জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস
জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি

ইসলামের নৈতিকতা ও আচরণ

অন্তর্গতঃ uncategorized
Share on FacebookShare on Twitter

সূচীপত্র

  1. প্রথম অধ্যায়ঃ সূচনা
    1. উৎস
    2. বৈশিষ্ট্য : বোধগম্যতা ও নৈতিকতা
    3. লক্ষ্য
    4. দয়া ও ভদ্রা
    5. অন্যদর প্রতি বিবেচ্য বিষয়
    6. সামাজিক সম্পর্ক রক্ষায় ইসলামি আদবের ভূমিকা
    7. ইসলামি আদবের ধর্মীয় দিক
    8. কয়েকটি উদাহরণ
    9. ইসলামি আদবের মনস্তাত্ত্বিক দিক
    10. ইসলামি আদবের মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্যগত দিক
    11. জাতীয় অর্থনীতে ইসলামি আদবের ভূমিকা
    12. বিয়ে, পরিবার ও ইসলামি আদব
    13. ইসলামে যৌনাচরণ বিধি
    14. ইসলামি আদব এবং নারীর মর্যাদা
    15. ইসলামি আদব ও শৃঙ্খলা
    16. মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্ন
    17. মুসলমানদের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণে ইসলামি আদব
    18. মুসলমানদের আচার ও প্রথার ব্যাপারে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
    19. ইসলামি আচরণের প্রধান প্রধান বিধির পর্যালোচনা
  2. দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বিভিন্ন দৈহিক কার্যক্রম
    1. হাঁচি
    2. হাই তোলা
    3. বিছানায় গমন (প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি)
    4. কখন ঘুমাতে হবে
    5. বিছানা
    6. ঘুমাতে যাবার আগে
    7. ঘুম থেকে জাগা
    8. স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্ন দেখা
    9. মলমূত্র ত্যাগ
    10. বহির্ভাগে এস্তেঞ্জা
    11. মাসিক রক্তস্রাব এবং প্রসূতি কাল
    12. পুরুরে অপবিত্র অবস্থা
  3. তৃতীয় অধ্যায়ঃ পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা
    1. অপবিত্রতা
    2. গোসল করা
    3. কোথায় গোসল করবেন
    4. গোসল কখন ফরজ হয়
    5. গোসলের নিয়ম
    6. শরীরের কোন কোন অংশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ
    7. মানুষের প্রসাধনী ও সাজসজ্জা
    8. চুল
    9. দাঁড়ি
    10. সুগন্ধি
    11. গোঁফ
    12. সীল মোহরযুক্ত আংটি
    13. মহিলাদের মেকআপ ও রূপচর্চা
    14. চুল
    15. মুখমণ্ডল ও হাত
    16. প্রসাধনী
    17. নারী-পুরুষের জন্য সাধারণ নির্দেশ
  4. চতুর্থ অধ্যায়ঃ খানাপিনার আদব
    1. খেতে বসা
    2. খাওয়ার সুষ্ঠু রীতি
    3. পানীয়
  5. পঞ্চম অধ্যায়ঃ পোশাক
    1. সাধারণ নীতি
    2. পুরুষের পোশাক
    3. মহিলাদের পোশাক
    4. জুতো
  6. ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ স্থাপত্য ও আসবাপত্র
    1. মুসলমানদের বাসগৃহ
    2. আসবাবপত্র
    3. বসতবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা
    4. অলংকার ও সৌন্দর্য
    5. বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
