছে, জীবন সংগ্রামকে আরো বিপজ্জনক করে তোলা হয়েছে।
মূল্যবান এই স্বীকৃতি খুবই কম লোকদের কলম হতে এসেছে। ‘থ্রেশোল্ড ২০০০’ গ্রন্থের লেখক ‘জেরাল্ড ও বার্নি’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর জন্য তৈরি `Global 2000 Report’ প্রকল্পের পরিচালক এবং ‘মিলিনিয়াম ইনস্টিটিউট’ এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক। তার দু’জনসহ লেখক জেন ব্লেওয়েট এবং ক্রিস্টেন আর, বার্নি যথাক্রমে `earth community centre` ও ‘মিলেনিয়াম ইনস্টিটিউট’ এর নির্বাহী পরিচালক ও রিসার্চ এসোসিয়েট।
জাতিসংঘ পরিকল্পিত চলমান বিশ্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে হতাশা তুলে ধরার পর তাঁরা বলেছেন, সবগুলো সমস্যাই একটা অন্যটার সাথে সম্পর্কিত। সব সমস্যাকে এক সমস্যা হিসেবে দেখে এর সামাধান করতে হবে। তাঁরা লিখেছেন “What we really have is a poverty hunger habitat-energy-trade-population-atmosphermic-waste-resource-problem.” তাদের মতে এ এমন এক সমন্বিত সমস্যার নাম ১৯৭০ সালের পূর্ব পর্যন্ত যার পরিচয়ই জানা ছিল না। ১৯৭০ সালে ড. আরলিও পিসি প্রথমবারের মত এই সমন্বিত সমস্যাকে `Global Problematique` নামে চিহ্নিত করে। অর্থাৎ সমস্যা যেমন সমন্বিত, তেমনি তা গ্লোবালও হয়ে দাঁড়াল। এর অর্থ সব সমস্যার সমাধান সমন্বিত ভিত্তিতে করতে হবে এবং তা করতে হবে বিশ্বভিত্তিতে। যেখানে জাতীয়ভিত্তিক পৃথক কোন বিবেচনার স্থান নেই। জাতীয় বিবেচনার এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ বিষয়ে এখন কো আলোচনা নয়।
সমন্বিত সমস্যার বিশ্বভিত্তিক সমাধানের জন্য লেখকগণ তাদের ‘থ্রেশোল্ড ২০০০’ গ্রন্থে সার্বিক বিবেচনায় পরিকল্পিত `sustainable development’ স্ট্র্যাটেজি গ্রহণের কথা বলেছেন। তবে সঙ্গে সঙ্গে তারা একে পূর্ণাঙ্গও মনে করেন নি। তাদের মতে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ এর সাথে `sustainable faith’ এর ভূমিকাও যুক্ত থাকতে হবে। জেরাল্ড বার্নির ভাষায়, ‘আমরা মানুষেরা সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট এর কথা বলছি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এককভাবে এটি খুব বেশিদূর যেতে পারবে না(It does not go deep enough)। আমাদেরকে অবশ্যই সাস্টেইনেবল ফেইথ এর বিষয়ে ভাবতে হবে। ‘সাসটেইনেবল ফেইথ’ তারা তাকেই বলেছেন যে ‘ফেইথ’ বা ধর্ম পৃথিবীর মানুষের, পৃথিবীর প্রাণীকূলের, পৃথিবীর পরিবেশের জীবনপদ্ধতি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
‘থ্রেশোল্ড ২০০০’ গ্রন্থের লেখকগণ এমন ধর্ম খুঁজে পায় নি। লেখক জেরাল্ড বার্নি লিখেছেন, “Is there a faith in existence today that is pracising a way of life that prevents `progress` for the whole community of life, not just the human species? Is there a faith tradition such that if everyone on Earth suddenly adopted it, the human future on Earth would be assured? I do not know enough about the faith tradition of the world to provide a well considered answer to this questions, but on the basis of my limited personal experience, I doubt there is a faith tradition on Earth today that can provide the moral foundation needed for the 21st century.” অর্থাৎ শুধু