  7. সপ্তম অধ্যায়ঃ পারিবারিক আচরণ
    1. স্ত্রীর প্রতি আচরণ
    2. মুসিলম স্ত্রীর সঠিক আচরণ
    3. সন্তানদের প্রতি পিতামাতার আচরণ
    4. পিতামাতার প্রতি সন্তানের আচরণ
  8. অষ্টম অধ্যায়ঃ কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াত
  9. নবম অধ্যায়ঃ মসজিদ
    1. মসজিদের ডিজাইন
    2. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
  10. দশম অধ্যায়ঃ জুমাবারে করণীয়
    1. শুক্রবারের জুমার খুতবা
  11. একাদশ অধ্যায়ঃ উৎসব উদযাপন
    1. উৎসব পালন
    2. ঈদুল আজহার করণীয়
    3. ঈদুল ফিতরের জন্য বিশেষ নির্দেশ
  12. দ্বাদশ অধ্যায়ঃ বিবাহ
    1. পাত্রী অনুসন্ধান
    2. স্বামী নির্বাচনে স্ত্রীর অধিকার ও দায়িত্ব
    3. বিবাহ
    4. কাবিননামা
    5. বিবাহের অনুষ্ঠান
    6. দাম্পত্য জীবন
    7. পুরুষদের প্রতি পরামর্শ
    8. মহিলাদের প্রতি পরামর্শ
    9. বিবাহের ওয়ালিমা
    10. বহুবিবাহ
  13. ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ জন্ম
    1. ঘোষণা
    2. অভিনন্দন ও পরিদর্শন
    3. সপ্তম দিনের উৎসব
    4. পশু জবাই করা
    5. শিশুর মস্তক মুণ্ডন
    6. খতনা উৎসব
  14. চতুর্দশ অধ্যায়ঃ নামকরণ ও অন্যদের সম্ভাষণ
    1. নামকরণ
    2. অন্যান্যদের সম্বোধন করা
  15. পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ সামাজিক জীবন
    1. সুষ্ঠু সামাজিক সম্পর্ক
    2. অন্যদের প্রতি কর্তব্য
    3. অপরিহার্য ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য
    4. ব্যক্তিগত খারাপ বৈশিষ্ট্য
    5. কথা বলা ও শোনা
    6. বক্তৃতার গ্রহণযোগ্য ভাষা
    7. শ্রবণ
    8. শপথ করা
    9. নজর (ইচ্ছা পূরণের সাথে শপথকে সংশ্লিষ্ট করা)
    10. হাসি
    11. কাঁদা
    12. তামাশা
    13. অন্যদের সাথে সাক্ষাৎকালে আচরণ
    14. সম্ভাষণ জানানোর আদব
    15. অপরের বাসগৃহে প্রবেশের সময় অনুমতি প্রর্থনা
    16. বন্ধুদের বাড়িতে
    17. মেহমানদের স্বাগত জানানো
    18. লোকদের আপ্যায়ন
    19. খাবার জন্য আমন্ত্রিত হলে
    20. অসুস্থদের দেখতে যাওয়া
    21. গ্রুপ বৈঠক
    22. কিভাবে বসতে হবে
    23. গৃহের বাইরে মহিলাদের আচরণ
    24. উৎসব পালন
    25. আত্মীয়-স্বজনের সাথে আচরণ
    26. প্রতিবেশীর সাথে আচরণ
    27. উপহার
  16. ষোড়শ অধ্যায়ঃ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করণীয় আচরণ
    1. মসজিদে
    2. কবরস্থান
    3. রাজপথে
  17. সপ্তদশ অধ্যায়ঃ মৃতের দাফন কাফন
    1. কারো মৃত্যু হলে করণীয়
    2. দাফন কাজে অনুগমন
    3. দাফন
    4. কবর দেওয়ার পর
    5. শোক প্রকাশ
  18. অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ কবরস্থাপনের স্থাপত্য
    1. কবরের স্থান
    2. কবরের আভ্যন্তরীণ ডিজাইন
    3. কবরের বাইরের ডিজাইন
  19. ঊনবিংশ অধ্যায়ঃ সফর
  20. বিংশ অধ্যায়ঃ ক্রীড়া
  21. একবিংশ অধ্যায়ঃ জীবজন্তুর প্রতি আচরণ
  22. গ্রন্থপঞ্জি
  23. নির্ঘন্ট

দ্বাদশ অধ্যায়ঃ বিবাহ

বিবাহ হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রথা, যা মানুষের ব্যক্তিত্বকে পূর্ণাঙ্গ করে। পরিবার ও স্ত্রীর ভরণপোষণে সক্ষম প্রত্যেক যুবকের বিয়ে করা উচিত; কারণ বিয়ের ফলে মানুষ অনৈতিকতা থেকে রক্ষা পায়। ইসলামের কৌমার্যের স্থান নেই। তাছাড়া দু’জনের মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য বিয়ের মত আর কিছু নেই।
অর্থনৈতিক কারণে যারা বিয়ে করতে পারেনা তাদেরকে মাঝে মাঝ রোজা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ যৌন আকাঙ্ক্ষা নিবৃত্ত করার জন্য রোজা একটি মাধ্যম। অবশ্য যদি কোন মুসলমানের বিয়ে করার ইচ্ছা বা প্রয়োজন না থাকে এং সে যদি আর্থিকভাবে স্বচ্ছলও হয়, পরিবার ভরণপোষণের জন্য, তাহলে সে বিয়ে করবেনা।

পাত্রী অনুসন্ধান

১. ইসলামি আইনানুসারে যে নারী কোন পুরুষের জন্য ‘মহরম’, সে তাকে বিয়ে করতে পারে না। রক্তের সম্পর্কের কারণে ৭ শ্রেণীর স্ত্রী লোক এবং বিয়ের কারণে ৭ শ্রেণীর স্ত্রী লোকের সাথে বিয়ে নিষিদ্ধ।
২. তাকওয়া পরায়ণ নারীই হচ্ছে আদর্শ স্ত্রী। ধনসম্পত্তি, বংশ মর্যাদা অথবা সৌন্দর্যের কারণে সাধারণতঃ মেয়েদের বিয়ে করা হয়। বিয়ের এই ভিত্তি কখনও স্থায়ী হয়না এবং স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে তা ভারসাম্যহীন করে তোলে। সুতরাং সমঝোতা প্রতিষ্ঠা ও ভুল বুঝাবুঝি নিরসনে অভিন্ন ভিত্তি থাকতে হবে এবং তা হচ্ছে ইসলামের প্রতি আনুগত্য।
৩. সপ্রভিত লজ্জা এবং স্পর্শকাতরতা স্ত্রীর আরেকটি গুণ।
৪. মধ্যম মানের পার্থিব চাহিদার সন্তুষ্টি, মধ্যম মানের জীবনেই এবং বিলাসবহুল জীবনের প্রতি আকঙ্ক্ষী নয়, এমন স্ত্রী উত্তম। অর্থের অপচয় বিলাসবহুল জীবনের প্রতি আকঙ্ক্ষী নয়, এমন স্ত্রী উত্তম। অর্থের অপচয় স্ত্রীর দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক।
৫. অনাত্মীয়দের মধ্যে বিয়ের ফরে নতুনদের মধ্যে আত্মীয়তার পরিধি বাড়ে।
৬. বন্ধ্যা নারীকে বিয়ে না করাই বাঞ্ছনীয়। সন্তানদের জন্মদানে সক্ষম নারীকে বিয়ে করতে হবে, কারণ সফল বিয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হচ্ছে সন্তান সন্ততি।
৭. তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে করায় কোন ক্ষতি নেই, তবে এক্ষেত্রে সে প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছুক হবেনা। যদিও পূর্বোক্ত নারী বিয়ে করার মধ্যে দোষের কিছু নেই।
৮. কোন মহিলার ইসলামি আমলের মাত্রা, তার পিতামাতার জীবনাচরণ থেকে তার পটভূমি এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে না হয়ে কোন পুরুষের উচিত নয় বিয়ের প্রস্তাব পেশ করা।
৯. যে ব্যক্তি কোন নারীকে বিয়ে করতে চায়, তাকে দেখে নিতে হবে। এবং নারীরও উচিত ঐ পুরুষকে দেখে নেয়া।
১০. মহরম ব্যক্তির সামনেই বিয়ের ইচ্ছুক ব্যক্তি সেই নারীকে বা সাক্ষাৎ করতে পারে।
১১. পুরুষ শুধু মহিলার মুখমণ্ডল ও হাত দেখতে পারবে। মুখমণ্ডল দেখে তার সৌন্দর্য এবং হাত দেখে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়।