মানব প্রজাতি নয়, সমগ্র জগৎজীবনের উন্নয়ন উপযোগী জীবন পদ্ধতি দেয় এমন ধর্মের অস্তিত্ব কি আছে? এমন ধর্ম কি আজ দুনিয়াতে আছে যা আজ দুনিয়ার মানুষ হঠাৎ যদি গ্রহণ করেই বসে তাহলে এই দুনিয়ার তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে? এই প্রশ্নগুলোর যথার্থ জবাব দিতে সমর্থ এমন ধর্ম সম্বন্ধে খুব বেশি জানা নেই, তবে আমি আমার সীমিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি, একুশ শতকের জন্য প্রয়োজন যে নৈতিকভিত্তির তা পৃথিবীর কোন ধর্মের নেই বলে আমার সন্দেহ।
লেখকের এই সন্দেহই আমার আজকের আলোচনার মূল বিষয়।
এই সন্দেহকে সত্য ধরেই লেখকরা আধুনিক বিশ্বের জন্য নতুন ‘ওহী’র সন্ধান করেছেন। নতুন ‘ওহী’র সন্ধান তারা পেয়েছেনও। ‘পুরাতন’ ‘অচল’ হয়ে পড়া ধর্মগুলো, তার মতে, মানুষের সম্পর্ক, সহযোগিতা, সহমর্মীতার ক্ষেত্রে ধ্বংসকারী ভূমিকা পালন করছে। তার মতে আজকের দুনিয়ার ৫০টিরও বেশি আঞ্চলিক সংঘাতের অধিকাংশই বিভিন্ন ধর্মানুসারীদের মধ্যে সংঘটিত হচ্ছে। দুনিয়ার সামরিক শিল্প অধিকাংশেই এক ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের সংঘাতের সুযোগেই টিকে আছে।
লেখকের মতে দ্বিতীয় ‘অহী’র প্রতিপাদ্য বিষয় হলো. ধর্মগুলো নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্যের ব্যবস্থা দিয়েছে যা বস্তুনিষ্ঠতার দিক হতে অন্যায় এবং সামাজিকভাবে ধ্বংসকর। তৃতীয় ‘অহী’ হলো মানুষের বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞান শুধু মানুষকে নয়, গোটা জগৎ জীবনকে চিনতে, বুঝতে এবং সকলের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার চেতনা দিয়েছে এবং চতুর্থ ‘অহী’ হলো, স্বর্গীয় শক্তির মত মানুষও তার ‘সহস্রষ্টা’। সহস্রষ্টা হিসেবে মানুষ শুধু তার নয়, গোটা জগৎ জীবনের ভবিষ্যত জীবনপদ্ধতি রচনা করবে।
লেখকদের কথিত এই চারটি অহীর প্রথম নেগেটিভ যা অতীতের সমালোচনা এবং শেষ দুটি পজিটিভ। যাকে তারা ভবিষ্যতের জীবন দর্শন বলে মনে করছেন। কিন্তু একে তারা অবশ্য নতুন ধর্ম (যেমন ‘কমুনিজম’ কে বলা হয়ে থাকে) বলেন নি, কিন্তু স্পষ্ট করে বলেন নি যে, এগুলিই একুশ শতকের মানুষের নৈতিক বুনিয়াদ হতে পারে। বলতে পারেন নি সম্ভবত এই কারণে যে, মানুষের বিজ্ঞান কখনই শেষ কথা বলতে পারে না এবং ‘মানুষ’ সহস্রষ্টা বটে, কিন্তু এই সহস্রষ্টা মানুষ পৃথিবী গড়ারও যেমন নায়ক, তেমনি সকল ধ্বংস-বিপর্যয়-হানাহানিরও নায়ক।
লেখকরা ধর্ম সম্পর্কে যা কিছু বলেছেন তা অবশ্যই ঠিক নয়। লেখকদের সবচেয়ে বড় ভ্রান্তি হলো তারা ধর্ম ও তার অনুসারীদের এক করে দেখেছেন। এটা কোন দিক দিয়েই যুক্তিগ্রাহ্য নয়। ধর্ম অনুসারে মানুষ যা করে সেটাই তার ধর্ম। ধর্মীয় শিক্ষার বিপরীতে তারা যা করে সেটা তার অধর্ম ও অন্যায় এবং ধর্মের শিক্ষা বা নির্দেশের বাইরে তারা যা করে, সেটা তার ব্যক্তিগত। আজকের বিশ্বে ৫০টিরও বেশি যে সংঘাত চলছে, যা লেখকেরা বলেছেন, তার অধিকাংশই ধর্মানুসারীদের ব্যক্তিগত বা অধর্মজাত। কাশ্মীর সমস্যার কথাই বলি। কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষের রায় এবং ভারতের আধিপত্যবাদী অভিলাষের সংঘাত হতেই কাশ্মীর সমস্যার জন্ম। ভারতীয় আধিপত্যের বিরোধীতাকারী কাশ্মীরি মানুষ মুসলমান বলেই এ সমস্যার মূল হিসেবে ইসলামকে টানা হবে তা ঠিক নয়। ভারতের সাথে সংঘাতরত কাশ্মীরিদের যদি ইসলামের পক্ষে ধরা হয়, তাহলে ভারতের পক্ষের শেখ আব্দুল্লাহ, ফারুক আব্দুল্লাহ এবং তাদের সাথী হাজার মুসলমানকে ইসলামের বিরোধী শক্তি ধরা হবে? না, তা ধরা যাবে না। সুতরাং কাশ্মীর সংঘাতে ইসলাম কোন পক্ষ নয়। অধিকাংশ সংঘাতের ক্ষেত্রে এই একই কথা। আরও একটা কথা, গত ৫৫০০ বছরে মোট যুদ্ধ হয়েছে ১৪৫০০ টি। লোক মরেছে প্রায় ৪০০ কোটি। এর ১০ শতাংশ লোকও ধর্মযুদ্ধের কারণে মারা যায় নি। দুনিয়াতে বৃহৎ যুদ্ধের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৪২টি। এর মধ্যে মাত্র গোটা দুই তিনেক যুদ্ধ ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছে (যেমন ক্রুসেড)।
অনুরূপভাবে নারীর প্রতি বৈষম্য ও নির্যাতনের ৯০ ভাগ ব্যবস্থা ও ঘটনার জন্য মানুষের অধর্মজাত ও ব্যক্তিগত আচরণই দায়ী। ইসলামের উত্তরাধিকার আইনসহ ইসলামের নারী সংক্রান্ত বিধি-বিধান নারীদের প্রতি বৈষম্য নয়, অবিচার নয়, বরং সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য অনুসারী ও সামাজিক ভারসাম্য বিধানকারী একটি বাস্তব ব্যবস্থা। তবে এই আলোচনায় আমি যাচ্ছি না।
লেখক জেরাল্ড বার্নি ও তার সহ লেখকদের দোষ দেবার কিছু দেখি না। কারণ জেরল্ড বার্নি নিজেই স্বীকার করেছেন, পৃথিবীর ধর্মব্যবস্থা সম্পর্কে তার তেমন কিছু জানা নেই। তার আলোচনা থেকেও এটাই প্রমাণ হয়। খ্রিষ্টধর্ম কেন আধুনিক জগৎ জীবনের জীবন পদ্ধতি হতে পারে না, এ প্রসঙ্গেই তিনি শুধু আলোচনা করতে পেরেছেন। এর অর্থ অন্যান্য ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ইসলাম পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ ধর্মই শুধু নয়, একমাত্র ইসলামই পৃথিবীর বিশ্বজনীন, সার্বজনীন, ইতিহাস-আলোকিত এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।
জেরাল্ড বার্নি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করলে দেখতে পেতেন, মানুষ এবং জগৎ জীবনের দিক নির্দেশক ও অভিভাবক হিসেবে যে ধর্মের আজ প্রয়োজন এবং যে ধর্ম একবিংশ শতকের Moral foundation হতে পারে, সে ধর্মই হলো ইসলাম। এ জন্যেই ইসলামে মানুষকে এই পৃথিবীতে আল্লাহর খলীফা বা প্রতিনিধি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এই খলিফার দায়িত্ব মানুষকে রক্ষা করা এবং মানুষের জন্যই সৃষ্ট যে পরিবেশ ও প্রাণিজগত তাকেও রক্ষা করা। আর নবী(সাঃ) কে রাহমাতুললিল আলামীন’ বলা হয়েছে। তিনি রহমত শুধু মানুষের জন্য নয়, প্রানী, পরিবেশ সকলের জন্যিই তিনি রহমত। এ বিষয় বিরাট আলোচনার দাবি রাখে। কিন্তু সে সুযোগ এ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নেই।
সবমিলিয়ে একবিংশ শতকে মানুষ ও বিশ্বচরাচরের জন্য যে way of life দরকার, সে way of life ’ই হলো ইসলাম। ইসলাম যেমন sustainable faith তেমনি এতেই আছে sutainable development। জাতিসংঘের নেতৃত্বে চার দশকের উন্নয়ন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এবার দেখা হোকনা ইসলামকে। জেরাল্ড বার্নির কথার রেশ ধরে বলা যেতে পারে, ‘If everyone on Earth suddenly adopted’ ইসলাম, তাহলে কি ঘটে একবার দেখাই যাক না। কম্যুনিজম ব্যর্থ হবার পর, পশ্চিমা ব্যবস্থা ব্যর্থ হবার পর এ দাবি উঠতেই পারে। বিশেষ করে সবকিছু ব্যর্থ হবার পর যখন sutainable development কে সফল করার জন্য sustainable faith এর সন্ধান করা হচ্ছে, তখন এ দাবি ওঠা আরও স্বাভাবিক।