স্বামী নির্বাচনে স্ত্রীর অধিকার ও দায়িত্ব

কোন নির্দিষ্ট পুরুষকে বিয়ে করার ব্যাপারে নারীর সম্মতি বা অসম্মতির অধিকার যথোচিতভাবে পালন করা উচিত। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দুরদর্শী প্রাজ্ঞ হতে হবে। ভবিষ্যত স্বামী নির্বাচনে সম্পদ, মান-সম্মান, সুউচ্চ পদমর্যাদা এবং চাকুরি বা অন্য কোন পার্থিব সুবিধা একমাত্র কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যথার্থ নয়।

বিবাহ

১. বিয়ে এবং সন্তান সন্ততি লাভ এমন এক দায়িত্ব যা গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করতে হবে।
২. ইদ্দত ***১ পালনকালে কোন মহিলার প্রতি বিয়ের জায়েজ নয়।
৩. এক ব্যক্তি কোন নারীর প্রতি বিয়ের প্রস্তাব দেওয়র পর আরেকজনের পুনরায় প্রস্তাব দেওয়া অভদ্রতা। একজন প্রস্তাব প্রত্যাহার করলেই আরেকজন বিয়ের প্রস্তাব করতে পারে।
৪. নারীর অভিভাবকের বিযের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নেই। যে কোন চাপমুক্ত থেকে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার একমাত্র নারীরই রয়েছে। ***২
৫. সুতরাং বিয়ের ব্যাপারে মেয়েদের মতামত নিতে হবে। সে যদি এতিম বা কুমারী হয় এবং লজ্জাবশত কোন কিছু না বলে, তাহলে তার তার সম্মতি আছে বলে ধরে নিতে হবে। কিন্তু সে যদি তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা হয়, তাহলে নীরবতাকে সম্মতি ধরে নেয়া চলবেনা। যদি মহিলা অসম্মত হয়, তাহলে তার মতের বিরোধী কাজ করা অভিভাকদের উচিত হবে না।
৬. কোন মহিলার কাছে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া উচিত নয়। প্রস্তাব দিতে হবে অভিভাবকদের মাধ্যমে।

কাবিননামা

১. বিয়ের চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত শর্তাবলী হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম।
২. নারীর অভিভাক ও দু’জন মুসলমান স্বাক্ষীর উপস্থিতি ছাড়া বিয়ের চুক্তি বা কাবিননামা সাক্ষর করা যাবেনা।
৩. স্থায়ী বিযেল উদ্দেশ্যেই দম্পত্তি বিয়ে করবে, সাময়িকভাবে নয় যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
৪. আদর্শ ও উত্তম বিয়ে হচ্ছে যা বরের ওপর খুব কম চাপ সৃষ্টি করে।
৫. বিয়েতে উপঢৌকন বা উপহার প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বরকে তার স্ত্রীর জন্য কিছু উপহার দিতে হবে, তার মূল্য যা-ই হোকনা কেন। তবে এ ব্যাপারে তাকে অমিতব্যয়ী হলে চলবেনা এবং সাধ্যের অতিরিক্ত উপঢৌকন দেবে না।
[***১বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর এ সয় সে বিয়ে নাও করতে পারে।]
[***২ মালিকি মাজহাব মতে ওয়ালীর সম্মাতি ছাড়া কোন কুমারী বিয়ে করতে পারেনা।]
৬. কোন ব্যক্তি যদি তার কন্যা অথবা বোনকে এই শর্তে বিয়ে দিতে চায় যে, অপর ব্যক্তিও তার কন্যা বা বোনকে বিয়ে দেবে কোন প্রকার উপহার বা উপঢৌকন ছাড়া, তবে তা নিষিদ্ধ। মোটকথা প্রত্যেক বিয়ের চুক্তি হবে অন্য বিয়ের চুক্তি থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।
৭. মেয়ের অভিবাককে অবশ্যিই পুরুষ ও মুসলিম হতে হবে। কোন মহিলার পক্ষে অন্য মহিলাকে বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। তাছাড়া অভিভাবক ছাড়া কোন নারীর বিয়ে করাও উচিত নয়।
৮. যে নারীর কোন অভিভাবক নেই অথবা এমন অভিভাবক রয়েছে, যে মুসলিম নয় অর্থাৎ অনৈসলামিক আইনে তিনি স্বীকৃত হতে পারেন, তার ইসলামি আইনে নয়- এসব ক্ষেত্রে মুসলিম বিচারক অথবা ইমাম হচ্ছে তার অভিভাবক।
৯. নারী ও পুরুষেল উভয়ের সম্মাতিও ইসলামে মতে বিয়ের জন্য অপরিহার্য।

বিবাহের অনুষ্ঠান

১. উৎসবের আয়োজন না করে গোপনে বিয়ে করা ইসলামের ঐতিহ্য নয়। প্রকাশ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করাই ইসলামি বিধানসম্মত।
২. বিয়ে উপলক্ষৈ আমোদ প্রমোদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইসলামে সঙ্গীত স্বাভাবিকভাবে নিষিদ্ধ হলেও বিয়ের সময় গান গাওয়ার অনুমতি রয়েছে। স্ত্রীকে যখন স্বামীর কাছে সমর্পণ করা হয়, তখন কনের সাথে গান গাওয়ার জন্য কাউকে পাঠানো যায়; কিন্তু এ সঙ্গীতের বিষয়বস্তু অশ্লীলতা মুক্ত হতে হবে এবং গানের আওয়াজে যাতে প্রতিবেশীদের বিঘ্ন না ঘটে, তর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩. বিয়ের অনুষ্ঠানে অপ্রয়োজনীয় খরচের জন্য বরকে বলা নবদম্পত্তির জন্য সমস্যা হতে পারে সেটিকে অনৈসলামিক প্রথা হিসেবে গণ্য করা হয়।
৪. হজ্ব বা ওমরাহ [ওমরাহ হচ্ছে মক্কায় গমন; তবে তা হজ্বের মত বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সম্পাদন করতে হয়না। তাছাড়া এটা বাধ্যতামূলক নয় এবং এর কর্যক্রমও সীমিত।] পালনকালে বিয়ে করা বা অন্যের বিয়ের আঞ্জাম দেয়া উচিত নয়।

দাম্পত্য জীবন

১. ইসলামে মধুচন্দ্রিমার কোন অস্তিত্ব নেই। সুতরাং এটি একটি বহিরাগত ঐহিত্য।
২. বিয়ের প্রথম পর্যায়ে দম্পত্যির গৃহে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের অহরহ যাতায়াত না করাই শ্রেয়।
৩. সহবাসের প্রক্রিয়ায় ভদ্রতা, সূক্ষ্মতা এবং সহৃদয়তা অপরিহার্য।
৪. স্বামী-স্ত্রীর জন্য সহবাসের সময় পরিচ্ছন্ন শরীর এবং সুগন্ধময় পরিবেশ থাকা প্রয়োজন।
৫. স্বামী স্ত্রঅর কাছে ভদ্রভাবে অগ্রসর হবে এবং দু’জনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়- এমন কিছু করবেনা।
৬. স্বামী তার স্ত্রীর কপালে হাত রেখে খোদার রহমতা কামনা করে দেয়া করবে: “হে খোদা, আমি তার ও তার মেজাজ মর্জির কল্যাণ চাই এবং তার ও তার স্বভাবের অকল্যাণকর দিক হতে পানাহ চাই।”
৭. সহবাসের আগে স্বামী-স্ত্রীর দু’রাকাত নামাজ পড়া উত্তম।
৮. যে কোন উপায়ে সহবাস করা যায়, তবে তা সুনির্দিষ্ট যৌন পথে করতে হবে।
৯. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একবার সহবাস হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় সহবাস করতে চাইলে স্বামীর পুনরায় অজু করা উচিত।
১০. সহবাসের পর গোসল ছাড়া ঘুমানো যায়, তবে অজু বা গোসল করে নেয়া উত্তম।
১১. রক্তস্রাবকালে স্ত্রী সহবাস করা নিষিদ্ধ। কিন্তু তার পারও সহবাস করা হলে স্বর্ণের অর্ধ-দিনার সাদকাহ্‌ করতে হবে। স্বামীর রক্তস্রাবরতা স্ত্রীর সাথে সহবাস ছাড়া সবকিছুই (যথা আলিঙ্গন, চুম্বন) করতে পারে।
১২. স্ত্রীর মাসিক শেষ হলে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বা গোসল করার পর সহবাস করা যেতে পারে।

পুরুষদের প্রতি পরামর্শ

১. সাময়িক বিরতিতে স্বামীর সাথে সহবাসের অধিকার রয়েছে স্ত্রীর। সুতরাং স্ত্রীর প্রতি স্বামীর এই কর্তব্যে অবহেলা করা উচিত নয়।
২. দিবসে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি এবং দুর্ব্যবহার করা হলে অপরাহ্নে বা রাতে সহবাসের পরিবেশ থাকেনা। এজন্য এ সময় স্ত্রীর সাথে সহবাস না করাই শ্রেয়।
৩. স্বামীর এমন ঔষধপত্র না খাওয়া বা প্রস্তুনি না নেয়া উচিত, যাতে তার যৌন আকাঙ্ক্ষা দুর্বল বা কৃত্রিমভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠে।
৪. অতিরিক্ত সহবাস কখনও কখনও ক্ষতির কারণ হতে পারে। এজন্য মধ্যমপন্থা অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়।
৫. পুরুষদের উচিত তার দেহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুবাসিত রাখা।

মহিলাদের প্রতি পরামর্শ

১. রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায়, রক্তস্রাবকালে, সন্তান প্রসবের পর অথবা শারীরিকভাবে সামর্থ্য না হওয়া ছাড়া সহবাসের ব্যাপারে স্বামীর অনুরোধ স্ত্রী কখনও উপেক্ষা করবে না, স্বামীর ইচ্ছা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ যেভাবেই প্রকাশ করা হোক।
২. স্বামীর সাথে খেলাধুলা বা হাস্যরসের ব্যাপারে উদ্যোগী না হওয়া এবং সহবাসের ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গ গ্রহণ করার পরিণতিতে স্বামী ক্ষুব্ধ হতে পারে এবং তাদের বিবাহ-বন্ধনে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
৪. বাড়িতে স্ত্রী অবশ্যই তার স্বামীর সামনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সৌন্দর্যময়ী ও সুবাসিত থাকার চেষ্টা করবে।

বিবাহের ওয়ালিমা

বিয়ের পরদিন স্বামী তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ, ধন্যবাদ, দান, দোয়া কামনা করার জন্য তাদেরকে বিয়ের ওয়ালিমার দাওয়াত দেবে।
১. হালকা নাস্তা দিয়ে হলেও ওয়ালিমার আয়োজন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি ঐতিহ্য। অনৈসলামিক প্রকৃতির না হলে ওয়ালিমার দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করা যাবেনা। আমন্ত্রিতদের দাওয়াত গ্রহণ ও যোগদান করা উচিত।
২. বিয়ের (যৌন মিলনের মাধ্যমে বিয়ের পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্তি) পর ওয়ালিমার অনুষ্ঠান করা উচিত, তার আগে নয়। বিয়ের পর তিন দিনের মধ্যেও তা হতে পারে। এটাই সুন্নাহর নিয়ম।
৩. ধনী-গরিব নির্বিশেষে ধর্মভীরু ও তাকওয়াসম্পন্ন মুসলমানদের ওয়ালিমায় দাওয়াত দিতে হবে। সবচেয়ে খারাপ ওয়ালিমা হলো সেটি, যেখানে শুধু ধনীদের দাওয়াত দেওয়া হয়, গরিবদের দেওয়া হয় না।
৪. ওয়ালিমার ভোজে এক বা একধিক ভেড়া জবাই করা যেতে পারে। *** মিষ্টি বা সাধারণ নাশতা পরিবেশনও করা যেতে পারে।
৫. আমন্ত্রিত অতিথি এবং আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল, তারা এই ওয়ালিমার ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বা খাবার যোগান দিতে পারেন।
৬. অতিথি ও আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করতে অথবা দাওয়াতনামা পাঠাতে হবে।
৭. নববধূ অতিথিদের আপ্যায়ন করাতে পারে।
৮. ওয়ালিমা অনুষ্ঠান যেহেতু খোদার রহমত কামনার অনুষ্ঠান, এজন্য এক্ষেত্রে নারী পুরুষদের অবাধ মেলামেশা নিষিদ্ধ।
[*****বাংলাদেশে বেযর ওয়ালিমায় গ্রামাঞ্চলে সাধারণতঃছাগল বা গরু জবাই করা হয়। শহরাঞ্চেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্লাব বা কম্যুনিটি সেন্টারে ভোজের আয়োজন করা হয় এবং সেখানে মুরগীর রোস্ট এবং গরু বা ছাগলের গোশত পরিবেশন করা হয়- অনুবাদক]

বহুবিবাহ

১. ইসলামি বিধান মোতাবেক কোন ব্যক্তির স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কোন কুমারী মেয়েকে বিয়ে করলে সে তার সাথে সাত রাত কাটাবে এবং এর পর প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে সমভাবে সময় বন্টন করে দেবে; তবে সে যদি এমন মেয়েকে বিয়ে করে ইতোপূর্বে যার বিয়ে হয়েছিল, তাহলে তার সাথে তিন রাত কাটিয়ে এরপর স্ত্রীদের মধ্যে সময় ভাগ করে দেবে।
২. সকল অবস্থায় সকল স্ত্রী তার কাছে থাকবে, তা স্ত্রীরাই নির্ধারণ করবে।
৪. সমভাবে সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস জরুরি নয়। স্বামীর সময় স্ত্রীর মধ্যে ভাগ করে দেয়া প্রয়োজন এবং তাদের প্রত্যেকের সাথে রাত্রিযাপন করা প্রয়োজন।
৫. স্বামী সফরে যেতে চাইলে লটারির মাধ্যমে কোন্‌ স্ত্রীর সাথে যাবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
৬. স্বামী ‘হজ্ব’ বা ‘উমরাহ’ করতে চাইলেও একই পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
৭. কোনো স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ‘পালা’ সে যদি অন্য স্ত্রীর জন্য ছেড়ে দেয়, তাহলে স্বামী ঐ স্ত্রীর সঙ্গদান করতে পারেন।
৮. যদি কোন ব্যক্তি স্ত্রীদের মধ্যে সাম্য ও ন্যায়বিচার কায়েম করতে না পারেন (হৃদয়ের টান ও অনুভূতি ব্যতিরেকে), তাহলে তার একাধিক বিয়ে করা উচিত নয়।

Page 13 of 24
Prev1...121314...24Next

© Bangladesh Jamaat-e-Islami

  • আমাদের সম্পর্কে
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • যোগাযোগ
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস

@BJI Dhaka City South